Blog

  • পাকিস্তান-চীন ২.৯ বিলিয়ন ইউয়ানের স্যাটেলাইট চুক্তি: বেসামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে নতুন দিগন্ত

    পাকিস্তান-চীন ২.৯ বিলিয়ন ইউয়ানের স্যাটেলাইট চুক্তি: বেসামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে নতুন দিগন্ত

    DSF NEWS DESKreport:  কিস্তান এবং চীনের মধ্যে একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মাধ্যমে পাকিস্তান তার স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা পাইস্যাট (PIESAT) এবং পাকিস্তানের মধ্যে এই ২.৯ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের চুক্তিটি ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত একটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে চূড়ান্ত হয়। এই চুক্তি পাকিস্তানের বেসামরিক এবং প্রতিরক্ষা খাতে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

    চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC)-এর আওতায় এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে মহাকাশ সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। এটি পাকিস্তানকে একটি স্বনির্ভর স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করবে, যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যবেক্ষণ এবং টেলিকমিউনিকেশনের মতো বেসামরিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, প্রতিরক্ষা খাতে এই প্রযুক্তি পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই চুক্তিকে “পাকিস্তানের মহাকাশ খাতে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “চীনের সাথে এই অংশীদারিত্ব আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে এবং উভয় দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।” এর আগে পাইস্যাট পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে স্মার্ট কৃষি প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউয়ানের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যা এই সহযোগিতার ধারাবাহিকতার প্রমাণ।

    পাকিস্তানের স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (SUPARCO) এবং চীনের মহাকাশ সংস্থা চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন (CASC) দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করে আসছে। এই চুক্তির ফলে পাকিস্তান চীনের টিয়াঙ্গং স্পেস স্টেশনে প্রথম পাকিস্তানি মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, পাকিস্তানে একটি অত্যাধুনিক স্পেস সেন্টার স্থাপনের কাজও এগিয়ে যাবে, যা গবেষণা এবং স্যাটেলাইট প্রযুক্তির উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার মহাকাশ প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে। এটি কেবল প্রতিরক্ষা খাতেই নয়, বেসামরিক উন্নয়নেও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। চীন-পাকিস্তানের এই যৌথ উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

  • কাতারের প্রধানমন্ত্রী দোহায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ আখ্যা দিলেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি-তে বিচারের দাবি

    কাতারের প্রধানমন্ত্রী দোহায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ আখ্যা দিলেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি-তে বিচারের দাবি

    কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল-থানি দোহায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-তে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। প্রেসটিভি-র খবরে বলা হয়, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে।

    আল-থানি জানান, দোহায় হামাস নেতাদের উপস্থিতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পূর্বজ্ঞাত ছিল, যা কাতারের মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে তাদেরই অনুরোধে সংঘটিত হয়েছিল। তিনি বলেন, “এই হামলা কেবল আক্রমণ নয়, শান্তি আলোচনার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।” কাতার দীর্ঘদিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-বিনিময়ে।

    এই ঘটনা ইসরায়েল-হামাস উত্তেজনাকে নতুন মোড় দিয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কাতারের এই দৃঢ় অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ কেড়েছে, যা শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন জটিলতা যোগ করতে পারে।

  • কাতারের আমিরের সঙ্গে ফোনালাপে আঞ্চলিক ঐক্যের আহ্বান:  ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    কাতারের আমিরের সঙ্গে ফোনালাপে আঞ্চলিক ঐক্যের আহ্বান:  ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ভাষণের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি ইসরাইলকে “আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির সরাসরি হুমকি” হিসেবে অভিহিত করেছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে একটি ফোনালাপের সময় এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে আরাগচি কাতারের স্বার্থের উপর ইসরাইলি হামলাকে কট্টরভাবে নিন্দা করে আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ইসরাইলের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার উপর জোর দিয়ে আরও আক্রমণ রোধ করার প্রস্তাব করেছেন।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবারের নিশ্চিতকরণ অনুসারে, এই আলোচনা অঞ্চলের গভীর ফাটলগুলোকে তুলে ধরেছে, যেখানে জোটগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে এবং প্রক্সি সংঘাতগুলো উত্তপ্ত হতে থাকছে। আরাগচির মন্তব্যগুলো ইসরাইল, ইরান এবং তাদের মিত্রদের জড়িত চলমান বিরোধের সম্ভাব্য প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সতর্কতার মধ্যে এসেছে। তেহরান ও দোহার মধ্যে এই সংলাপ ইসরাইলি অতিরিক্ততার বিরুদ্ধে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সম্ভাব্য সমন্বয়ের ইঙ্গিত দেয়, যদিও কাতার বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে চলেছে।

    ফোনালাপ: ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অস্ত্রের আহ্বান

    দুই পক্ষের অফিসিয়াল রিডআউট অনুসারে, আলোচনার ফোকাস ছিল সাম্প্রতিক অভিযোগিত ইসরাইলি হামলায়, যা কাতারের সঙ্গে যুক্ত সম্পদগুলোকে লক্ষ্য করে। হামলার বিস্তারিত তথ্য এখনও অস্পষ্ট – ইসরাইলি কর্মকর্তারা জড়িত থাকার নিশ্চয়তা না দিয়ে অস্বীকারও করেননি – কিন্তু আরাগচি এটাকে “জায়োনিস্ট আক্রমণের” একটি বৃহত্তর ধারার অংশ হিসেবে চিত্রিত করেছেন, যা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে। “ইসরাইলের কর্মকাণ্ডগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং শান্তির বিরুদ্ধে একটি পদ্ধতিগত হুমকি,” আমিরকে বলে আরাগচি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে, যেখানে তিনি এমন চালগুলো শুধু প্রতিবেশী দেশগুলোকেই নয়, সমগ্র আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকেও বিপন্ন করে বলে জোর দিয়েছেন।

    কাতার, যা তার সুষম বিদেশনীতির জন্য পরিচিত, ঐতিহাসিকভাবে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে জটিল সম্পর্ক নেভিগেট করে। এই ছোট উপসাগরীয় দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি হোস্ট করে এবং একই সঙ্গে হামাস নেতাদের আশ্রয় দেয় এবং ইসরাইল-গাজা সংঘাতে জিম্মি নেগোশিয়েশনে সহায়তা করে। তবে, ইরানের এই সর্বশেষ নিন্দা কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে একটি ঘুরপাক খাওয়ার সংকেত দিতে পারে। আমির আল থানি, উত্তরে, ইরানের উদ্বেগের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, যদিও কাতারী রাষ্ট্রীয় মিডিয়া টাই ছিন্ন করার আহ্বানকে সমর্থন না করে সংলাপের পক্ষে আরও পরিমিত সুরে থেমে গেছে।

    আরাগচি ঐক্যের প্রয়োজনীয়তায় কথা কাটেননি। তিনি “আঞ্চলিক সমন্বিত প্রতিক্রিয়া” প্রস্তাব করেছেন, যাতে অর্থনৈতিক বয়কট, কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং প্রয়োজনে যৌথ সামরিক অবস্থান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। “নিষ্ক্রিয় পর্যবেক্ষণের সময় শেষ,” তিনি আহ্বান জানিয়েছেন বলে আলাপের সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে। এই সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের জন্য চাপ ইরানের দীর্ঘদিনের কৌশলকে প্রতিধ্বনিত করে, যা ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর মতো ফোরামে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করে সাফল্য পেয়েছে।

    আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বৃহত্তর প্রভাব

    এই আদান-প্রদানের সময়সীমা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। লেবানন সীমান্তে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তপ্ত বিনিময়ের কয়েক সপ্তাহ পর এবং ইরানের সঙ্গে স্থবির নিউক্লিয়ার আলোচনার মধ্যে, অঞ্চলটি বৃহত্তর সংঘাতের প্রান্তে দোলাচল করছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, আরাগচির কাতারের প্রতি যোগাযোগ তেহরানের ইসরাইলকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার বৃহত্তর কূটনৈতিক অভিযানের অংশ। “ইরান প্রত্যেক সুযোগকে জোট গড়ার জন্য ব্যবহার করছে,” বলেছেন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ড. এলেনা ভাসকোয়েজ। “ইসরাইলকে বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসেবে ফ্রেম করে, তারা শিয়া মিত্রদের বাইরে আরও বড় দর্শকবর্গের আবেদন করছেন।”

    কাতারের প্রতিক্রিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। শক্তি বাজারে একটি মূল খেলোয়াড় এবং বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্টের হোস্ট হিসেবে, দোহাকে সরাসরি সংঘাত থেকে অনেক কিছু হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের ছবিগুলো দ্বারা উস্কানিপ্রাপ্ত আরব বিশ্বের জনমত আমিরকে দৃঢ় অবস্থান নিতে চাপ দিতে পারে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা – ২০২৩-এর উত্তপ্ততার পর কয়েকটি দেশের দ্বারা গৃহীত একটি পদক্ষেপ – কাতারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে, যার কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই কিন্তু পরোক্ষ চ্যানেল বজায় রাখে।

