Blog

  • পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হতে পারে শাস্তি, আজ থেকে মাঠে মোবাইল কোট

    পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হতে পারে শাস্তি, আজ থেকে মাঠে মোবাইল কোট

    এডি পিনব (নিউজ ডেস্ক):- পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হতে পারে শাস্তি, আজ থেকে মাঠে মোবাইল কোট রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে পলিথিন উৎপাদনের বিরুদ্ধে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।পলিথিন উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস শনিবার ২ নভেম্বর গণমাধ্যমকে জানান.

    জানা যায় শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ ছিল। তবে অদ্য রোববার থেকে মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহতি থাকবে।

    তপন কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, সবাই শুধু বলছেন বিকল্প কিছু আনতে। অথচ তারা জানেন না যে, বাজারে ইতোমধ্যে বিকল্প অনেক কিছুই রয়েছে। তা ছাড়া সরকারও এ বিষয় নিয়ে খুবই তৎপর। বিকল্প উৎপাদনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। যাতে বাজারে সবাই হাতের নাগালে পেতে পারে।

  • দৈনিক ন্যায্য মূল্যের কাঁচা বাজার বিক্রয় করা হয়।

    দৈনিক ন্যায্য মূল্যের কাঁচা বাজার বিক্রয় করা হয়।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ রামগঞ্জ সিটি প্লাজার সামনে বাইপাসো রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ যুব সমাজ উদ্যোগে এবং সংশপ্তক অ্যামেসিয়েশন পরিচালনা করেন, রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরামর্শ অনুযায়ী এই বাজারটি অনুষ্ঠিত হয়। বাজারে যে সব সবজিগুলা পাওয়া যায় সবজির মূল্য তালিকা দিয়ে দেওয়া হয় ১. সিম ১০৫.টাকা ২. বরবটি ৭৫ টাকা ৩. মুলা ৫৫ টাকা ৪, করলা ৫৫ টাকা ৫. সসিন্দা ৪৫ টাকা ৬. টমেটো ১২৫ টাকা ৭. পেপে ৩৫ টাকা ৮. বেগুন ৫৫টাকা ৯. চড়া ৫৫ টাকা ১০. পটল ৫০টাকা ১১. মারফা ৪০ টাকা ১২. শষা ৪৫ টাকা ১৩. কাঁচা মরিচ ১২৫ টাকা ১৪. ফুলকপি ৮০ টাকা ১৫. কলা ৪৫ টাকা ১৬. কুমড়ো ৫০ টাকা ১৭. ধনিপাতা ২০০ টাকা ১৮. লালশাক ৩৫ টাকা ১৯. কুমডো সাক ৪৫ টাকা ২০. ডেরস ৫৫ টাকা ২১. লেবু ২৫ আলি ২২. ভাটাশাক ৫০ টাকা ২৩. লতি ৬৫ টাকা আরো সবজিগুলা উনারা আমদানি করবে বলে সাংবাদিকদের কে জানান উনারা বলেন যে আমরা কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কম নিচ্ছি এভাবে যদি বাংলাদেশে ন্যায্য মূল্যের তালিকা দিয়ে সবজি বিক্রি করা হয়, তাহলে বাজারে জনগণ আর হতাশ হবেনা।

  • গলাচিপায় জামায়াতে ইসলামীর গণসমাবেশ

    গলাচিপায় জামায়াতে ইসলামীর গণসমাবেশ

    মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ৪ টায় গলাচিপা পৌর মঞ্চে জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা  উপজেলা শাখার আয়োজনে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা শাখার আমীর ডা. মাওলানা জাকির হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সূরার সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা আমীর  অধ্যাপক মু. শাহ আলম।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো.সানাউল্লাহ শামিম এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এর সহ সম্পাদক এ্যাড.আব্দুর রাজ্জাক।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে  ইসলামী পটুয়াখালী জেলা শাখার নায়েবে আমীর এ্যাড.মু.নাজমুল আহসান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা পৌর আমীর মাওলানা বেলাল বিন সুলতান, জেলা সদস্য মো. হবিবুর রহমান ফোরকান, গলাচিপা উপজেলা সাবেক আমীর ও জেলা সদস্য অধ্যাপক মাওলানা মো. ইয়াহিয়া খাঁন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী মোঃ আবুল বাশার সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শুরা পরিষদের নায়েবে আমীর মাওলানা মো. আব্দুস সালাম খান প্রমুখ।

