Blog

  • বড়লেখায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন

    বড়লেখায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

     

    “ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসন ও নিসচা বড়লেখা শাখার তত্ত্বাবধানে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে র‍্যালীর পূর্বে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা প্রীতম সিকদার জয়, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, নিসচা বড়লেখা শাখার উপদেষ্টা সাংবাদিক আব্দুর রব, সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মার্জানুল ইসলাম।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, বিজিবি প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, নিসচা সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান উদ্দিন, আমান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার খালেদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক রেদওয়ান রুম্মান, দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়য়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস, দপ্তর সম্পাদক এনাম উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমাতুন সাদিয়া লিলি, প্রকাশনা সম্পাদক গণেশ কর, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান জিল্লুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য মো. জমির উদ্দিন, আশফাক আহমদ, অজিত রবিদাস, সাহেদ আহমদ পাবেল, এহসান আহমদ, আব্দুল হামিদ, জাকারিয়া আহমদ, ছাদিকুর রহমান, আফজাল হোসেন রুমেল, মাহিনুর ইসলাম মাহিন, ছায়দুল আহমদ, মজনুর রহমান, রেজাউল হক প্রমূখ।

    সভায় বক্তারা বলেন, জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনে প্রিয়তমা সহধর্মিণী জাহানারা কাঞ্চনকে সড়কে হারিয়ে সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে গড়ে তোলেন নিরাপদ সড়ক চাই সামাজিক আন্দোলন। ‘সড়ক দুর্ঘটনা’ নিছক নিয়তি নয়, এটা মানবসৃষ্ট একটি ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের জন্যই একলা ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সামাজিক আন্দোলনের জন্ম হয়েছে।

    জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিসচার কার্যক্রম কারো বিরুদ্ধে নয়, এটা সামাজিক সংগঠন। সমাজের সকলকে নিয়ে নিসচা আন্দোলন করে যাচ্ছে। সকলের সহযোগিতা নিয়েই বাংলাদেশকে সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে নিসচা কর্মীরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

    এসময় সড়ক দুর্ঘটনারোধে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিসচা নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা কমিটি ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অন্তর্ভুক্ত করার আশবাদ ব্যক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

    এদিকে দুপুর ১২ টায় নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জমির উদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

  • ঘুরে আসুন কুলাউড়ার দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্ক

    ঘুরে আসুন কুলাউড়ার দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্ক

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা।

     

    কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্ক। পরিপাটি আমানিপুর পার্কটি দেখতে যেমনই সুন্দর ও আকর্ষনীয় তেমনি নজরকাড়া চমৎকার বিনোদনের একটি স্থান। শিশু-কিশোরদের নির্মল আনন্দের জন্য আমানী পার্ক টি সুসজ্জিত করা হয়েছে নতুন ও ভিন্ন আঙিকে। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের রাইড। পার্কটি এক নজর দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে দেখা যায় এই পার্কে, সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করার জন্য আসেন।

    কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি ৩ একর জমির উপর বিচারপতি সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন হোসেন আমানিপুর পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন। পার্কটি প্রথম দিকে করোনা মহামরী প্রভাবে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। বর্তমানে এ পার্কে শিশু- কিশোরদের বেশ কিছু আকর্ষনীয় এবং সুন্দর সুন্দর রাইড সংযোজন করা হয়েছে। পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু থেকে প্রচারনায় স্থানীয়সহ বৃহত্তর সিলেটের বিনোদন মুখী মানুষ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।

    সিলেট-আখাউড়া রেললাইন ঘেঁষে টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামে গড়ে ওঠা পার্কটি প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের বিনোদনের জন্য সুন্দর একটি স্থান। এখানকার পরিবেশও মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে পার্কে দাঁড়িয়ে গোধূলি সন্ধ্যার দৃশ্য অত্যন্ত চমৎকার।

    কুলাউড়া উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পৃথিমপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত রবিরবাজার। রবিরবাজার ঢোকার আগেই পশ্চিম দিকে আমানীপুর পার্কে যাওয়ার রাস্তার দূরত্ব প্রায় দেড় থেকে দুই কিঃমিঃ। তাছাড়া রবিরবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে বাংলাবাজার হয়েও আমানীপুর পার্কে প্রবেশ করা যায়। পাশাপাশি টিলাগাঁও বাজার কিংবা লালপুর নয়াবাজার হয়েও আমানীপুর পার্কে সহজে যাওয়া যাবে।

