Blog

  • ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি: দ্রুত কাজ শেষের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি: দ্রুত কাজ শেষের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া-গজালিয়া ইউনিয়নের সংযোগ খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও ব্রিজ নির্মাণে অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। এরই প্রতিবাদে ও দ্রুত কাজ সম্পন্নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

    রোববার (৪ মে) সকাল ১০টায় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন শতাধিক স্থানীয় মানুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা শামীম খা (৪০), শাহাবুদ্দিন প্যাদা (৬০) ও শাহীন ঢালী (৪০)।

    বক্তারা বলেন, এই ব্রিজটি শুধু গজালিয়ার জন্য নয়, আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রধান পথ। বছরের পর বছর পার হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পাটাতন দিয়ে এখনো চলাচল করতে হচ্ছে। উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে চিকনিকান্দি বাজার হয়ে, যা অত্যন্ত কষ্টকর।

    তারা আরও জানান, ব্রিজের দুই পাড়ে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও হাটবাজার। ফলে এর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হওয়া জরুরি। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত ব্রিজের কাজ সম্পন্নের আহ্বান জানান এবং কাজের তদারকি জোরদার করার দাবি জানান।

    জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন প্রকল্প (টিবিআরপি)-এর আওতায় ২০২৩ সালের ১ মে গলাচিপা উপজেলার আটখালী-চন্দ্রাইল সড়কে ২৪৩০ মিটার, চেইনেজে ৭২ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চুক্তিমূল্য ৫ কোটি ৯১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৫ টাকা। বরিশালের বাকেরগঞ্জের মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে ব্রিজের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।

    চর চন্দ্রাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুবর্ণা রাণী বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পার হয়ে যেতে হয়। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। দ্রুত কাজ সম্পন্ন না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

    এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ-এর ঠিকাদার কবির হোসেন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি সাংবাদিকদের উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তার দাবি, ব্রিজের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্রিজটির উচ্চতা পরিবর্তনের কারণে নতুন ডিজাইন পাস করতে সময় লেগেছে। বর্তমানে নতুন ডিজাইন অনুমোদিত হয়েছে। খুব দ্রুতই নির্মাণকাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, আপাতত পুরাতন ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন লিটন হোসাইন

    কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন লিটন হোসাইন

     

    রুবেল বখস পাভেল: প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন প্যানেল চেয়ারম্যান-১ লিটন হোসাইন। বর্তমান চেয়ারম্যান আকবর আলী সোহাগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের মামলায় আটক হওয়ার ২মাসের মাথায় তিনি এ দায়িত্ব পান।

    (৩০ এপ্রিল) বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের নির্দেশে লিটনকে এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে প্রথমবারের মতো ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি লিটন হোসাইন রাউৎগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্যর দায়িত্ব পালন করছেন।

    ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনে পরিষদের সদস্য-সদস্যাদের গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। সবোর্চ্চ ৫ ভোট পেয়ে ১ম প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লিটন হোসাইন। তাঁর নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী মারুফ আহমদ নাজিম ৪ ভোট ও আব্দুল মোক্তাদির মনু ২ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

    রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিটন হোসাইন উপজেলা প্রশাসন ও রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে যতদিন মেয়াদ আছে ততদিন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করবো। আমি সব সময় সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম এবং আমৃত্যু মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। আমার এ দায়িত্বকালে পরিষদের সম্মানিত সদস্যগণ ও আমার ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে ইউনিয়নবাসীর সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকবো।

    এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন জানান, প্যানেল অনুযায়ী ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান-১ লিটন হোসাইনকে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।

    উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী সােহাগ বৈষম্যবিরােধী ছাত্র আন্দােলনের দায়ের করা মামলায় আসামী হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে।

     

  • কুলাউড়ায় ইউপি মেম্বারের নি:শর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংবাদ সম্মেলন

    কুলাউড়ায় ইউপি মেম্বারের নি:শর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংবাদ সম্মেলন

