Category: Uncategorized

  • গলাচিপায় হিন্দু নারীর পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল, থানায় লিখিত অভিযোগ

    গলাচিপায় হিন্দু নারীর পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল, থানায় লিখিত অভিযোগ

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক হিন্দু নারীর পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মোশারেফ হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ধর্ণা রানী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৬ জুলাই) উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর এলাকায়।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হরিদেবপুর এলাকার ওমেশ চন্দ্র হাওলাদার ছিলেন পাঁচ ভাইয়ের একজন। তাদের কিসমত হরিদেবপুর মৌজায় ১৫৪ নম্বর এসএ খতিয়ানে পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। ওমেশ চন্দ্র তার নিজ অংশের পাশাপাশি এক ভাইয়ের অংশ ক্রয় করে নিজ নামে ভোগদখলে নেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার মেয়ে ঝর্ণা রানী ও স্ত্রীর নামে দলিল করে দিয়ে যান। অন্যদিকে, ওমেশ চন্দ্রের অপর তিন ভাই তাদের অংশ মোশারেফ হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। এই সূত্রে ৫২২ নম্বর দাগের ২০ শতাংশ জমির ভোগদখল নিয়ে ঝর্ণা রানী ও মোশারেফ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

    বিরোধ মীমাংসায় গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ ও সালিসি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, গত ৫ জুলাই মোশারেফ হোসেন সালিসিতে না বসে বিরোধীয় জমি দখলের চেষ্টা করেন এবং ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে ঝর্ণা রানী পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ৬ জুলাই গভীর রাতে ঝর্ণা রানীর অনুপস্থিতিতে মোশারেফ লোকজন নিয়ে জমি দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করেন।

    ঝর্ণা রানী তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত মোশারেফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে লোকজন নিয়ে এসে কাঠ ও নির্মাণসামগ্রী এনে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ শুরু করেন। বাধা দিলে তাকে এবং তার স্বজনদের হুমকি দেওয়া হয়। পরে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ করে জমি দখল করা হয়। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ঝর্ণা রানী। এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়ায় জমি ফিরে পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।

    ঝর্ণা রানী বলেন, এটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। আমরা বৈধ মালিক। মোশারেফ ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে বারবার হুমকি দিয়ে এখন জোরপূর্বক ঘর তুলে নিয়েছে। আমি ন্যায়বিচারের আশায় আইনের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি গরিব মানুষ তারা প্রভাবশালী তাই ক্ষমতাবলে আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে জোরজবরদস্তি করছে। নিজের সম্পত্তি থাকতেও আজ অন্যের জমিতে থাকতে হচ্ছে আমাদের। আমি বিচার চাই।

    অভিযুক্ত মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

    গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশাদুর রহমান জানান, অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার

    জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার

    জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে বলে দাবি করছেন পরিবার। এবিষয়ে রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে জুড়ী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী রুহেলা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের মেয়ে হাবিবা আক্তার ও তাইবা আক্তার।

    সংবাদ সম্মেলনে রুহেলা বেগম বলেন, আমি জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা। আমার ছেলে জুড়ী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাত দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসছেন। একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন রাত ৯ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমার ছেলে ফাতিন হাসনাতকে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর আমি জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ। এঘটনার পর আমাদের পরিবার আরো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে এই ঘটনার দুইদিন পর থেকে আমার স্বামী জিল্লুর রহমান নিখোঁজ রয়েছে। আমার স্বামী জিল্লুর রহমানকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা ধারণা করছি আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই। এ বিষয়ে জুড়ী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলেও পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। আমরা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা। বর্তমানে আমরাও বাড়ি ছাড়া। আমার ছেলে ফাতিন হাসনাত দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যার কারনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা বিচার চাচ্ছি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, জিল্লুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে।

  • ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন

    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন

    মো:রুবেল আহমদ তালুকদার: আজকের ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। জীবন কে সুন্দর করতে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সু শিক্ষা ও সুন্দর পরিবেশের পাশা পাশি ছাত্র/ছাত্রীদের একটি আর্থিক সঞ্চয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাদের অদূর ভবিষ্যৎ কে সুন্দর করতে ও তাদের কে আর্থিক সঞ্চয়ের আগ্রহী করে তুলতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক এর নির্দেশনায় স্কুল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি।

    ২৬মে রোজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়য়ের এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন ২০২৫-ইং এর কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা গুলো বলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিলেট এর মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন ও কুইজ প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়।

    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক,শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন 2025 অনুষ্ঠিত।
    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক,শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন 2025 অনুষ্ঠিত।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা এ এন এম সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চলনায় ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিলেট এর মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাফিজুর রহমান তারেক উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলতাফুর রহমান টিপু এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র/ছাত্রী বৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমরান আহমদ। বক্তব্য রাখেন বিকেবি কর্মকর্তা আফসারুজ্জামান।
    কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন কারী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়। প্রধান অতিথি ছাত্র /ছাত্রী ছাড়াও প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধার কথা উল্ল্যেখ করেন।

