Blog

  • ব্লগার শিমু হত্যাচেষ্টা, উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা

    ব্লগার শিমু হত্যাচেষ্টা, উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা

    বহুল আলোচিত লেখক, ব্লগার সুমিয়া শিমু হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনে পরিকল্পিত হামলা চালায় একদল উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। এসময় দুর্বৃত্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরিবারের সদস্যদের শারীরির এবং মানুষিকভাবেও লাঞ্চিত করে।

    গত ২৪মার্চ (সোমবার) মধ্যরাতে সুমিয়া শিমুর বরিশাল গৌরনদীর অবস্থিত নিজ বাসায় এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ব্লগার ও লেখক সুমিয়া শিমু ২০২৫ সালের বরিশাল মেট্রো এর ওয়েবে ধর্ম ভিত্তিক, ধর্মান্ধতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা, ধর্মীও উগ্রবাদীদের বিষয়ে লিখা প্রকাশ করেন ।

    সুমিয়া শিমুর পিতা এম ডি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “শিমু উদারপন্থী। সে একজন মানবাধিকার কর্মী। এরই জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান। এরা উগ্রপন্থী কোন গোষ্ঠীরই সদস্য বলেও জানান তিনি। ইতোপূর্বেও গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর একই কায়দায় হামলা চালায় এ গোষ্ঠীটি। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ।”

    তিনি আরও বলেন, “প্যান্ট আর হাফ শার্ট পড়া চারজন যুবক কিছু বুঝে উঠার আগেই দরজা ভেঙ্গে অতর্কিতে ভেতরে ঢুকে যায়। যুবকদের পুরো মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিলো এবং চোখে ছিলো কালো চশমা। সবার হাতেই দেশীয় ধারালো অস্ত্র (রামদা, চাপাতি) ছিলো। অস্ত্রের মুখে তারা শিমুর অবস্থান জানতে চায়। সে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছে। উগ্রপন্থী এ গোষ্ঠীটি লন্ডনে তার অবস্থান নিশ্চিত হতে চায়। সেখানে তার অবস্থান জানাতে না চাওয়ায় তারা পুরো বাড়িতে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। পরিবারের সকল সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে এক পর্যায়ে বাসার বাইরে তালা লাগিয়ে চলে যায়। আমিও এই হামলার ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হই।”

    সুমিয়া শিমু, কট্টর ইসলামের সমালোচনা ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদের জন্য বাংলাদেশের ইসলামিস্টদের নিকট আক্রমণের লক্ষ্যবস্ত। বাংলাদেশে বিগত সময়ে অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাস, আরেফিন দীপন সহ অসংখ্য মুক্তচিন্তক, ব্লগার, লেখক প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী ফতোয়া দিয়ে তাদের হত্যার জন্য নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল ও তাদের হত্যার জন্য ক্যাম্পেইন করেছিল জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলাম, হিজবুত তাহরির, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্যজোট এর কর্মীরা।

    উল্লেখ্য বিভিন্ন সমর্থিত ও অসমর্থিত সূত্রের দাবী, গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ পর থেকে প্রান্তিক বিবিধ গোষ্ঠীর সদস্যরা একাধিকবার দেশের বিভিন্ন স্থানে হেনস্থা, হয়রানি, হামলা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছে পুনরুত্থিত ইসলামিক দলগুলোর কাছে। ধর্মানুভূতিতে আঘাত সহ সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে প্রকাশিত লেখার জের ধরেই এসব পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত অনেক লেখক, ব্লগার, অধিকার কর্মীরা সম্প্রতি নিজ নিজ বাসস্থানে হামলা ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশের উগ্রবাদী ধর্মীও গোষ্ঠীর নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশের বিষয়গুলো সামনে আসছে। একই সাথে দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সহ লেখালেখির সাথে জড়িত লেখক, ব্লগার ও অধিকার কর্মীদেরও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ার সাথে হামলার মুখেও পড়ছে।

  • কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

    কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

     

     

     

