Tag: কুলাউড়া

  • বড়লেখায় আগুনে পুড়ল প্রবাসীর বাড়ির গোয়ালঘর পুড়ে ছাই 

    বড়লেখায় আগুনে পুড়ল প্রবাসীর বাড়ির গোয়ালঘর পুড়ে ছাই 

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার)

    মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক প্রবাসীর বাড়ির গোয়ালঘর ও খড়ের গাদায় আগুন লেগে পুড়ে গেছে।

    শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার রুকনপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মুহিবুর রহমানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

    প্রবাসীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে দুবাই প্রবাসী মুহিবুর রহমানের বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগে। আগুন গোয়ালঘরেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পোড়ার শব্দ শুনে পরিবারের লোকজনের ঘুম ভাঙে। পরে তারা ঘুম থেকে উঠে দেখেন, আগুনে গোয়ালঘর ও খড়ের গাদা পুড়ছে। তখন তারা দেখে চিৎিকার দেন। এসময় আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসেন। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভায়।

    বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়েছি। অল্প একটু খড় পুড়েছে। আর পাশে গোয়ালঘর ছিল। গোয়ালঘরের চারপাশ খোলা ছিল। টিনও বেশ পুড়েনি। আগুনে তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি।

  • বড়লেখা পাবলিকেশন সোসাইটির টিউবওয়েল বিতরণ

    বড়লেখা পাবলিকেশন সোসাইটির টিউবওয়েল বিতরণ

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুপরিচিত সামাজিক সংগঠন বড়লেখা পাবলিকেশন সোসাইটির উদ্যোগে টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে।

    শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে অসচ্ছল পরিবারের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল বিতরণ অনুষ্ঠানে সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ ইমরান এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আক্তার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ও বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নিয়াজ উদ্দীন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল মুহাইমীন, সোসাইটির উপদেষ্টা এম. এম আতিকুর রহমান, উপদেষ্টা ও শিক্ষক জাকির হোসেন, শিক্ষক আব্দুল হালিম, নাহিদুর রহমান প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন বড়লেখা পাবলিকেশন সোসাইটির উদ্যোগে বহুমূখী সেবামূলক কার্যক্রমে আমরা আনন্দিত। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাহতাব আল মামুন মানবকল্যাণের কার্যাবলিতে স্পষ্টত প্রতীয়মান হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল বিতরণ সদকায়ে জারিয়া হিসেবে পরিগনিত হবে, এসকল কাজ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

  • বড়লেখায় খতিব ও ইমাম ক্বারি মনোহর আলীকে সংবর্ধনা স্মারক প্রদান 

    বড়লেখায় খতিব ও ইমাম ক্বারি মনোহর আলীকে সংবর্ধনা স্মারক প্রদান 

     

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা।

     

     

    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সুদীর্ঘ দিনের ইমাম ও খতিব ক্বারি মনোহর আলীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।

     

    আজ ২৫ অক্টোবর বাদ জুমা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শিক্ষাবিদ হাজী ইছমাইল আলী রহ. শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা স্মারক দেয়া হয়।

     

     

    ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক এম. এম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নিয়াজ উদ্দীন, জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফয়জুর রহমান, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক হাজী আব্দুল হান্নান, সদস্য আব্দুল লতিফ, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হাজী ফয়জুর রহমান প্রমুখ।

     

    প্রসিদ্ধ ক্বারি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব মনোহর আলী সাহেব প্রায় ৬২ বছর আগে বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের বড় মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এখানে এসে ইমামতির পাশাপাশি হুজরাখানায় ছাত্র এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে কোরআনুল কারিমের সহি শুদ্ধ তেলাওয়াত শিক্ষা দিতে শুরু করেন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সম্মানিত মুসলমানদের অংশগ্রহণে একটি মাদরাসায় রূপ ধারণ করে। ক্বারি সাহেবের শ্রম সাধনায় হাজার হাজার ছাত্র কোরআনের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে আজ দেশে প্রবাসে ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তাঁর এ অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শিক্ষাবিদ হাজী ইছমাইল আলী রহ. শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশন হুজুরের জীবদ্দশায় সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করে।

     

    তিনি বর্তমানে বড়লেখা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে নিজস্ব বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

    শতবর্ষী এ প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্বের আমরা সুস্থতা এবং নেক হায়াত কামনা করছি অনন্ত শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায়।

  • আমান উল্লাহ স্যারের রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে শুভ উদ্বোধন হলো এনসি স্কুলের ১১৬ বছর উদযাপনের কার্যক্রম 

    আমান উল্লাহ স্যারের রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে শুভ উদ্বোধন হলো এনসি স্কুলের ১১৬ বছর উদযাপনের কার্যক্রম 

     

    জেলা প্রতিনিধি।

    কুলাউড়া উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১৬ বছর উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা৷ এ উপলক্ষে ২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে বিদ্যালয়ের হল রুমে অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

     

    এন সি স্কুলের ১১৬ বছর উদযাপনের আহবায়ক এনামুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু এবং ১২ ব্যাচের প্রতিনিধি মাসুদ রানা’র যৌথ সঞ্চালনায় রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মানবেন্ড কিশোর দেবরায়, এস জামান মতিন, শওকতুল ইসলাম শকু, সৌম্য প্রদীপ ভট্রাচার্য সজল, আব্দুল হান্নান, মো: রেদোয়ান খাঁন, মইনুল ইসলাম শামীম, খালেদ পারভেজ বখস, নির্মাল্য মিত্র সুমন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন নোমান, উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম ভূইয়া খোকন, রেজিষ্ট্রেশন উপকমিটির জহিরুল ইসলাম এশু, ২০০২ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল বারী সোহেল, ২০১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহিদ আলম নাঈম, ২০১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সালেহ চৌধুরী আলিফ, ২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান নিশান।

     

    বক্তব্য পর্ব শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে মিলে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ স্যারের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।

     

    আগামী ৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১৬ বছর উদযাপনের লক্ষ্যে এ রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।

  • বড়লেখায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন

    বড়লেখায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

     

    “ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসন ও নিসচা বড়লেখা শাখার তত্ত্বাবধানে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে র‍্যালীর পূর্বে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা প্রীতম সিকদার জয়, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, নিসচা বড়লেখা শাখার উপদেষ্টা সাংবাদিক আব্দুর রব, সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মার্জানুল ইসলাম।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, বিজিবি প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, নিসচা সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান উদ্দিন, আমান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার খালেদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক রেদওয়ান রুম্মান, দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়য়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস, দপ্তর সম্পাদক এনাম উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমাতুন সাদিয়া লিলি, প্রকাশনা সম্পাদক গণেশ কর, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান জিল্লুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য মো. জমির উদ্দিন, আশফাক আহমদ, অজিত রবিদাস, সাহেদ আহমদ পাবেল, এহসান আহমদ, আব্দুল হামিদ, জাকারিয়া আহমদ, ছাদিকুর রহমান, আফজাল হোসেন রুমেল, মাহিনুর ইসলাম মাহিন, ছায়দুল আহমদ, মজনুর রহমান, রেজাউল হক প্রমূখ।

    সভায় বক্তারা বলেন, জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনে প্রিয়তমা সহধর্মিণী জাহানারা কাঞ্চনকে সড়কে হারিয়ে সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে গড়ে তোলেন নিরাপদ সড়ক চাই সামাজিক আন্দোলন। ‘সড়ক দুর্ঘটনা’ নিছক নিয়তি নয়, এটা মানবসৃষ্ট একটি ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের জন্যই একলা ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সামাজিক আন্দোলনের জন্ম হয়েছে।

    জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিসচার কার্যক্রম কারো বিরুদ্ধে নয়, এটা সামাজিক সংগঠন। সমাজের সকলকে নিয়ে নিসচা আন্দোলন করে যাচ্ছে। সকলের সহযোগিতা নিয়েই বাংলাদেশকে সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে নিসচা কর্মীরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

    এসময় সড়ক দুর্ঘটনারোধে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিসচা নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা কমিটি ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অন্তর্ভুক্ত করার আশবাদ ব্যক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

    এদিকে দুপুর ১২ টায় নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জমির উদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

  • ঘুরে আসুন কুলাউড়ার দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্ক

    ঘুরে আসুন কুলাউড়ার দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্ক

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা।

     

    কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্ক। পরিপাটি আমানিপুর পার্কটি দেখতে যেমনই সুন্দর ও আকর্ষনীয় তেমনি নজরকাড়া চমৎকার বিনোদনের একটি স্থান। শিশু-কিশোরদের নির্মল আনন্দের জন্য আমানী পার্ক টি সুসজ্জিত করা হয়েছে নতুন ও ভিন্ন আঙিকে। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের রাইড। পার্কটি এক নজর দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে দেখা যায় এই পার্কে, সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করার জন্য আসেন।

    কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি ৩ একর জমির উপর বিচারপতি সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন হোসেন আমানিপুর পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন। পার্কটি প্রথম দিকে করোনা মহামরী প্রভাবে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। বর্তমানে এ পার্কে শিশু- কিশোরদের বেশ কিছু আকর্ষনীয় এবং সুন্দর সুন্দর রাইড সংযোজন করা হয়েছে। পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু থেকে প্রচারনায় স্থানীয়সহ বৃহত্তর সিলেটের বিনোদন মুখী মানুষ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।

    সিলেট-আখাউড়া রেললাইন ঘেঁষে টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামে গড়ে ওঠা পার্কটি প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের বিনোদনের জন্য সুন্দর একটি স্থান। এখানকার পরিবেশও মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে পার্কে দাঁড়িয়ে গোধূলি সন্ধ্যার দৃশ্য অত্যন্ত চমৎকার।

    কুলাউড়া উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পৃথিমপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত রবিরবাজার। রবিরবাজার ঢোকার আগেই পশ্চিম দিকে আমানীপুর পার্কে যাওয়ার রাস্তার দূরত্ব প্রায় দেড় থেকে দুই কিঃমিঃ। তাছাড়া রবিরবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে বাংলাবাজার হয়েও আমানীপুর পার্কে প্রবেশ করা যায়। পাশাপাশি টিলাগাঁও বাজার কিংবা লালপুর নয়াবাজার হয়েও আমানীপুর পার্কে সহজে যাওয়া যাবে।

    আমানীপুর পার্ক সকল বয়স, শ্রেণি, পেশার মানুষের বিনোদনের চমৎকার একটি জায়গা। তাছাড়াও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরণের রাইড উপভোগের ব্যবস্থা রয়েছে । নাগরদোলা, নৌকা রাইড, মিনি ট্রেন, মিনি গাড়ি রাইড, মিউজিয়াম, সুইমিং পুল ইত্যাদি। তাছাড়াও একান্ত সময় কাটানোর জন্য রয়েছে চমৎকার আরো কিছু আয়োজন।

    এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফুলের বাগান, রয়েছে মন জুড়ানো আঁকা বাঁকা রাস্তা, বসে গল্প করার জন্য রয়েছে নানা রঙের নানান ডিজাইনের চেয়ার। পার্টি কিংবা জন্মদিন অথবা পিকনিক ও শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন প্রকারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন, সেই সুযোগও রয়েছে আমানি পুর পার্কে।পার্কের ভিতর ছোট একটি যাদুঘরের ব্যবস্থাও রয়েছে এ পার্কে। আপনি বিভিন্ন প্রকার প্রাচীন আসবাবপত্র, প্রাণী জগৎ, জড় পদার্থ দেখতে পাবেন। তাছাড়া বিলীন হয়ে যাওয়া অনেক কিছু এ মিনি মিউজিয়ামে আপনি দেখতে পাবেন।

    পার্কের ভিতর একটি মিনি রেলওয়ে স্থাপন করা হয়েছে এবং মিনি ট্রেনও আছে যার মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ জন মানুষ একসাথে ট্রেন রাইড করতে পারেন। এ ট্রেন রাইড করতে চাইলে আপনি প্রথমে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। পার্কের ভিতরের পুকুরে নৌকা রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে প্রায় ৫টি নৌকা আছে। প্রতিটি নৌকাতে ৪/৫ জন রাইড করতে পারেন। নৌকা রাইডেও ট্রেন রাইডের মত আপনাকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

    পার্কের ভিতরে নাগর দোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করতে আপনাকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের প্রতিচ্ছবি ছোট আকারে তৈরি করা হয়েছে একটি ছোট্ট ভবন। যার মাধ্যমে এ পার্কের সৌন্দর্য্য আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃত্রিমভাবে একটি ঝর্না তৈরি করা হয়েছে। ঝর্নাটি পার্কের সৌন্দর্য্য আরোও একগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঝর্নাটি অনেক উপভোগ করে থাকেন।

    পার্কে প্রবেশ টিকিটের মূল্য৫০টাকা, মিউজিয়াম প্রবেশ মূল্য২০টাকা,গাড়ী রাইড ৩০টাকা, ট্রেন রাইড২০ টাকা, নৌকা রাইড২০টাকা,নাগরদোলা২০টাকা,জাতীয় সংসদের স্মৃতি ফ্রি, ঝর্নাও ফ্রি।

    এছাড়াও রয়েছে খাবার হোটেল, শিশুদের বিনোদনের জন্য কিছু রাইড রয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ, শিশুদের রাইডগুলোকে ফ্রি ব্যবহারযোগ্য করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কোন টিকেটের প্রয়োজন হবে না।

    পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে চাইলে এই আমানিপুর পার্ক বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া শিশুদের বিনোদন ও আনন্দের জন্য আমানীপুর পার্ক অনেক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি। বিশেষ করে শিশুদের বিকাশের জন্য মিনি মিউজিয়ামটি অনেক কাজে লাগবে।

  • কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি র সংবাদ সম্মেলন 

    কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি র সংবাদ সম্মেলন 

     

    জেলা প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিএনপির আমাদের কমিটি ছাড়া অন্য কোনো কমিটি নেই। একটি পক্ষ দাবি করে আসছে তারা সভাপতি-সম্পাদক। অথচ ওই কমিটি ভেঙে জেলা বিএনপির সভাপতি ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদেরকে সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

    অন্যারা যে, উপজেলা কমিটি হিসেবে দাবি করছে তাদের কোনো অনুমোদন নেই বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু। রবিবার (২০ অক্টোবর) রাতে কুলাউড়া পৌরসভার হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    শকু বলেন, আমরা হিংসাত্মক কাজ করতে চাই না। কুলাউড়ায় এখন পর্যন্ত বিএনপির কেউ কারও বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি। আওয়ামী লীগরাই অন্য আওয়ামীদের উপর মামলা দিয়ে বিএনপির বদনাম করছে। তবে যারা আসলেই দোষী ও চাঁদাবাজ তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।

     

    দেশের মানুষ বিগত ১৭ বছর থেকে ভোট দিতে পারে নাই উল্লেখ করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অতি শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে ভোট বঞ্চিত মানুষদের তার ভোটাধিকারের সুযোগ করে দেওয়ার আহবান জানান।

     

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হক বকুল, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির মুক্তার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তানজীল হাসান খাঁন, বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারেক আহমেদ মধু, জয়চণ্ডী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সোয়েব আহমেদ, কুলাউড়া পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুল ইসলাম আতিক, কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম মাজু, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান প্রমুখ।

  • বড়লেখায় চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে নিসচার সড়ক নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালা 

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

     

    জাতীয় সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখার আয়োজনে ১৯তম কার্যদিবসে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে ও নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে করণীয় শীর্ষক সচেতনতা মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হউক সবার” এ প্রতিপাদ্যে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৭ টায় উপজেলার দক্ষিণভাগ নিউ সমনবাগ চা বাগানের অফিসে নিসচা বড়লেখা শাখার সহ-সভাপতি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার খালেদ আহমদের পরিচালনায় বিভিন্ন পর্যায়ের চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে তাদের করনীয় কর্মশালায় স্বগত বক্তব্য দেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. জমির উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ ও কার্যকরী সদস্য আফজাল হোসেন রুমেল।

    আরোও বক্তব্য দেন নিউ সমনবাগ চা বাগানের কর্মকর্তা গংগেশ রঞ্জন দেব, সুবাস চন্দ্র দাস, কৃপাময় দাস, বিমল চন্দ্র দে, দিপক কূর্মী, পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কালীপ্রসাদ ভর, পঞ্চায়েত কমিটির সাবেক সভাপতি নারায়ণ কালোয়ার, চা শ্রমিক নেতা রাঙ্গা চরণ সাঁওতাল ও রাসবিহারী রবিদাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিসচার দুর্ঘটনা অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস, কার্যকরী সদস্য অজিত রবিদাস ও শাহাব উদ্দিনসহ অর্ধশত চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

    নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে চা-শ্রমিকদের করণীয় সম্পর্কে নিসচা বড়লেখা শাখার সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মার্জানুল ইসলাম বলেন, চা-শ্রমিকরা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণভাবে এক চা-বাগান থেকে অন্য চা-বাগানে যাতায়াত করেন। খোলা ট্রাক ও ট্রাক্টরে গাদাগাদি করে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দূরা-দূরান্তে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলেন আবার দেখা যায় চাপাতা বোঝাই গাড়িতে শ্রমিকরাও ঝুকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করেন এই অবস্থায় ঘটে যেতে পারে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই চা-শ্রমিকদের জন্য তারা টেকসই বাস-মিনিবাসের দাবি জানান। তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে চা-বাগানের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অতি শীঘ্রই তারা গরুত্ব সহকারে বিষয়টিকে বিবেচনা করবেন।

    চা-বাগান কর্মকর্তারা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা শাখার কার্যক্রমের প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে মহৎ উদ্দেশ্যর পাশে থেকে একাত্বতা পোষন করে সড়ক দুর্ঘটনারোধে আন্তরিকভাবে ব্যাপক ভুমিকা রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।

  • বড়লেখায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

    বড়লেখায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

     

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

     

    শনিবার(১৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওলামা মাশায়েখ পরিষদ বড়লেখা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান।

    প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় জামাতের নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

    উলামা মাশায়েখ পরিষদ বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা খালেদ আহমদ ভানুগাছির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, ওলামা মাশায়েখ পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল হক, বড়লেখা উপজেলা আমীর এমাদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের উপজেলা সভাপতি মাওলানা কাজি এনামুল হক প্রমূখ।

  • বড়লেখায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

    বড়লেখায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

    উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে, এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করার বহুমুখী উদ্যোগ নিলেও দেশের কোন উপজেলা এখনও শতভাগ ডিজিটালাইজড হয় নি। তবে উপজেলার শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়েব ও সফটওয়্যার ব্যাইজড হওয়ায় এবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা দেশের প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা নগরী হিসাবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা প্রধানদের সহযোগীতায় এবং দেশের অন্যতম সফট্ওয়্যার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি প্রা. লি. এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষকরা এ তথ্য জানান। সেমিনারে উপজেলার অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শতাধিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনাম উদ্দিন সভাপতিত্বে এবং পাকশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি লি. এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, কানাইঘাট সরকারি কলেজের প্রভাষক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও লেখক মো. ইয়াহইয়া।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিচালক ডা: রত্নদ্বীপ দাস, শাহবাজপুর স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ আব্দুল বাছিত, গাংকুল পঞ্জগ্রাম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফজলুল হাসান মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ইটাউরি মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ খান, উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দাশের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস, রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক ইকবাল আহমদ, কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অধীর চন্দ্র বিশ্বাস, ফকির বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর জাহান চৌধুরী, মুড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান রশিদ আহমদ খান, কাঠালতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুফর রহমান, শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কাওছার আহমদ, কানসাই হাকালুকি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদা বেগম, দক্ষিন ভাগ এন সি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসুক আহমদ, কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস, গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ হায়দার, নারীশিক্ষা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক, ফকির বাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম আলী, পয়লোয়ানবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদ উদ্দিন, মাইজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন, কলাজুরা হাজি আপ্তাব আলীউচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল হক, বড়লেখা জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারেন্ট মোঃ নিজাম উদ্দিন ও হলিচাইল্ড স্কুলে অধ্যক্ষ শিমুল চৌধুরী প্রমুখ।

    জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনাম উদ্দিন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজেশন এখন সময়ের দাবী। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে আমরা সেখানে পিছিয়ে থাকতে পারি না। বড়লেখা উপজেলার শতভাগ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হওয়ায় তিনি উচ্ছাস্বিত হয়ে বলেন, আমাদের উপজেলাকে মডেল ধরে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজড হবে এবং গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে দেশ ধীরে ধীরে স্বনির্ভর ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।

    ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে উল্লেখ করে জেলা আইসিটি এ্যাম্বাসেডর ও পাকশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নে ডিজিটালাইলেশনের বিকল্প নেই। কেননা এতে কাজের গতি বাড়ে ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা হয় সুশৃঙ্খল, নিভুল ও গতিময়। তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষক প্রযুক্তি উদ্যোক্তার হাত ধরে অত্যন্ত কম মূল্যে এবং নির্ভরশীল সেবা পাওয়ায় উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন বর্ণমালা সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

    প্রসঙ্গত, এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি প্রা. লি. এর দেশের অন্যতম সফট্ওয়্যার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে সবধরনের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা দিয়ে আসছে ৮ বছর থেকে। বিশেষত কোম্পানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্যাইজড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বর্ণমালা এখন সিলেট ডিভিশনসহ সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়। বর্ণমালা ওয়েব ব্যাইজড সফট্ওয়্যার/ডায়নামিক ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন, যা শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনানুযায়ী তৈরি, প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজ, নিখুত ও ডিজিটালাইজড করে এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। বর্ণমালা অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম যেমন পরীক্ষা ও ফলাফল ব্যবস্থপনা, শিক্ষার্থীর ভর্তি, আর্থিক ব্যবস্থপনাসহ সকল ধরনের কাজ অত্যন্ত নিখুত ও নির্ভুলভাবে করা যায়। প্রায় চার শতাধিক প্রতিষ্ঠানের এখন বর্ণমালা সফটওয়্যার একটিভ রয়েছে। স্বল্প খরচে ও মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।