Blog

  • বাচঁতে চায় অবুঝ শিশু আয়ান ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মায়ের আকুতি

    বাচঁতে চায় অবুঝ শিশু আয়ান ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মায়ের আকুতি

    কুলাউড়া সংবাদদাতা:জামাল তারেক

     

    কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়ন এর কুরবানপুর গ্রামের মিছবাহ উদ্দিন ও শেফালী বেগম দম্পতির পুত্র শিশু আয়ান আহমেদ।

    বয়স মাত্র ৪ বছর জন্মের পর থেকে Cerebral Palsy নামক এক কঠিন রোগে আক্রান্ত সে,স্বাভাবিক শিশুরা যখন এই বয়সে হাটাচলা, কথা বলতে পারে কিন্তু শিশু আয়ানের অবস্থা তার বিপরীত,ওজন মাত্র ১২ কেজি।এখনও ঠিক মতো বসতে পারে না, দাড়াতে পারে না, তার শরীরের রগ গুলো বাকাঁ। ঠিকমত হাত পা গুলোও নড়াচড়া করতে পারে না।

    দরকার তার উন্নত চিকিৎসা। বর্তমানে ডাক্তার তার চিকিৎসার জন্য জরুরী ভাবে অপারেশন করার জন্য বলেছেন, এখন যদি তার অপারেশন করা না হয় তাহলে আর হয়তো সুস্থ করা যাবে না আয়ান কে।অপারেশন করতে প্রয়োজন প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মতো।

    পরিবার যে অসহায়, শিশু আয়ান এর ঠিকমতো ঔষধ খাওয়াতে হিমসিম খাচ্ছেন সেখানে অপারেশন করানো ত স্বপ্ন মাত্র।
    শিশু আয়ান থাকেন প্রায় ৬ মাস থেকে মায়ের সাথে তার পিতার বাড়ি গোলাপগঞ্জে,আয়ান এর পিতা খুঁজ খবর নেন না তার এমনকি ঔষধ খরচও দেন না তিনি।এমনকি অসুস্থ ছেলের খুঁজ খবর নেন না তিনি।
    আয়ানের মা শেফালী বেগম জানান উনার আরেকটি সন্তান রয়েছে মাত্র ৪০ দিন বয়সের। তিনি তার পিতার বাড়িতে বসবাস করছেন।তার পিতাও আর্থিক ভাবে অসচ্ছলতা দিনানিপাত করছেন, আয়ানের পিতা কোনো খুঁজ খবর নেন না তাদের এমনকি ছেলের অসুস্থতা তিনি সম্পুর্ন এড়িয়ে যান।
    আয়ানের মা শেফালী বেগম সেখানকার আত্মীয় স্বজন সহ আশেপাশের বৃত্ত বান দের কাছে থেকে সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে এতদিন চালিয়ে আসছিলেন ছেলের ঔষধ, এখন তিনি একেবারে নিংস্ব হয়ে পড়েছেন। পারছেন না ছেলেকে ঠিকমতো ঔষধ খাওয়াতে, এদিকে ডাক্তার বলে দিয়েছে দ্রুত আয়ানের অপারেশন করা না হলে আর হয়তো বাচাঁনো যাবে না তাকে।
    চোখের সামনে ছেলের এই অবস্থা কোনো মা কি সহ্য করতে পারবে, তার ছেলে ধুকে ধুকে মারা যাবে।

    তিনি সবার কাছে হাতজোড়ে সহযোগিতা চেয়েছেন তার ছেলেকে বাঁচাতে।
    আসুন আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিশু আয়ানের পাশে দাড়াই যতটুকু পারি আমরা একটি অবুঝ শিশুকে বাঁচাতে সহযোগিতা করি।

    (আমরা চাইলে সব পারবও, কুলাউড়ার শিশু গোপালের পাশে যেমনি ভাবে দাড়িয়েছি,আসুন আমরা শিশু আয়ানের পাশেও দাড়াই

  • জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার

    জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার

    জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে বলে দাবি করছেন পরিবার। এবিষয়ে রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে জুড়ী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী রুহেলা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের মেয়ে হাবিবা আক্তার ও তাইবা আক্তার।

    সংবাদ সম্মেলনে রুহেলা বেগম বলেন, আমি জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা। আমার ছেলে জুড়ী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাত দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসছেন। একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন রাত ৯ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমার ছেলে ফাতিন হাসনাতকে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর আমি জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ। এঘটনার পর আমাদের পরিবার আরো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে এই ঘটনার দুইদিন পর থেকে আমার স্বামী জিল্লুর রহমান নিখোঁজ রয়েছে। আমার স্বামী জিল্লুর রহমানকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা ধারণা করছি আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই। এ বিষয়ে জুড়ী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলেও পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। আমরা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা। বর্তমানে আমরাও বাড়ি ছাড়া। আমার ছেলে ফাতিন হাসনাত দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যার কারনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা বিচার চাচ্ছি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, জিল্লুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে।

  • কুলাউড়ায় স্কুল ছাত্রী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, ঘাতক গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার

    কুলাউড়ায় স্কুল ছাত্রী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, ঘাতক গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার

     

    রুবেল বখস পাভেল: প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় স্কুল ছাত্রী নাফিছা জান্নাত অনলুম (১৫) হত্যায় খাতক ভিকটিমের প্রতিবেশী মো. জুনেল মিয়াকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আসামির দেখানো মতে এবং পুলিশের তল্লাশীকালে হত্যাকাডের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা ভিকটিমের পরিহিত বোরকা, স্কুল ব্যাগ, বই ও একটি জুতা উদ্ধার করে পুলিশ।

     

    গত ১২ জুন সকাল ৭টায় পাশের সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় নাফিজা। এ বিষয়ে কুলাউড়ায় একটি সাধারণ ভায়েরী করা হয়।

     

    এর দুই দিন পর ১৪ জুন বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বাড়ির পাশের ছড়ার পাশে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিকটিমের ভাই ও মামা অধগলিত মরদেহটি খুঁজে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

     

    ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা, কুলাউড়া সার্কেলের (অতিঃ দায়িত্বে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম আপসার, পুলিশ পুরিদর্শক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

     

    দ্রুততম সময়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল। (অতিঃ দায়িত্বে কুলাউড়া সার্কেল) নেতৃত্বে কুলাউড়া থানার অফিসারদের নিয়ে কয়েকটি বিশেষ টিম গঠন করে আশেপাশের বাপক তল্লাশী করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলের পাশে একটি ঝোপ থেকে ভিকটিমের ভুল ব্যাগ, বই এবং একটি জুতা উদ্ধার করা হয়।

     

    আমরা শুধু স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশেষ ৬টি টিম গঠন করি। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, আলামত উদ্ধারের জায়গা এবং নারী ঘটিত কিছু বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা দেখে সন্দেহ হওয়ায় আমরা জুনেল মিয়াকে আটক করি। পরবর্তীতে তার মোবাইল চেক করে পর্ন সাইটে ব্রাউজিং এর তথ্য দেখে আমাদের সন্দেহ আরও বাড়ে। পরবর্তীতে আমরা তাকে দুপুর থেকে রাত প্রায় ১২ টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে পুলিশ সুপারের সামনে রাত ১২ টার দিকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

     

    সে জানায়, ভিকটিম তার বাড়ির সামনের একটি রাস্তা দিয়ে প্রায়ই স্কুল ও প্রাইভেটে আসা যাওয়া করত। সেই সুবাদে জুনেল মিয়া ভিকটিমের সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ঘটনার দিন গত ১২জুন ভিকটিম পাশের গ্রামে প্রাইভেট পড়া শেষে আসামীর বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় আসামী ভিকটিমের সাথে কথা বলতে বলতে তার পিছু নেয়। ভিকটিম এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল মিয়া ভিকটিমকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। তখন ভিকটিম চিৎকার করলে জুনেল মিয়া তার হাত দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে ধরলে ভিকটিম ঘটনাস্থল কিরিম শাহ মাজারের মধ্যের রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর ভিকটিমকে মোকাম সংলগ্ন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়ার পাড়ে ঝোপে ফেলে রাখে।

     

    মোকামের মাঠে পড়ে থাকা ভিকটিমের স্কুল ব্যাগ ও একটি জুতা ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী ঘন ঝোপে ফেলে দেয় এবং ভিকটিমের পরিহিত বোরকাটি নিকটবর্তী কিরিম শাহ মাজারের উত্তর পাশে জনৈক রওশন আলী গং’য়ের পারিবারিক কবরস্থানের সীমানা বাউন্ডারী পার করিয়া ছুড়ে ফেলে দেয়। পুলিশ আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাতে স্থানীয় লোকজন এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে। ভিকটিমের সেই বোরখা উদ্ধার করা হয়।

  • গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা এবং দোকান-বাড়ি ভাঙচুরসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৩ জুন শুক্রবার বিকেল ৪টায় গলাচিপা উপজেলা এলজিইডি অফিসের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর সংবাদ সম্মেলন করেন।