     

    কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ।

     

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে সরকারি মাটি ভরাট কাজে বাঁধা ও প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি মেম্বার খাইরুল ইসলাম খসরুকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে ওই ইউপি মেম্বার বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার ও মেম্বারের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে ২৯শে এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

    এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক সৈয়দ সিদ্দিক আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাদিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড থেকে জনগনের রায়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন খাইরুল ইসলাম (খসরু মিয়া)। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও আইন শৃঙ্খলা সুন্দর রাখতে নিরলসভাবে কাজ করেন। ওয়ার্ডে সকল কাজ শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হয়ে আসছে। এতে ইর্ষান্বিত হয়ে কিছু স্থানীয় কুচক্রী মহল তার সাফল্যে দেখে তাকে হেয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

    সম্প্রতি সরকারিভাবে কাদিপুর ইউনিয়নের আমতৈল থেকে বিলেরপার রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য তিনি মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়। উক্ত সড়কের পাশে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল বারী মিয়ার কিছু জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় রাস্তা প্রসস্থ করার জন্য মাটি ফেললে ১৫ এপ্রিল তীরবর্তী বাড়ীর কাতার প্রবাসী রুবেজ আহমেদ রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রী দোলা খানম মাটি ভরাটের কাজে ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে বাঁধা দেন। খসরু মিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিককে বিষয়টি অবহিত করলে চেয়ারম্যান নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় দোলা খানম অশ্লীল ভাষায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য খসরুকে গালিগালাজ শুরু করেন। ইউপি সদস্য খসরু তার প্রতিবাদ জানালে দোলা খানম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে ইউপি সদস্য খসরু মিয়ার মাথায় আঘাত করেন। এতে খসরু মিয়ার মাথা ফেটে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে কুলাউড়া হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

    দোলা খানম ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে আঘাত ও লাঞ্ছিত করেও ক্ষান্ত হয়নি গত ২২ এপ্রিল মেম্বারের স্ত্রী রাছনা বেগম এবং বড় ভাই আনোয়ারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মেম্বার পরদিন মৌলভীবাজার আদালতে জামিন আনতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

    আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুন্সী মুজাদ্দিদ জানান, খসরু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু পতিত আওয়ামীলীগের দোসর প্রবাসী রুবেজ আহমেদ রুবেলের স্ত্রী দোলা খানমের ভিত্তিহীন একটি অভিযোগকে আমলে নিয়ে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে দ্রুত আদালতে পাঠায়। এলাকাবাসী দ্রুত খসরু মিয়ার জামিন, মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের দাবি জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেম্বারের বৃদ্ধ পিতা ইসমাইল আলী, কয়ছর মিয়া, ছয়ফুল মিয়া, কামাল মিয়া, খয়রু মিয়া, সারজান আহমদ, লিটন মিয়া, আবু তাহের, বেলায়েত হোসেন, ফয়েজ মিয়া, আজির আহমদ, জুবের আহমদ, কামরুল ইসলাম প্রমূখ।

    এব্যাপারে জমির মালিক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বারী সাধন মুঠোফোনে জানান, যে মহিলা বাঁধা দিয়েছে তার বাঁধা দেয়ার এখতিয়ার নেই। আমি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারকে জনস্বার্থে আমার জমির মাটি নেয়ার অনুমতি দিয়েছি।

  • আমরা সরকারি ক্ষমতায় আসলে প্রথমেই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করব জামায়তের কেন্দ্রীয় আমির ডা: শফিকুর রহমান

    আমরা সরকারি ক্ষমতায় আসলে প্রথমেই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করব জামায়তের কেন্দ্রীয় আমির ডা: শফিকুর রহমান

     

     

     

    রুবেল বখস পাভেল: প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার হল রুমে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ধর্ম যার যার বাংলাদেশটা হোক সবার। এদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সব ধর্মের বসবাস নিশ্চিত করতে চাই। সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজস্ব আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই। এখানে সংখ্যালঘু বলে কোন জিনিস নেই।