    আমানীপুর পার্ক সকল বয়স, শ্রেণি, পেশার মানুষের বিনোদনের চমৎকার একটি জায়গা। তাছাড়াও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরণের রাইড উপভোগের ব্যবস্থা রয়েছে । নাগরদোলা, নৌকা রাইড, মিনি ট্রেন, মিনি গাড়ি রাইড, মিউজিয়াম, সুইমিং পুল ইত্যাদি। তাছাড়াও একান্ত সময় কাটানোর জন্য রয়েছে চমৎকার আরো কিছু আয়োজন।

    এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফুলের বাগান, রয়েছে মন জুড়ানো আঁকা বাঁকা রাস্তা, বসে গল্প করার জন্য রয়েছে নানা রঙের নানান ডিজাইনের চেয়ার। পার্টি কিংবা জন্মদিন অথবা পিকনিক ও শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন প্রকারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন, সেই সুযোগও রয়েছে আমানি পুর পার্কে।পার্কের ভিতর ছোট একটি যাদুঘরের ব্যবস্থাও রয়েছে এ পার্কে। আপনি বিভিন্ন প্রকার প্রাচীন আসবাবপত্র, প্রাণী জগৎ, জড় পদার্থ দেখতে পাবেন। তাছাড়া বিলীন হয়ে যাওয়া অনেক কিছু এ মিনি মিউজিয়ামে আপনি দেখতে পাবেন।

    পার্কের ভিতর একটি মিনি রেলওয়ে স্থাপন করা হয়েছে এবং মিনি ট্রেনও আছে যার মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ জন মানুষ একসাথে ট্রেন রাইড করতে পারেন। এ ট্রেন রাইড করতে চাইলে আপনি প্রথমে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। পার্কের ভিতরের পুকুরে নৌকা রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে প্রায় ৫টি নৌকা আছে। প্রতিটি নৌকাতে ৪/৫ জন রাইড করতে পারেন। নৌকা রাইডেও ট্রেন রাইডের মত আপনাকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

    পার্কের ভিতরে নাগর দোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করতে আপনাকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের প্রতিচ্ছবি ছোট আকারে তৈরি করা হয়েছে একটি ছোট্ট ভবন। যার মাধ্যমে এ পার্কের সৌন্দর্য্য আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃত্রিমভাবে একটি ঝর্না তৈরি করা হয়েছে। ঝর্নাটি পার্কের সৌন্দর্য্য আরোও একগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঝর্নাটি অনেক উপভোগ করে থাকেন।

    পার্কে প্রবেশ টিকিটের মূল্য৫০টাকা, মিউজিয়াম প্রবেশ মূল্য২০টাকা,গাড়ী রাইড ৩০টাকা, ট্রেন রাইড২০ টাকা, নৌকা রাইড২০টাকা,নাগরদোলা২০টাকা,জাতীয় সংসদের স্মৃতি ফ্রি, ঝর্নাও ফ্রি।

    এছাড়াও রয়েছে খাবার হোটেল, শিশুদের বিনোদনের জন্য কিছু রাইড রয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ, শিশুদের রাইডগুলোকে ফ্রি ব্যবহারযোগ্য করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কোন টিকেটের প্রয়োজন হবে না।

    পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে চাইলে এই আমানিপুর পার্ক বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া শিশুদের বিনোদন ও আনন্দের জন্য আমানীপুর পার্ক অনেক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি। বিশেষ করে শিশুদের বিকাশের জন্য মিনি মিউজিয়ামটি অনেক কাজে লাগবে।

  • সিলেটের মেজর টিলায় ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা

    সিলেটের মেজর টিলায় ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা

    নিউজ ডেস্ক (এডি পিনব):-

    সিলেট শহরের মেজরটিলায় অদ্য ২১ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যার দিকে অবৈধ পার্কিং এর সামনে নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে সি এন জি দূর্ঘটনায় নিহত হোন দুইজন আহত আরো ৩ জনকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

    এরকম অস্বাভাবিক দূর্ঘটনায় তামাবিল রোডেও ঘটেছে বলে জানা যায়। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নি।

  • কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি র সংবাদ সম্মেলন 

    কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি র সংবাদ সম্মেলন 

     

    জেলা প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিএনপির আমাদের কমিটি ছাড়া অন্য কোনো কমিটি নেই। একটি পক্ষ দাবি করে আসছে তারা সভাপতি-সম্পাদক। অথচ ওই কমিটি ভেঙে জেলা বিএনপির সভাপতি ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদেরকে সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

