মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ গলাচিপা অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে উপজেলা ও পৌরসভা শুমারি স্থায়ী কমিটির অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গলাচিপায় অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের সভাপতিতে সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক বাস্তবায়িত অর্থনৈকিতক শুমারি ২০২৪ এর মাঠ পর্যায়ে মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পর্কে উপজেলা শুমারি সংক্রান্ত সার্বিক দিক নিয়ে অবহিত করেন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মো: মাসুদ।
তিনি জানান, গলাচিপায় আগামী ১০ডিসেম্বর থেকে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হবে। তথ্য সংগ্রহ চলবে ২৬ডিসেম্বর পর্যন্ত। জোনাল আফিসার ৫ জন আইটিসুপারভাইজার ৫জন সুপারভাইজার ৩৭ জন
তথ্য সংগ্রকারী ১৮৭ জন। চতুর্থ এই অর্থনৈতিক শুমারী সম্পূর্ণ ডিজিটাল উপায়ে পরিচালিত হবে। এতে সারাদেশের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন খানা(পরিবার) এর তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি অফিসার, সমাজসেবা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, যুব উন্নয়ন অফিসার, প্রেসক্লাব সভাপতি মু খালিদ হোসেন মিলটন, চরকাজল , গোলখালী ও বকুলবাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান, গলাচিপা সরকারি কলেজের প্রতিনিধি,মহিলা কলেজর প্রতিনিধি সরকারি মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মী মিঠুন চন্দ্র পাল প্রমূখ।
সভায় জানানো হয়, এবারের শুমারিতে আসছে বেশ কিছু নতুনত্ব। প্রথমবারের মতো গণনায় যুক্ত হবে প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ি থেকে পরিচালিত অনলাইন ব্যবসা। এর সুবাদে ডিজিটাল অর্থনীতির সঠিক আকার জানা সম্ভব হবে। সভায় আরো জানানো হয়, ১০ বছর পর আবারও অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করা হবে। এজন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
তালা (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার তালা উপজেলা প্রতিনিধি এবং তালা প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ রোকনুজ্জামান টিপু বৃহস্পতিবার দুপুরে খাদ্য সরবরাহের নানা অনিয়ম দুর্নীতি তথ্য অনুসন্ধানে গেলে খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার ও অর্ধশতাধিক মামলার আসামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর জাতীয় পার্টির তালা উপজেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম তাকে প্রাণনাশের হুমকির দেয়।এঘটনায় কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি তালা থানায় ঠিকাদার নজরুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি করেছে ।
মামলা জটিলতাল কারনে দীর্ঘ ১০ বছর টেন্ডার বন্ধ রেখে খাদ্য সরবরাহের নানা অনিয়মের অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ কালে ঠিকাদার নজরুল কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধিকে এই হুমকি দেয়।
হুমকির প্রতিবাদে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তালা প্রেসক্লাব হল রুমে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের আহবায়ক এম এ হাকিমের সভাপতিত্বে , যুগ্ম আহবায়ক এম এ ফয়সাল, গাজী জাহিদুর রহমান, সদস্য সচিব সেলিম হায়দার, শফিকুল ইসলাম, কাজী আরিফুল হক ভুলু, সেকেন্দার আবু জাফর বাবু, খলিলুর রহমান লিথু, মো জাহাঙ্গীর হোসেন, জি এম খলিলুল রহমান, আসাদুজ্জামান রাজু, তাজমুল ইসলাম, আজমল হোসেন জুয়েল, এস এম নাহিদ হাসান, মোতাহিরুল হক শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু, কে এম শাহিনুর রহমান, সুমন রায় গণেশ,বি,এম,এস,এস এর তালা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মীর ইমরান মাহমুদ , সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন,সিনিয়র সদস্য শেখ মগফুর রহমান ঝান্টু,
মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা, মোঃ মতিয়ার রহমান, উপস্থিত ছিলেন। এসময় হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তালা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক ও বি,এম,এস,এস,এ প্রধান উপদেষ্টা এম এ হাকিম বলেন, নজরুল যখন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলো তখন সে নারীদেরকেও বেদম প্রহর করেছে। সে শান্ত তালা উপজেলা কে অশান্ত করে তোলার পায়তারা করছেন। নজরুল একজন মামলাবাজ নিজেও অর্ধশত মামলার আসামি।আমাদের মনে হয় তাকে মানষিক চিকিৎসা দেওয়া উচিৎ। এসময় তিনি আরো বলেন, এর পরে আর যদি প্রেসক্লাব ও বি,এম,এস,এস,এর আর একজন কেউ যদি হুমকি দেওয়া হয় তাহলে তার সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রেসক্লাব ও বি,এম,এস,এস,এর সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ ।
স্টাফ রিপোর্টার : ′′আমাদের অঙ্গিকার, রক্তের অভাবে মারা যাবেনা কেউ আর′′ এই স্লোগান কে বাস্তবে রুপ দিতে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে খুলনা ব্লাড ফাইটার্স।
তারই গত ধারাবাহিকতায় ১৩ নভেম্বর বুধবার আকিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট রেড ক্রিসেন্ট ইয়ুথ এর আয়োজনে ও খুলনা ব্লাড ফাইটার্স এর সার্বিক সহযোগিতায় অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্নয় কর্মসূচি পালিত হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আকিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এর উপাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, খুলনা ব্লাড ফাইটার্স এর সভাপতি নাজিম সরদার, সাধারন সম্পাদক শাহীন মোল্লা,ব্লাড ক্যাম্পেইন বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এবং উক্ত প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নকারী খুলনা ব্লাড ফাইটার্স এর চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান সহ আরো অসংখ্য সেচ্ছাসেবীবৃন্দ।
সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে দুপুর ১ টা প্রর্যন্ত এই কার্যক্রম টি চলমান থাকে। প্রোগ্রাম শেষে অত্র প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন,এই রকম মানবিক কার্যক্রমে সে অনেক খুশি। পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের মানবিক কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হাসিব ভুঁইয়া বলেন,এমন সব মানবিক কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।সকলের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে খুলনা ব্লাড ফাইটার্স অনেক দুর এগিয়ে যাবে মানবতার পথে।
হৃদয় হাসান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আমলাতন্ত্র সব সময় জনগণ থেকে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। আমরা মনে করি যে তারা জনগণের সেবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সেই সেবাটা যেন তারা জনগনকে দেন এবং জনগনের পাশে দাড়িয়ে সেটা দেন। প্রভুমূলক বা প্রভুত্ত্যমূলক জায়গায় না থেকে দূরত্বটা যেন কমিয়ে আনা যায়। মাঠ প্রশাসন সরকারে সাথে জনগনের, তার জন্য আমরা আরও প্রলিসিলেভেলে কাজ করবো। সামনে যেন এই দূরত্বটা কমে আসে এই অভিযোগগুলো যাতে না থাকে তথ্যের ঘাটতি কিংবা তাকে পাওয়া যায় না এই অভিযোগ সামনের দিনে না থাকে সেজন্য আমরা কাজ করবো। আজ বুধবার বিকালে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে “মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা আসার পর দেখলাম- যে কয়টা স্টেডিয়াম আছে এগুলোরই যথার্থ সংস্কার কিংবা যথার্থ ব্যবহার যোগ্যতা নাই। সে জায়গা থেকে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে এগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহারে যোগ্য গড়ে তোলা। ইতোমধ্যে বিসিবি আমাদের একটি তালিকা দিয়েছে। সারা দেশে ৯ টা স্টেডিয়াম আন্তজার্তিক পর্যায়ের, যেগুলোতে কখনো কখনো আন্তজার্তিক খেলা হতো। কয়েকটা আছে যে ২৬ বছর আগে খেলা হয়েছে তারপর আর ব্যবহার করা হয়নি। সেগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রথমে ব্যবহার যোগ্য করা।একই সাথে আমরা বাফুফেকে নির্দশনা দিয়েছি আপনারাও একটি তালিকা দেন ফুটবল স্টেডিয়ামকে কোনগুলো রিভাইভ করতে পারি। খেলার উপযুক্ত করতে পারি। আপনারা জানেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো পূর্ণগঠন চলছে। আমরা বলেছি- জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে একদম প্রান্তিক পর্যায়ে খেলাধুলাকে পৌছে দেয়া। আবার আগের টুর্নামেন্ট যেন আবার পরিচালিত হয় এবং তরুণরা-যুবকরা যাতে এর মধ্যে অংশগ্রহণ করতে পারে। আপনারও জানেন যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে একটা ইউস ফ্যাস্টিব্যাল করতে যাচ্ছি। বিবিএএল খেলার যে সময়টা কেন্দ্র করে শুধু স্টেডিয়ামে না স্টেডিয়ামের বাইরেও সারাদেশে ইউস ফ্যস্টিব্যাল করার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে এবং সকল যুবক-তরুনদেরকে একসাথে সংযুক্ত হওয়ার আহবান থাকবে।
