Category: Uncategorized

  • গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    পটুয়াখালী জেল প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গলাচিপা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

    মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন। তারা দাবি করেন, ইউএনও আওয়ামী লীগপন্থী চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের উপস্থিতি বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিশ্চিত করছেন। এছাড়া, তার নেতৃত্বে সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগও উত্থাপন করেন তারা।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ওয়াফা, গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান অহনা, গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সিয়াম এবং বরিশাল মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম মুন্না।

    শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তারুণ্যের উৎসবে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও। এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনসহ তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন তিনি। প্রাক্তন ইউএনও যে ফান্ড রেখে গেছেন, তা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

    গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান অহনা বলেন, “বর্তমান ইউএনও ফ্যাসিবাদীদের দোসর। রাঙ্গাবালী উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সরাসরি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এছাড়া, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”

    গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সিয়াম বলেন, “তিনি স্বৈরাচারী শক্তির সহযোগী। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নিয়ে এখনো মিটিং করেন।”

    বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “তাদের কোনো দাবি-দাওয়া আছে, তা আগে কখনো আমাকে জানানো হয়নি। তবে আমি সবসময় সবার দাবি অনুযায়ী স্বাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।” তিনি, “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের অভিযোগের বিষয় বলেন, “এরকম কোন বিষয় নাই।”

  • পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছাতা বিতরণ সম্পন্ন।

    পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছাতা বিতরণ সম্পন্ন।

    অদ্য ২৫-০২-২০২৫ ইং বিকাল ৩ ঘটিকায় পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দ কৃত প্রকল্প দ্বারা ইউনিয়নের প্রায় ২০ টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসহায়, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মুজিবুর রহমান সাহেবের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল করিম ও উদ্যোক্তা ছালা উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সুজিত কুমার চন্দ স্যার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাগত প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব রেজুওয়ান আহমদ রাসেল, ইউপি সদস্য জনাব খলিলুর রহমান খলকু, মির্জা আবু নাসের মোহাম্মদ রাহেল, সোহেল আহমদ, হাবিবুর রহমান, সাবুল আহমদ, ইউপি মহিলা সদস্যা ছালেমা বেগম, অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গ্রাম পুলিশ সদস্য বৃন্দ ও উপকারভোগী ছাত্র-ছাত্রী প্রমূখ।

  • পাটখড়ির গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ব্যবসায়ীর অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

    পাটখড়ির গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ব্যবসায়ীর অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় একটি পাটখড়ির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদারের অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আটখালী বাজার সংলগ্ন ওই গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গলাচিপা ও দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ চলছিল।

    এ ঘটনায় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে গলাচিপা থানা পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দারা এবং গ্রাম পুলিশ।

    জানা গেছে, আটখালী গ্রামের পাটখড়ি ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। গুদামের সঙ্গে তার বসবাসের ঘরও রয়েছে। পুরো বিল্ডিং ছিল পাটখড়িতে ভর্তি। শনিবার সকালে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫) ও ছেলে নাহিদ ইসলাম (৭) ঘরে অবস্থান করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশী সুরাইয়া বেগম (২৫) গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক শুনে বাবা সেলিম হাওলাদার (৫০) ছুটে এসে গুদামে আগুন দেখতে পান। পরে গুদামঘরে কুদ্দুস হাওলাদারের চিৎকার শুনে তিনি দ্রুত গেইটের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন। ততক্ষণে আগুন পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

    দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম জাকির জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেছে।

    ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, “সকালবেলা পাটখড়ি বিক্রি করে গেইট তালা মেরে ভেতরে বসে ভাত খাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাটখড়ি পোড়ার শব্দ শুনে চিৎকার করি। এরপর প্রতিবেশী সেলিম হাওলাদার শাবল দিয়ে তালা ভেঙে আমাকে, আমার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতায় পুরো গুদামঘরে ছড়িয়ে পড়ে।” তিনি আরও বলেন, “আগুনে ৪৮ লক্ষ টাকার ৮ বোর্ড পাটখড়ি ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। আমার ধারণা, বিদ্যুৎ লাইন থেকে এই আগুন লেগেছে।”

    গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

  • পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রভাতফেরীতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ব্যানার, বিএনপির বিক্ষোভ

    পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রভাতফেরীতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ব্যানার, বিএনপির বিক্ষোভ

    পটুয়াখালী জেল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরিতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও জনসাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রয় এর অপসারণ ও বিচার দাবি করেন। এর আগে, সকাল ৮টায় আয়োজিত প্রভাতফেরিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেন। র‍্যালির সামনের সারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে ওই ব্যানার দেখা যায়। যেখানে প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জনের উপস্থিতিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নেন। পরে ব্যনারটি শহীদ মিনারের পাশে টানিয়ে রাখা হয়।