    গত ৫ আগস্টের পরে হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পুজায় নাশকতার আশঙ্কায় আমাদের দলের কর্মীরা মন্দির পাহারা দিয়েছে। সেটা কোন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছিলো না, নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে পাহারা দেয়া হয়েছে। হিন্দু ভাইয়েরা যতদিন প্রয়োজন মনে করেছেন, আমাদের কর্মীরা ততদিন তাদের পাশে ছিলেন। কেন মসজিদ মন্দির পাহারা দিতে হবে? আগামীতে কোনরূপ পাহারা ছাড়াই আপনারা পূজা উদযাপন করবেন।

    আগামীতে কোন জালিম যদি জুলুম করে তাহলে আপনারা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করবেন। আপনাদের সাথে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবো। আল্লাহর ফায়সালা যদি হয় আর সরকারের দায়িত্ব পাই, তবে আপনাদের পাশে থাকবো। একজাতের ফুলে বাগান হয় না। বগুজাতের ফুল দিয়েই আমরা বাগান গড়বো।

    ডা: শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা প্রতিহিংসার কিংবা প্রতিশোধের রাজনীতি করি না। কারণ প্রতিহিংসার কিংবা প্রতিশোধ কখনও শান্তি বয়ে আনতে পারে না। কোন মানুষ যদি সংিসতার শিকার হন, তাহলে প্রচলিত আইনের দ্বারস্থ হবেন। প্রচলিত আইনেই তার বিচার হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ গদি হারালে দেশে ৫-৬ লাখ আওয়ামী লীগ কর্মির মৃত্যু হবে। কিন্তু কোথায় কেউতো মারা গেলো না।

    কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ পালন উপলক্ষে কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন।

    নিজ উপজেলা কুলাউড়া নিয়ে জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, আমি সারাদেশে একটা দায়িত্ব নিয়েছি। কুলাউড়া আমার জন্মভুমি। কুলাউড়ার প্রতি বিশেষ দূর্বলতা আছে। নিজ উপজেলার জন্য সর্বোচ্চটুকু করার চেষ্টা করবো। তবে অন্যস্থানের হক এনে কুলাউড়ার জন্য বিশেষ কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই।

    কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কুলাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা: অরুনাভ দে, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রজত কান্তি ভট্রাচার্য্য, কুলাউড়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্রাচার্য্য সজল, পুজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি অজয় দাস, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইয়ামির আলী, বিচিত্র দে, মেম্বার সত্য নারায়ন নাইডু, অশোক ধর, মৌলভীবাজার পৌর জাময়াতের সেক্রেটারি তাজুল ইসলাস ও রাজানুর রহিম ইফতেখার প্রমুখ।

    এর আগে জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান সকাল ১০টায় উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ বাজারে কর্মী সভায়, বেলা দেড়টায় জুড়ি নাইট চৌমুহনীতে পৃথক কর্মী সভায় ভাষন দেন।

    জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করবে শিক্ষাখাতে। প্রত্যেক সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো দেখবো।

    একজন শিক্ষার্থীকে তার মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি তাকে কর্মউপযোগি করে গড়ে তোলা হবে। সার্টিফিকেট হাতে আসার আগে তার কাজ যেন চলে আসে। এসএসসি, এইচএসসি, মাষ্টার্স এত পরীক্ষার পর আবার চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে হবে কেন? পরীক্ষা দেয়া মানে শিক্ষার উপর কোন আস্থা নাই। প্রতিভা বিকাশে কোন পৃষ্টপোষকতার অভাবে আমাদের প্রতিভাগুলো বিকশিত হয় না। সমাজের সর্বত্র যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা বন্ধ করবে। চুরি দূর্নীতি বন্ধ করবে

  • আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার

    আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার

     

     

     

     

    রুবেল বখস পাভেল: প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

     

    আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখায় এবং দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি সার্ভিস ব্যাজ ২০২৪’ (আইজিপি ব্যাজ)পাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব এম,কে,এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম-সেবা মহোদয়।

    আসন্ন পুলিশ সপ্তাহে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, বিপিএম মহোদয় এ ব্যাজ পরিয়ে দিবেন।

  • উৎসবমুখর পরিবেশে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হলেন যারা

    উৎসবমুখর পরিবেশে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হলেন যারা

    রুবেল বখস পাভেল: প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সভাপতি পদে বদরুজ্জামান সজল ও সাধারণ সম্পাদক পদে এম আতিকুর রহমান আখইসহ ২৩ পদের প্রার্থী এবং ১২ পদের প্রার্থীরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।

    ভোটের মাধ্যমে ১২ পদে নির্বাচিতরা হলেন সহসম্পাদক সাইফুর রহমান ও আলমাছ পারভেজ তালুকদার, দপ্তর মাওলানা এনামুল ইসলাম। এ ছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রিংকু বর্ধন ও ইমন মিয়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক আব্দুল মতলিব, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক মো. গউছ মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম এবং ওয়ার্ড সদস্য নজরুল ইসলাম সোনা ও আব্দুল হান্নান সোহাগ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাজীম বখস ও মো. মোস্তফা আহমদ।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্বাচন শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছারের নেতৃত্বে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন থানাপুলিশের একটি দল।
    ফলাফল ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক খন্দকার লুৎফুর রহমান, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য সজল, প্রভাষক সিপার আহমদ, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী বদরুল ইসলাম বদই, খন্দকার আব্দুস সোবহান, দেব দুলাল চৌধুরী প্রদীপ ও অফিস ম্যানেজার আব্দুল আজিজ।
    নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সমিতির ৩৫ পদের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩ পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তারা হলেন বর্তমান সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সহসভাপতি হাজী রফিক মিয়া ফাতু ও ডা. মো. কুতুব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সম্পাদক এম আতিকুর রহমান আখই, কোষাধ্যক্ষ মো. বদরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা এইচডি রুবেল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বেলায়েত হোসেন লাভলু ও নারী উদ্যোক্তা সম্পাদক সুফিয়া রহমান ইতি।
    এ ছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক শেখ মো. সুমন, সদস্য মারুফ আহমদ জালাল ও জহিরুল ইসলাম এশু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শেখ মোহাম্মদ আছকর আলী ও আব্বাছ আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হায়দার আলী ও আব্দুল মান্নান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক জাকির হোসেন মুহিত, ওয়ার্ড সদস্য এনামুল হক ও মো. আবুল কালাম রাসেল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক আজিজুর রহমান খালেদ এবং ওয়ার্ড সদস্য শাহাদাত খান ও ওয়াহিদুল ইসলাম শিপন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড সম্পাদক আতিকুল ইসলাম।
  • কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীদের ঐক্য বিনষ্ট না করে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহবান

    কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীদের ঐক্য বিনষ্ট না করে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহবান

     

    রুবেল বখস পাভেল: প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    রাত পোহালেই কুলাউড়া ব্যবসায়ী করলাম সমিতির নির্বাচন,তাদের সকল চক্রান্তই ব্যর্থ হয়েছে। ২৬ এপ্রিল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবসায়ীদের ঐক্য বিনষ্ট না করে নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য সবাইকে উদাত্ত আহবান জানান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল।

     

    এতদিন যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন শনিবার (২৬ এপ্রিল) মাস্ক অথবা হেলমেট পড়ে ভোট সেন্টারে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এমনটি বলেন কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান আখই।

     

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সহ-সভাপতি রফিক মিয়া ফাতু। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, কোষাধ্যক্ষ হাফিজ বদরুল ইসলাম, এইডডি রুবেল, কুতুব উদ্দিন প্রমুখ

  • আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

    আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: জোরপূর্বক জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জমির আলী খা (৬২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামে।

