Tag: কুলাউড়া

  • কুলাউড়ায় বৈষম্যবিরোধী মামলায় আসামি বিদেশ থেকে উসকানি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা : রিসাত

    জেলা প্রতিনিধি।

    কুলাউড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ও গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ২০২৪) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়ার পর দেশব্যাপী আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। আর এসব মামলার বাদী আন্দোলনে নিহতের পরিবার কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা ও বিদেশ থেকে উসকানি দেওয়া ছাত্রলীগ সহ ৮৩ জন নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে ২৪ আগস্ট পারভেজ মিয়া নামের এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। বাদী পারভেজ উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের কুদ্দুস মিয়া ওরফে কালা মিয়ার ছেলে।পারভেজ মিয়া নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে থাকার কথা মামলায় উল্লেখ করেন।মামলায় আসামিরা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু,সহ-সভাপতি এ.কে.এম সফি আহমদ সলমান, শফিউল আলম সফি ও অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম বদর, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক ফজলু, কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ গিলমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান রিসাত,ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন, হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্স, কুলাউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান ও কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৩ জন নেতাকর্মী।এরআগে পারভেজ মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ১৮ জুলাই সকাল ১১টার পর কুলাউড়া পৌর শহরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে স্লোগান দিলে মামলার প্রধান ১,২,৫,৭,৮,৯ নং আসামি সহ অন্যান্যদের নির্দেশে শহরের মিলিপ্লাজার সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল সাদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ করে সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর করে। জানা যায় গত১৫ ই আগস্ট ২৩) বিএনপির এক কর্মী হত্যার সাথে সম্পৃক্ত প্রধান আসামিদের মধ্যে অন্যতম আবিদুর রহমান রিসাত, বিদেশে থেকে উসকানি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার নির্দেশ দাতা।

  • কুলাউড়ায় ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্মরণ সভা শেষে ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১

    জেলা (প্রতিনিধি) মৌলভীবাজার।
    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রলীগ ও বিএনপি’র সংঘর্ষে নিহত ১ আহত অর্ধশতাধিক, ১৫ই আগস্ট -২০২৩) কুলাউড়া ডাক বাংলা মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান শেষে,কুলাউড়া স্টেশন চৌমহনায় বিএনপির অফিসের সামনে বিএনপি কিছু নেতা কর্মীর জড়ো হয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এ ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অর্ধশতাধিক আহত ও ঘটনাস্থলে বিএনপি’র এক কর্মী নিহত হয়।নিহত শাহানের ভাই আবুল ফাত্তাহ,পিতা মৃত আঃ হামিদ, গ্রাম কিয়াতলা কাদিপুর,বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন,হত্যা মামলায় আসামি হলেন যারা (১) কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান রিসাত ,(২)সহ-সাধারণ সম্পাদক আলম চৌধুরী ,(৩) কাদিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিবন রহমান,(৪)পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মিয়া,(৫) উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ রিপন, সুজন আহমদ, রিপন মিয়া , সহ আরো অজ্ঞাত ২০থেকে ৩০ জন আসামি করে  থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ।শাহান হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস ছালেক জানান হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে, এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা বর্তমান ক্ষমতাশালী আওয়ামী ছাত্রলীগের রানিং কমিটির পদ-পদবীতে রয়েছেন তাই তাদেরকে গ্রেফতার করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
  • বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলাম মারা গেছেন

    বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলাম মারা গেছেন

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

    বড়লেখা প্রেসক্লাব সদস্য, দৈনিক সকালের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি ও ইটাউরী হাজী ইউনুস মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মইনুল ইসলাম (৪০) মারা গেছেন।

     

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

     

    শুক্রবার বাদ জুমআ’ বালিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। মরহুম মইনুল ইসলাম উপজেলার জফরপুর গ্রামের আপ্তাব আলী ও রোসনা বেগমের ছেলে।

     

    এদিকে সাংবাদিক ও শিক্ষক মইনুল ইসলামের মৃত্যুতে বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত, সহসভাপতি খলিলুর রহমান, ইকবাল হোসেন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রমিজ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ সুলতান আহমদ খলিল, সদস্য লিটন শরীফ প্রমুখ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

     

    এছাড়াও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের মৃত্যুতে তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নিয়াজ উদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী হাজী ইউনুস মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনাম উদ্দিন।

  • বড়লেখায় কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত 

    বড়লেখায় কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত 

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ‌।

     

    মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আয়োজনে ও নিজস্ব অর্থায়নে ২য় বর্ষের মতো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

     

    শনিবার (২৩ নভেম্বর) পাথারিয়া ছোটলিখা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় উপজেলার ৩৮ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পি.সি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ৯ টি হলরুমে ১৩ জন হল পর্যবেক্ষকের তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

     

    পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বড়লেখা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের পৃষ্টপোষক লন্ডন প্রবাসী সেলিম উদ্দিন মিছবাহ, কানাইঘাট সরকারি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, মোহাম্মদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রভাষক তারেক আহমদ, কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এম.এ শহিদ খান, নিসচার সভাপতি সাংবাদিক তাহমীদ ইশাদ রিপন।

     

    পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তপন চৌধুরী ও সদস্য সচিব মো. আব্দুল হক। এছাড়াও সহযোগী ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য রুয়েল আহমদ, সদস্য সামছুল ইসলাম, শাহিন আহমদ, জয়নাল আবেদিন, এমদাদুল করিম চৌধুরী শিমুল, সাহেদ আহমদ, জাহাঙ্গীর হোসেন সানেল, বদরুল ইসলাম, বিপ্লব পুরকায়স্থ, আব্দুল বাছিত, শুভ পাল, লিপ্টু দত্ত,সরূপ দাস, মিনহাজ উদ্দিন।

     

    উল্লেখ্য যে,২০১৬ সাল থেকে বড়লেখা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে তাছাড়া চলতি বছরে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দেড় লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে সংগঠনটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

  • বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলাম মারা গেছে

    বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলাম মারা গেছে

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

    বড়লেখা প্রেসক্লাব সদস্য, দৈনিক সকালের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি ও ইটাউরী হাজী ইউনুস মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মইনুল ইসলাম (৪০) মারা গেছেন।

     

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

     

    শুক্রবার বাদ জুমআ’ বালিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। মরহুম মইনুল ইসলাম উপজেলার জফরপুর গ্রামের আপ্তাব আলী ও রোসনা বেগমের ছেলে।

     

    এদিকে সাংবাদিক ও শিক্ষক মইনুল ইসলামের মৃত্যুতে বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত, সহসভাপতি খলিলুর রহমান, ইকবাল হোসেন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রমিজ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ সুলতান আহমদ খলিল, সদস্য লিটন শরীফ প্রমুখ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

     

    এছাড়াও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের মৃত্যুতে তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নিয়াজ উদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী হাজী ইউনুস মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনাম উদ্দিন।

  • কুলাউড়া ইসলামী চার দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত 

    কুলাউড়া ইসলামী চার দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত 

     

    জেলা প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উপজেলা নেতৃবৃন্দের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

     

    ১৮ নভেম্বর, সোমবার কুলাউড়া শহরস্থ মদীনাতুল উলূম মাদরাসায় যৌথ সভায় স্থানীয় রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্থানীয় সমস্যার সমাধান এবং বাতিল বিরোধী মতবাদ প্রতিহত করতে ঐক্যমত পোষণ করেন সকল দলের নেতৃবৃন্দ।

     

    যৌথ সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা শাখা সভাপতি মাওলানা ইউনুস আহমদের সভাপতিত্বে প্রস্তাবনা পেশ করেন কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আজির উদ্দীন এবং খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কুতুব।

     

    সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুলাউড়া উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ মতিউর রহমান, খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি আখম শাহীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম, কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহদী হাসান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন কুলাউড়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এমদাদুক হক, খেলাফত মজলিস নেতা নেছার আহমদ, জমিয়ত নেতা মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা আবু নছর খালেদ প্রমুখ।

     

    যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চারদলের সমন্বয়ে “কওমি ইসলামি ঐক্য পরিষদ কুলাউড়া” নামে একটি সমন্বয় সংগঠনের প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। এতে চারদলের চারজন সভাপতিতে আহবায়ক এবং চারজন সাধারণ সম্পাদককে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রাখা হয়। এ ছাড়াও কুলাউড়া উপজেলাধীন সকল কওমি মাদরাসার মুহতামিম অত্র সমন্বয় সংগঠনের উপদেষ্টা ও চারদলের দলীয় উপদেষ্টাদের উপদেষ্টা হিসেবে রাখার সীদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া চারদল থেকে তিনজন করে আহবায়ক কমিটিতে সদস্য করার সীদ্ধান্ত হয়।

  • বড়লেখায় পূবালী ব্যাংক শাখায় ইসলামী কর্ণার এর উদ্বোধন 

    বড়লেখায় পূবালী ব্যাংক শাখায় ইসলামী কর্ণার এর উদ্বোধন 

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

     

    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা পৌর শহরের হাজী মেমোরিয়াল মার্কেটের ২য় তলায় পূবালী ব্যাংক পিএলসি বড়লেখা শাখার ইসলামী কর্ণার এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

     

    বুধবার(২০ নভেম্বর) দুপুরে শাখা ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার মৈত্র এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র অফিসার মো. ইমরুল হাসান এর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিজিএম ও অঞ্চল প্রধান মো. মুশফিকুর রহমান।

     

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এজিএম মো. ছরওয়ার আলম, অপারেশন ম্যানেজার ফয়জুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুন নূর, সাপ্তাহিক বড়লেখা’র সম্পাদক ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতা এম. এম আতিকুর রহমান, শশাঙ্ক কুমার দত্ত, আজিজ মিয়া, মীর শামীমুর রহমান, আলহাজ্ব এখলাস উদ্দিন, শামীম আহমদ প্রমুখ।

     

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের ডিজিএম মো. মুশফিকুর রহমান বলেন পূবালী ব্যাংকের গ্রাহকসেবা বৃদ্ধিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে ব্যাংকের ইসলামী কর্ণার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেবার মান বৃদ্ধি ও সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ সহ সকলের সহযোগিতায় আমরা সাফল্যের সাথে এগিয়ে যেতে চাই।

    আলোচনা সভা শেষে কেক ও ফিতা কেটে ব্যাংকের ইসলামী কর্ণার এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।

     

    উদ্ভোদন শেষে দুআ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা লেইস আহমদ।

  • কুলাউড়া ইসলামী চার দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত 

    কুলাউড়া ইসলামী চার দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত 

    জেলা প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উপজেলা নেতৃবৃন্দের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

     

    ১৮ নভেম্বর, সোমবার কুলাউড়া শহরস্থ মদীনাতুল উলূম মাদরাসায় যৌথ সভায় স্থানীয় রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্থানীয় সমস্যার সমাধান এবং বাতিল বিরোধী মতবাদ প্রতিহত করতে ঐক্যমত পোষণ করেন সকল দলের নেতৃবৃন্দ।

     

    যৌথ সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা শাখা সভাপতি মাওলানা ইউনুস আহমদের সভাপতিত্বে প্রস্তাবনা পেশ করেন কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আজির উদ্দীন এবং খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কুতুব।

     

    সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুলাউড়া উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ মতিউর রহমান, খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি আখম শাহীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম, কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহদী হাসান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন কুলাউড়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস কুলাউড়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এমদাদুক হক, খেলাফত মজলিস নেতা নেছার আহমদ, জমিয়ত নেতা মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা আবু নছর খালেদ প্রমুখ।

     

    যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চারদলের সমন্বয়ে “কওমি ইসলামি ঐক্য পরিষদ কুলাউড়া” নামে একটি সমন্বয় সংগঠনের প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। এতে চারদলের চারজন সভাপতিতে আহবায়ক এবং চারজন সাধারণ সম্পাদককে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রাখা হয়। এ ছাড়াও কুলাউড়া উপজেলাধীন সকল কওমি মাদরাসার মুহতামিম অত্র সমন্বয় সংগঠনের উপদেষ্টা ও চারদলের দলীয় উপদেষ্টাদের উপদেষ্টা হিসেবে রাখার সীদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া চারদল থেকে তিনজন করে আহবায়ক কমিটিতে সদস্য করার সীদ্ধান্ত হয়।

  • বড়লেখায় খাদিমুল কোরআন পরিষদের ৩ দিনব্যাপী মহাসম্মেলন শুরু 

    বড়লেখায় খাদিমুল কোরআন পরিষদের ৩ দিনব্যাপী মহাসম্মেলন শুরু 

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার আগর আতরের রাজধানী খ্যাত সুজানগর খাদিমুল কোরআন পরিষদের ২৪তম তাফসীরুল কোরআন মহাসম্মেলন শুরু হয়েছে।

     

    শনি বার (১৬ নভেম্বর) থেকে সুজানগর সিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১ম দিনের মহাসম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে তাফসীর পেশ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতসম্পন্ন বক্তা আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফতী জসিম উদ্দিন রহমানী।

     

     

    খাদিমুল কোরআন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাওলানা মাহবুব হোসাইন শিবলীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান হাদীর পরিচালনায় এতে তাফসীর পেশ করেন আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতী মেরাজুল হক মাজহারী, মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজিমগন্জ টাইটেল মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল কাদির, পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল কাদির সুজানগরী, সেক্রেটারি রহিম বক্ত মুসা,সাংবাদিক এম. এম আতিকুর রহমান,পরিষদের অন্যতম সদস্য আদনান প্রমুখ।

     

     

    পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, ৩দিন ব্যাপী মাহফিলের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসীরে কোরআনরা ইতোমধ্যে আসছেন। শেষ পর্যন্ত তাফসীরুল কোরআন মহাসম্মেলন সফল করতে সকলের উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করেন।

  • বড়লেখার থেকে নিখোঁজ আফ্রিদিকে ঢাকা থেকে উদ্ধার

    বড়লেখার থেকে নিখোঁজ আফ্রিদিকে ঢাকা থেকে উদ্ধার

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল গ্রামের মো. সাঈদ আফ্রিদি (১৯)-কে ঢাকায় পাওয়া গেছে।

    সোমবার বিকেলে ঢাকার গাবতলি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাতে বিমানে করে সিলেটে আনা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে গতকাল রোববার আফ্রিদি নিখোঁজ হয়। তাকে না পেয়ে স্বজনরা চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তার নিখোঁজের সংবাদ ফেসবুকে পোস্ট করা হলে মূহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে থানায় জিডি করা হয়।
    সাঈদ উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল এলাকার বাসিন্দা ইসাক আলীর ছোট ছেলে এবং শাহবাজপুর বাজারের ইলিয়াছ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক ইলিয়াস আলীর ভাতিজা।
    পরিবার জানায়, আফ্রিদি গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বড়লেখা শহরে তার খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু সে খালার বাসায়ও পৌঁছায়নি। তার সাথে থাকা মুঠোফোনও বন্ধ হয়ে যায়। স্বজনরা তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও পাচ্ছিলেন না। আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় তার মুঠোফোনটি চালু হয়। তখন আফ্রিদিকে কল করা হলে ফোন রিসিভ করে জানায়, সে ঢাকার গাবতলিতে বাসে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। পরে স্বজনরা বাসের সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে তাকে গাবতলি শ্যামলী বাস কাউন্টারে নামিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। পরে সুপারভাইজার তাকে গাবতলি শ্যামলী বাস কাউন্টারে নামিয়ে দেন। সেখান থেকে পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে আফ্রিদিকে গাবতলি কাউন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিমানের একটি ফ্লাইটে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সে সিলেট শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দেরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে তাকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
    সাঈদ আফ্রিদির বরাত দিয়ে তার এক আত্মীয় জানান, সাঈদ আফ্রিদি সুস্থ হলেও সে এখনও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। তার বিশ্রামের দরকার। সে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে-গতকাল রোববার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে শাহবাজপুর থেকে বড়লেখা যায়। পরে বড়লেখা থেকে সে মৌলভীবাজার গিয়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে সে বাসে চট্টগ্রামে চলে যায়। চট্টগ্রামে রাত কাটিয়ে সকালে সে আবার ঢাকায় আসে। নিখোঁজের পর থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল। বিকেলে হঠাৎ ফোন চালু করে। তখন তাকে ফোন দিলে সে জানায়, সে ঢাকায় গাবতলিতে বাসে আছে। বাড়িতে আসছে। তখন বাসের সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তাকে গাবতলি শ্যামলী বাস কাউন্টারে নামিয়ে দেন। পরে পরিচিত একজনের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিমানের টিকেট কেটে তাকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকে বিমানে করে সিলেট আনা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, নিখোঁজের পর সাঈদের বাবাকে ফোন দিয়ে একটি নাম্বার থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ খুব আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
    সাঈদের বাবা ইসাক আলী বলেন, সাঈদ নিখোঁজের পর অনেকে তাকে খোঁজাখুঁজি করেছেন। আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সে নিখোঁজের পর থেকে উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি পুলিশের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
    বড়লেখ থানার ওসি মো. আবদুল কাইয়ূম সোমবার রাত ১১টায় বলেন, কুমারশাইল গ্রাম থেকে মো. সাঈদ আফ্রিদি নামে এক ছেলে নিখোঁজ হয়েছিল। তাকে ঢাকায় পাওয়া গেছে। সে এখন স্বজনদের কাছে আছে।