    প্রধান অতিথি  অধ্যাপক মু.শাহআলম তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতাকে শহিদ করেছে। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তাদের রক্তের মূল্য ইনশাআল্লাহ আমরা পরিশোধ করব এ দেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, নিপীড়ন বন্ধ হবে, অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ হবে। যার অধিকার সে পাবে, যিনি অন্যায়ের শিকার হবে আইনের আশ্রয় নিবে। আইন হাতে তুলে নিতে দেয়া হবে না। যেই স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রয়েছে কাউকে অন্যায় করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আল কোরআনের আইন, ইসলামি শাসন ব্যবস্থা ছাড়া রাষ্ট্রে পরিপূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। এসময় জেলা আমীর শাহ আলম বলেন, যদি আমাকে কখনো দ্বায়িত্ব দেন অঙ্গীকার করছি সকল প্রকার অসত্য, অন্যায় ও অবিচারকে দমন করে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। গলাচিপা শহরে বহমান খাল খননের বিষয় তিনি সরকারকে আহ্বান জানান খালের দুইপাশের বাসিন্দাদের বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে।

    গণ সমাবেশে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা জানাতে ও বরণ করতে বিশাল শহরে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন দেওয়া হয়। সমাবেশস্থলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সমর্থকরা উপস্থিত হয়। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুব বিভাগ ও ছাত্রশিবিরের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যায় পৌর মঞ্চ চত্বরে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্মরণে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

  • শিক্ষক-শিক্ষার্থী: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

    শিক্ষক-শিক্ষার্থী: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

     

    লেখক : দীপক রঞ্জন দাস।

    “শিশু হলো উদ্যানের চারাগাছ। শিক্ষক হলেন তার মালী। শিক্ষকের কাজ হলো সযত্নে চারাগাছটিকে বড় করে তোলা। শিশুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা সৎ ও সামাজিক গুণাবলীর বিকাশ সাধন করা শিক্ষকের কর্তব্য।

    (ফ্রেডরিক ফ্রয়েবেল) চিনের প্রাচীন নেতা কনফুসিয়াস বলেছেন—“ শিক্ষক হবেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উৎস। তিনি একজন আর্দশ শাসক”। শিক্ষা আলোকিত সমাজ বিনির্মানের হাতিয়ার। শিক্ষক হলো সুনিপুণ কারিগর। শিক্ষা ছাড়া আলোকিত মানুষ সৃষ্টি কোনভাবেই সম্ভব নয়।
    একজন শিক্ষকের কিছু কাজ ও দায়বদ্ধতা আছে। এ কাজ ও দায়বদ্ধতা সহকর্মীদের কাছে, সমাজের কাছে, দেশ ও জাতির কাছে, আগামী প্রজন্মের কাছে। একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। শিক্ষক শুধু সফল নয়, একজন ভালো মানুষ হতে শেখান। মানবিক বিপযর্য় বা বৈশ্বিক, অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিমমার্নে শিক্ষকরা অবিরাম ভূমিকা রেখে চলেছেন। শিক্ষক হচ্ছেন সভ্যতার ধারক—বাহক। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানই করেন না, তিনি মানুষ গড়ার কারিগরও।

    প্রেক্ষিত: বাংলাদেশ
    সমাজ ও ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা এই তিনটির সাথে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। শিক্ষকতা হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীন পেশাগুলোর একটি। তবে বর্তমান সময়ে কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ দ্বারা এই পেশাটি কলুষিত হচ্ছে। শিক্ষকদের মূল্যবোধ নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। কিছু শিক্ষক বেশী আলোচিত হচ্ছেন তাদের কর্মকান্ডের জন্য। শিক্ষক সমাজ আজ প্রাইভেট—কোচিং ব্যবসাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণীর শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীরা যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছে। অযোগ্য ব্যক্তিরা রাজনৈতিক পরিচয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাচ্ছেন। সৎ, ন্যায় পরায়ন ও আলোকিত ব্যাক্তিরা শিক্ষক হিসাবে মর্যাদা পাচ্ছেন না।

    শিক্ষকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে দলাদলি, গ্রুপিং—লবিং, কোন্দল, অতিমাত্রায় দলীয় রাজনীতির চর্চা ও আনুগত্য। পদ পাওয়ার লোভে শিক্ষক সমাজ আজ ছুটছেন দলীয় নেতার পিছনে। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস শিক্ষা ব্যবস্থাকে করছে ধ্বংস। কয়েকদিন আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষককে গেপ্তার করা হয়েছেন। যাঁরা জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার কথা, সেই শিক্ষকরা যদি এইরকম নিকৃষ্ট কাজের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে এর চেয়ে হতাশাব্যঞ্জক আর কী হতে পারে? কয়েকজনের জন্য এই কলংকটা পুরো শিক্ষক সমাজের উপর পড়েছে। আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশার সাথে নিজেদেরকে জড়াতে রাজি নন। সবার ইচ্ছা বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার। আর শিক্ষকেরা নিজেদেরকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবসার সাথে, সম্পৃক্ত করেছেন এবং টাকা উপার্জনের বিকল্প পন্থা বের করছেন।

    সাধারনভাবেই বলা যায়, আদর্শ শিক্ষক তিনিই, যিনি তার দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকবেন, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি স্নেহ ও দায়িত্বশীল হবেন, পড়ানোর পূর্বে পাঠ সম্পর্কে অবগত হবেন, পাঠ্যের বাহিরেও বিভিন্ন বিষয়ে যার পড়াশোনা থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ শিক্ষকের কাছে না পড়ানোটাই ফ্যাশন, ক্লাসে দেরি করে উপস্থিত হওয়াটা রীতি, ছাত্রছাত্রীদের থেকে দূরে থাকাটাই সার্থকতা।

    শিক্ষকদের করণীয়: সমাজের প্রত্যাশা মোতাবেক একজন শিক্ষক হবেন জ্ঞানতাপস, মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত, ব্যক্তিত্ববান, চৌকস, শ্রেণীকক্ষে আগ্রহী পাঠদানকারী ও জ্ঞানবিতরণে আন্তরিক। তিনি সুবিচারক, সুপরীক্ষক, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রক, যুক্তিবাদী, গবেষক এবং উদ্ভাবকও। তিনি সঠিক পথের দিশারী, পথ প্রদর্শক। অবশ্যই সৎ ও ধার্মিক। শিক্ষক সহজ হবেন, সরল হবেন, নির্মল হবেন, হবেন অকুতোভয় সত্যবাদী। সুপ্রতিভ ব্যক্তিত্ববান, সমাজ হিতৈষী, পরোপকারী এবং আধুনিকতা মনস্ক বিচক্ষন সমাজ সংস্কারক। শিক্ষক হবেন চারিত্রিক দৃঢ়তাসম্পন্ন, পরিশ্রমী, নিরপেক্ষ, হাস্যেজ্জ্বল, সুপরামর্শক ও প্রাণবন্ত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীকে পাঠ বুঝিয়ে দিলেই শিক্ষকের দায়িত্ব শেষ নয়, পাঠ্য বিষয়ের বাইরে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় মূল্যেবোধের আলোকে শিক্ষার্থীর আচরন নিয়ন্ত্রন করা শিক্ষকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ অর্থে বিদ্যালয়কে ‘সমাজের ক্ষুদ্র সংস্করণ বলা হয়’।

    একজন শিক্ষক শুধুই শিক্ষক নন তিনি একজন প্রশিক্ষকও বটে। শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কোন বিষয় বুঝিয়ে দেন, বা শিখিয়ে দেন তখন তিনি শিক্ষক; যখন সৃজনশীলতা, সততা, দক্ষতা, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, শিষ্টাচার, দেশপ্রেম নেতৃত্ব, কষ্ট সহিষ্ণুতা, গণতন্ত্রীমনষ্কতা ও পরমতসহিষœুতা ইত্যাদি সহ শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমের বিষয়গ–লো নজরদারিতে রাখেন ও নিয়ন্ত্রন করেন তখন ঐ শিক্ষকই একজন প্রশিক্ষক। এ জন্য বোধ হয় আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাাহাম লিংকন তার পুত্রের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখেছিলেন— ‘তাকে শেখাবেন পাচিঁট ডলার কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে একটি উপার্জিত ডলার অধিক মূল্যবান।