    ভুক্তভোগী শাহআলম খা জানান, তাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষ জমির আলী খা আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার সাথে একটি প্রভাবশালী চক্রও ষড়যন্ত্রে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ভুক্তভোগীরা জানান, জে.এল. নং ১২৪, তুলাতলী মৌজার এস.এ. খতিয়ান নং ১৩ অনুযায়ী রেকর্ডীয় মালিক এন্তাজ আলী খা। তার অংশ পটুয়াখালী ১ম মুনসেফ আদালতের ১৯৫৫ সালের ৩৪নং পেটি মোকদ্দমায় ডিগ্রিপ্রাপ্ত (ডিগ্রি নং ৬১/৫৬) জমি আদালতের আদেশে নিলামী হয়। যা আদালতের রায়ে ১৯৫৭ সালের ১১ মার্চ ক্রয় করেন আব্দুর রব হাওলাদার। এরপর ১৯৬৬ সালে তিনি মোছলেম আলী খা-কে জে এল নং ১২৪ তুলাতলী মৌজার এস এ খতিয়ান নং ১৩ এর ২৩২, ৫৪২, ৫৪৩, ৫৪৪, ৫৪৫,৫৪৬,৫৪৭, ৫৪৮ ও ৫৪৯ এই সকল দাগ থেকে ৭৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। বর্তমানে তার উত্তরাধিকারগণ উক্ত জমিতে ভোগদখল করছেন।

    ভুক্তভোগীদের দাবি, গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সকাল ১০টার দিকে জমির আলী খা জোরপূর্বক জমি দখলের অপচেষ্টা চালান। দখলে ব্যর্থ হয়ে একই দিনে তিনি পটুয়াখালী দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩৩/২০২৫)। মামলায় মোছলেম আলীর পুত্র মোয়াজ্জেম খা, শাহআলম খা, নুর আলম খা।এছাড়াও মামুন মৃধা, শামীম খা, তুহিন খা, নবীন খা এবং শিফন খা-কে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, আসামিরা জোরপূর্বক জমিতে মাটি কেটে ঘর নির্মাণ করেছেন। মামলায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন দ্রুত বিচার আইন ২০০২ এর (২) (ই) (উ) ৪/৫ ধারা উল্লেখ করা হয়।

    তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা জানান, মামলার দিনে ও সময় তারা নিজ বাড়িতে ও কর্মস্থলে স্বাভাবিক জীবনযাপন, কাজ করছিলেন এবং কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। বরং প্রতিপক্ষ জমির আলী খা তাদের জমিতে বারবার অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং তাদের ঘর নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন। এছাড়া যাদের আসামি করা হয়েছে তারা ঘটনাস্থলেই ছিলেননা। তাদের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করতেই এই মামলা সাজানো হয়েছে। আদালতের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভোগদখলীয় সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুহিন খা বাড়ি করে সেখানে গাছ রোপণ করে, পুকুর খনন করে ছোট্ট একটি টিন কাঠের ঘরে বসবাস করছে। ভিটিতে পড়ে আছে ঘর তোলার টিন,কাঠসহ নির্মাণসামগ্রী।

    প্রতিবেশী দীপক দত্ত ও মোস্তফা তালুকদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, শাহআলম খা ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে ভোগদখল করে আসছেন। গত বছর শাহআলম খা-এর ছেলে তুহিন সেখানে বাড়ির ভিটা তৈরি, পুকুর খনন ও গাছপালা রোপণ করেন। এবার ঘর নির্মাণ করতে গেলে জমির আলী খা বাঁধা দেন। তাদের দাবি, জমির আলী কখনো উক্ত জমির দখলে ছিলেন না।

    শাহআলম খা বলেন, আমার বাবা ১৯৬৬ সালে জমি ক্রয় করেছিলেন। তখন থেকেই আমরা ভোগদখলে আছি। এখন হঠাৎ এসে তারা বাধা দিচ্ছে, মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। স্থানীয়ভাবে সালিসিতে, আদালতে আমাদের কাগজপত্র, দলিল স্বত্ব সঠিক হয়েছে।