    অন্যারা যে, উপজেলা কমিটি হিসেবে দাবি করছে তাদের কোনো অনুমোদন নেই বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু। রবিবার (২০ অক্টোবর) রাতে কুলাউড়া পৌরসভার হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    শকু বলেন, আমরা হিংসাত্মক কাজ করতে চাই না। কুলাউড়ায় এখন পর্যন্ত বিএনপির কেউ কারও বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি। আওয়ামী লীগরাই অন্য আওয়ামীদের উপর মামলা দিয়ে বিএনপির বদনাম করছে। তবে যারা আসলেই দোষী ও চাঁদাবাজ তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।

     

    দেশের মানুষ বিগত ১৭ বছর থেকে ভোট দিতে পারে নাই উল্লেখ করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অতি শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে ভোট বঞ্চিত মানুষদের তার ভোটাধিকারের সুযোগ করে দেওয়ার আহবান জানান।

     

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হক বকুল, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির মুক্তার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তানজীল হাসান খাঁন, বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারেক আহমেদ মধু, জয়চণ্ডী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সোয়েব আহমেদ, কুলাউড়া পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুল ইসলাম আতিক, কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম মাজু, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান প্রমুখ।

  • বড়লেখায় চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে নিসচার সড়ক নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালা 

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

     

    জাতীয় সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখার আয়োজনে ১৯তম কার্যদিবসে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে ও নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে করণীয় শীর্ষক সচেতনতা মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হউক সবার” এ প্রতিপাদ্যে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৭ টায় উপজেলার দক্ষিণভাগ নিউ সমনবাগ চা বাগানের অফিসে নিসচা বড়লেখা শাখার সহ-সভাপতি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার খালেদ আহমদের পরিচালনায় বিভিন্ন পর্যায়ের চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে তাদের করনীয় কর্মশালায় স্বগত বক্তব্য দেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. জমির উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ ও কার্যকরী সদস্য আফজাল হোসেন রুমেল।

    আরোও বক্তব্য দেন নিউ সমনবাগ চা বাগানের কর্মকর্তা গংগেশ রঞ্জন দেব, সুবাস চন্দ্র দাস, কৃপাময় দাস, বিমল চন্দ্র দে, দিপক কূর্মী, পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কালীপ্রসাদ ভর, পঞ্চায়েত কমিটির সাবেক সভাপতি নারায়ণ কালোয়ার, চা শ্রমিক নেতা রাঙ্গা চরণ সাঁওতাল ও রাসবিহারী রবিদাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিসচার দুর্ঘটনা অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস, কার্যকরী সদস্য অজিত রবিদাস ও শাহাব উদ্দিনসহ অর্ধশত চা-শ্রমিক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

    নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে চা-শ্রমিকদের করণীয় সম্পর্কে নিসচা বড়লেখা শাখার সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মার্জানুল ইসলাম বলেন, চা-শ্রমিকরা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণভাবে এক চা-বাগান থেকে অন্য চা-বাগানে যাতায়াত করেন। খোলা ট্রাক ও ট্রাক্টরে গাদাগাদি করে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দূরা-দূরান্তে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলেন আবার দেখা যায় চাপাতা বোঝাই গাড়িতে শ্রমিকরাও ঝুকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করেন এই অবস্থায় ঘটে যেতে পারে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই চা-শ্রমিকদের জন্য তারা টেকসই বাস-মিনিবাসের দাবি জানান। তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে চা-বাগানের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অতি শীঘ্রই তারা গরুত্ব সহকারে বিষয়টিকে বিবেচনা করবেন।

    চা-বাগান কর্মকর্তারা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা শাখার কার্যক্রমের প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে মহৎ উদ্দেশ্যর পাশে থেকে একাত্বতা পোষন করে সড়ক দুর্ঘটনারোধে আন্তরিকভাবে ব্যাপক ভুমিকা রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।

  • বড়লেখায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

    বড়লেখায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

     

     

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

     

    শনিবার(১৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওলামা মাশায়েখ পরিষদ বড়লেখা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান।

    প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় জামাতের নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

    উলামা মাশায়েখ পরিষদ বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা খালেদ আহমদ ভানুগাছির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, ওলামা মাশায়েখ পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল হক, বড়লেখা উপজেলা আমীর এমাদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের উপজেলা সভাপতি মাওলানা কাজি এনামুল হক প্রমূখ।