    জেলা প্রতিনিধি।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুলাউড়া উপজেলা ৬নং কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ১১ সদস্য করে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

    মোঃ দেলোয়ার হোসেন আহবায়ক, মোঃ লুৎফুর রহমান যুগ্ম আহবায়ক,

    (১)হাজী রফিক মিয়া ফাতু সদস্য, (২)মো: আব্দুর নূর হীরা সদস্য, (৩)মোঃ শফিকুর রহমান সদস্য,(৪)মো: চিনার বকস্ সদস্য, (৫)মো: আব্দুর রউফ সদস্য,(৬)মো: দুদু মিয়া সদস্য, (৭)মো: মুক্তার সদস্য,(৮) মো: রোকন মেম্বার সদস্য,(৯) মো: নজরুল ইসলাম সদস্য, (১০)মো: আব্দুস সালাম সদস্য,(১১)বাবলা বৈদ্য সদস্য,

    কুলাউড়া ৬নং কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ১১ সদস্য বিশিষ্ট আব্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়,

    কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মোঃ রেদওয়ান খান,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বদরুল হোসেন খান, যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল জলিল জামান, এর যৌথ স্বাক্ষরিত পেডে, কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে সরকারি কালভার্ট ভাঙার অভিযোগে আটক ২ 

    কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে সরকারি কালভার্ট ভাঙার অভিযোগে আটক ২ 

     

    রুবেল বখস পাভেল: জেলা প্রতিনিধি

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন সরকারি একটি কালভার্ট ভেঙে ফেলার অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক জালাল মিয়া ও হায়দর মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

     

    জানা যায়, উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব কামারকান্দি এলাকার মরম মিয়ার বাড়ির সামন দিয়ে দক্ষিণমুখী দীর্ঘদিনের পুরাতন রাস্তার খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় লোকজন। মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোঃ নুর মিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চাহিদা পত্র প্রদান করেন।

     

    গত দু’মাস আগে ওই স্থানে কালভার্ট নির্মাণের জন্য জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এলাকার লোকজনের পরামর্শ মোতাবেক কাজ শুরু করেন ওয়ার্ড সদস্য নুর মিয়া। গত বৃহস্পতিবার কালভার্টের উপর ঢালাই দিয়ে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো।

     

    কিন্তু বুধবার দুপুরে পূর্ব কামারকান্দি এলাকার জালাল মিয়া ও হায়দর মিয়ার নেতৃত্বে ১০-১২ জন নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে নির্মাণাধীন কালভার্টের দুই পাশের দেওয়াল ভেঙে ফেলেন। এসময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে আসলে তাদেরকে হুমকিধামকি দেন জালাল গংরা।

     

    স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোঃ নুর মিয়া জানান, একটি কালভার্টের অভাবে দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তায় চলাচলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। হায়দর মিয়ার পরিবারসহ এলাকার সকলেরই মতামত নিয়ে পাহাড়ি খালের উপর কালভার্ট নির্মাণ শুরু হয়। কাজ শেষ পর্যায়ে এসে ঢালাই দেওয়ার সময় হায়দর গংরা বাধা দেন এবং তাদের লোকজন নিয়ে নির্মাণকৃত কালভার্টটি ভেঙে চুরমার করে ফেলেন।

     

    এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ নুর মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-৩৪, তারিখ-২৪/০৪/২৫) দায়ের করেন।

     

    হায়দর মিয়ার বোন জামাই মোস্তাকিম মিয়া জানান, যেখানে কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে সেটি তাদের মৌরসি সম্পত্তি। এখানে চলাচলের রেকর্ডিয় কোন রাস্তা নেই। মেম্বারকে নিষেধ দেওয়ার পরেও তিনি সুবিধাভোগী কয়েকজনকে নিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। তাই তারা সেটি ভেঙে ফেলেছেন।

     

    এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) মো: ফাইজুল ইসলাম জানান, সরকারি কালভার্ট ভাঙা ও হুমকি-ধামকির অভিযোগে জালাল মিয়া ও হায়দর মিয়া নামের দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও আটকে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

  • গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীর পক্ষে থেকে প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীর পক্ষে থেকে প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ১৭ মার্চ দুপুর ২ টায় মৎস্য ব্যাবসায়ী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে।

    পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন
    পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন

    এসময় সংবাদ সম্মেলন উল্লেখ করেন যে গত ১লা মার্চ তারিখে গলাচিপা থেকে ঢাকাগামী ডলফিন পরিবহনে ৩১ কার্টুন ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় বাবুগঞ্জ থানাধীন নতুনহাট বাজার বিটে পৌছালে প্রতারক ইমন এর ইন্দোনে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক পরিবহন থামিয়ে ১৮ কার্টুন ইলিশ মাছ নামিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নূরে আলম নামে একজন লোক ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ৪০ হাজার টাকা নূরে আলম এর দুইটি মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা মাছ না দিয়ে তালবাহনা শুরু করেন। এবিষয়টি নিয়ে বাবুগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কার্টুন মাছ উদ্ধার করে। বাকি ৫ কাটুন মাছ উদ্ধার করতে পারেনি।মাছ গুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা।

    গত ৪ মার্চ তারিখে উক্ত নূরে আলম তার NRBC ব্যাংক থেকে প্রতারক ইমনকে ১ লাখ টাকা গলাচিপা পূবালী ব্যাংকের শাখায় পাঠায়।এতথ্য পাওয়ার পরে উক্ত বিষয় নিয়ে প্রতারক ইমনকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে নানান রকমের তালবাহনা শুরু করেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে। এনিয়ে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীরা গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত থাকেন উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ চুন্নু মৃধা, মৎস্য ব্যাবসায়ী কুদ্দুস মুন্সি, হেলাল সিকদার,রহমান খলিফা,বশির হাওলাদার বাচ্চু হাওলাদার, মামুন সহ আরো অনেকে।

    এছাড়াও প্রতারক ইমন প্যাদা ক্যাসিনো ব্যাবসায় জড়িত আছে এমন অভিযোগপ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বহু টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় বলেও জানান সংবাদ সম্মেলনে। এবিষয়ে প্রতারক ইমন প্যাদাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শান্তির দাবি করেন মৎস্য ব্যাবসায়ীরা।

  • গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল, অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় গলাচিপা পৌর শহরের জৈনপুরী খানকা ময়দানের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

    বিক্ষোভকারীরা বলেন , ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা দাবি করেন, ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনসহ সরকারি তহবিলের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, ইউএনও মিজানুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

    বিক্ষোভকারীরা দ্রুত ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন ও ব্যানার প্রদর্শন করেন। তারা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শাহ জুবায়ের আবদুল্লাহ, তারিকুল ইসলাম মুন্না, মো. হানিফ ডাক্তার প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হন। এ নিয়ে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন পার হলো।

  • গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ “Uno Galachipa” থেকে দেওয়া একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই পোস্টে ইউএনও নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী বলে স্বীকার করেছেন এবং দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গও তুলেছেন।

    ইউএনও’র ফেসবুক পেইজের পোস্টেে লেখা হয়—”আমার (মিজানুর রহমান) বিরুদ্ধে বড় একটা অভিযোগ হলো আমি ছাত্রলীগ করতাম। হ্যাঁ, একসময় করতাম। সো, কি হয়েছে? নুরু ভাইও এক সময় ছাত্রলীগ করত। তিনি একসময় জননেত্রীর পা ছুঁয়ে সালামও করেছেন। সো, তাতে কি নুরু ভাইয়ের জনপ্রিয়তা এখন কম?”

    তিনি আরও লেখেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কারণে আমরা মোটেই লজ্জিত নই, কারণ এই দেশমাতৃকার জন্ম তা হাত ধরেই। আরেকটা অভিযোগ হলো দুর্নীতির। Who is free from it? যে দুর্নীতি করে না বুঝতে হবে সে সুযোগ পায় না।”

    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি
    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    সবশেষে তিনি মন্তব্য করেন, “সোজাসাপটা কথা। একদিন আমাদেরও সময় আসবে। Every dog has its barking day.”

    এই পোস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুহূর্তে পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। ফেইসবুকে পোস্ট শেয়ার করে অনেকে লেখেন সরকারি একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এ ধরনের মন্তব্য কতটা নৈতিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

    এদিকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই ফেসবুক পেজটি ইউএনও নিজেই পরিচালনা করেন। রোববার রাত ৯:২০ মিনিটে পোস্টটি প্রথম দেখা যায়, যা এখনো দৃশ্যমান।

    ঘটনার পর রোববার রাত সাড়ে ১০টায় গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ইউএনও মিজানুর রহমান। তিনি দাবি করেন, তার আইডি হ্যাক করা হয়েছে এবং বিষয়টি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অফিশিয়ালি ফেইসবুক আইডি ‘Uno Galachipa’ কে বা কারা হ্যাক করে বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি এর এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি থানায় জিডি করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ভোলায় পবিত্র রমাদ্বান এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

    ভোলায় পবিত্র রমাদ্বান এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

    অনলাইন ডেক্সঃ তাক্ব‌ওয়া ফাউন্ডেশন ভোলা এর উদ্যোগে পবিত্র রমাদ্বান মাস এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় ভোলা জেলা পরিষদ হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

    আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তাক্ব‌ওয়া ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ও বাংলা বাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিন কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী উল্যাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-উর-রশিদ।

    পরানগঞ্জ হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভোলা সরকারি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল গফুর, ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইসরাফিল, ভোলা সরকারি কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক মো মিজানুর রহমান, নাজিউর রহমান কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর সংগীত শিল্পী মোঃ মনিরুল ইসলাম, উত্তরা ব্যাংক ভোলা জেলা জোন এর প্রধান (ডিজিএম) মোঃ আব্দুর রব, ন্যাশনাল ব্যাংক ভোলা শাখার ম্যানেজার মোঃ জামাল উদ্দিন।

    অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। তাক্বওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্যে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও ধর্ষণমুক্ত সমাজ গঠনে তাক্বওয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রয়োজন। আলোচনা সভা ও ইফতারে মাহফিলে জেলার কয়েক শতাধিক ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম-উলামা অংশ নেন।

  • পঞ্চগড়ে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ ও স্তন কেটে হত্যা, চুরি করতে গিয়ে আটক

    পঞ্চগড়ে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ ও স্তন কেটে হত্যা, চুরি করতে গিয়ে আটক

    অনলাইন ডেস্করিপোর্টঃ একতা ক্সপ্রেস ট্রেনে পরিচয়। তারপর তরুণী নিয়ে কিসমত এলাকায় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এক পর্যায়ে তাকে মাথায় ইট দিয়ে আহত করে তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। পরে মরদেহ ফেলে রাখা হয় রেললাইনে। এমন নৃশংস হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন হত্যাকারী রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। কিন্তু  ক্রাইম থ্রিলার সিনেমার মতো সব কিছু লুকালেও শেষ  রক্ষা হলো না আসামীর। এবার ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় সে। তারপর তার মুঠোফোনে পাওয়া ভিডিওর সূত্র ধরেই  বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকান্ডের সব কাহিনী। আসামী রিফাত বিন সাজ্জাদের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাঝগ্রামে। সে ওই এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।

    সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী। তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি জেলার আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় রেললাইনে একটি অজ্ঞাত নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যাকান্ড হলেও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারছিলো না পুলিশ। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।

    এদিকে হত্যাকান্ডের পরও আসামী সাজ্জাদ একের পর অপরাধ কর্ম চালিয়ে যেতে থাকে।  গত ৮ মার্চ দিবাগত রাতে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার তাহিরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাজ্জাদ। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি নারীকে বেধে রাখার ভিডিও দেখতে পায় তারা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অজ্ঞাত ওই নারীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। সে জানায়, তার মাকে নিয়ে গালি দেয়ায় তাকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ ফেলে দেয়া হয় রেললাইনে।
    পরে তাকে তুলে দেয়া পুলিশের হাতে। তার বিরুদ্ধে আটোয়ারী  থানায় ধর্ষণের পর হত্যা ও চুরির দুটি মামলা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

  • হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস প্রতি বছর ১০ই মার্চ পালিত হয়, যা দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রাম, মানবাধিকারের জন্য লড়াই এবং নারী ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তিনি ছিলেন এক অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, যিনি শত শত দাসকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন এবং আমেরিকার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

    হারিয়েট টাবম্যানের জীবন কাহিনি

    শৈশব ও জন্ম

    ১৮২২ সালের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন হারিয়েট টাবম্যান। তাঁর আসল নাম ছিল অ্যারামিন্তা “মিন্টি” রস। তাঁর বাবা-মা দুজনেই দাস ছিলেন, ফলে ছোটবেলা থেকেই তাঁকে দাসত্বের নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

    শিক্ষা জীবন

    সেসময় দাসদের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ ছিল না, তাই হারিয়েট কখনোই বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। তবে তিনি জীবন থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করেন, কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নিজের জ্ঞান অর্জন করেন।

    বিবাহ ও পরিবার

    ১৮৪৪ সালে তিনি জন টাবম্যান নামের এক মুক্ত কৃষ্ণাঙ্গকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে হারিয়েট টাবম্যান রাখেন। পরবর্তীতে তিনি নেলসন ডেভিস নামের আরেকজনকে বিয়ে করেন এবং গার্টি নামে এক কন্যা সন্তান দত্তক নেন।

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা | দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক
    হারিয়েট টাবম্যান ছিলেন দাসপ্রথা বিরোধী আন্দোলনের এক মহীয়সী নারী, যিনি শত শত দাসকে মুক্ত করেছেন। জানুন তাঁর জীবন, সংগ্রাম ও অবদান সম্পর্কে।

    কর্মজীবন ও অবদান

    দাসত্ব থেকে মুক্তি ও ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড’

    ১৮৪৯ সালে নিজের জীবন বাজি রেখে দাসত্ব থেকে পালান হারিয়েট টাবম্যান। এরপর তিনি শত শত দাসকে মুক্ত করতে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড’ নামক গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাঁদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পরিচিত হন ‘মোসেস’ নামে।

    আমেরিকার গৃহযুদ্ধগুপ্তচর জীবন

    গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ইউনিয়ন আর্মির জন্য গুপ্তচর, নার্স ও রান্নার কাজ করতেন। তিনি দক্ষিণ অঞ্চলে গোপন মিশন পরিচালনা করেন এবং বহু দাসকে মুক্ত করতে সাহায্য করেন।

    নারী ও মানবাধিকার আন্দোলন

    গৃহযুদ্ধের পর তিনি নারীর ভোটাধিকার এবং আফ্রিকান-আমেরিকানদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেন। তাঁর সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ মানবাধিকারের লড়াইয়ে তাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পরিণত করেছে।

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    ১. দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক

    তিনি শুধু নিজের মুক্তির জন্য লড়েননি, বরং শত শত নির্যাতিত মানুষকে মুক্ত করেছেন।

    ২. স্বাধীনতার প্রতীক

    তিনি মুক্তি, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য আজও এক অনুপ্রেরণার নাম।

    ৩. নারী ও মানবাধিকারের অগ্রদূত

    তিনি নারীদের অধিকার ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, যা আজও আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা। দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক

    উপসংহার

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস শুধুমাত্র একটি স্মরণীয় দিন নয়, এটি এক মহীয়সী নারীর সাহস, সংগ্রাম ও মানবাধিকারের প্রতি অবিচল বিশ্বাসের উদযাপন। তাঁর জীবন আমাদের শেখায়, প্রতিকূলতাকে জয় করে কীভাবে সত্যিকার অর্থে মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে হয়। তাই ১০ই মার্চ, আমরা কেবল তাঁকে স্মরণ করি না, বরং তাঁর আদর্শকে লালন করি। হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা | দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক