Blog

  • স্বপ্নযাত্রার ১১ বছরে ‘প্রিয় কুলাউড়া’

    স্বপ্নযাত্রার ১১ বছরে ‘প্রিয় কুলাউড়া’

     

    প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার ।
    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার প্রথম জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রিয় কুলাউড়ার ১১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে (২০ ফ্রেবুয়ারী) বিকেলে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে।
    দৈনিক দিনকাল পত্রিকার কুলাউড়া প্রতিনিধি প্রিয় কুলাউড়া’র পরিচালক মোক্তদির হোসেনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শাকির রশিদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখস, প্রিয় কুলাউড়া’র পরিচালক সারোওয়ার আলম বেলাল, ডা: হেমন্ত চন্দ্র পাল, ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্টার মিন্টু দেশোয়ারা, সময়ের আলো জেলা প্রতিনিধি সাইদুল হাসান সিপন, প্রিয় বাংলার সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল, কালবেলা প্রতিনিধি মহি উদ্দিন রিপন, সবুজ সিলেটের প্রতিনিধি তারেক হাসান, আব্দুল করিম বাচ্চু, সোস্যাল কেয়ার অব নেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল ইসলাম উজ্জল, এনটিভি প্রতিনিধি আশিকুল ইসলাম বাবু, সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ইউসুফ আহমদ ইমন, স্বদেশ প্রতিদিনের কুলাউড়া প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম জুয়েল, দৈনিক কুলাউড়ার কন্ঠের রুবেল বক্স পাবেল, কুলাউড়া টাইমস টিভির প্রতিনিধি সৈয়দ মিসবাহ, নিউজ নেট কুলাউড়ার প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম মামুন, চ্যানেল কুলাউড়ার প্রতিনিধি সামছুদ্দিন বাবু, বাংলার দিন প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হোসাইন, রবিরবাজার নিউজ এর প্রতিষ্ঠাতা ময়জুল ইসলাম, আবু বকর, আরিফুল ইসলাম, মেহরাব আহমদ মাহিন প্রমুখ।

  • চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

    চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রিয়া মনি (২০) গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রিয়া মনি এক শিশু সন্তানের জননী। এ ঘটনা জানাজানি হলে তার স্বামী এখন স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
    চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
    অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিকেল ৫টার দিকে গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের গাববুনিয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে চাচা মো. নাসির মোল্লা (৪৫) ও প্রতিবেশী যতীন্দ্র শীল (৫০) ভুক্তভোগী রিয়া মনিকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় রিয়া মনি বাধা দিলে অভিযুক্তরা তার হাত, পা, মুখ চেপে ধরে এবং পরিধেয় জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। তার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন এবং শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে। এসময় শিশু সন্তানের চিৎকার শুনে স্বজনরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা ঘরের দরজা ভেঙে পালিয়ে যান।

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিযুক্ত নাসির মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার দিন ঘরের খাটে শিশু সন্তানকে দুগ্ধ পান করছিল রিয়া। এসময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে নাসির মোল্লা ও যতীন্দ্র শীল দড়জা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। ঘটনার পরে অভিযুক্ত নাসির মোল্লা ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সালিস মিমাংসা করার কথা বলে বিষয়টি এতদিন ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সালিস মিমাংসা না করে কালক্ষেপণ করছে ও বিভিন্ন হয়রানি করার অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ভুক্তভোগী দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    দাদি পিয়ারা বেগম বলেন, আমরা নাসির ও যতীন্দ্র শীলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই ঘটনার পর নাতনির সংসারে অশান্তির ঝড় উঠেছে। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।

    অভিযুক্ত নাসির মোল্লা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিস বসার কথা স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি সমাধান হয়নি। অপর অভিযুক্ত যতীন্দ্র শীলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তিনি অন্যত্র চলে গেছেন।

    ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে সালিস হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নাসির মোল্লা প্রথমে মানলেও পরে সালিসে উপস্থিত হয়নি।

    অভিযোগের পর সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলতাফ হোসেন জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। বিষয়টি আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সত্যতা পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • জমিজমা বিরোধে একজন নিহত

    জমিজমা বিরোধে একজন নিহত

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে খুন হয়েছেন ভাতিজা শামিম মিয়া (৩০)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বাবা অজেদ সিকদার (৫৫) ও বড় ভাই রেজাউল ইসলাম (৩২)। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

    গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড গ্রামারোদন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত শামিম পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার দুই নাবালক সন্তান—জুনায়েদ (৪) ও জুম্মান (দেড় বছর)—এতিম হয়ে গেল।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুদ্দুস সিকদার ও অজেদ সিকদারের মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। অজেদ সিকদার সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে ঘর তুলতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন। তবে কুদ্দুস সিকদার আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর তোলা শুরু করলে অজেদ সিকদার থানায় অভিযোগ করেন।

    পুলিশ এসে ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দিলেও কুদ্দুস সিকদার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন অজেদ সিকদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস সিকদার (৫৫), তার ছেলে এনামুল সিকদার (২৬) ও স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০) মাটি কাটার কোদাল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অজেদ সিকদারের ওপর হামলা চালায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তারা অজেদ সিকদারকে মারধর করলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার দুই ছেলে শামিম ও রেজাউল। তখন তাদেরও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হামলায় তিনজনই শরীরের বিভিন্ন অংশে ও মাথায় মারাত্মকভাবে আহত হন।

    স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। এদিকে রেজাউল ও অজেদ সিকদারও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।

    এ ঘটনার পর অভিযুক্ত কুদ্দুস সিকদার, এনামুল সিকদার ও রেহেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দুজ্জামান ও থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান।

    নিহত শামিমের স্ত্রী আয়শা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার দুই ছোট বাচ্চা এখন এতিম হয়ে গেল! আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই!”

    রেজাউলের স্ত্রী খাদিজা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছিলাম, পুলিশ কাজ বন্ধও করিয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হলো না। কুদ্দুস সিকদার ও তার ছেলে পরিকল্পিতভাবে আমার দেবরকে মেরে ফেলল। আমার স্বামী ও শ্বশুরের অবস্থাও ভালো না।”

    গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী আনা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুতই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

  • গলাচিপায় ১৫৯২ পিস ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহানারা গ্রেফতার

    গলাচিপায় ১৫৯২ পিস ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহানারা গ্রেফতার

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহানারা বেগম (৪৮) কে ১৫৯২ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চিকনিকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মাঝগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বুধবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংএ গ্রেফতার ও মাদক জব্দের তথ্য বিস্তারিত জানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জয়নাল আবেদীন।

    জানা যায়, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) আশাদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানে ছিলেন এসআই বেল্লাল হোসেন, এসআই হাসিবুর রহমান তুষার, এএসআই সাইদুল ইসলাম ও এএসআই হুমায়ুন। এসময় জাহানারা বেগমের বাসা থেকে ১৫৯২ পিচ ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃত ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

    পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জাহানারা বেগম গলাচিপা ও আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করতেন। এ কাজে তার সহযোগী ছেলে ওয়াহিদ প্যাদা, যিনি একজন ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

    গলাচিপা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ জাহানারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাহানারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যার ফলে এলাকার যুবসমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিল। তার গ্রেফতারে স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

  • কুলাউড়ায় জুনেদ স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

    কুলাউড়ায় জুনেদ স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

     

     

    কুলাউড়া প্রতিনিধি

     

    কুলাউড়া উপজেলার মনসুর গ্রামে জুনেদ স্মৃতি ফ্রিজ এন্ড টিভি টি – ১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়েছে।

    ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিকেল ৩ ঘটিকায় মনসুর মোহাম্মদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    জুনেদ স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা মো: মুজাহিদ আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন রিপনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ মো: জহুরুল হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি হাজি রফিক মিয়া ফাতু, কুলাউড়া ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মোহিত বাবলু, বিএনপি নেতা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: মুক্তার আহমদ, মনসুর মোহাম্মদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সাবেক অভিভাবক সদস্য সাইফুর রহমান ছানা, কোয়াবের সিনিয়র সদস্য ইমন আহমদ রইছ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইব্রাহিম লিলেছ, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ শাকিল, নির্বাহী সদস্য আশফাক তানভীর, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি নাহিদুর রহমান, বাহরাইন প্রবাসী আব্দুল করিম, শ্রমিক নেতা রাহিম আহমদ মান্না, আব্দুল খালেক জাকির প্রমুখ।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সদস্য আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক রুবেল বক্স পাবেল, ইব্রাহীম আলী, শেখ রানা, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, শামিম আহমদ, আব্দুস সবুর তুহিন, সাকেল আহমদ, সাদমান আশরাফ সাদিম, খেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য, সেলিম আহমদ, তায়েফ হোসেন, আশরাফুল হক,মুক্তাদির হোসেনসহ সকল সদস্যবৃন্দ।

    টি- ১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মোট ১৬ টি দল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে।

  • কুলাউড়ায় আাপন ভাতিজাদের মারধরে আহত চাচা

    কুলাউড়ায় আাপন ভাতিজাদের মারধরে আহত চাচা

     

    কুলাউড়া প্রতিনিধি

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আপন ভাতিজাদের মারধরে আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন চাচা। শুক্রবার বিকালে উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

    দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকায় বাড়ির জায়গা নিয়ে বাচ্চু মিয়া ও জিতু মিয়া নামক দুই ভায়ের মধ্যে দ্বন্ধ চলছিলো। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) জুমআর নামাজের পর তাদের বয়োবৃদ্ধ পিতা হারিছ মিয়া পঞ্চায়েতের মুরব্বিদের নিয়ে বিষয়টি সরেজমিনে দেখে উঠোন দু’ভাগ করে খুঁটি পুতে আসেন। কিন্তু বিকালে প্রবাসী জিতু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা মীমাংশাটি না মেনে পুরো উঠোনটি তাদের ক্রয়কৃত জায়গা দাবী করে পুতে রাখা খুঁটি তুলে ফেলে দেন। এ নিয়ে দুই পরিবারে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়।

    এক পর্যায়ে জিতু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া গংরা তার আপন চাচা বাচ্চু মিয়ার মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। রনি গংদের লাঠির আঘাতে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী সুরমা বেগমও আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক বাচ্চু মিয়ার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
    আহত বাচ্চু মিয়ার অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

    এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ছেলে বদরুল ইসলাম বাদী হয়ে চাচাতো ভাই রনি মিয়া (২২), জনি মিয়া (১৯), চাচাতো বোন বিথি আক্তার (১৮) এবং চাচী হেনা বেগমকে বিবাদী করে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    বদরুল ইসলাম বলেন, বিকালে তিনি স্থানীয় বিজয়া বাজারে ছিলেন। এসময় চাচাতো ভাই-বোন ও চাচী মিলে তার পিতা-মাতাকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও বেদড়ক পিঠিয়ে আহত করেছেন। খবর পেয়ে তিনি গাড়ি নিয়ে এসে পিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পিতার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে নিয়ে সিলেট হাসপাতালে যাচ্ছেন।

    এব্যাপারে প্রবাসী জিতু মিয়ার স্ত্রী হেনা বেগম মুঠোফোনে জানান, বাড়ির উঠোনের জায়গাটি তারা ক্রয় করেছেন। কিন্তু বাচ্চু মিয়া দীর্ঘদিন থেকে সেটি দখল করে রেখেছেন। তিনি ছেলেকে নিয়ে বাইরে ছিলেন, বাড়িতে এসে এই ঘটনা শুনেছেন। তারা কেউই বাচ্চু মিয়াকে আঘাত করেননি। উল্টো বাচ্চু মিয়া গংরা তার ছেলেকে মারধর করেছে। তিনি এখন ছেলেকে নিয়ে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

    এ ঘটনায় বাচ্চু ও জিতু মিয়ার পিতা হারিছ মিয়া বলেন, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিরোধকৃত উঠোনটি দুই ভাগ করে দিয়ে এসেছেন। কিন্তু এরপরও তারা মারামারি করলো। উঠোনটি বাচ্চু-জিতু দুজনের, তাকে না জানিয়ে জিতু পুরো উঠোনটি নিজের নামে রেজিষ্ট্রি করে ফেলছে। এটা নিয়েই ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।

    কুলাউড়া থানার এসআই (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) মো: নিয়াজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বাড়ির ভেতরের জায়গা নিয়ে আপন চাচা-ভাতিজার মারামারি হয়েছে। বাচ্চু মিয়ার মাথায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তবে, দা দিয়ে না লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তা সঠিক বুঝা যাচ্ছেনা। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে। শুনেছি বাচ্চু মিয়ার ভাতিজাও আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • কুলাউড়ার সীমান্তদিয়ে  ভারতীয় নাগরিক  ঢুকে বাংলাদেশী যুবককে কুপিয়ে হত্যা

    কুলাউড়ার সীমান্তদিয়ে  ভারতীয় নাগরিক  ঢুকে বাংলাদেশী যুবককে কুপিয়ে হত্যা

     

     

     

    রুবেল বখস পাভেল, জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় এক বাংলাদেশি যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় নাগরিকরা। রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের দশটেকি (নতুন বস্তি) এওলাছড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

     

    নিহত যুবকের নাম আহাদ আলী। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম আপছার।

     

    জানা গেছে, জায়গাসংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় কয়েকজনের সঙ্গে দুপুরে কথাকাটাকাটি হয় আহাদ আলীর। এক পর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ও তার সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সীমানা রেখার ৫ গজ ভেতরে ঢুকে আহাদ আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

     

    স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আহাদ আলীকে উদ্ধার করে কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

     

    সীমান্তবর্তী এলাকার শিকড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য শাহীন আহমদ বলেন, নিহত আহাদ আলী ও ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীর মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তবে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়নি।

     

    কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার বলেন, লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকারী ভারতীয় নাগরিক। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সাংবাদিকদের মধ্যে “শেখ হাসিনার গুম ও গণহত্যার রাজনীতি” শীর্ষক বই প্রদান

    সাংবাদিকদের মধ্যে “শেখ হাসিনার গুম ও গণহত্যার রাজনীতি” শীর্ষক বই প্রদান

     

    রুবেল বখস পাভেল : জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    খ্যাতিমান সাংবাদিক, দৈনিক আমার দেশ এর লন্ডন আবাসিক সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান রচিত “শেখ হাসিনার গুম ও গণহত্যার রাজনীতি” শীর্ষক বই প্রেস ক্লাব কুলাউড়া’র নেতৃবৃন্দকে প্রদান করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষে যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আশরাফুল আলম রাজা’র উদ্যোগে ও প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ২৬ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে কুলাউড়ার এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    প্রেস ক্লাব সভাপতি দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি দৈনিক নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি ময়নুল হক পবনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা শরীফুজ্জামান তপন। তিনি বলেন, আমরা সেই জাতি মুক্তিযুদ্ধের পরেও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে। ৫ আগস্ট এর আগে কুলাউড়ায় একটি মিছিল বের করা যেখানে দুরূহ ছিলো আর এখন অনেকেই জুলাই – আগস্ট বিপ্লবের নেতা হয়েছেন। যাই হোক ২৪ এর এই বিপ্লব একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। এতে ছাত্র জনতা যেমনি জীবন দিয়েছে তেমনি রিকসাচালকও জীবন বাজি রেখেছে। আপনারা সাংবাদিকগণ অতীতে স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন নি। এই জাতিকে বিনির্মান করতে আপনারা এখন মুক্তভাবে লিখুন। আগামী দিনে সাংবাদিকদের কল্যাণে আমাকে পাশে পাবেন।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আশরাফুল আলম রাজা। তিনি বলেন, ১৩ বছর পর অসুস্থ মাকে দেখতে দেশে এসেছিলাম। কিন্তু নাশকতার অভিযোগ তুলে আমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফ্যাসিস্টরা চলে গেছে কিন্তু এখনো কাঙ্খিত পরিবর্তন হয় নি। আমাদেরকে সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে হবে।

     

     

    টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য দেন “শেখ হাসিনার গুম ও গণহত্যার রাজনীতি” শীর্ষক বইয়ের লেখক সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। তিনি প্রেসক্লাবে এমন একটি আয়োজন করে আমাকে আপনারা ঋণী করলেন। আমি চেষ্টা করেছি শেখ হাসিনার গুম খুন ও গণহত্যার বিষয়গুলো তুলে ধরার। সত্য ন্যায়ের পথে সাংবাদিকরা সব সময় জীবন বাজি রেখে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করে গেছেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

    বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সম্পাদক আমার দেশ প্রতিনিধি চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ, জামায়াতে ইসলামী পেশাজীবী ব্যবসায়ী বিভাগ উপজেলা সদস্য কাজী জসিম উদ্দিন, পৌর শাখার সেক্রেটারী আব্দুল জলিল, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য ভোরের আকাশ প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ দাস, নির্বাহী সদস্য দিনকাল প্রতিনিধি মোক্তাদির হোসেন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইনকিলাব প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মানবজমিন প্রতিনিধি আলাউদ্দিন কবির, সহ-সাংগঠনিক মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি জসীম চৌধুরী, যায়যায়দিন প্রতিনিধি আবদুল আহাদ, ভোরের পাতা প্রতিনিধি রুবেল বখস পাভেল, ইয়াছিনুর রহমান নাঈম,আব্দুল ছালিক প্রমূখ।

  • কুলাউড়ায় নাজমা বেগমের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

    কুলাউড়ায় নাজমা বেগমের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

     

     

    কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পুথিমপাশা ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নাজমা বেগম (৪০) নামক এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নাজমার মৃত্যুর সাথে অভিযুক্ত সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়ার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী পরিবারের। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযুক্তদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি করেন।

    ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী ডলি বেগম এবং তাদের মা আয়াতুন বেগমের জানান, নাজমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা পুরোটাই সাজানো নাটক। সোহাগ মিয়া কিংবা ফারুক মিয়া কেউই নাজমা বেগমকে মারপিট তো দূরের কথা স্পর্শও করেননি। নাজমা বেগম দীর্ঘদিন থেকেই নানাবিধ অসুখে ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা গেছেন। পুলিশও সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই এর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

    জানা যায়, নাজমা বেগম ও তার বোন সুমেনা বেগম এবং বোন জামাই শফিক মিয়া স্থানীয়ভাবে দাদন (চড়াসুদ) কারবারী (ব্যবসায়ী)। ব্যবসার জন্য ওই চক্রের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ধার (কর্য্য) নেন সোহাগ। সেই টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে ৭ লাখ টাকা হয়ে গেছে বলে দাবি করেন শফিক মিয়া। এ নিয়ে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নবাব আলী নকী খানের মাধ্যমে বিচার করে ৮৫ হাজার টাকায় দেনা নিস্পত্তি হয় এবং সেই টাকা গ্রহণ করেন নাজমার স্বামী ফখরু মিয়া। কিন্তু গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শফিক মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন সোহাগ মিয়ার দোকানে গিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে গুরুতর জখম করে এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়। এঘটনায় সোহাগ মিয়া কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এদিকে ১৮ জানুয়ারি সকালে অসুস্থ নাজমা বেগমকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নাজমা বেগমের ছেলে মুরাদ মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা (নং-১৫, তারিখ ১৯/০১/২৫) দায়ের করেন। আর পূর্ববিরোধের প্রতিশোধ নিতে সেই মামলায় সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়াকে আসামী করেন।

    টাকার বিষয়ে সালিশকারী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নবাব আলী নকী খান জানান, ৮৫ হাজার টাকা ধার্য্য করে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ফরিদ মেম্বারের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা নেন নাজমা বেগমের স্বামী ফখরু মিয়া। পরে বাকি ২৫ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন সোহাগ মিয়া। কিন্তু টাকা নিয়েও সোহাগ মিয়ার দোকানে গিয়ে তার উপর হামলা চালানো নেহাত অন্যায়। নাজমা বেগম অসুস্থ ছিলেন, এই মারামারির ঘটনায় যে তার মৃত্যু হয়েছে- এটা সঠিক নয়। তদন্ত হলেই সত্যতা মিলবে।

    এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: আব্দুল আলিম জানান, প্রাথমিক সুরহাল রিপোর্টে নাজমা বেগমের শরীরে আঘাত বা কোন কাটাছেড়ার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। যেহেতু নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, তাই মামলা নেওয়া হয়েছে।

  • কুলাউড়ায় মাটি পাচারকালে ৩ ট্রাক আটক মুলহোতা ধরাছোঁয়ার বাইরে

    কুলাউড়ায় মাটি পাচারকালে ৩ ট্রাক আটক মুলহোতা ধরাছোঁয়ার বাইরে

     

     

     

     

     

     

    রুবেল বখস পাভেল: প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা জয়চন্ডী ইউনিয়নের দিলদারপুর চা বাগান এলাকা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাতদিন ২৪ ঘন্টা মাটি পাচার করতো। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাহ জহুরুল আলম অভিযান চালিয়ে মাটি ভর্তি ৩টি ট্রাক আটক করেন। এসময় এসিল্যান্ডকে দেখে আরও ৩টি মাটি বোঝাই ট্র্রাক পালিয়ে যায়।

     

    জয়চন্ডী ইউনিয়নের মিটুপুর ও দিলদারপুর গ্রামের লোকজন জানান, জয়চন্ডী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্যসহ একটি প্রভাবশালী চক্র বেশ কিছুদিন থেকে দিলদারপুর চা-বাগানের পাথরটিলা এলাকা থেকে মাটি বিক্রি করে আসছে। রাতদিন ৮-১০টি ট্রাক মাটি টানে। দিনের বেলায় ধুলোবালির কারণে মানুষ এলাকায় টিকা মুশকিল হয়ে পড়ে। আর সারা রাত মাটি টানার কারণে গাড়ীর শব্দে মানুষের ঘুম হারাম। এসব মাটি ভুয়াই এলাকার শাপলা ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করা হয়।

     

    অবিরত মাটি টানার কারণে দিলদারপুর হতে আছুরিঘাট প্রায় ৪ কিলোমিটার এলজিইডির পাকা রাস্তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাছাড়া সড়ক ও জনপদের দেড় কিলোমিটার রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাস্তায় মাটি পড়ে সড়ক বিনষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া একপশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তা যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়বে।

     

    মিটুপুর গ্রামবাসী জানান, বিষয়টি তারা একাধিকবার সহকারি কমিশনার (ভুমি)কে জানিয়েছেন। একাধিক মারফতে খবর পেয়ে তিনি বুধবার অভিযান চালানোয় কিছুটা হলেও রাস্তা বক্ষা পাবে। স্থানীয় লোকজন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করেন। এতে কয়েকটি গ্রামের মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

     

    গ্রামবাসী জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্যর মাটির কাটার (এসকেভেটর) যন্ত্র ও নিজস্ব ট্রাক রয়েছে। ফলে কেউ সাহস করে এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করে না। বাগান এলাকা থেকে মাটি কাটার ফলে এলাকার পরিবেশও হুমকির মুখে। মাটি কাটার ফলে জমির শ্রেণিও পরিবর্তণ হয়। যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলেও শুধু জয়চন্ডী ইউনিয়নে নয় গোটা উপজেলা মাটি বিক্রি ও পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে।

     

    এ বিষয়ে জয়চন্ডী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্য মোবাইল ফোনে জানান, তিনি ব্যক্তিগত জমিতে ফিসারী করার জন্য খননযন্ত্র দিয়ে মাটি তুলছিলেন। তবে তিনি কোন মাটি বিক্রি করছেননা বলে দাবী করেন।

     

    কুলাউড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, এলাকার লোকজন বিষয়টি তাকে একাধিকবার জানানোর পর তিনি অভিযান চালান। অভিযানকালে মাটি ভর্তি ৩টি ট্রাক আটক করতে সক্ষম হলেও আরও ৩টি মাটি ভর্তি ট্রাক পালিয়ে যায়। ট্রাকগুলো আটক আছে। মালিক পেলে জরিমানা করা হবে।