    আমার পুত্রের প্রতি সদয় আচরণ করবেন কিন্তু সোহাগ করবেন না, কেননা আগুনে পুড়ে ইস্পাত খাঁটিঁ হয়। আমার সন্তানের যেন অধের্য হওয়ার সাহস না থাকে’। শিক্ষক মূল্যবোধ বিনিমার্নের আদর্শ কারিগর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূল্যবোধ চর্চার অনন্য কারখানা। একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে মূল্যবোধে উজ্জীবিত করে সমাজকে করতে পারে আলোকিত ও উদ্ভাসিত। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজের মধ্যদিয়ে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীকে মূল্যবোধের পরীক্ষা দিয়ে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় চলছে। পাশ্চাতের স্টাইলে গড়ে উঠেছে সমাজ ব্যবস্থা। নগ্নতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, মাদক যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। মূল্যবোধের চরম সংকট মুহূর্তে দেশের শিক্ষক সমাজকে শ্রেণীকক্ষসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল্যবোধ বিকাশের জন্য সর্বাত্বক ভূমিকা রাখতে হবে। একমাত্র আদর্শ শিক্ষকই পারেন শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে নৈতিকতার বিকাশ ঘটাতে। শিক্ষাই আলো, শিক্ষা ছাড়া সকল পথ বা মত অন্ধকার। নৈতিক শিক্ষাই জাতির একমাত্র পাথেয়। জ্ঞানতাপস ভাষা বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন— ‘নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষক ও শিক্ষাই পারে একজন মানুষকে সঠিক ও সুন্দর পথ দেখাতে। এজন্যই প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে প্রকৃত খোদাভীরু, আদর্শ ও নৈতিকতাধারা শিক্ষকের বিকল্প নেই’। শিক্ষক শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক দুঃখ, ব্যথা, প্রয়োজন ও অসহায় অবস্থার কথা আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করবেন এবং এইগুলোর উৎকর্ষ সাধনে ব্রতী হবেন এটাই স্বাভাবিক। দার্শনিক প্লেটোর মতে “শিক্ষক হবেন ভাববাদী চিন্তার প্রত্যক্ষ ফসল, শিক্ষার মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করবেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হলো শিক্ষকের দায়িত্ব”।

    একজন শিক্ষককে মনেপ্রাণে শিক্ষক হতে হবে। যিনি তাঁর পেশাকে ভালোবাসবেন তিনি হবেন সৎ, নিষ্ঠাবান, ন্যায়পরায়ন, সংবেদনশীল ও মানবিক। তাঁকে তার দায়িত্বের কর্তব্যের প্রতি হতে হবে আন্তরিক। শিক্ষক হবেন শিক্ষার্থীর পরম বন্ধু, উপযুক্ত পথ প্রদর্শক এবং বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ দার্শনিক। কোন কঠিন বিষয়কে সহজভাবে ছাত্রদের সামনে উপস্থাপন করা শিক্ষকের একটি বড় গুন। শিক্ষার্থীর উপর সাধ্যের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করা, শিশুকে তার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী পাঠদান করানোসহ নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রীদের সবার সাথে সমান আচরণ করতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষকই জাতির মেধা গড়ার কারিগর। তাই তাকে হতে হবে আট—দশটি মানুষের তুলনায় সেরা। একজন আদর্শ শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য হবে— ছাত্র/ছাত্রীদের যেকোন সমস্যার ভালভাবে বুঝানোর ক্ষমতা বা দক্ষতা। সব ধরনরে পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া। ছাত্র—ছাত্রীদের সত্যের পথে চালিত করা। ছাত্র—ছাত্রীদের সাথে আত্মিক বন্ধন তৈরি করা। আনন্দের সাথে পড়ানো, যাতে করে ছাত্র—ছাত্রীরা পড়ায় মনোযোগী হয়। শিক্ষাক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা। উপস্থাপনের দক্ষতা। পরিবর্তনশীল মনোভাব। মিষ্টভাষী ও সদালাপী হওয়া। কথায় ও কাজে, পোশাক ও রুচিতে. পেশায় ও কর্তব্য পালনে শিক্ষক হবেন আদর্শবান, ধর্মপ্রাণ, সত্যপ্রিয় অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বন্যায় বড়লেখার দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ২৪ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই-খাতা কিনে দিয়ে তাদের পাঠদান করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস। এছাড়া করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে তিনি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

    গত বছরের ১৫ জুলাই দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাসের মানবিক এসব কাজ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ঐ বছরের ১৬ মার্চ আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের আয়োজনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলেব্রিটি হলে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের মধ্যদিয়ে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাসকে ‘প্রিয় শিক্ষক’ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধন দীপক রঞ্জন দাস জানান, তার এই অর্জনের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