    অর্থনৈতিকভাবে, বয়কটের আহ্বান বিশ্ববাজারে তরঙ্গ তুলতে পারে। ইসরাইল-কাতার বাণিজ্য, যদিও সীমিত, টেক সহযোগিতা এবং মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গ্যাস চুক্তি জড়িত। একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক ছিন্নতা সাপ্লাই চেইনগুলোকে বিঘ্নিত করতে পারে, বিশেষ করে শক্তিতে, যেখানে কাতার শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক। “এটি শুধু ভাষণ নয়; এর বাস্তব বিশ্বের পরিণতি রয়েছে,” গোল্ডম্যান স্যাক্সের আর্থিক বিশ্লেষক মার্ক লেভিন উল্লেখ করেছেন। “বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা তেলের দামকে প্রভাবিত করার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন।”

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এবং পথচলার দিকনির্দেশনা

    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলের সবচেয়ে দৃঢ় মিত্র, স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি বিবৃতিতে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে উত্তপ্ততা বাড়ানোর কর্মকাণ্ড এড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। “আমরা ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করি কিন্তু সকল পক্ষকে উত্তপ্ততা এড়ানোর জন্য আহ্বান জানাই,” একজন স্পোকসপারসন বলেছেন। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিযোগিত হামলার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল আন্তর্জাতিক আইন পালনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

    রাশিয়া এবং চীন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো-ধারী সদস্য উভয়ই, ইরানের বর্ণনার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়েছে। মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় “বাহ্যিক আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সংহতি” সমর্থন করে একটি বিবৃতি জারি করেছে, যখন বেইজিং “একতরফা কর্মকাণ্ড” শান্তি বিপন্ন করার অবসানের আহ্বান জানিয়েছে।

    এই কূটনৈতিক ভলিতে ধুলো কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, অভিযোগিত ইসরাইলি হামলার সত্যতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নগুলো অব্যাহত রয়েছে। কেউ কেউ অনুমান করছেন যে এটি সাইবার অপারেশন বা কাতারে হামাস-সংযুক্ত সম্পদের উপর লক্ষ্যবস্তু হামলা জড়িত হতে পারে, কিন্তু কংক্রিট প্রমাণ ছাড়া বর্ণনাটি বিতর্কিত রয়েছে। যা স্পষ্ট, তা হলো আরাগচির কথাগুলো সংঘাতের ড্রামবিটকে বাড়িয়ে তুলেছে।

    অনেক দশকের সংঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত একটি অঞ্চলে, এই ফোনালাপ শান্তির কতটা ভঙ্গুর তা স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি যদি স্পর্শযোগ্য কর্মকাণ্ডে পরিণত হয় বা আরও পোজিংয়ে মিলিয়ে যায় তা দেখার বিষয়। এখনকার জন্য, বিশ্ব ইরান ও কাতারকে – অনেকভাবে অসম্ভাব্য সঙ্গী – দেখছে যখন তারা মধ্যপ্রাচ্যের জোটগুলোকে পুনর্নির্মাণ করার পথ চলছে।

    অনিশ্চয়তার মধ্যে ঐক্যের আহ্বান

    আরাগচি ফোনালাপের সমাপ্তিতে কাতারী কর্মকর্তাদের তেহরানে আরও পরামর্শের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা অন্যান্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে জড়িত একটি সম্মেলনের পথ প্রশস্ত করতে পারে। আমির আল থানি, সর্বদা প্র্যাগম্যাটিস্ট, চলমান সংলাপে সম্মতি দিয়েছেন কিন্তু প্রতিশ্রুতির থেকে থেমে গেছেন। উত্তপ্ততা সিমার করার সঙ্গে সঙ্গে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বাস্তবতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে যে এমন কথাগুলো দূরপ্রসারী পরিণতির সঙ্গে কর্মকাণ্ডকে উস্কে দিতে পারে।

    এই উন্নয়নটি এই মাসের শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের একত্রিত হওয়ার সময় এসেছে, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনার প্রধান বিষয় হবে। আরাগচির আহ্বান কি প্রতিধ্বনিত হবে, নাকি প্রতিযোগিতামূলক স্বার্থ দ্বারা মুছে যাবে? সময়ই বলবে, কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত: সংঘাতের ছায়া কখনও এতটা বড় হয়নি।

  • বাংলাদেশ সংকটে রুশ নিউক্লিয়ার ডিলের ছায়া: শেখ হাসিনার পতনের পিছনে কি ছিল ভূ-রাজনৈতিক খেলা?

    বাংলাদেশ সংকটে রুশ নিউক্লিয়ার ডিলের ছায়া: শেখ হাসিনার পতনের পিছনে কি ছিল ভূ-রাজনৈতিক খেলা?

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সাম্প্রতিক অশান্তির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোয় এসেছে—গত বছর রাশিয়া বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নিউক্লিয়ার জ্বালানি সরবরাহ করেছিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। এই ঘটনা অনেকের কাছে এখন প্রশ্ন তুলেছে: যুক্তরাষ্ট্র কেন এই সহিংস অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানিয়েছে? বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে জড়িত হতে পারে, যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে গভীর যোগাযোগ যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করেছে।

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় পারমাণবিক প্রকল্প, যা দেশের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় একটি মাইলফলক। ২০১৫ সালে রাশিয়ার স্টেট অ্যাটমিক কর্পোরেশন রোস্যাটমের সঙ্গে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার ৯০ শতাংশ রাশিয়ার ঋণে অর্থায়িত। প্রকল্পটি দুটি ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর নির্মাণের মাধ্যমে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যা প্রায় ১৫ মিলিয়ন পরিবারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে। গত অক্টোবরে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে, রাশিয়া প্রথম ব্যাচ নিউক্লিয়ার জ্বালানি ঢাকায় পৌঁছে দিয়েছে, যা প্রকল্পটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিউক্লিয়ার সুবিধা’ হিসেবে পরিণত করেছে।

    এই ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং পুতিনের ভিডিও কনফারেন্সিং ছিল একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। সোচিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ঢাকায় হাসিনা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যেখানে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর পরিচালক জেনারেল রাফায়েল গ্রোসি উপস্থিত ছিলেন। হাসিনা রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান, বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তী পুনর্নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা আমরা কখনো ভুলব না।” পুতিনও আশ্বাস দেন যে রাশিয়া প্রকল্পটির পুরো জীবনচক্রে সহায়তা করবে, যার মধ্যে জ্বালানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত। এই চুক্তি বাংলাদেশকে বিশ্বের ৩৩তম নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদক দেশে পরিণত করেছে, যা দেশের শক্তি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কিন্তু এই রুশ-বাংলাদেশ যোগাযোগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী? বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসিনা সরকারের রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২৪ সালের জানুয়ারি নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র হাসিনা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল, যার মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে সমালোচনা ছিল। হাসিনা মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “একটি ‘সাদা দেশ’ (সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র) আমাকে নির্বাচনে অবাধ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে, বিনিময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তাদের সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি চেয়েছে।” এই দ্বীপটি বঙ্গোপসাগরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা চীন এবং রাশিয়ার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত।

    আগস্ট ২০২৪-এ শেখ হাসিনার পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ছিল দ্রুত এবং ইতিবাচক। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই।” সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমারও দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানান। এই স্বাগত জানানোর পিছনে কি ছিল রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার ডিল? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হাসিনার রাশিয়া-পন্থী নীতি যুক্তরাষ্ট্রের চোখে পড়ছিল চীনের প্রভাব বাড়ানোর একটি অংশ হিসেবে। রূপপুর প্রকল্পটি শুধু শক্তির জন্য নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের প্রতীক। ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন জটিল হয়েছে, যা বাংলাদেশকে চীনের ইউয়ানে পেমেন্ট করতে বাধ্য করেছে।

    বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে মুহাম্মদ ইউনুসের অধীনে রূপপুর প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অ্যান্টি-করাপশন কমিশন দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে, যাতে শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের অভিযোগ রয়েছে। রাশিয়া সম্প্রতি ৬৩০ মিলিয়ন ডলারের সুদ পরিশোধের দাবি জানিয়েছে, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে জটিলতর হয়েছে। বিশ্লেষক আলী রিয়াজ বলেন, “এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের শক্তি স্বাধীনতার চাবিকাঠি, কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা এটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাগত জানানো এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।”

    বাংলাদেশের সংকট এখনো শেষ হয়নি। ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে যে অভ্যুত্থান হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছে, তা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। রূপপুরের মতো প্রকল্পগুলো যদি রাজনৈতিক খেলার শিকার হয়, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন স্বপ্ন আরও দূরের পথে চলে যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ—কোনো দেশের স্বার্থ যেন সাধারণ মানুষের ক্ষতি না করে।

  • সাংবাদিক অজামিল চন্দ্র নাথের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা।

    সাংবাদিক অজামিল চন্দ্র নাথের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা।

    স্টাফ রিপোর্টার সাজু আহমেদ: গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, গোলাপগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি ক্যাডেট স্কুল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ঢাকাদক্ষিণ হলিসিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অজামিল চন্দ্র নাথ এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার রাত ৮টায় অজামিল চন্দ্র নাথ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে গোলাপগঞ্জ বেলমন ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিটিউট এর হলরুমে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাকিব আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি রতন মনী চন্দ, দৈনিক একাত্তরের কথা’র স্টাফ রিপোর্টার জয় রায় হিমেল, সাংবাদিক দীনেশ দেবনাথ, প্রতিদিনের আওয়াজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো, রুবেল তালুকদার, ফারহান মাসউদ আফছর, গোলাপগঞ্জ বেলমন ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও শিক্ষক রুবেল আহমদ, রিমন উদ্দিন, শিক্ষক রাহাত আহমদ শুভ, শিক্ষক ও সাংবাদিক সাজু আহমদ, সাংবাদিক রিফাত আহমদ, আরিফ আহমদ, আলম আহমদ প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা অজামিল চন্দ্র নাথের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন।

    উল্লেখ্য,অজামিল চন্দ্র নাথ ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ প্রায় ৪০ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী।

    ৯০ এর দশকে অজামিল চন্দ্র নাথ দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে যুগান্তরের গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় ৩০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ দৈনিক শ্যামল সিলেট ও চ্যানেল এস এর গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    এছাড়াও তিনি সাপ্তাহিক সিলেটের তথ্য পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
    সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি শিক্ষকতা পেশার সাথেও জড়িত ছিলেন। ঢাকাদক্ষিণ হলিসিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও আমৃত্যু গোলাপগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি ক্যাডেট স্কুল এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

  • সিলেটে তালামীযে ইসলামিয়ার মীলাদুন্নবী সা. র‌্যালি অনুষ্ঠিত রাসূল সা. এর আদর্শ সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে

    সিলেটে তালামীযে ইসলামিয়ার মীলাদুন্নবী সা. র‌্যালি অনুষ্ঠিত রাসূল সা. এর আদর্শ সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে

    মোঃ ছালা উদ্দিন, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ আধ্যাত্মিক রাজধানী পূণ্যভূমি সিলেট নগরীতে হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদে মীলাদুন্নবী সা. উপলক্ষ্যে ‘মুবারক র‌্যালি’। বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া’র ঈদে মীলাদুন্নবী সা. র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটি সিলেট আয়োজিত এ র‌্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য সকাল থেকেই সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা জমায়েত হন। সকাল ১০টা থেকে যুহরের পূর্ব পর্যন্ত প্রিয়নবী সা. এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন আনজুমানে আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও আগত অতিথিবৃন্দ। বাদ যুহর র‌্যালি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রিয়নবীর শানে রচিত কালজয়ী নানা কবিতার শ্লোক অঙ্কিত নানা রঙের ফেস্টুন ও প্লেকার্ড র‌্যালিতে শোভাবর্ধন করে। আশিকে রাসূল ছাত্র-জনতার কণ্ঠে উচ্চারিত হয় প্রিয়নবীর প্রশংসাগীতি। সালাম সালাম নবী সালাম সালাম, মাওলা ইয়া সাল্লি ওয়া সাল্লিম, বালাগাল উলা বি-কামালিহি, শামসুদ্দোহা আসসালাম- এরকম অগণিত নাত-এর সুমধুর সুর লহরি নগরীর আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলে।

    র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, হযরত মুহাম্মদ সা. সমগ্র জাহানের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর আগমনে পৃথিবী অন্ধকার থেকে আলোর পথ পেয়েছিল। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতের সরদার। তিনি শুধুমাত্র নবুওয়াত প্রকাশের পরে নয় বরং বাল্যকাল থেকেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পৃথিবীর এমন কোনও লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, মযলুম ব্যক্তি নেই, যার স্থান তাঁর কাছে ছিলোনা। তিনি ছিলেন মযলুমদের আশ্রয়স্থল। তায়েফের ময়দানে তিনি সবচেয়ে বেশি দুঃখিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তায়েফবাসীদের কখনো বদদুআ দেননি।
    বক্তারা আরো বলেন, আল্লাহর নবী সা. এর আলোচনা উত্তম কাজ। শুধু তাই নয় এটি সুন্নাতে এলাহি ও সুন্নাতে সাহাবি। উম্মতে মুহাম্মদীর সালাত ও সালাম আল্লাহর হাবীব সা. এর দরবারে পৌঁছায়। শুধু পৌঁছায় না, বরং তার পরিচয়ও তুলে ধরা হয়। পৃথিবীব্যাপী দিকে দিকে অশান্তির ঘনঘটা। এর থেকে মুক্তির সমাধান রয়েছে উসওয়ায়ে মুসতাফায়। আমাদের ঘরে-বাহিরে, চিন্তা-চেতনায় রাসূল সা. এর আদর্শ অনুসরণ করা প্রয়োজন। তাঁর অনুসরণ ব্যতিত আল্লাহকে পাওয়ার কোনও পথ নেই। তাঁর উসওয়াকে ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আল্লাহর হাবীবের আলোচনা, তাঁর সীরাতকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাঁর আনুগত্যই আমাদের ঈমান। যে সকল অসামাজিকতা সমাজে বিরাজ করছে, শয়তানের তাবেদার বানানোর যে দুরভিসন্ধি চলছে; এগুলো থেকে বেঁচে থাকতে রাসুল সা. এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। আমরা তাঁর উসওয়ার দিকে যত ধাবিত হবো, ততো আমাদের পরিবার ও সমাজ সুন্দর হবে।

    র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হযরত আল্লামা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল করিম মহসিন।

    র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সুলাইমান আহমদ চৌধুরী এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হুসাইন আহমদ এর পরিচালনায় র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র নির্বাহী সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জ.উ.ম আব্দুল মুনঈম মনজলালী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলীপুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ মো. কুতবুল আলম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের কাউন্সিল মেম্বার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নাজমুল ইসলাম।

    র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মারুফ আহমদ এর স্বাগত বক্তব্যে সূচিত র‌্যালিপূর্ব আলোচনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসেন, মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান, মুহা. শরীফ উদ্দিন, মাওলানা হুমায়ূনুর রহমান লেখন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ উসমান গণি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা মো. জাহেদুর রহমান, লতিফিয়া এতিমখানা ফুলতলীর ব্যবস্থাপক মাওলানা ফারহান আহমদ চৌধুরী রেদা, আনজুমানে আল ইসলাহ’র সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান তাজুল, সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছালেহ আহমদ, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাবেদ হোসাইন, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী আব্দুস সামাদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মুজাহিদ প্রমুখ।

    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলী রাব্বি রতন, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আহমদ আল জামিল, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, মাসরুর হোসেন জাফরী, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক হাফিয তৌরিছ আলী, কেন্দ্রীয় সহ অফিস সম্পাদক উবায়দুর রহমান শাহান, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ রেদওয়ান হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক নাসির খান, মো. ছাদেকুর রহমান, সহ-শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শোয়েব আহমদ, কেন্দ্রীয় সদস্য- আমিমুল ইহসান তাহসিন, এম. শামছ উদ্দিন, রেজাউল করিম, হাবিবুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য এনাম উদ্দিন আহমদ, ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী, গাওছুল আলম।

    আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মুসলেহ উদ্দিন কাওছার, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি হোসাইন আহমদ, সাবেক সভাপতি হাফিজ সাদ উদ্দিন, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সাজু, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি আবু হেনা ইয়াসিন, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ফয়েজ আহমদ নোমান, শাবিপ্রবি সভাপতি জুবেল আহমদ, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি শামসুদ্দিন মামুন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সভাপতি আব্দুল আহাদ আকবর, সিলেট মহানগরীর সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, আরিফ হোসাইন সামাদ, ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান বাপ্পি, সিলেট পশ্চিম জেলা সহ-সভাপতি ইমরান আহমদ সুফি, নাজমুল ইসলাম শিহাব, সিলেট পূর্ব জেলা সহ-সভাপতি আহমদ আল মনজুর, জায়েদুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম নোমান, সিলেট পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল ইসলাম, সিলেট পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়িদ মো. আশিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মহসিন আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহ সামায়ুন কবির, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ নাঈম, শাবিপ্রবি সাধারণ সম্পাদক আফসার হোসাইন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সিলেট সাধারণ সম্পাদক মাহদি বিন আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

    সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা: তালামীযে ইসলামিয়া আয়োজিত ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) র‌্যালিকে সফল ও সার্থক করে তোলা সহ সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য সর্বস্তরের সিলেটবাসী, প্রশাসন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া কর্মীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সুলাইমান আহমদ চৌধুরী ও সদস্য সচিব হুসাইন আহমদ। তারা র‌্যালির কারণে নগরবাসীর যাতায়াতে সাময়িক বিঘ্ন ঘটায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

  • সিলেটের গোলাপগঞ্জ  অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মোল্লার নিখুঁত প্রশাসন স্থানীয়দের কাছে প্রশংসার যোগ্য

    সিলেটের গোলাপগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মোল্লার নিখুঁত প্রশাসন স্থানীয়দের কাছে প্রশংসার যোগ্য

    মো, রুবেল তালুকদারঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মোল্লা স্থানীয় জনগণের মাঝে বিশেষ শ্রদ্ধা ও আস্থা অর্জন করেছেন। থানায় মনিরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও দুর্নীতি মোকাবেলায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, থানার কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ, দ্রুত এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীন থাকা কিছু মামলা দ্রুত সমাধান হয়েছে এবং অপরাধীরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে শাস্তি পেয়েছে। একই সঙ্গে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি থানার সেবা আরও জনমুখী করেছেন।এলাকার কিছু নিরীহ মানুষ জানান মনিরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে থানায় নিরাপত্তা এবং প্রশাসনের মান ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করেছি। তিনি সত্যিই জনগণের প্রতি যত্নশীল এবং দায়িত্বপরায়ণ,স্থানীয়রা এভাবে মন্তব্য করেছেন।

    মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, “আমার লক্ষ্য হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানার কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করা। আমি চাই সবাই নিরাপদে এবং বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের থানার সেবা পেতে পারে।
    পুলিশ বিভাগের অভ্যন্তরে তার কঠোর পরিশ্রম,সততা এবং দায়িত্ববোধের জন্য তাকে সমাদৃত করা হয়েছে। এই ধরনের নেতৃত্ব স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পুলিশি সেবা ও ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় করেছে।

  • কুলাউড়ার মনসুর এলাকায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

    কুলাউড়ার মনসুর এলাকায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

     

     

    রুবেল বখস পাভেল কুলাউড়া।

    কুলাউড়া উপজেলার ৬নং কাদিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মনসুর এলাকায়, ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ মাগরিব মনসুর সাইন বোর্ড মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

    বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি ; তথ্য দিন সেবা নিন এই শ্লোগানগুলোকে সামনে রেখে কুলাউড়া থানা পুলিশ বিট পুলিশিং কার্যক্রম চলছে।

     প্রতিটি বিটে ইনচার্জ হিসেবে রয়েছে একজন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা। জনগণকে দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এবং সর্বোপরি এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

     বিট পুলিশিং এর নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সমাজ থেকে সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল, ধর্ষণবিরোধী সভার আয়োজনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছে বিট পুলিশিং কর্মকর্তারা।

     বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

    ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: মোক্তারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রুবেল বক্স পাবেলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মোক্তাদির হোসেন, প্রধান অতিথি হিসেবে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ওমর ফারুক। বক্তব্য রাখেন কাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছালাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মুহিত বাবলু, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, থানার উপ পরিদর্শক ফরহাদ মাতব্বর, বিকাশ বড়ুয়া, কাদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুল করিম, কৃষকদলের সভাপতি সাতির বক্স, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য চিনার বক্স চিনু, আছিকর মিয়া, শহীদ মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক মিয়া, প্রবীন মুরব্বি বুদুল্লাহ মিয়া, পেকুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম নোবেল, মনসুর মোহাম্মদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্য সাংবাদিক মহি উদ্দিন রিপন, মনসুর মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ সভাপতি ও ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি সাইফুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ উদ্দিন রিপন, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমদ, সমাজকর্মী মারুফ আহমদ, ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম শাবুল প্রমুখ।

    এছাড়া উক্ত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ ও গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও সাইবার ক্রাইম রোধে কুলাউড়া থানা পুলিশের কার্যকর ভূমিকার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন ও ধন্যবাদ জানান।

    ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে আপামর জনসাধারণকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওমর ফারুক , রিপোর্ট দৈনিক কুলাউড়ার কন্ঠ

  • ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ উপলক্ষ্যে লতিফিয়া পরিষদের নগদ অর্থ ও উপকরণ সামগ্রী বিতরণ

    ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ উপলক্ষ্যে লতিফিয়া পরিষদের নগদ অর্থ ও উপকরণ সামগ্রী বিতরণ

    মোঃ ছালা উদ্দিন, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরীপুর লতিফিয়া সমাজসেবা পরিষদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে ইউনিয়নের বাছাইকৃত এতিম, বয়োবৃদ্ধদের মধ্যে নগদ অর্থ ও উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে একটি করে আতর ও তাসবিহ উপহার দেওয়া হয়েছে।

    অদ্য ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় উত্তর সুজননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারি হজরত মাওলানা হাফিজ ফখর উদ্দিন চৌধুরী ছাহেবজাদায়ে ফুলতলী।

    পরিষদের সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহা. বদরুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বালাগঞ্জ উপজেলা আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা কাজী লুৎফুর রহমান সিরাজি, ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ড বালাগঞ্জ উপজেলার সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজ ফাতির আহমদ, সিলেট এইডেড স্কুলের শিক্ষক মাওলানা শেখ আব্দুল মুকিত, পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম মুজিবুর রহমান, ইউপি সদস্য মাওলানা শেখ আব্দুল করিম ও হাবিবুর রহমান তালুকদার।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাণুরাগী মির্জা আব্দুল ওয়াহিদ লিলু মিয়া, আমজুর জামে মসজিদের সভাপতি আঙ্গুর বেগ, ইমাম মাওলানা আলী হায়দর, মির্জা আব্দুল হক জালালাবাদী, শামস উদ্দিন তালুকদার, মির্জা সিরাজ মিয়া, মাওলানা আলী আছকর বেগ, আজমল তালুকদার, তুরন বেগ, শাহেদ আহমদ তালুকদার, জিয়াউর রহমান তালুকদার, মির্জা এলেমান, লতিফিয়া পরিষদের প্রবাসী সদস্য সাইদুল ইসলাম নেফুর ও শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ইকবাল।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লতিফিয়া পরিষদের সহ সভাপতি ডাক্তার জিল্লুল হক, হাফিজ আক্তার হোসেন, সহ সাধারন সম্পাদক হাফিজ আব্দুল মালিক, প্রচার সম্পাদক ছালা উদ্দিন সহ প্রচার সম্পাদক মারুফ আলম তালুকদার মিজু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মনজুর হোসেন, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শেখ শাহজাহান, অফিস সম্পাদক ক্বারী গোলাম মস্তফা, সহ অফিস সম্পাদক হাফিজ শেখ জয়নুল আলম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আবু সালেহ হোসাইন, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আল আমিন, সাজু আহমদ তালুকদার, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

  • কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নকল পণ্য তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ

    কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নকল পণ্য তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ

    কুলাউড়া প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে নকল পণ্য তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় পরিবেশক বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগকারী ব্যক্তি হলেন, মো. ইমাম উদ্দিন। কুলাউড়া পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকায় ইকরা এন্টারপ্রাইজ নামে তাঁর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্ট প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় পরিবেশক। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, শহরের আলালপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. ফেরদৌস ভুঁইয়া। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম, ফেরদৌস অ্যান্ড সন্স করপোরেশন।
    দুপুর দুইটার দিকে কুলাউড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এসময় ইমাম উদ্দিন বলেন, ফেরদৌস ভূইয়া রতন ২০১৩ সালের ৩ মার্চ শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্টের পরিবেশক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের নুরজাহান ঘি ও বাটার পণ্যসমূহ বিক্রয় করতেন। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশক নিয়োগ পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ও কোম্পানীর অনুমতি ব্যতীত কোম্পানী ও পণ্যের নাম ব্যবহার করে নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করতে থাকেন। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ফেরদৌস ভূইয়া রতনকে সতর্কতামূলক নোটিশ দেয়। তখন তাঁর কাছে প্রতিষ্ঠানের নয় লক্ষ তিন হাজার সাতাশ টাকা পাওনা ছিল। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর মালিক পক্ষ তাঁর ডিলারশীপ বাতিল করে দেন। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর ইমাম উদ্দিনের ইকরা এন্টারপ্রাইজকে ডিলারশীপ প্রদান করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরদৌস গত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর নুরজাহান নাম ব্যবহার করে বিএসটিআইয়ের একটি ভূয়া লাইসেন্স তৈরি করে পণ্য বাজারজাত করতে থাকেন। এ বিষয়ে ইমাম উদ্দিন মৌলভীবাজারের ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে শাহ্ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্ট এর কোম্পানীর মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করলে তারা ইমাম উদ্দিনকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিলে ইমাম উদ্দিন মৌলভীবাজারের আদালতেও ফেরদৌস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
    কোম্পানীর মালিক পক্ষ বিবাদীর কাছে পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে বিবাদী মোঃ ফেরদৌস ভুঁইয়া বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানার কথা বলতে থাকে। একপর্যায়ে বিবাদী ফেরদৌস ভূঁইয়া রতন স্থানীয় বিভিন্ন নেতাকর্মী দ্বারা কোম্পানীর মালিক পক্ষকে হুমকি ধামকি প্রদান করে।
    সংবাদ সম্মেলনে ইমাম উদ্দিন আরো বলেন, চলতি বছরের ৭ জুলাই তাঁর মালিকানাধীন ইকরা এন্টারপ্রাইজের সাথে কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যবসায়িক চুক্তিনামা সম্পাদন হয়।
    অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফেরদৌস ভুঁইয়া রতনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।