Tag: কুলাউড়া

  • বড়লেখার রাসেল পেলেন সোশ্যাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড

    বড়লেখার রাসেল পেলেন সোশ্যাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

    শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসাবে সোশ্যাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিষদের সভাপতি সাইফুল আলম রাসেল।

     

    শনিবার(০৯ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে দেশের সর্ববৃহৎ যুব কনভেনশন  আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

     

    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাইফুল আলম রাসেলের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

     

    ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মনিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি  জোনায়েদ সাকি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জামিল আহমদ, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা  মেহেরুন্নেসা হক, ইয়ুথ ফোরামের সিইও তানজিনা নওসিন, চেয়ার সাইফ ইউ কাজল, সোহান হাফিজ মেহেদি হাসান মিঠু, শফিউল কবির, জেরিন আনজুম ও আয়ান আহমেদ প্রমুখ।

     

    এদিকে সোশ্যাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় সাইফুল আলম রাসেলকে বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে  অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

     

    উল্লেখ্য, সাইফুল আলম রাসেল পর্তুগাল প্রবাসী হলেও বর্তমানে তিনি দেশে অবস্থান করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি  জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। রাসেল বড়লেখা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মুড়িরগুল (উপজেলা চত্বর) এলাকার বাসিন্দা অবসরপাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম এবং বেগম চাঁদ উসমানী দম্পতির বড় ছেলে। পারিবারিক জীবনে রাসেল এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী সেলিনা পারভীন ইতিও একজন সরকারি চাকরিজীবী।

  • কুলাউড়ায় জমিয়তের এমপি পদপ্রার্থীতার প্রস্তাবনা

    কুলাউড়ায় জমিয়তের এমপি পদপ্রার্থীতার প্রস্তাবনা

     

     

    জেলা প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ২ নং ভুকশিমইল ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কাউন্সিল ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আজির উদ্দীনকে আগামী সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রস্তাবনা পেশ করেন।

    গতকাল ৮ নভেম্বর, ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইউনিয়ন জমিয়তের আহবায়ক মাও. আলাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মাও. আব্দুল আজিজ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাও. আজির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাও. নেজাম উদ্দীন, উপদেষ্টা মাও. আহমদ হোসাইন, মাও. আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাও. মাহদী হাসান, মাও. সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুল ইসলাম, হাজীপুর ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, প্রবীণ আলেম জমিয়ত নেতা মাওলানা মঈনুদ্দীন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মামুন, যুবনেতা মাওলানা আব্দুল বাছিত, উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুল ইসলাম সাঈমী, সহ সভাপতি ফুজায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নছর খালেদ প্রমুখ।

    সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আজির উদ্দীন বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম রাজনীতি করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। জনগণের দুঃখ কষ্ট লাঘবের জন্য। এজন্য আলেমদের সাথে সাধারণ জনতাকে জমিয়তের রাজনীতি করতে তিনি উদাত্ত আহবান জানান।

    বিশেষ বক্তার বক্তব্যে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নেজাম উদ্দীন বলেন, এই কুলাউড়ার রাজনীতিতে জমিয়ত নতুন দল নয়, বরং এর আগেও এই কুলাউড়ায় জমিয়ত নেতা মাওলানা বছির উদ্দীন শায়খে গৌড়করনী জমিয়তের প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে নির্বাচন করেছেন।

    উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহদী হাসান বক্তব্যে, কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আজির উদ্দীনকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে চাওয়ার প্রস্তাবনা পেশ করেন। তিনি বলেন, জমিয়ত এককভাবে জমিয়তের একক প্রার্থী হিসাবে মাওলানা আজির উদ্দীন নির্বাচন করবেন। জোটিও ভাবে নির্বাচনে জমিয়ত অংশগ্রহণ করলে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার-২ আসনে জমিয়তের প্রার্থী আনতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আমরা জোর দাবী জানাবো। তবে এই প্রস্তাবনা কেন্দ্রীয় মনোনয়নের মাধ্যমেই চূড়ান্ত হবে বলে তিনি জানান।

  • বড়লেখায় বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

    বড়লেখায় বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

     

    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়।

    এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস শহিদ খানের সঞ্চালনায় র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু।

    অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলী, ময়নুল হক, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খছরু,পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বড়লেখা প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আমিনা বেগম ডলি প্রমুখ।

  • বড়লেখায় ব্যবসায়ী সমিতির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত 

    বড়লেখায় ব্যবসায়ী সমিতির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত 

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার)‌ প্রতিনিধি।

     

     

    মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এক জরুরী সভা পৌর মার্কেটের ২য় তলায় অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

     

    গতকাল ৪ঠা নভেম্বর রাত ৯টায় সমিতির আহবায়ক হাজী আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও জুনাইদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বাজারে চুরি প্রতিরোধে নৈশ প্রহরী বৃদ্ধি, রাত ১২টার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    সভায় সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে ট্রেড লাইসেন্সের সাথে নতুন করে দোকানের সাইনবোর্ড এর উপর আরোপিত টেক্স আদায় না করতে দাবির প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সমিতির নেতৃবৃন্দ সাইনবোর্ড এর টেক্স বাতিলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় পৌর প্রশাসক সহ কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

    উক্ত সভায় ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শৈলেন্দ্র দেবনাথ, হারুনুর রশীদ, সিনিয়র সাংবাদিক এম.এম আতিকুর রহমান, মীর শামীমুর রহমান, প্রভাষক তারেক আহমদ, শামীম আহমদ, হাজী রুয়েল আহমদ, ফরিদ আহমদ, আব্দুল হক, আব্দুল হাসিব, মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, দেলোয়ার হোসেন বাদশা, জাকারিয়া আহমদ প্রমুখ। সভায় সকল ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দ্রুত নবায়ন করে পৌরসভার ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

  • বড়লেখায় জামায়াতের মত বিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বড়লেখায় জামায়াতের মত বিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা(মৌলভীবাজার)

    মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ইসলামী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় ইয়েলো ফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুল মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বৃহত্তর গাজিটেকা শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    এতে বৃহত্তর গাজিটেকা গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি মখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইক্বরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল সামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তরের শেরে বাংলা নগর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বড়লেখা উপজেলা আমীর এমাদুল ইসলাম, নায়েবে আমীর ফয়সল আহমদ, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সুমন, জামায়াতে ইসলামী বড়লেখা পৌরসভার সভাপতি জুবায়ের আহমেদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির বড়লেখা সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরীর ২২নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আবু হাসান, বৃহত্তর গাজিটেকা যুব সমাজের সভাপতি ও বড়লেখা উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির বড়লেখা শহর শাখা সভাপতি হুমায়ন কবির সাজু, বড়লেখা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম প্রমুখ।

    এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজসেবক এমাদ আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী মামুন হুসাইন। ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেছেন বড়লেখা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ ও দিশারী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট।

  • বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন প্রবাসী 

    বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন প্রবাসী 

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার)

     

    মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী যুবক মারা গেলেন। রোববার (০৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মোটরসাইকেলে করে দুধ বিক্রয় করার জন্য পৌরশহরস্থ হাজীগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পথে বড়লেখা- বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাখিয়ালা চৌমুহনী এলাকায় রাস্তার আইল্যান্ডের সাথে ধাক্কায় মারা যান এই প্রবাসী যুবক ।

     

    নিহত ব্যক্তি উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আপ্তাব উদ্দিনের ২য় ছেলে জিয়াবুর রহমান (৩৬)।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিয়াবুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে  বাড়ি হতে দুধ বিক্রয় করতে বাজারে যাওয়ার পথে  পৌরশহরের পাখিয়ালা চৌমুহনী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার আইল্যান্ডের সাথে ধাক্কা লেগে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান।স্থানীয়রা প্রচন্ড রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জিয়াবুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে (কাতার) ছিলেন।গত ২ মাস পূর্বে তিনি ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসেন।

     

    বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম সকাল ১১ টায় দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার আইল্যান্ডের সাথে  ধাক্কায় প্রবাস থেকে আসা এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • শিক্ষক-শিক্ষার্থী: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

    শিক্ষক-শিক্ষার্থী: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

     

    লেখক : দীপক রঞ্জন দাস।

    “শিশু হলো উদ্যানের চারাগাছ। শিক্ষক হলেন তার মালী। শিক্ষকের কাজ হলো সযত্নে চারাগাছটিকে বড় করে তোলা। শিশুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা সৎ ও সামাজিক গুণাবলীর বিকাশ সাধন করা শিক্ষকের কর্তব্য।

    (ফ্রেডরিক ফ্রয়েবেল) চিনের প্রাচীন নেতা কনফুসিয়াস বলেছেন—“ শিক্ষক হবেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উৎস। তিনি একজন আর্দশ শাসক”। শিক্ষা আলোকিত সমাজ বিনির্মানের হাতিয়ার। শিক্ষক হলো সুনিপুণ কারিগর। শিক্ষা ছাড়া আলোকিত মানুষ সৃষ্টি কোনভাবেই সম্ভব নয়।
    একজন শিক্ষকের কিছু কাজ ও দায়বদ্ধতা আছে। এ কাজ ও দায়বদ্ধতা সহকর্মীদের কাছে, সমাজের কাছে, দেশ ও জাতির কাছে, আগামী প্রজন্মের কাছে। একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। শিক্ষক শুধু সফল নয়, একজন ভালো মানুষ হতে শেখান। মানবিক বিপযর্য় বা বৈশ্বিক, অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিমমার্নে শিক্ষকরা অবিরাম ভূমিকা রেখে চলেছেন। শিক্ষক হচ্ছেন সভ্যতার ধারক—বাহক। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানই করেন না, তিনি মানুষ গড়ার কারিগরও।

    প্রেক্ষিত: বাংলাদেশ
    সমাজ ও ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা এই তিনটির সাথে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। শিক্ষকতা হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীন পেশাগুলোর একটি। তবে বর্তমান সময়ে কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ দ্বারা এই পেশাটি কলুষিত হচ্ছে। শিক্ষকদের মূল্যবোধ নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। কিছু শিক্ষক বেশী আলোচিত হচ্ছেন তাদের কর্মকান্ডের জন্য। শিক্ষক সমাজ আজ প্রাইভেট—কোচিং ব্যবসাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণীর শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীরা যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছে। অযোগ্য ব্যক্তিরা রাজনৈতিক পরিচয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাচ্ছেন। সৎ, ন্যায় পরায়ন ও আলোকিত ব্যাক্তিরা শিক্ষক হিসাবে মর্যাদা পাচ্ছেন না।

    শিক্ষকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে দলাদলি, গ্রুপিং—লবিং, কোন্দল, অতিমাত্রায় দলীয় রাজনীতির চর্চা ও আনুগত্য। পদ পাওয়ার লোভে শিক্ষক সমাজ আজ ছুটছেন দলীয় নেতার পিছনে। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস শিক্ষা ব্যবস্থাকে করছে ধ্বংস। কয়েকদিন আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষককে গেপ্তার করা হয়েছেন। যাঁরা জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার কথা, সেই শিক্ষকরা যদি এইরকম নিকৃষ্ট কাজের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে এর চেয়ে হতাশাব্যঞ্জক আর কী হতে পারে? কয়েকজনের জন্য এই কলংকটা পুরো শিক্ষক সমাজের উপর পড়েছে। আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশার সাথে নিজেদেরকে জড়াতে রাজি নন। সবার ইচ্ছা বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার। আর শিক্ষকেরা নিজেদেরকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবসার সাথে, সম্পৃক্ত করেছেন এবং টাকা উপার্জনের বিকল্প পন্থা বের করছেন।

    সাধারনভাবেই বলা যায়, আদর্শ শিক্ষক তিনিই, যিনি তার দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকবেন, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি স্নেহ ও দায়িত্বশীল হবেন, পড়ানোর পূর্বে পাঠ সম্পর্কে অবগত হবেন, পাঠ্যের বাহিরেও বিভিন্ন বিষয়ে যার পড়াশোনা থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ শিক্ষকের কাছে না পড়ানোটাই ফ্যাশন, ক্লাসে দেরি করে উপস্থিত হওয়াটা রীতি, ছাত্রছাত্রীদের থেকে দূরে থাকাটাই সার্থকতা।

    শিক্ষকদের করণীয়: সমাজের প্রত্যাশা মোতাবেক একজন শিক্ষক হবেন জ্ঞানতাপস, মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত, ব্যক্তিত্ববান, চৌকস, শ্রেণীকক্ষে আগ্রহী পাঠদানকারী ও জ্ঞানবিতরণে আন্তরিক। তিনি সুবিচারক, সুপরীক্ষক, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রক, যুক্তিবাদী, গবেষক এবং উদ্ভাবকও। তিনি সঠিক পথের দিশারী, পথ প্রদর্শক। অবশ্যই সৎ ও ধার্মিক। শিক্ষক সহজ হবেন, সরল হবেন, নির্মল হবেন, হবেন অকুতোভয় সত্যবাদী। সুপ্রতিভ ব্যক্তিত্ববান, সমাজ হিতৈষী, পরোপকারী এবং আধুনিকতা মনস্ক বিচক্ষন সমাজ সংস্কারক। শিক্ষক হবেন চারিত্রিক দৃঢ়তাসম্পন্ন, পরিশ্রমী, নিরপেক্ষ, হাস্যেজ্জ্বল, সুপরামর্শক ও প্রাণবন্ত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীকে পাঠ বুঝিয়ে দিলেই শিক্ষকের দায়িত্ব শেষ নয়, পাঠ্য বিষয়ের বাইরে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় মূল্যেবোধের আলোকে শিক্ষার্থীর আচরন নিয়ন্ত্রন করা শিক্ষকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ অর্থে বিদ্যালয়কে ‘সমাজের ক্ষুদ্র সংস্করণ বলা হয়’।

    একজন শিক্ষক শুধুই শিক্ষক নন তিনি একজন প্রশিক্ষকও বটে। শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কোন বিষয় বুঝিয়ে দেন, বা শিখিয়ে দেন তখন তিনি শিক্ষক; যখন সৃজনশীলতা, সততা, দক্ষতা, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, শিষ্টাচার, দেশপ্রেম নেতৃত্ব, কষ্ট সহিষ্ণুতা, গণতন্ত্রীমনষ্কতা ও পরমতসহিষœুতা ইত্যাদি সহ শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমের বিষয়গ–লো নজরদারিতে রাখেন ও নিয়ন্ত্রন করেন তখন ঐ শিক্ষকই একজন প্রশিক্ষক। এ জন্য বোধ হয় আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাাহাম লিংকন তার পুত্রের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখেছিলেন— ‘তাকে শেখাবেন পাচিঁট ডলার কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে একটি উপার্জিত ডলার অধিক মূল্যবান।

    আমার পুত্রের প্রতি সদয় আচরণ করবেন কিন্তু সোহাগ করবেন না, কেননা আগুনে পুড়ে ইস্পাত খাঁটিঁ হয়। আমার সন্তানের যেন অধের্য হওয়ার সাহস না থাকে’। শিক্ষক মূল্যবোধ বিনিমার্নের আদর্শ কারিগর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূল্যবোধ চর্চার অনন্য কারখানা। একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে মূল্যবোধে উজ্জীবিত করে সমাজকে করতে পারে আলোকিত ও উদ্ভাসিত। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজের মধ্যদিয়ে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীকে মূল্যবোধের পরীক্ষা দিয়ে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় চলছে। পাশ্চাতের স্টাইলে গড়ে উঠেছে সমাজ ব্যবস্থা। নগ্নতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, মাদক যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। মূল্যবোধের চরম সংকট মুহূর্তে দেশের শিক্ষক সমাজকে শ্রেণীকক্ষসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল্যবোধ বিকাশের জন্য সর্বাত্বক ভূমিকা রাখতে হবে। একমাত্র আদর্শ শিক্ষকই পারেন শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে নৈতিকতার বিকাশ ঘটাতে। শিক্ষাই আলো, শিক্ষা ছাড়া সকল পথ বা মত অন্ধকার। নৈতিক শিক্ষাই জাতির একমাত্র পাথেয়। জ্ঞানতাপস ভাষা বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন— ‘নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষক ও শিক্ষাই পারে একজন মানুষকে সঠিক ও সুন্দর পথ দেখাতে। এজন্যই প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে প্রকৃত খোদাভীরু, আদর্শ ও নৈতিকতাধারা শিক্ষকের বিকল্প নেই’। শিক্ষক শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক দুঃখ, ব্যথা, প্রয়োজন ও অসহায় অবস্থার কথা আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করবেন এবং এইগুলোর উৎকর্ষ সাধনে ব্রতী হবেন এটাই স্বাভাবিক। দার্শনিক প্লেটোর মতে “শিক্ষক হবেন ভাববাদী চিন্তার প্রত্যক্ষ ফসল, শিক্ষার মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করবেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হলো শিক্ষকের দায়িত্ব”।

    একজন শিক্ষককে মনেপ্রাণে শিক্ষক হতে হবে। যিনি তাঁর পেশাকে ভালোবাসবেন তিনি হবেন সৎ, নিষ্ঠাবান, ন্যায়পরায়ন, সংবেদনশীল ও মানবিক। তাঁকে তার দায়িত্বের কর্তব্যের প্রতি হতে হবে আন্তরিক। শিক্ষক হবেন শিক্ষার্থীর পরম বন্ধু, উপযুক্ত পথ প্রদর্শক এবং বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ দার্শনিক। কোন কঠিন বিষয়কে সহজভাবে ছাত্রদের সামনে উপস্থাপন করা শিক্ষকের একটি বড় গুন। শিক্ষার্থীর উপর সাধ্যের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করা, শিশুকে তার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী পাঠদান করানোসহ নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রীদের সবার সাথে সমান আচরণ করতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষকই জাতির মেধা গড়ার কারিগর। তাই তাকে হতে হবে আট—দশটি মানুষের তুলনায় সেরা। একজন আদর্শ শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য হবে— ছাত্র/ছাত্রীদের যেকোন সমস্যার ভালভাবে বুঝানোর ক্ষমতা বা দক্ষতা। সব ধরনরে পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া। ছাত্র—ছাত্রীদের সত্যের পথে চালিত করা। ছাত্র—ছাত্রীদের সাথে আত্মিক বন্ধন তৈরি করা। আনন্দের সাথে পড়ানো, যাতে করে ছাত্র—ছাত্রীরা পড়ায় মনোযোগী হয়। শিক্ষাক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা। উপস্থাপনের দক্ষতা। পরিবর্তনশীল মনোভাব। মিষ্টভাষী ও সদালাপী হওয়া। কথায় ও কাজে, পোশাক ও রুচিতে. পেশায় ও কর্তব্য পালনে শিক্ষক হবেন আদর্শবান, ধর্মপ্রাণ, সত্যপ্রিয় অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বন্যায় বড়লেখার দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ২৪ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই-খাতা কিনে দিয়ে তাদের পাঠদান করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস। এছাড়া করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে তিনি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

    গত বছরের ১৫ জুলাই দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাসের মানবিক এসব কাজ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ঐ বছরের ১৬ মার্চ আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের আয়োজনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলেব্রিটি হলে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের মধ্যদিয়ে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাসকে ‘প্রিয় শিক্ষক’ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধন দীপক রঞ্জন দাস জানান, তার এই অর্জনের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

  • বড়লেখায় ওসি’র সাথে ব্যবসায়ী সমিতির মতবিনিময় 

    বড়লেখায় ওসি’র সাথে ব্যবসায়ী সমিতির মতবিনিময় 

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম এর সাথে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি বড়লেখা’র নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় করেন।

     

    রবিবার(২৭ অক্টোবর) ওসি সাহেবের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক হাজী আব্দুল হান্নান, কমিটির উপদেষ্টা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবিদুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য এম. এম আতিকুর রহমান, আব্দুর রহমান মানিক, মীর শামীমুর রহমান, জুনেদ আহমদ, আবুল হোসেন, তারেক মাহমুদ নাজিম, আব্দুল হাসিব, শামীম আহমদ, আলা উদ্দিন আলাই প্রমুখ।

     

    মতবিনিময় সভায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও উন্নয়ন দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, শীঘ্রই জনবল বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ সকলের সহযোগিতা পেলে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে মাদক, চোরা কারবারি, ইভটিজিং, অসামাজিক কার্যকলাপ, সামাজিক নিরাপত্তা সহ আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

    এসময় সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সহায়তা কামনা করে প্রশাসনের নীতিগত কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার পক্ষে সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • বড়লেখায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

    বড়লেখায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

    মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে এবারের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অর্ধশতাধিক কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

     

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের কৃষি ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপক রঞ্জন দাস।

    দাসেরবাজারে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঈদগাহ বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান রঞ্জন দে, দাসেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পটল চন্দ্র দাস, দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য ফয়সল আহমদ, দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রনঞ্জিত কুমার দাস, শিক্ষক সুফল বিশ্বাস, দিপক চন্দ্র দাস, দাসেরবাজার আদর্শ কলেজের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আমানুর রহমান আমান, দাসেরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মজির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামাদ হোসেন, দাসেরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মারুফ আহমদ, সহসভাপতি শাহিন আহমদ, দাসেরবাজার ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জউর উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ফারহান আহমদ, আব্দুল বাসিত, রাফি আহমদ, রাহিম আহমদ, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

    শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ইকবাল হোসেন। গীতা পাঠ করেন দিপ্ত দাস। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংবর্ধিত শিক্ষার্থী সজিব দাস সৌমিক ও আবু বক্কর সিদ্দিক।

    এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা জাহিদুর রহমান জাহিদ।

  • বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশন ইন পর্তুগালের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

    বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশন ইন পর্তুগালের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

     

    জেলা প্রতিনিধি।

    খেলাধুলা শরীর ও মনকে করে জাগ্রত। আর প্রবাসের মাঝে কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে খেলাধুলার চর্চা চালিয়ে যাওয়া অনেকটা কষ্টের তারপরও থেমে নেই পর্তুগালের প্রবাসী ক্রীড়াপ্রেমীরা।
    পর্তুগালের লিসবনে ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে পর্তুগালের প্রবাসী এবং নতুন প্রজন্মের কাছে ক্রিকেট খেলাকে আরো জনপ্রিয় করে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তুগালের দুই বছর মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    গত ২৫ অক্টোবর এই কমিটির অনুমোদন করা হয়। লিসবনের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব জাকির হোসাইনকে সভাপতি, কাজী আব্দুস সাত্তারকে সাধারণ সম্পাদক ও নোমান হোসাইনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

    কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি তানভীর আলম জনি, ছাদেক চৌধুরী, হেলাল খাঁন, আব্দুল মতিন চৌধুরী লাভলু ও আল-আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, ফারুক মুস্তাফিজ, কামরুল ফয়ছল ও রিয়াদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ আহমেদ, শাহজাহান ও মুন্না, কোষাধ্যক্ষ রনি শফি, প্রচার সম্পাদক শুভ্র দেব, সহ প্রচার সম্পাদক জামিল, দপ্তর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রবিন, ক্রীড়া সম্পাদক নাজমুল ইসলাম।

    সদস্যরা হলেন, রাতুল, লিক্সন আরফিন, ফয়ছল, সুমন, ইমরান, নাঈম, সাইফুল হোদা, জীবন, সোহান, মামুন, আকাশ, মুনির, রাফি, মোস্তফা, রাজু,মুস্তাফিজ, কাইয়ুম, আশিক হোসাইন, সাব্বির আহমেদ, কাওছার আহমদ।

    কমিটির উপদেষ্ঠারা হলেন, আবু সাঈদ, মো. রাসেল আহমেদ, এমদাদুর রহমান রায়হান, আব্দুল ওয়াহিদ পারভেজ।

    সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান হোসাইন বলেন, পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে বাংলাদেশি তরুণদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ও ভালো ক্রিকেটার তৈরির লক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল কাজ করবে। তাছাড়া খেলাধুলা শরীর ও মনের জন্য উপকারী।

    প্রবাসে বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে এর মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি হবে। পর্তুগালে ক্রিকেট অনুরাগীদের একত্রিত করার জন্যই আমাদেরএই প্লাটফর্ম। ক্রিকেট ও খেলাধুলার সাথে যুক্ত সকলকে একত্রিত করার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। সংগঠনটি ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি উন্নয়নে এবং পর্তুগালের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও জড়িত রয়েছে।