  • যারা রাজনীতি করবেন জনগণের সেবা করার জন্য করবেন : ভিপি নুর

    যারা রাজনীতি করবেন জনগণের সেবা করার জন্য করবেন : ভিপি নুর

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: যারা রাজনীতি করবেন তারা জনগণের সেবা করার জন্য রাজনীতি করবেন। জনগণের প্রতি দায় ও দরদের জায়গা থেকে রাজনীতি করবেন। এত অত্যাচার, নির্যাতন ও দাম্ভিকতার সাথে শেখ হাসিনা এত কথা বলেছে তারও কিন্তু নিষ্ঠুর পতন হয়েছে। হেলিকপ্টার করে পালিয়ে যেতে হয়েছে সাথে কিছু নিয়ে যেতে পারে নাই। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এমন বাড়াবাড়ি, পিড়াপিড়ির কাজ করবেন না যাতে আপনাদের ওইরকমই পালিয়ে যেতে হয়”। মঙ্গলবার নিজ উপজেলা গলাচিপায় এক জনসভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপায় হাইস্কুল মাঠে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে গণসংবর্ধনা ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভিপি নুরুল হক নুর।

    বক্তব্যে তিনি বলেন, ”আমি আপনাদের এই অঞ্চলের সন্তান। আমরা বাবা কোন জমিদার না, কোন লালবাহাদুর না। আপনাদের মত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সেই জায়গা থেকে আপনাদের সন্তান হিসেবে আজকে গণঅধিকার পরিষদ নামে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। সেই দল ট্রাক মার্কায় নিবন্ধন পেয়েছে।”

    এছাড়া তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের ভালোবাসা নিয়ে ডাকসুর ভিপি হয়েছিলাম। এটা আপনাদের গর্ব। ভিপি হওয়ার পর নিজ এলাকায় যখন আসি তখন ফ্যাসিষ্ট সরকারের ছাত্রলীগ কতৃক নিযার্তিত হই।  তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিনি কারন মনে করেছি কুকুরের কাজ কুকুরে করেছে , কামড় দিয়েছে পায়। তাই বলে কি কুকুরে কামড়ানো মানুষের শোভা পায় ? ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২৫বার  নিযার্তনের শিকার হয়েছি। গুম খুন ও টাকা পাচার করে শেখ হাসিনা দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। জনগনের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। জুলাই আগস্টের বিপ্লবে রাজপথে থেকে লড়াই করেছি। নিহত সকলকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করছি। বিগত ৫০ বছরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই বিরোধী দলকে দমন পিড়ন  করেছে। তারা টেন্ডারবাজী চর দখল করেছে আর এসব চলবে না। আমি এ এলকার সন্তান আমার বাবা একজন খেটে খাওয়া মানুষ।তাই এলাকার মানুষের প্রতি ভালোবাসা অপরিসীম। গন অধিকার পরিষদ সারা দেশে সম্প্রীতি ও সহনশীলতা এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

    এসময় তিনি, বিএনপি , জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ ও চরমোনাই সবাই একত্রে চলাফেরা করবেন। কোন সংঘাত চাইনা। আগামী নির্বাচনে পটুয়াখালী ৩ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা ও সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহবান জানান নুর।

    আয়োজিত গণসংবর্ধনা ও জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি মো. শহিদুল ইসলাম , সহসভাপতি আবু হানিফ হৃদয়, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম , আনিসুর রহমান মোল্লা , প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম , কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইউসূফ গাজী , ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক আ. রহিম ও সাদ্দাম হোসেন। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হক নূর এর বাবা মো. ইদ্রিস হাওলাদার , মো. হাতেম মাস্টার , মো. রেজাউল হাওলাদার ও ডা: অনুতোষ দাস প্রমূখ। মঞ্চ ও সভা সঞ্চালনা করেন মোঃ মোহেবুল্লাহ এনিম ও সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মো. জাকির মুন্সি। দুপুর থেকে জনসভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থক আসতে শুরু করে। হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে সমাবেশ স্থলে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

  • গলাচিপায় ছাত্রদলের উদ্যােগে ন্যায্য মূল্যের দোকান

    গলাচিপায় ছাত্রদলের উদ্যােগে ন্যায্য মূল্যের দোকান

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যের দোকান বসেছে। এসময় দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে পণ্য কিনে খুশি ক্রেতারা।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শহরের পৌর মঞ্চ চত্বরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। দোকানটি সকাল ১০টায় শুরু হয়। গলাচিপা উপজেলা ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও গলাচিপা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই দোকান পরিচালনা করেন।

    জানা যায়, ন্যায্য মূলের এ দোকানে ডিম প্রতি পিস ১১ টাকা, গাডা ৪০ টাকা কেজি, পটল ৪৫ টাকা কেজি, প্রতিপিস লাউ ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, ভেন্ডি (ঢেড়স) ৪০ টাকা, ধনিয়া প্রতি আঁটি ২৫ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, কুমার ৫৫ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ও প্রতি কেজি সিম ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। যা খুচরা বাজারের মূল্যের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।

    দোকানে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খুচরা বাজারের থেকে এখানে দাম কম শুনে তারা এসেছেন। যে বাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হতো এখানে ২০০ টাকায় পাওয়া গেছে। এই দোকান চলমান রাখতে পারলে জনসাধারণ উপকৃত হবেন। এসময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করতে উপজেলা প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতেও অনুরোধ করেন তারা।

    গলাচিপা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ প্রিতম বলেন, দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদের ন্যায্য মূল্যের দোকান। প্রতি সপ্তাহে একদিন এই দোকান পরিচালনা করা হবে। মানুষজন দোকান শুরুর সাথেই পণ্য ক্রয় করতে ভিড় করছে। অল্প সময়ের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাবে।

    উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় রুবেল বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা পাইকারি মূল্যে পণ্য কিনে ওই দরেই বিক্রি করছি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাঁচামাল ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এই উদ্যােগ। আমরা উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বাজার মনিটরিং করতে।

  • নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে রবি বিশ্বাসের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা

    নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে রবি বিশ্বাসের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা

    খন্দকার আছিফুর রহমান তোতা : নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে বিএনপি নেতা রবি বিশ্বাসের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে  নড়াইলের কলোড়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান প্রবাসী বিএনপি নেতা রবি বিশ্বাসের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।

    গত ২৭ অক্টোবর নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে কাউন্সিলরদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন এবং ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ও সাংগঠনিক সম্পাদক।

    এ উপলক্ষে কলোড়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সৌদি প্রবাসী  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাসের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন  ৮ নং কলোড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।

    ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বক্কার বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান আলেক ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান পলাশ -এর বাসভবনে গিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে সংবর্ধনা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আগদিয়া ওয়ার্ড বিএনপির  সভাপতি হানিফ বিশ্বাস, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সেলিম মিনা, ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনিস বিশ্বাস, শিমুলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাকির মোল্যা সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

  • কৃষি শিক্ষক থেকে বনে গেছেন গণিত শিক্ষক, খুলে বসেছেন কোচিং বাণিজ্য

    কৃষি শিক্ষক থেকে বনে গেছেন গণিত শিক্ষক, খুলে বসেছেন কোচিং বাণিজ্য

    মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন কৃষি শিক্ষক থেকে বনে গেছেন গণিতের শিক্ষক। অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধাভোগের জন্য খুলে বসেছেন কোচিং বাণিজ্য। গণিত বিষয়ের শিক্ষক না হয়েও শিক্ষার্থীদের গাইডবই দেখে অঙ্ক শেখাচ্ছেন ওই শিক্ষক। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণে ‘এসো পড়াশোনা করি’ নামে ফেইসবুক পেইজ খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং এর প্রচারণা। কোচিং মালিক শাখাওয়াত হোসেন নিজে ও ২জন শিক্ষক বেতন দিয়ে রেখে নিয়মিত ব্যাচ করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ২০১২ সালে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা’ জারি করে সরকার। এই প্রতিবেদন তৈরির এক অনুসন্ধানে রেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ বেশ তথ্য। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাখাওয়াত হোসেন গলাচিপা পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডে গলাচিপা সরকারি কলেজের পাশে ২০২৩ সালে কোচিং চালু করে। সেখানে দুইটি রুম ভাড়া নিয়ে দুই বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজে ও আরও দুইজন শিক্ষক বেতন দিয়ে রেখে সব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং এ পড়ান। তিনটি ব্যাচ করে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জন প্রতি ২০০০ টাকা বেতন আদায় করেন তিনি। সূত্র আরও জানায়, প্রতিদিন বিকাল ৪ টা থেকে কোচিং শুরু হয়ে চলে রাত ৮ টা পর্যন্ত। শাখাওয়াত হোসেন আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষকদের উপস্থিত থাকতে হয়। সেখানে স্কুল ফাঁকি দিয়ে এসে প্রতিদিন বিকাল ৪টায় কোচিং এ ক্লাস নেন তিনি।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ইতোমধ্যেই কোচিং ছেড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। সেখানে প্রায়ই ঘটছে বিভিন্ন ঘটনা। হাতেগোনা কিছু প্রকাশ পেলেও অধিকাংশই থাকছে আড়ালে। এদিকে শিক্ষকতা পেশার বাইরেও নামে বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ এনে ব্ল্যাকে বিক্রি করেন ওই শিক্ষক। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ড জন্ম দিয়েছে আলোচনা সমালোচনা। এদিকে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক অর্থাৎ যে সব শিক্ষক এ বিষয়গুলোতে অনার্স কিংবা মাস্টার্স করেছেন তাদেরই পড়ানোর কথা। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না হওয়ার কারণে এ ঘাটতির প্রভাব স্বভাবতই শিক্ষার্থীদের শিখনফলে পড়ে।

    কোচিং এর বিষয় জানতে চাইলে অস্বীকার করেন শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রাইভেট পড়াই। কিন্তু দু’জন শিক্ষক বেতন দিয়ে রাখার বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

    দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কোচিং সেন্টার চালাতে পারে না। সে কোচিং খুলেছে কিনা এ বিষয় জানা নাই। 

    উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আবুল কালাম সাঈদ বলেন, আইনগতভাবে কোচিং সেন্টার খোলার অনুমতি নাই। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি এ কোচিং সেন্টারে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে, কোনো শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত হতে পারেন না। নিজে কোচিং সেন্টারের মালিক হতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে পড়তে উৎসাহিত, উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করতেও পারেন না।

  • ভোলায় মাছের জালে ধরা পড়লো তিন শিশুর মরদেহ

    ভোলায় মাছের জালে ধরা পড়লো তিন শিশুর মরদেহ

    এডি পিনব(নিউজ ডেস্ক):-
    সোমাবারে ভোলায় তিন শিশু গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া পার বিভিন্ন বাড়ি সহ খোঁজে না পাওয়ার পর পুকুরে জাল ফেলে তাদের খোঁজা শুরু হয়। এক পর্যায়ে জালে ধরা পড়ে ৩ জন শিশুর লাশ।দুপুর আড়াইটায় ভোলার তজুমদ্দিন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা পরিচয় মারজিয়া বেগম (৯), মিম আক্তার (১১) ও রাফিয়া আক্তার (১০)। মৃত তিন শিশুর মধ্যে মিম ও মারজিয়া বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী মো. হোসেনের মেয়ে। মিম ও মারজিয়া তারা আপন দুই বোন। অপর আরেক শিশু রাফিয়া তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধনু হাওলাদার বাড়ির প্রবাসী মো. মোর্শেদ মিয়ার মেয়ে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) শংকর তালুকদার বলেন, পানি ডুবে তিনজন নিহতের ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় তিনটি অপমুত্যুর মামলা দায়েরের হয়েছে।

  • বড়লেখায় ওসি’র সাথে ব্যবসায়ী সমিতির মতবিনিময় 

    বড়লেখায় ওসি’র সাথে ব্যবসায়ী সমিতির মতবিনিময় 

     

     

    হানিফ পারভেজ,বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

     

    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম এর সাথে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি বড়লেখা’র নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় করেন।

     

    রবিবার(২৭ অক্টোবর) ওসি সাহেবের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক হাজী আব্দুল হান্নান, কমিটির উপদেষ্টা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবিদুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য এম. এম আতিকুর রহমান, আব্দুর রহমান মানিক, মীর শামীমুর রহমান, জুনেদ আহমদ, আবুল হোসেন, তারেক মাহমুদ নাজিম, আব্দুল হাসিব, শামীম আহমদ, আলা উদ্দিন আলাই প্রমুখ।

     

    মতবিনিময় সভায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও উন্নয়ন দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, শীঘ্রই জনবল বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ সকলের সহযোগিতা পেলে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে মাদক, চোরা কারবারি, ইভটিজিং, অসামাজিক কার্যকলাপ, সামাজিক নিরাপত্তা সহ আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

    এসময় সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সহায়তা কামনা করে প্রশাসনের নীতিগত কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার পক্ষে সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।