    যে আগামী ১৯জুনের মধ্যে যদি প্রবাসীরা কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বোনাস ছাড়াও লটারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে চাইলে সকল প্রবাসীরা অংশ গ্রহন করতে পারেন।

  • ব্লগার শিমু হত্যাচেষ্টা, উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা

    ব্লগার শিমু হত্যাচেষ্টা, উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা

    বহুল আলোচিত লেখক, ব্লগার সুমিয়া শিমু হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনে পরিকল্পিত হামলা চালায় একদল উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। এসময় দুর্বৃত্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরিবারের সদস্যদের শারীরির এবং মানুষিকভাবেও লাঞ্চিত করে।

    গত ২৪মার্চ (সোমবার) মধ্যরাতে সুমিয়া শিমুর বরিশাল গৌরনদীর অবস্থিত নিজ বাসায় এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ব্লগার ও লেখক সুমিয়া শিমু ২০২৫ সালের বরিশাল মেট্রো এর ওয়েবে ধর্ম ভিত্তিক, ধর্মান্ধতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা, ধর্মীও উগ্রবাদীদের বিষয়ে লিখা প্রকাশ করেন ।

    সুমিয়া শিমুর পিতা এম ডি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “শিমু উদারপন্থী। সে একজন মানবাধিকার কর্মী। এরই জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান। এরা উগ্রপন্থী কোন গোষ্ঠীরই সদস্য বলেও জানান তিনি। ইতোপূর্বেও গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর একই কায়দায় হামলা চালায় এ গোষ্ঠীটি। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ।”

    তিনি আরও বলেন, “প্যান্ট আর হাফ শার্ট পড়া চারজন যুবক কিছু বুঝে উঠার আগেই দরজা ভেঙ্গে অতর্কিতে ভেতরে ঢুকে যায়। যুবকদের পুরো মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিলো এবং চোখে ছিলো কালো চশমা। সবার হাতেই দেশীয় ধারালো অস্ত্র (রামদা, চাপাতি) ছিলো। অস্ত্রের মুখে তারা শিমুর অবস্থান জানতে চায়। সে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছে। উগ্রপন্থী এ গোষ্ঠীটি লন্ডনে তার অবস্থান নিশ্চিত হতে চায়। সেখানে তার অবস্থান জানাতে না চাওয়ায় তারা পুরো বাড়িতে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। পরিবারের সকল সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে এক পর্যায়ে বাসার বাইরে তালা লাগিয়ে চলে যায়। আমিও এই হামলার ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হই।”

    সুমিয়া শিমু, কট্টর ইসলামের সমালোচনা ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদের জন্য বাংলাদেশের ইসলামিস্টদের নিকট আক্রমণের লক্ষ্যবস্ত। বাংলাদেশে বিগত সময়ে অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাস, আরেফিন দীপন সহ অসংখ্য মুক্তচিন্তক, ব্লগার, লেখক প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী ফতোয়া দিয়ে তাদের হত্যার জন্য নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল ও তাদের হত্যার জন্য ক্যাম্পেইন করেছিল জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলাম, হিজবুত তাহরির, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্যজোট এর কর্মীরা।

    উল্লেখ্য বিভিন্ন সমর্থিত ও অসমর্থিত সূত্রের দাবী, গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ পর থেকে প্রান্তিক বিবিধ গোষ্ঠীর সদস্যরা একাধিকবার দেশের বিভিন্ন স্থানে হেনস্থা, হয়রানি, হামলা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছে পুনরুত্থিত ইসলামিক দলগুলোর কাছে। ধর্মানুভূতিতে আঘাত সহ সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে প্রকাশিত লেখার জের ধরেই এসব পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত অনেক লেখক, ব্লগার, অধিকার কর্মীরা সম্প্রতি নিজ নিজ বাসস্থানে হামলা ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশের উগ্রবাদী ধর্মীও গোষ্ঠীর নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশের বিষয়গুলো সামনে আসছে। একই সাথে দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সহ লেখালেখির সাথে জড়িত লেখক, ব্লগার ও অধিকার কর্মীদেরও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ার সাথে হামলার মুখেও পড়ছে।

  • গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীর পক্ষে থেকে প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীর পক্ষে থেকে প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ১৭ মার্চ দুপুর ২ টায় মৎস্য ব্যাবসায়ী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে।

    পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন
    পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন

    এসময় সংবাদ সম্মেলন উল্লেখ করেন যে গত ১লা মার্চ তারিখে গলাচিপা থেকে ঢাকাগামী ডলফিন পরিবহনে ৩১ কার্টুন ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় বাবুগঞ্জ থানাধীন নতুনহাট বাজার বিটে পৌছালে প্রতারক ইমন এর ইন্দোনে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক পরিবহন থামিয়ে ১৮ কার্টুন ইলিশ মাছ নামিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নূরে আলম নামে একজন লোক ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ৪০ হাজার টাকা নূরে আলম এর দুইটি মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা মাছ না দিয়ে তালবাহনা শুরু করেন। এবিষয়টি নিয়ে বাবুগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কার্টুন মাছ উদ্ধার করে। বাকি ৫ কাটুন মাছ উদ্ধার করতে পারেনি।মাছ গুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা।

    গত ৪ মার্চ তারিখে উক্ত নূরে আলম তার NRBC ব্যাংক থেকে প্রতারক ইমনকে ১ লাখ টাকা গলাচিপা পূবালী ব্যাংকের শাখায় পাঠায়।এতথ্য পাওয়ার পরে উক্ত বিষয় নিয়ে প্রতারক ইমনকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে নানান রকমের তালবাহনা শুরু করেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে। এনিয়ে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীরা গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত থাকেন উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ চুন্নু মৃধা, মৎস্য ব্যাবসায়ী কুদ্দুস মুন্সি, হেলাল সিকদার,রহমান খলিফা,বশির হাওলাদার বাচ্চু হাওলাদার, মামুন সহ আরো অনেকে।

    এছাড়াও প্রতারক ইমন প্যাদা ক্যাসিনো ব্যাবসায় জড়িত আছে এমন অভিযোগপ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বহু টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় বলেও জানান সংবাদ সম্মেলনে। এবিষয়ে প্রতারক ইমন প্যাদাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শান্তির দাবি করেন মৎস্য ব্যাবসায়ীরা।

  • গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল, অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় গলাচিপা পৌর শহরের জৈনপুরী খানকা ময়দানের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

    বিক্ষোভকারীরা বলেন , ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা দাবি করেন, ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনসহ সরকারি তহবিলের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, ইউএনও মিজানুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

    বিক্ষোভকারীরা দ্রুত ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন ও ব্যানার প্রদর্শন করেন। তারা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শাহ জুবায়ের আবদুল্লাহ, তারিকুল ইসলাম মুন্না, মো. হানিফ ডাক্তার প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হন। এ নিয়ে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন পার হলো।

  • গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ “Uno Galachipa” থেকে দেওয়া একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই পোস্টে ইউএনও নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী বলে স্বীকার করেছেন এবং দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গও তুলেছেন।

    ইউএনও’র ফেসবুক পেইজের পোস্টেে লেখা হয়—”আমার (মিজানুর রহমান) বিরুদ্ধে বড় একটা অভিযোগ হলো আমি ছাত্রলীগ করতাম। হ্যাঁ, একসময় করতাম। সো, কি হয়েছে? নুরু ভাইও এক সময় ছাত্রলীগ করত। তিনি একসময় জননেত্রীর পা ছুঁয়ে সালামও করেছেন। সো, তাতে কি নুরু ভাইয়ের জনপ্রিয়তা এখন কম?”

    তিনি আরও লেখেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কারণে আমরা মোটেই লজ্জিত নই, কারণ এই দেশমাতৃকার জন্ম তা হাত ধরেই। আরেকটা অভিযোগ হলো দুর্নীতির। Who is free from it? যে দুর্নীতি করে না বুঝতে হবে সে সুযোগ পায় না।”

    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি
    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    সবশেষে তিনি মন্তব্য করেন, “সোজাসাপটা কথা। একদিন আমাদেরও সময় আসবে। Every dog has its barking day.”

    এই পোস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুহূর্তে পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। ফেইসবুকে পোস্ট শেয়ার করে অনেকে লেখেন সরকারি একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এ ধরনের মন্তব্য কতটা নৈতিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

    এদিকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই ফেসবুক পেজটি ইউএনও নিজেই পরিচালনা করেন। রোববার রাত ৯:২০ মিনিটে পোস্টটি প্রথম দেখা যায়, যা এখনো দৃশ্যমান।

    ঘটনার পর রোববার রাত সাড়ে ১০টায় গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ইউএনও মিজানুর রহমান। তিনি দাবি করেন, তার আইডি হ্যাক করা হয়েছে এবং বিষয়টি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অফিশিয়ালি ফেইসবুক আইডি ‘Uno Galachipa’ কে বা কারা হ্যাক করে বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি এর এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি থানায় জিডি করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ভোলায় পবিত্র রমাদ্বান এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

    ভোলায় পবিত্র রমাদ্বান এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

    অনলাইন ডেক্সঃ তাক্ব‌ওয়া ফাউন্ডেশন ভোলা এর উদ্যোগে পবিত্র রমাদ্বান মাস এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় ভোলা জেলা পরিষদ হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

    আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তাক্ব‌ওয়া ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ও বাংলা বাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিন কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী উল্যাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-উর-রশিদ।

    পরানগঞ্জ হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভোলা সরকারি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল গফুর, ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইসরাফিল, ভোলা সরকারি কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক মো মিজানুর রহমান, নাজিউর রহমান কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর সংগীত শিল্পী মোঃ মনিরুল ইসলাম, উত্তরা ব্যাংক ভোলা জেলা জোন এর প্রধান (ডিজিএম) মোঃ আব্দুর রব, ন্যাশনাল ব্যাংক ভোলা শাখার ম্যানেজার মোঃ জামাল উদ্দিন।

    অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। তাক্বওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্যে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও ধর্ষণমুক্ত সমাজ গঠনে তাক্বওয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রয়োজন। আলোচনা সভা ও ইফতারে মাহফিলে জেলার কয়েক শতাধিক ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম-উলামা অংশ নেন।

  • হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস প্রতি বছর ১০ই মার্চ পালিত হয়, যা দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রাম, মানবাধিকারের জন্য লড়াই এবং নারী ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তিনি ছিলেন এক অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, যিনি শত শত দাসকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন এবং আমেরিকার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

    হারিয়েট টাবম্যানের জীবন কাহিনি

    শৈশব ও জন্ম

    ১৮২২ সালের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন হারিয়েট টাবম্যান। তাঁর আসল নাম ছিল অ্যারামিন্তা “মিন্টি” রস। তাঁর বাবা-মা দুজনেই দাস ছিলেন, ফলে ছোটবেলা থেকেই তাঁকে দাসত্বের নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

    শিক্ষা জীবন

    সেসময় দাসদের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ ছিল না, তাই হারিয়েট কখনোই বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। তবে তিনি জীবন থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করেন, কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নিজের জ্ঞান অর্জন করেন।

    বিবাহ ও পরিবার

    ১৮৪৪ সালে তিনি জন টাবম্যান নামের এক মুক্ত কৃষ্ণাঙ্গকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে হারিয়েট টাবম্যান রাখেন। পরবর্তীতে তিনি নেলসন ডেভিস নামের আরেকজনকে বিয়ে করেন এবং গার্টি নামে এক কন্যা সন্তান দত্তক নেন।

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা | দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক
    হারিয়েট টাবম্যান ছিলেন দাসপ্রথা বিরোধী আন্দোলনের এক মহীয়সী নারী, যিনি শত শত দাসকে মুক্ত করেছেন। জানুন তাঁর জীবন, সংগ্রাম ও অবদান সম্পর্কে।

    কর্মজীবন ও অবদান

    দাসত্ব থেকে মুক্তি ও ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড’

    ১৮৪৯ সালে নিজের জীবন বাজি রেখে দাসত্ব থেকে পালান হারিয়েট টাবম্যান। এরপর তিনি শত শত দাসকে মুক্ত করতে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড’ নামক গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাঁদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পরিচিত হন ‘মোসেস’ নামে।

    আমেরিকার গৃহযুদ্ধগুপ্তচর জীবন

    গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ইউনিয়ন আর্মির জন্য গুপ্তচর, নার্স ও রান্নার কাজ করতেন। তিনি দক্ষিণ অঞ্চলে গোপন মিশন পরিচালনা করেন এবং বহু দাসকে মুক্ত করতে সাহায্য করেন।

    নারী ও মানবাধিকার আন্দোলন

    গৃহযুদ্ধের পর তিনি নারীর ভোটাধিকার এবং আফ্রিকান-আমেরিকানদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেন। তাঁর সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ মানবাধিকারের লড়াইয়ে তাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পরিণত করেছে।

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    ১. দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক

    তিনি শুধু নিজের মুক্তির জন্য লড়েননি, বরং শত শত নির্যাতিত মানুষকে মুক্ত করেছেন।

    ২. স্বাধীনতার প্রতীক

    তিনি মুক্তি, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য আজও এক অনুপ্রেরণার নাম।

    ৩. নারী ও মানবাধিকারের অগ্রদূত

    তিনি নারীদের অধিকার ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, যা আজও আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা। দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক

    উপসংহার

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস শুধুমাত্র একটি স্মরণীয় দিন নয়, এটি এক মহীয়সী নারীর সাহস, সংগ্রাম ও মানবাধিকারের প্রতি অবিচল বিশ্বাসের উদযাপন। তাঁর জীবন আমাদের শেখায়, প্রতিকূলতাকে জয় করে কীভাবে সত্যিকার অর্থে মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে হয়। তাই ১০ই মার্চ, আমরা কেবল তাঁকে স্মরণ করি না, বরং তাঁর আদর্শকে লালন করি। হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা | দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক