Tag: গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

  • গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল, অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় গলাচিপা পৌর শহরের জৈনপুরী খানকা ময়দানের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

    বিক্ষোভকারীরা বলেন , ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা দাবি করেন, ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনসহ সরকারি তহবিলের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, ইউএনও মিজানুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

    বিক্ষোভকারীরা দ্রুত ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন ও ব্যানার প্রদর্শন করেন। তারা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শাহ জুবায়ের আবদুল্লাহ, তারিকুল ইসলাম মুন্না, মো. হানিফ ডাক্তার প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হন। এ নিয়ে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন পার হলো।

  • গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    পটুয়াখালী জেল প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গলাচিপা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

    মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন। তারা দাবি করেন, ইউএনও আওয়ামী লীগপন্থী চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের উপস্থিতি বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিশ্চিত করছেন। এছাড়া, তার নেতৃত্বে সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগও উত্থাপন করেন তারা।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ওয়াফা, গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান অহনা, গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সিয়াম এবং বরিশাল মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম মুন্না।

    শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তারুণ্যের উৎসবে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও। এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনসহ তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন তিনি। প্রাক্তন ইউএনও যে ফান্ড রেখে গেছেন, তা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

    গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান অহনা বলেন, “বর্তমান ইউএনও ফ্যাসিবাদীদের দোসর। রাঙ্গাবালী উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সরাসরি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এছাড়া, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”

    গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সিয়াম বলেন, “তিনি স্বৈরাচারী শক্তির সহযোগী। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নিয়ে এখনো মিটিং করেন।”

    বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “তাদের কোনো দাবি-দাওয়া আছে, তা আগে কখনো আমাকে জানানো হয়নি। তবে আমি সবসময় সবার দাবি অনুযায়ী স্বাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।” তিনি, “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের অভিযোগের বিষয় বলেন, “এরকম কোন বিষয় নাই।”