মওলানা ভাসানী পাঠ চক্রের আয়োজনে জাতীয় নাগরিক কমিটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে দুই উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ ভাসানীর মাজার জিয়ারত করেন। পরে ভাসানীর গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় যোগ দেন।
মাজার জিয়ারত শেষে উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, জনগনের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের নির্বাচিত সরকার। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি আমরা। জনগণের পক্ষের এবং এই দীর্ঘ লড়াইয়ের যারা স্বপক্ষে আছে তাদেরকে নিয়েই আমাদের এই সরকার গঠন করার পরিকল্পনা এবং সরকার ঐভাবেই চলমান আছে।
নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে- যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পক্ষেই থাকবেন। আপনারা এই সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারেন। এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবেন এবং যারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন তারাও এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মধ্যে সামিল হবেন। কোন রকম সংশয়, সন্দেহ থাকলে আমরা মনে করি এটা কাজের মাধ্যমে প্রমান করা হবে যে তারা জনগনের পক্ষে আছেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কবি, ভাবুক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো: আনোয়ারুল আলম আখন্দ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়ভাবে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ এলাকার মোল্লাগ্রামে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদের বারান্দায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি ইসকন্দর আলীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আব্দুল খালিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধ চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- আতিকুর রহমান আতাই, হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ সেলিম, হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আনা, গিয়াস মিয়া, ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান, ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ৪নংওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান দুলাল, এম. মামুনুর রশিদ মামুন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ রনি, শামীম আহমদ শাহিন, মিজানুর রহমান ও রফিক আহমদ।
বক্তারা বলেন, গ্রামে সম্প্রতি দুই দফা চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দফায় একরাতে চার বাড়িতে ঢুকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে চোরেরা। এর একদিন পরই ফের চুরির ঘটনায় ৩টি গরু হারান আব্দুল জলিল জলু। এছাড়া, গভীর রাতে গ্রামের ভিতর বহিরাগতদের গমনাগমন ও মাদকদ্রব্য সেবন-বিক্রির বিষয়টি ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে। গ্রামটি বাজার কেন্দ্রিক হওয়াতে অপরাধীরা সহজে যেকোনো অপরাধ করে গ্রামের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাছাড়া, গ্রামের বুক চিরে প্রবাহিত সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কেও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে এর জন্যও গ্রামের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ লক্ষ্যে বাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোকে নিয়ে আগামীকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে হেতিমগঞ্জ বাজারের সুরমা ডেকোরেটার্সের সামনে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ওই বৈঠকে সবাইকে উপস্থিত থাকার আহ্বানও জানান বক্তারা।
বৈঠকের শেষাংশে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে করণীয় ঠিক করা হয়। গ্রামের তিনটি সড়কে স্বেচ্ছাসেবী টহলটিম জোরদার করা হয়। অপরাধীদের অনতিবিলম্বে ভালো হওয়ার সুযোগ, অন্যথায় পুলিশে সোপর্দের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাত ১০টার পর থেকে গ্রামের ভিতরে বহিরাগত কাউকে দেখা গেলে তার পরিচয় ও গন্তব্যস্থল জানার চেষ্টা করা এবং গন্তব্যস্থলের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে আগমনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সন্দেহভাজন কাউকে পেলে সাথে সাথে ইউপি সদস্যকে অবগত করা বাধ্যতামূলক করে বৈঠকটি সম্পন্ন করা হয়।
মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে গলাচিপা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় গলাচিপা পৌর শহরের হাইস্কুল খেলার মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসান মামুন বলেন, দীর্ঘ সতেরো বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বৈরচারী কার্যক্রম থেকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শত শত তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে একটি স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। তাই এই স্বাধীনতা রক্ষায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধৈর্যের সাথে সুশৃঙ্খলভাবে জনসাধারণের পাশে থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী দল থেকে যাকে মনোনয়ন দিবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা সার্বিকভাবে তাকে সহযোগিতা করবে। এসময় তিনি বলেন, দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে পটুয়াখালী -৩ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণকে সাথে নিয়ে গলাচিপা-দশমিনা উপজেলাকে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক উপজেলা উপহার দিতে কাজ করবেন। এসময় সর্বস্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সিদ্দিকুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সত্তার হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সহ সভাপতি খন্দকার মিজানুর রহমান, আব্দুস সালাম মৃধা, বাবু পঙ্কজ দেবনাথ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহাবুব ফরাজি, সৈয়দ আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্যাদা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন খান।
এছাড়াও জনসভায় বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আলম তালুকদার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার মশিউর রহমান শাহীন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. মাসুম বিল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সবুজ ও শহিদুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এম দূর্জয় রুবেল, দশমিনা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু প্রমুখ।
এর আগে দুপুর থেকে সমাবেশ স্থলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। দুপুরের পর ৩ টায় মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, মহিলাদলসহ বিএনপির সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের বড়চত্রা গ্রামে বসতবাড়ীর আঙিনায় গড়ে তোলা হয়েছে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা। লোকালয়ের ভেতর আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা করার নিয়ম না থাকলেও প্রকাশ্য চলছে এই কারখানা। এখান থেকে প্লাস্টিক রিসাইকল এর কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত পানি ফেলা হচ্ছে খালের পানিতে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে খালের পানি , নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমির উর্বরতা।
অন্যদিকে কারখানার বর্জ্য পোড়ানোর কালো ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্লাস্টিক কুচি করার মেশিনের বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘুম ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় বিগ্ন ঘটছে। এছাড়া চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও কারখানার শ্রমিকরা।
জানা যায়, ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করার সুবাদে ডাকুয়া ইউনিয়নের মালেক সরদারের ছেলে মো. আল আমিন প্লাস্টিক রিসাইকল করার কাজ শিখে। পরে নিজ এলাকায় বসতবাড়ির আঙিনায় মেসার্স লিমন প্লাস্টিক নামে কারখানা গড়ে তোলে। সেখানে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। মূলত হকারদের কাছ থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী কিনে প্রথমে তার রং অনুযায়ী আলাদা করা হয়। এরপর টুকরো করে ধুয়ে শুকানোর পর মেশিনে ভেঙে তৈরি করা হয় কুচি। এসব কুচি এখান থেকে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে বোতল ও বিভিন্ন ভাঙা প্লাস্টিক স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একপাশে পুরাতন প্লাস্টিক ভর্তি বস্তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে প্লাস্টিকের রঙ অনুযায়ী টুকরো করে আলাদা করার কাজ করছেন শ্রমিকরা। কারখানার আশেপাশে যত্রতত্র পড়ে আছে বিভিন্ন বর্জ্য ও প্লাস্টিকের টুকরা। এসবের মধ্যে রয়েছে পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, স্যালেইনের ব্যাগসহ অন্যান্য বর্জ্য রয়েছে। এসব বর্জ্যের মধ্যে কারখানাটিতে দেখা যায় শিশুরা হাঁটাহাঁটি ও খেলা করছে। আবার প্লাস্টিকের টুকরা আলাদা করে কেমিক্যাল যুক্ত পানিতে ধোয়ার পরে পানি ফেলা হচ্ছে খালের পানিতে। যে ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হয়, সেখানে জমে আছে ময়লা পানি, মশা মাছি সহ পোকামাকড় উড়ছে। এক পাশে পোড়ানো হয় প্লাস্টিকের বিভিন্ন বর্জ্য সেখানে পড়ে আছে প্লাস্টিকের বিভিন্ন টুকরা। জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এর আগে কারখানাটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল প্রশাসন।
স্থানীয় শাকিল, সুলতান মৃধা, জব্বার, ইউসূফ, শেফালি, কোহিনুর ও আখিনুরসহ একাধিক বাসিন্দারা জানায় রান্নার পানি, গোসলের কাজে ব্যবহৃত খালে কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত পানি মিশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে। বিষাক্ত পানির কারণে ফসলের জমির উর্বরতা কমে গেছে। দিনে রাতে প্লাস্টিক কুচি করার মেশিনের বিকট শব্দে ঘুম ও পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ বা বিপদে পরে একজন অন্যজনকে ডাকলেও কোন কিছু শোনা যায় না। শব্দে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়ার অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধদের। প্লাস্টিকের বর্জ্য পোড়ানোর কালো ধোঁয়া পরিবেশ ও বায়ু দূষণ করছে। এলাকায় বেড়ে চলছে হাঁপানি শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগবালাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুজ্বর সহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধ করে নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ দিয়ে জনস্বাস্থ্য, প্রকৃতি, পরিবেশ ও ফসল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এব্যাপারে মেসার্স লিমন প্লাস্টিক কারখানার মালিক আলা আমিন বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স সবকিছু ওকে করে আমি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষের ভালো মন্দ মিলিয়ে কারখানা চালাতে হয়।” এসময় তার পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স দেখালে সেখানে দেখা যায় ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ট্রেড লাইসেন্স আনা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কারখানা খুলে বসেছে আল আমিন।
স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও সরেজমিনে কারখানাটি পরিদর্শন করে দেখবো। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো”। তিনি দ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন বলেও জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর পটুয়াখালীর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, “পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার পরে কোন কারখানা যদি পরিবেশ দূষণ করে, তাদের দ্বারা মানুষের ক্ষতি হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিবে”।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর’ডি’এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি এবং বিউটিফিকেশন কোর্স শেষে স্টুডেন্টদের সার্টিফিকেট গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. সোহানা আফরিন সুলতানা, চিফ কন্সালেন্ট, টিয়ারা লেজার এন্ড এস্থেটিক সেন্টার।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন, উম্মে হাবীবা বর্ষা, ফাউন্ডার এন্ড সিইও, আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন লুৎফর রহমান এমজেএফ, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী, মেম্বার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। ইমিডিয়েট পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গর্ভনর, ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১, বাংলাদেশ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল, ভাইস চেয়ারম্যান OISCA ইন্টারন্যাশনাল জাপান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল চ্যাপ্টার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, লায়ন শিরিন আক্তার রুবি, ডেপুটি ডাইরেক্টর এডমিনিস্ট্রেশন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইমিডিয়েট পাস্ট ফার্স্ট লেডি অব ডিস্ট্রিক্ট, ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি১, বাংলাদেশ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল; সুমা মন্ডল , ওনার শ্রেয়া ও রেড রোজ বিউটি পার্লার, ফাউন্ডার বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন সংস্থা, সভাপতি বাংলাদেশ নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি; শামীমা আক্তার কুসুম, ইন্টারন্যাশনাল মেকাপ, হেয়ার স্টাইল ট্রেইনার এন্ড বিউটি এক্সপার্ট; রোকসানা পারভিন দিপু, ডাইরেক্টর প্রতিবেশী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; কে.এম. শহীদুল্লাহ্, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, মিরপুর ব্রাঞ্চ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড; লায়ন হারুন অর রশিদ বাবুল, ডাইরেক্ট আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন; লায়ন নাসরিন বেগম, ডাইরেক্ট, আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন।
আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
প্রধান অতিথি ডা. সোহানা আফরিন সুলতানা বলেন, বিউটি একটি মেয়েকে তার কনফিডেন্স লেভেল বাড়িয়ে দেয়, একজন মেয়ে যে কোন সেক্টরে কাজ করুক সেটা কর্পোরেট সেক্টরে হোক অথবা গৃহিণী হোক অথবা স্কুল কলেজ গোয়িং হোক, প্রতিটি সেক্টরেই রিকন্সেপটিভ সার্জারি এবং বিউটি পার্লারে বিভিন্ন সার্ভিসের মাধ্যমে তার কনফিডেন্স লেভেল বাড়াতে সাহায্য করছে। তিনি আরো বলেন উম্মে হাবিবা বর্ষা একজন কনফিডেন্ট লেডি এবং নারী উদ্যোক্তার একজন উদাহরণ।
আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন
বিশেষ অতিথি লায়ন লুৎফর রহমান এমজেএফ বলেন, উম্মে হাবিবা বর্ষা একজন আত্মবিশ্বাসী এবং ভিশনারি লেডি, তার ভিশন আর ডি এইচ কে একটি ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। উপস্থিত নারী উদ্যোক্তাদের ঢাকা চেম্বার অব কমার্সে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ব্যাংকিং পার্টনার ইস্টার্ন ব্যাংক, মিরপুর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কে.এম. শহীদুল্লাহ্ বলেন হাটি হাটি পা পা করে চার বছর সবার আস্থার প্রতিক হিসেবে গড়ে উঠেছে আর ডি এইচ ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে এমন একজন উদ্যোক্তার পাশে থাকতে পেরে ধন্য মনে করছি, তিনি আরো বলেন “আমি বিশ্বাস করি এই, আর ডি এইচ একদিন বিশাল ব্রান্ড হিসাবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করবে।” কে,এম,শহীদুল্লাহ্ বলেন, বর্তমানে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যাংক মাত্র ৪%-৫% সুদে লোন দিয়ে থাকে। আগে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আনসিকিউর লোন দেওয়া হতো বর্তমানে সেটা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়, আর মরগেজ দেওয়া থাকলে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারে।
উম্মে হাবীবা বর্ষা, (ফাউন্ডার এন্ড সিইও, আর ডি এইচ) তার বক্তব্য বলেন আর ডি এইচ এর যাত্রা শুরু ২০২০ সালে, এই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আর ডি এইচ মেকওভার নিজেকে মেকওভার করে এখন একটি বিশ্বাস এবং আস্থার স্থানে পৌঁছিয়েছে, এই পুরোটা সময় ধরে যারা যারা পাশে ছিলেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সার্টিফিকেট গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আর ডি এইচ থেকে আপনাদের বিউটিফিকেশন যাত্রা শুরু, আমি চাই আপনারা এই সেক্টরে প্রত্যেকে সফল হন এবং সব সময় আপনারা আমাকে আপনাদের পাশে পাবেন।
মিরপুর ৬ নম্বরে অবস্থিত আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন অত্যান্ত সুনামের সাথে শুধুমাত্র মেয়েদের বিভিন্ন সার্ভিস সমুহ যেমন ফেসিয়াল, মেকওভার, রিবন্ডিং, হেয়ার কালার, হেয়ার ট্রিটমেন্ট, হ্যান্ড কেয়ার, ফুট কেয়ার ইত্যাদি দিয়ে থাকে এবং পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিউটিফিকেশন কোর্সের ব্যবস্থা করে থাকে যেমন বেসিক বিউটিফিকেশন কোর্স, বেসিক টু এডভান্স বিউটিফিকেশন কোর্স ইত্যাদি।
এডি পিনব (নিউজ ডেস্ক):- পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হতে পারে শাস্তি, আজ থেকে মাঠে মোবাইল কোট রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে পলিথিন উৎপাদনের বিরুদ্ধে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।পলিথিন উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস শনিবার ২ নভেম্বর গণমাধ্যমকে জানান.
জানা যায় শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ ছিল। তবে অদ্য রোববার থেকে মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহতি থাকবে।
তপন কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, সবাই শুধু বলছেন বিকল্প কিছু আনতে। অথচ তারা জানেন না যে, বাজারে ইতোমধ্যে বিকল্প অনেক কিছুই রয়েছে। তা ছাড়া সরকারও এ বিষয় নিয়ে খুবই তৎপর। বিকল্প উৎপাদনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। যাতে বাজারে সবাই হাতের নাগালে পেতে পারে।