    নূরুল হক নূর তার বক্তব্যে বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে আমরা ও আমাদের হাজারো নেতা-কর্মী বিভিন্ন হামলা ও মামলা মোকাবেলা করেছি। শত শত তাজা প্রাণের বিনিময়ে ২৪’র গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। আজকের ফ্যাসিস্ট সরকারের (শেখ হাসিনার সরকার) বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বিএনপির নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অফিস ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং দোকান-বাড়ি ভাঙচুর করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

    তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বকুলবাড়িয়াতে পথসভা করতে গিয়ে হাসান মামুনের অনুসারীরা আমাদের রাতভর অবরুদ্ধ করেছে, রাস্তা অবরোধ করেছে গাছ ফেলে, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী সত্ত্বেও নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার বিপক্ষে; আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাই।

    নূর আরও বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়েছি, কিন্তু এর সুবিধা নিচ্ছে বিএনপির নেতাদের পরিবারের লোকজন। আমি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। গনঅধিকার পরিষদ কোন ভেসে আসা দল নয়, এটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফলাফল।

    সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    অন্যদিকে, গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় সংঘর্ষ ও উত্তেজনার কারণে উপজেলা প্রশাসন ১৩ জুন শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

  • কুলাউড়ার পূর্ব মনসুর বন্যায় পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

    কুলাউড়ার পূর্ব মনসুর বন্যায় পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

     

    মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: রুবেল বখস পাভেল।

    কুলাউড়া ৬নং কাদিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পূর্ব মনসুর এলাকায় পানি বন্দি ৯টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়,১১জুন২০২৫,

     

    এর আগে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন,এর নির্দেশে উপজেলা কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান শর জমিনে পানিবন্দি ৯টি পরিবারের খোঁজখবর নেন,

     

    পরে পানি বন্দি মানুষের কথা তুলে ধরেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন,এর কাছে মনসুরে বন্যায় পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে,

     

     উপকারভোগীরা হলেন,১-সৌরভ মালাকার, ২-শুকতা মালাকার,৩-পিয়ারা বেগম,৪-মুহিদ,৫-বলাই মিয়া,৬-তাসিন, ৭-আঙ্গুরি বেগম,৮- ফারুক,৯-বাদল মিয়া প্রমুখ।

  • জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে আওয়ামীলীগের হামলা

    জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে আওয়ামীলীগের হামলা

    জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ফাতিন হাসনাতকে বাড়িতে না পেয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। সোমবার ( ৯ জুন ) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের ছেলে সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাত দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জুন রাত ৯ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ফাতিন হাসনাতকে না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ। বর্তমানে ফাতিন হাসনাতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    এ বিষয়ে ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তাদের পরিবার জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার ছেলে ফাতিন হাসনাত ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, তার স্বামী জিল্লুর রহমান ও ছেলে ফাতিন হাসনাত সহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। তারা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছেনা। বর্তমানে এই পরিবারটি বাড়ি ছাড়া। তার ছেলে ফাতিন হাসনাত দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরশেদুল আলম ভূইয়া বলেন, এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে, আমরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারিনা।

  • কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কোরবানি 

    কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কোরবানি 

    কুলাউড়া প্রতিনিধি :

    পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো কলেজ ক্যাম্পাসের কর্মচারী/ কর্মকর্তাদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুলাউড়া সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে খাসি কোরবানী করা হয়েছে।

     

    এসময় ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক উপস্থিত থেকে তা সুন্দর ভাবে প্রদান করেন। এবং তিনি বলেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমরা কর্মচারী কর্মকর্তা দের জন্য ছোট এই উদ্যোগ নিয়েছি একারনেই যে অনেক সময় দেখা যায় সকল চাকরিজীবী যার যার মতো করে ঈদ পালন করেন কিন্তু তারা সাচ্ছন্দ্যমতো এটি পালন করতে পারে না। তাই আমরা চেয়েছি একটু তাদের পাশে থাকার।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজ সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি আবু সাইদ লাবিব সহ অনেকেই।

  • ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন

    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন

    মো:রুবেল আহমদ তালুকদার: আজকের ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। জীবন কে সুন্দর করতে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সু শিক্ষা ও সুন্দর পরিবেশের পাশা পাশি ছাত্র/ছাত্রীদের একটি আর্থিক সঞ্চয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাদের অদূর ভবিষ্যৎ কে সুন্দর করতে ও তাদের কে আর্থিক সঞ্চয়ের আগ্রহী করে তুলতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক এর নির্দেশনায় স্কুল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি।

    ২৬মে রোজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়য়ের এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন ২০২৫-ইং এর কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা গুলো বলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিলেট এর মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন ও কুইজ প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়।

    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক,শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন 2025 অনুষ্ঠিত।
    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক,শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন 2025 অনুষ্ঠিত।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা এ এন এম সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চলনায় ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিলেট এর মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাফিজুর রহমান তারেক উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলতাফুর রহমান টিপু এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র/ছাত্রী বৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমরান আহমদ। বক্তব্য রাখেন বিকেবি কর্মকর্তা আফসারুজ্জামান।
    কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন কারী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়। প্রধান অতিথি ছাত্র /ছাত্রী ছাড়াও প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধার কথা উল্ল্যেখ করেন।

    যে আগামী ১৯জুনের মধ্যে যদি প্রবাসীরা কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বোনাস ছাড়াও লটারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে চাইলে সকল প্রবাসীরা অংশ গ্রহন করতে পারেন।

  • প্রায় ১৫ বছর জায়গা ফিরে পেলো দিলদারপুর চা-বাগান 

    প্রায় ১৫ বছর জায়গা ফিরে পেলো দিলদারপুর চা-বাগান 

     

    কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

     

    কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের দিলদারপুর শাহী ঈদগাহ’র পূর্ব পাশের সরকারি ১ নং খতিয়ানের টিলা ও সমতল রকমের ৮৭ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেনের উপস্থিতিতে জায়গাটি উদ্ধারপূর্বক সরকারি সাইনবোর্ড টানানো হয়।

     

    জানা যায়, এইচআরসি গ্রুপের মালিকানাধীন দিলদারপুর চা-বাগানের লিজভুক্ত ১ নং খতিয়ানে ১০৫৫, ১০৫৪ দাগে প্রায় ৩ একর টিলা ও সমতল রকমের ভূমি জবরদখল করে রেখেছিলেন দিলদারপুর এলাকার হোসেন রাজা গংরা। গত ১৫ বছর বাগান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও দলীয় প্রভাবের কারনে জায়গাটি উদ্ধার করতে পারে নি।

     

    ২০১৫ সালে জায়গাটি উদ্ধার করতে গেলে বাগানের একজন সহকারী ব্যবস্থাপককে মারধর করে হোসেন রাজা গংরা। এরপরও বাগান কর্তৃপক্ষ নানাভাবে চেষ্টা করে জায়গাটি নিজেদের দখলে নিতে পারেনি।

     

    সম্প্রতি বাগান ব্যবস্থাপক এমদাদ হোসেন কুলাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর জায়গাটি উদ্ধারের আবেদন করলে মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এসিল্যান্ড। এসময় জবরদখলের সত্যতা পাওয়ায় জায়গাটি উদ্ধার করে বাগান কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে প্রায় ১৫ বছর পর জায়গাটা ফিরে পেল দিলদারপুর চা-বাগান কর্তৃপক্ষ।

     

    এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, সরকারি ১নং খতিয়ানের প্রায় ৮৭ শতক ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। যেটি দিলদারপুর চা-বাগান কর্তৃপক্ষের লিজ ভুক্ত ছিলো।

  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ

    সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ

    আন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আইসিটি আইনেও সংশোধনী অনুমোদন

    ঢাকা, ১০ মে ২০২৫ — দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মোড়: অন্তর্বর্তী সরকার শনিবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’-তে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকার জানায়, পরবর্তী কার্যদিবসে এ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

    বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক বিবৃতি পাঠ করে জানান, একইসাথে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন থেকে কোনো রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী সংগঠন এবং সমর্থক গোষ্ঠীকে বিচারের আওতায় আনতে পারবে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও তার শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার চলমান থাকা অবস্থায় দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও “জুলাই আন্দোলনের” নেতাকর্মী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে দলটির সকল কার্যক্রম (অনলাইনসহ) নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    শেখ হাসিনা

    এছাড়া, “জুলাই ঘোষণাপত্র” আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও সভায় গৃহীত হয়েছে।

    ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঘিরে সংঘটিত শাহবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিবৃতিতে বলা হয়, তখনকার সরকার (আওয়ামী লীগ) সেই আন্দোলনকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে স্বৈরাচারী প্রবণতা প্রকাশ করেছিল। “শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি” শিরোনামে প্রকাশিত দৈনিক আমার দেশের প্রতিবেদন ছিল সেই সময়ের একটি ব্যতিক্রমী সাংবাদিকতা উদ্যোগ, যা তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়ে।

    পরিশেষে উপদেষ্টা পরিষদ জানায়, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বিচার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।