    বিক্ষোভ মিছিলে স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মৃধা, আবুল কালাম ও মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রয় ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যানারে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান ও ছবি ব্যবহার করেছেন। তারা বলেন, “এটি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিচার ও অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রয় বলেন, এ বছর স্কুলের পক্ষ থেকে ব্যানার তৈরি করা হয়নি। ওই ব্যানারটি গতবছরের, স্কুল শিক্ষার্থীরা কোথায় পেয়েছে আমি জানি না।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, “এ ধরনের রাজনৈতিক বার্তা থাকা উচিত নয়। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

    চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রিয়া মনি (২০) গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রিয়া মনি এক শিশু সন্তানের জননী। এ ঘটনা জানাজানি হলে তার স্বামী এখন স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
    চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
    অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিকেল ৫টার দিকে গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের গাববুনিয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে চাচা মো. নাসির মোল্লা (৪৫) ও প্রতিবেশী যতীন্দ্র শীল (৫০) ভুক্তভোগী রিয়া মনিকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় রিয়া মনি বাধা দিলে অভিযুক্তরা তার হাত, পা, মুখ চেপে ধরে এবং পরিধেয় জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। তার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন এবং শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে। এসময় শিশু সন্তানের চিৎকার শুনে স্বজনরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা ঘরের দরজা ভেঙে পালিয়ে যান।

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিযুক্ত নাসির মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার দিন ঘরের খাটে শিশু সন্তানকে দুগ্ধ পান করছিল রিয়া। এসময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে নাসির মোল্লা ও যতীন্দ্র শীল দড়জা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। ঘটনার পরে অভিযুক্ত নাসির মোল্লা ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সালিস মিমাংসা করার কথা বলে বিষয়টি এতদিন ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সালিস মিমাংসা না করে কালক্ষেপণ করছে ও বিভিন্ন হয়রানি করার অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ভুক্তভোগী দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    দাদি পিয়ারা বেগম বলেন, আমরা নাসির ও যতীন্দ্র শীলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই ঘটনার পর নাতনির সংসারে অশান্তির ঝড় উঠেছে। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।

    অভিযুক্ত নাসির মোল্লা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিস বসার কথা স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি সমাধান হয়নি। অপর অভিযুক্ত যতীন্দ্র শীলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তিনি অন্যত্র চলে গেছেন।

    ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে সালিস হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নাসির মোল্লা প্রথমে মানলেও পরে সালিসে উপস্থিত হয়নি।

    অভিযোগের পর সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলতাফ হোসেন জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। বিষয়টি আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সত্যতা পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • জমিজমা বিরোধে একজন নিহত

    জমিজমা বিরোধে একজন নিহত

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে খুন হয়েছেন ভাতিজা শামিম মিয়া (৩০)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বাবা অজেদ সিকদার (৫৫) ও বড় ভাই রেজাউল ইসলাম (৩২)। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

    গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড গ্রামারোদন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত শামিম পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার দুই নাবালক সন্তান—জুনায়েদ (৪) ও জুম্মান (দেড় বছর)—এতিম হয়ে গেল।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুদ্দুস সিকদার ও অজেদ সিকদারের মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। অজেদ সিকদার সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে ঘর তুলতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন। তবে কুদ্দুস সিকদার আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর তোলা শুরু করলে অজেদ সিকদার থানায় অভিযোগ করেন।

    পুলিশ এসে ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দিলেও কুদ্দুস সিকদার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন অজেদ সিকদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস সিকদার (৫৫), তার ছেলে এনামুল সিকদার (২৬) ও স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০) মাটি কাটার কোদাল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অজেদ সিকদারের ওপর হামলা চালায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তারা অজেদ সিকদারকে মারধর করলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার দুই ছেলে শামিম ও রেজাউল। তখন তাদেরও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হামলায় তিনজনই শরীরের বিভিন্ন অংশে ও মাথায় মারাত্মকভাবে আহত হন।

    স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। এদিকে রেজাউল ও অজেদ সিকদারও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।

    এ ঘটনার পর অভিযুক্ত কুদ্দুস সিকদার, এনামুল সিকদার ও রেহেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দুজ্জামান ও থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান।

    নিহত শামিমের স্ত্রী আয়শা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার দুই ছোট বাচ্চা এখন এতিম হয়ে গেল! আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই!”

    রেজাউলের স্ত্রী খাদিজা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছিলাম, পুলিশ কাজ বন্ধও করিয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হলো না। কুদ্দুস সিকদার ও তার ছেলে পরিকল্পিতভাবে আমার দেবরকে মেরে ফেলল। আমার স্বামী ও শ্বশুরের অবস্থাও ভালো না।”

    গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী আনা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুতই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

  • গলাচিপা সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ কার্যক্রম উদ্বোধন

    গলাচিপা সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ কার্যক্রম উদ্বোধন

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় ‘সমলয় পদ্ধতিতে’ ধান চাষাবাদের কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।  বুধবার উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে ব্লকে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে রবি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে শুরু হয়েছে হাইব্রিড ব্রী-ধান-৯২  ধানের সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ চারা রোপণের উদ্বোধন করা হয়।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যার জন্য যন্ত্রপাতি ও ধান বপণ, রোপণ থেকে শুরু করে কাটাই মারাই ঝাড়া ও বস্তাবন্দি পর্যন্ত অত্যাধুনিক মেশিন সরবরাহ করা হবে। সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষে বীজ বপনে ২৫ দিন ও চারা রোপণে ১২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারে।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার ১০ টায় প্রদর্শনী চারা রোপণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী  জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম মল্লিক জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার প্রশিক্ষণ অফিসার পটুয়াখালী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার, প্রেসক্লাব সভাপতি খালিদ হাসান মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ রহমান।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা  মোঃ সিদ্দিক হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্তার হালদার, গণধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা জামাত ইসলাম সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।

  • কৃষক পরিবারের মেয়ে ফারজানা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন

    কৃষক পরিবারের মেয়ে ফারজানা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক পরিবারের মেয়ে ফারজানা আক্তার তামান্না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্বপ্ন দেখেছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবেন। সেই স্বপ্ন পূরণে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে অংশ নেন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়। কিন্তু সেবার উত্তীর্ণ হয়েও কোন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি তামান্না। মানুষের কটুকথা ও হতাশাকে পেছনে ফেলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবার সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ৪৭২৮ তম মেধাতালিকা নিয়ে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। নিজের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি দরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে তামান্না বাবা মায়ের মুখেও হাসি ফুটিয়েছেন। তার স্বপ্ন একদিন সুচিকিৎসক হয়ে গ্রামের অসহায় মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।

    গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রকাশিত এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা খুশিতে আত্মহারা। ফারজানা পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড় গাবুয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন এবং মিসেস সেলিনা বেগমের ছোট মেয়ে। বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। তার একজন বড় বোন রয়েছেন তিনি বিএ পাস করেছেন।

    শিক্ষাজীবনের শুরু ফারজানার হরিদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। সেখান থেকে ২০১৫ সালে পিএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে জেএসসি ও ২০২১ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এাবার নিজ উপজেলা ছেড়ে ভর্তি হন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে। সেখানে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন জিপিএ ৪.৯২ পেয়ে। পাস করার পর প্রথমবার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এম.বি.বি.এস. ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করে টেস্ট স্কোর ৭৮ ও মেরিট স্কোর ১৭৪.২ নম্বর অর্জন করে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষাজীবনে ধারাবাহিক মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে এই অসামান্য সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। তার গ্রামের আশেপাশের কোন গ্রামে মেডিকেল পড়া কোন শিক্ষার্থী নাই। ছোটবেলায় থেকে পড়াশোনার প্রতি ছিল মনোযোগী। তার মেধার কৃতিত্ব রেখেছেন সর্বত্র। দরিদ্র কৃষক বাবা মো. আলাউদ্দিন কষ্ট করে টাকা লোন করে, জমিজমা বিক্রি করে মেয়ের পড়াশোনা করিয়েছেন। সবসময় তার ইচ্ছে ছিল শত কষ্টের মধ্যে মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নিবেন। তাই আজ লোনের টাকা পরিষদের জন্য ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিতে হয়েছে তাকে। তবুও মেয়ের এমন সাফল্য খুশি তিনি। তার কষ্ট ও শ্রম আজ সার্থক বলে মনে করছেন। তবে ভর্তি ও পরবর্তী পড়াশোনা চালিয়ে নিতে দুশ্চিন্তাও রয়েছে তার।

    ফারজানার বাবা মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে আজ আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমরা গর্বিত এবং আশা করি সে একদিন দেশের একজন সেরা চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে। আমার এতদিনের পরিশ্রম আজ সার্থক। আমার আবাদি জমি মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে। এখন বিক্রি করার মত কোন জমি নেই। তাছাড়া আমি এখন ধার দেনা ও ঋণে জর্জরিত। সামনে মেয়ের ভর্তি ও পড়াশুনার খরচ চালিয়ে নিতে এবং মেয়েকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন পূরণে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

    ফারজানা তার সাফল্যের জন্য বাবা-মা,শিক্ষকদের এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, গতবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যখন চান্স পায়নি তখন হতাশায় ভেঙে পড়ি। মানুষের বিভিন্ন কটুকথা শুনতে হয়েছে আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে। আমার বাবা মা সবসময় কষ্ট করে আমার পড়াশোনা করিয়েছেন। আমার পড়াশোনা চালিয়ে নিতে জমিজমা বিক্রি করতে হয়েছে। কোচিং করেও যখন প্রথমবার চান্স হয়নি এই ব্যর্থতা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। পরে বরিশালের আমার কলেজের এক সিনিয়র বড় বোন তামান্না বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তার কাছে নতুন করে স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা পাই। তার দেয়া দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী কোচিং ছাড়াই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আবার অংশগ্রহণ করি। পরীক্ষার পরপরই মনে হয়েছে আমি চান্স পাবো। ফলাফল দেখার পর আমি খুশিতে কান্না করে দিয়েছি।

    ফারজানা আরও বলেন, আমার গ্রামের আশেপাশের কোন গ্রামে মেডিকেল পড়া শিক্ষার্থী নাই। তাই আমি চাই একজন সুচিকিৎসক হয়ে গ্রামে ফিরে আসবো। আমার গ্রামের মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করবো। এখানকার দরিদ্র মানুষেরা চিকিৎসার জন্য খুবই কষ্ট করে। আমি আমার স্বপ্ন পূরণে তাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ প্রাধান্য তালিকা রেখেছিলাম।

    তিনি আরোও বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে নিতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এ বছর অর্থাভাবে কোচিং করতে পারি নাই। কলেজের সিনিয়র বোন তামান্নার পরামর্শ ও অনলাইনে বিভিন্ন গাইডলাইন ফলো করে পড়াশোনা করেছি। সকল কিছুতে আমার শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছেন। তাছাড়া উপবৃত্তির টাকা দিয়ে আমার পড়াশোনা চালিয়ে নিয়েছি। আমি আমার শিক্ষক, বোন ও পরিবারের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

    এদিকে তার সাফল্যে এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে এবং সবাই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করেছেন। স্থানীয়রা মনে করেন, ফারজানার এই অসাধারণ সাফল্য প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে প্রতিকূলতাকে জয় করা সম্ভব।

    গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফারজানা আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব। তার ধারাবাহিক মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম সকল শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণা।

  • জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসী নিহত

    জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসী নিহত

    মোঃ ছালা উদ্দিন বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আতাসন গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল গফুর (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি আতাসন গ্রামের সাবেক মেম্বার মরহুম আহমদ আলীর বড় ছেলে

    শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত আব্দুল গফুর সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন। দেড় মাস আগে দেশে এসেছেন, কিছু দিন পর ছুটি শেষে সৌদি আরব ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের দিলু মিয়া ও আব্দুল গফুরদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একই জেরে শনিবার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে আব্দুল গফুর মারাত্মক আহত হন। হাসপাতালের নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

    এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফরিদ উদ্দিন ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • পুর্ব গৌরীপুর লতিফিয়া সমাজসেবা পরিষদের উদ্যোগে তমে কুরআন ও খানেকা মাহফিল সম্পন্ন

    পুর্ব গৌরীপুর লতিফিয়া সমাজসেবা পরিষদের উদ্যোগে তমে কুরআন ও খানেকা মাহফিল সম্পন্ন

    মোঃ ছালা উদ্দিন, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ অদ্য ১১ জানুয়ারি শনিবার বাদ মাগরিব মুসলিমাবাদ বায়তুল মামুর জামে মসজিদে পরিষদের সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ বদরুল আলমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা ও খানেকা পরিচালনা করেন মাসিক পরওয়ানার সম্পাদক মাওলানা রেদোয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদার বাজার সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ ডক্টর মুফতি সৈয়দ শহীদ আহমদ বোগদাদি, মোকাম বাজার সৈয়দ আব্দুল বারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা কাজী লুৎফুর রহমান সিরাজী, মুসলিমাবাদ হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব হাফিজ ফাতির আহমদ, সহকারী শিক্ষক হাফিজ মির্জা কমর উদ্দিন, বালাগঞ্জ তাহফিযুল কোরআন একাডেমির শিক্ষক হাফিজ নাজমুল ইসলাম শিহাব

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আব্দুল মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাহেদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো. ছালা উদ্দিন, সহ প্রচার সম্পাদক মারুফ আলম তালুকদার মিজু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মনজুর হোসেন, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শেখ শাহজাহান, অফিস সম্পাদক ক্বারী মো. গোলাম মস্তফা, সহ অফিস সম্পাদক হাফিজ শেখ জয়নুল আলম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আবু সালেহ হোসাইন, সহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাফিজ জুবেল আহমদ।

    আরো উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি, সম্পাদক, ক্যাশিয়ারসহ এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লীগণ।