    তুহিন বলেন, আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্টে ছাপড়া টিন কাঠের ঘরে আছি। নতুন ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয়, এখন আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।

    মামলার বাদী জমির আলী খা বলেন, ওই জমি আমাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি। প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেছে। বাধা দিলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। মামলার সাক্ষী বশির খা বলেন, প্রায় শত বছর আগে ওই জমির দখল নিয়েছে শাহ আলম খা পরিবার।

    এদিকে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত গলাচিপা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন শীঘ্রই দাখিল করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, উক্ত জমিতে পূর্ব থেকে এবং বর্তমানে ভোগদখলে আছেন শাহআলম খা ও তার পরিবার।

  • আমি ছিলাম আওয়ামী লীগের, কিন্তু এখন দেশকে আর চিনি না

    আমি ছিলাম আওয়ামী লীগের, কিন্তু এখন দেশকে আর চিনি না

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আমি আওয়ামী লীগ করতাম। ছোটবেলা থেকেই ‘জয় বাংলা’, ‘তোমার নেতা, আমার নেতা — শেখ হাসিনা’ স্লোগান মুখস্ত করেছি। বিশ্বাস করতাম এই দল মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি, আর শেখ হাসিনা মৌলবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা।

    কিন্তু আজ আমি আতঙ্কিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর যে বাংলাদেশ আমরা দেখছি, তা ভিন্ন এক রাষ্ট্র — ধর্মীয় উগ্রতা, মৌলবাদ ও চরমপন্থার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এই ভূখণ্ড।

    রাজপথ এখন হেফাজত, জামায়াত ও সালাফি চক্রের দখলে। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে প্রকাশ্যে শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলোর পাঠ্যক্রমে ঢুকছে তালেবানি আদর্শ। নারী অধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাকস্বাধীনতা — সবই আজ প্রশ্নবিদ্ধ।

    সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, **বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে জামায়াতে ইসলামী কার্যত অংশীদার**। আর এই কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে ইসলামী উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কোনও শক্ত অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হচ্ছে না, পুলিশ নীরব, প্রশাসন অদৃশ্য।

    এই নীরবতা কি কাকতালীয়? নাকি পরিকল্পিত?

    যখন চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা হলো, প্রশাসন বলল “বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যখন ফেসবুকে একজন নাস্তিক লেখককে হত্যার হুমকি দেওয়া হলো, তখনও সরকার নিশ্চুপ। কারণ যারা হুমকি দিচ্ছে, তারা এখন ক্ষমতার সাথেই জড়িত।

    আমি নিজেই আগে আওয়ামী লীগের পক্ষে সোচ্চার ছিলাম — ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আজ যারা সেই চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গে আপস করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    আমরা কি সত্যিই সেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আছি? নাকি এক তালেবানি ধারার রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছি, যেখানে দাড়িওয়ালা নেতারা ঠিক করবেন আপনি কী পরবেন, কী বলবেন, কী বিশ্বাস করবেন?

    এখন প্রতিবাদের সময়। আওয়ামী লীগ যাদের একসময় রুখেছিল, তারা আজ সরকারি মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাততালি পাচ্ছে। আমরা যদি এখনই না জাগি, তবে বাংলাদেশ আর আমাদের থাকবে না।

  • ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ ময়মুননেচ্ছা চিকিৎসায় বঞ্চিত – চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রয়োজন।

    ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ ময়মুননেচ্ছা চিকিৎসায় বঞ্চিত – চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রয়োজন।

    নাজমুল ইসলাম চৌধুরী সিলেট থেকেঃ সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার পুর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের মৈশাসী গ্রামের অসহায়, হতদরিদ্র, ৭০ বছর বয়স্ক ময়বুননেছা বর্তমানে অসুস্থ। প্রয়োজন চিকিৎসার। আর্থিক সংকট কারনে হচ্ছে না সঠিক চিকিৎসা। ১৫ এপ্রিল ২০২৫ইং ২য় বার ময়মুননেচ্ছার খোজ খবর নিতে মৈশাসী গ্রামে গেলে পাড়া প্রতিবেশীরা জানান অর্থ অভাবে পেট ভরে ৩ বেলা খাবার জুটে না, তার আবার চিকিৎসা হবে কি করে।

    ময়বুননেছা’র জন্ম ১৪/২/১৯৫৫ইং। স্বামী, সন্তান সহ নিকট আত্মীয় কেউ নেই। পিতা মৃত ইউসুফ আলী। মাতা মৃত নবিজান বিবি।

    ময়বুননেছা’র বাড়ী বলতে নড়বড়ে কুড়ে ঘর, অন্ধকার, মেঝে সেত সেতে।নেই বিদ্যুৎ ও শৈৗচাগার।ছোট চকি, অল্প হাড়ি পাতিন।বয়সের কারনে রান্নাও করতে পারেন না, পাড়ার মেয়েরা সহযোগিতা করেন।৩/৪ ফুট উচ্চতার

    ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ ময়মুননেচ্ছা চিকিৎসায় বঞ্চিত

    ময়বুননেছা হাটেন লাঠি ভর দিয়ে।পা অনেকটা বাঁকা,তাই স্বাভাবিক ভাবে হাটতেও পারেন না। ৫/৬ বছর বয়সে কোল থেকে পরে গেলে পায়ে আঘাত পান, সেই থেকে পায় ২টি বাকা হয়ে যায়। বিয়ে হলেও, বেশী দিন ঠিকেনি।বাপের বাড়ী চলে আসেন।সেই থেকে একা জীবন।

    বালাগঞ্জ উপজেলা অষ্টিটিক প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্র ও নিরাপদ এনজিও সভাপতি, সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন শাহিন ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ইং ময়বুননেছা করুন কাহিনী পত্রিকায় তুলে ধরেন।বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যাক্তা ও বিধবা ভাতা পাওয়ার অধিকারী ময়বুননেছা কে কেন এতো দিন চেয়ারম্যান, মেম্বাররা ভাতার ব্যবস্থা করে দিলেন না ?প্রশ্ন রেখে তিনি জানান ময়বুননেছা’র ভাতার জন্য ভোটার কার্ড,নগদ নম্বার, ছবি,আবেদন,কেউই অফিসে দিতে না পারায়,তিনি নিজ উদ্যোগে সবই তৈরী করে বালাগঞ্জ সমাজসেবা অফিসে জমা দিয়েছেন।প্রবাসীদের সহযোগিতায় একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করে দিয়েছেন,এবং প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন।সাংবাদিক শাহিন ১৫ এপ্রিল ২০২৫ইং মৈশাসী গ্রামে দিয়ে বয়স্ক ভাতার আবেদনের একটি কপি ময়মুনেচ্ছার হাতে তুলে দিয়েছেন।

    এ সময় বালাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আহাম্মদ উল্লাহ,মৈশাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সনজিব দাশ,সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম,ময়মুনেচ্ছার বড় ভাই মনসুর আলী,স্থানীয় নিরাপদ কর্মী মমতা বেগম,সুমা বেগম,জেনি বেগম উপস্থিতি ছিলেন।

    সাংবাদিক শাহিন জানান, ময়বুননেছা’র প্রয়োজন ঘর, খাবার ও চিকিৎসা। এ ব্যাপারে আত্মীয় স্বজন, গ্রামবাসী, সমাজের ধনী এবং প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    বালাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুয়েল আহমদ বলেন সাংবাদিক শাহিনের আন্তরিকতায় বয়স্ক ভাতার অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। শ্রীঘই বয়স্ক ভাতার টাকা ময়বুননেছার মোবাইলে চলে যাবে। প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

    বালাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আহাম্মদ উল্লাহ বলেন যুব উন্নয়ন থেকে বিভাগীয় যুব পদক প্রাপ্ত যুব সংগঠক শাহিনের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার।

    বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিত কুমার চন্দ জানান, বিষয়টি আমার দৃষ্টিতে এসেছে, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সংলিষ্টদের নিদের্শ দিয়েছি।