  • বড়লেখায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

    বড়লেখায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

    উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে, এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করার বহুমুখী উদ্যোগ নিলেও দেশের কোন উপজেলা এখনও শতভাগ ডিজিটালাইজড হয় নি। তবে উপজেলার শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়েব ও সফটওয়্যার ব্যাইজড হওয়ায় এবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা দেশের প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা নগরী হিসাবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা প্রধানদের সহযোগীতায় এবং দেশের অন্যতম সফট্ওয়্যার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি প্রা. লি. এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষকরা এ তথ্য জানান। সেমিনারে উপজেলার অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শতাধিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনাম উদ্দিন সভাপতিত্বে এবং পাকশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি লি. এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, কানাইঘাট সরকারি কলেজের প্রভাষক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও লেখক মো. ইয়াহইয়া।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিচালক ডা: রত্নদ্বীপ দাস, শাহবাজপুর স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ আব্দুল বাছিত, গাংকুল পঞ্জগ্রাম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফজলুল হাসান মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ইটাউরি মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ খান, উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দাশের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস, রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক ইকবাল আহমদ, কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অধীর চন্দ্র বিশ্বাস, ফকির বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর জাহান চৌধুরী, মুড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান রশিদ আহমদ খান, কাঠালতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুফর রহমান, শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কাওছার আহমদ, কানসাই হাকালুকি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদা বেগম, দক্ষিন ভাগ এন সি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসুক আহমদ, কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস, গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ হায়দার, নারীশিক্ষা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক, ফকির বাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম আলী, পয়লোয়ানবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদ উদ্দিন, মাইজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন, কলাজুরা হাজি আপ্তাব আলীউচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল হক, বড়লেখা জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারেন্ট মোঃ নিজাম উদ্দিন ও হলিচাইল্ড স্কুলে অধ্যক্ষ শিমুল চৌধুরী প্রমুখ।

    জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনাম উদ্দিন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজেশন এখন সময়ের দাবী। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে আমরা সেখানে পিছিয়ে থাকতে পারি না। বড়লেখা উপজেলার শতভাগ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হওয়ায় তিনি উচ্ছাস্বিত হয়ে বলেন, আমাদের উপজেলাকে মডেল ধরে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজড হবে এবং গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে দেশ ধীরে ধীরে স্বনির্ভর ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।

    ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে উল্লেখ করে জেলা আইসিটি এ্যাম্বাসেডর ও পাকশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নে ডিজিটালাইলেশনের বিকল্প নেই। কেননা এতে কাজের গতি বাড়ে ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা হয় সুশৃঙ্খল, নিভুল ও গতিময়। তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষক প্রযুক্তি উদ্যোক্তার হাত ধরে অত্যন্ত কম মূল্যে এবং নির্ভরশীল সেবা পাওয়ায় উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন বর্ণমালা সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

    প্রসঙ্গত, এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি প্রা. লি. এর দেশের অন্যতম সফট্ওয়্যার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে সবধরনের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা দিয়ে আসছে ৮ বছর থেকে। বিশেষত কোম্পানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্যাইজড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বর্ণমালা এখন সিলেট ডিভিশনসহ সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়। বর্ণমালা ওয়েব ব্যাইজড সফট্ওয়্যার/ডায়নামিক ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন, যা শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনানুযায়ী তৈরি, প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজ, নিখুত ও ডিজিটালাইজড করে এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। বর্ণমালা অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম যেমন পরীক্ষা ও ফলাফল ব্যবস্থপনা, শিক্ষার্থীর ভর্তি, আর্থিক ব্যবস্থপনাসহ সকল ধরনের কাজ অত্যন্ত নিখুত ও নির্ভুলভাবে করা যায়। প্রায় চার শতাধিক প্রতিষ্ঠানের এখন বর্ণমালা সফটওয়্যার একটিভ রয়েছে। স্বল্প খরচে ও মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে নিসচার সাথে ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদের একাত্বতা প্রকাশ

    বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে নিসচার সাথে ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদের একাত্বতা প্রকাশ

     

    হানিফ পারভেজ : বড়লেখা প্রতিনিধি।

    জাতীয় সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখার আয়োজনে আজ ১৭তম কার্যদিবসে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে ও নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    “ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হউক সবার” এ প্রতিপাদ্যে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮ টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে নিসচা বড়লেখা শাখার সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার খালেদ আহমদের সঞ্চালনায় বিভিন্ন মসজিদের আলেম উলামাদের নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে তাদের করনীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামিল আহমদ, মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শিহাব উদ্দিন শিবলী, মাওলানা আলী হোসেন, মাওলানা মিসবাহ উদ্দিন, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, নিসচা বড়লেখা শাখার সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মার্জানুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য এহসান আহমদ, ছাদিকুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    উক্ত সভায় বিভিন্নজন বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করে বলেন, সড়কে বেশ অনিয়ম রয়েছে তা দূর করতে আমাদের অনেক ভুমিকা আছে। ইসলামে এর বেশ আলোচনা রয়েছে। সুতরাং আমরা সড়ক দুর্ঘটনারোধে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। আমরা জুমাআ ও বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে মুসল্লীর উদ্দেশ্যে আলোচনা করতে পারি এতে অনেকাংশে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

    এ বিষয়ে নিসচা নেতৃবৃন্দরা বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনার কিছু চিত্র তুলে ধরেন পাশাপাশি দ্রুতগতির যানবাহন চালনা, যানবাহনে ওভারলোড যাত্রী বা পণ্য, হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালনা, প্রয়োজন ছাড়া হর্ন বাজানো, ইজিবাইকের দৌরাত্য, ফিটনেসবিহীন বাস-ট্রাক ও সিনএনজি দ্রুতগতিতে চালনা, কিছু তরুণ বয়েসের ছেলেরা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালনা এবং ট্রাফিক আইন না মানাসহ বিভিন্ন কারণে সড়কের মড়কে ঝড়ে যাচ্ছে তাজা প্রান তাই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতি জুমআ ও ওয়াজ মাহফিলে সচেতনতামূলক আলোচনা পেশ করার জন্য ইমামগণের প্রতি তারা অনুরোধ জানান।

    মতবিনিময় সভায় ইমামগণ নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা শাখার কার্যক্রমের প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে মহৎ উদ্দেশ্যর পাশে থেকে একাত্বতা পোষন করে সড়ক দুর্ঘটনারোধে আন্তরিকভাবে ব্যাপক ভুমিকা রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।

  • কুলাউড়া’র হাজীপুরে জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের কাউন্সিল ও কর্মী সমাবেশ

    কুলাউড়া’র হাজীপুরে জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের কাউন্সিল ও কর্মী সমাবেশ

     

     

     

     

    রুবেল বখস পাভেল : জেলা প্রতিনিধি।

    জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ হাজীপুর ইউনিয়ন ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ হাজীপুর ইউনিয়ন শাখার যৌথ উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার পীরেরবাজার প্রাইমারি স্কুল মাঠে কাউন্সিল ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    মাওলানা কুরফান আলীর সভাপতিত্বে হাফেজ আক্তারুজ্জামান ও ওলিউর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা জমিয়তের সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা তালিব উদ্দীন শমশেরনগরী।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জমিয়তের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি আশরাফুল হক, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আজির উদ্দীন, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নেজাম উদ্দীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুল ইসলাম।

    বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্র জমিয়তের প্রাক্তন সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইফুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের সহ সভাপতি নোমান রশিদ হানাফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিক জমিয়তের সদস্য সচিব মাওলানা মাহদী হাসান কামাল, শরীফপুর ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি মাওলানা ইসহাক আহমদ, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মাওলানা ওলিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু নছর খালেদ প্রমুখ।

    আলোচনা সভা শেষে মাওলানা সিরাজুল ইসলামকে সভাপতি, মাওলানা আব্দুস সামাদ আজাদকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ে হাজীপুর ইউনিয়ন জমিয়ত এবং নাজমুল ইসলামকে সভাপতি, ওলিউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ও তাওহিদুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে হাজীপুর ইউনিয়ন ছাত্র জমিয়তের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • জনতা ব্যাংকের পরিচালক মিশকাত চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন:শোক প্রকাশ

    জনতা ব্যাংকের পরিচালক মিশকাত চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন:শোক প্রকাশ

     

    হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা।

    জনতা ব্যাংকের পরিচালক (দ্বিতীয় মেয়াদ) ও যুগ্মসচিব (অবঃ) মিশকাত আহমেদ চৌধুরীর (৬৩) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

    বুধবার বেলা ২ টায় বড়লেখা উপজেলার গাংকুল গ্রামে শাহী ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় ঢাকায় বসুন্ধরা এলাকায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

    মিশকাত আহমেদ চৌধুরী ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ইংরেজি বিভাগের হেড অব ডিপার্টমেন্ট অধ্যাপক তাকাদ আহমেদ চৌধুরীর বড়ভাই এবং বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মরহুম আব্দুর রহিম চৌধুরীর বড় ছেলে।

    এদিকে সাবেক যুগ্মসচিব ও জনতা ব্যাংকের পরিচালক মিশকাত আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাথারিয়া গাংকুল মনসুরিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এফএইচএম ইউসুফ আলী, দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসুক আহমদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম, বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব। এছাড়াও জনতা ব্যাংকের পরিচালক মিশকাত আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জনতা ব্যাংক বড়লেখা শাখার ব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি দেবনাথ ও জুড়ী শাখার ব্যবস্থাপক পিযুষ কান্তি দাস, বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত।