Category: রাজনৈতিক

  • কুলাউড়া বিএনপির সভাপতি কে হচ্ছেন শওকতুল ইসলাম শকু না জয়নাল আবেদীন বাচ্চু

    কুলাউড়া বিএনপির সভাপতি কে হচ্ছেন শওকতুল ইসলাম শকু না জয়নাল আবেদীন বাচ্চু

    রুবেল বখস পাভেল, কুলাউড়া।

    আসন্ন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি পদ নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের নেতৃত্বভার কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সভাপতি পদে এবার দুজন হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন – আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকু এবং জয়নাল আবেদীন বাচ্চু।

     

    সভাপতি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। এর আগে তিনি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, তিনি কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দুই বারের সফল সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

    আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকু দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আমাকে এই উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে নির্বাচিত করলে, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সহ সকলকে নিয়ে এই উপজেলা বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত করতে সহজ হবে।” তার এই বক্তব্য দলের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার উপর জোর দেয়।

     

    অপরদিকে, সভাপতি পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন বাচ্চু কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে পরিচিত। তিনি উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এবং পৌর কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে জয়নাল আবেদীন বাচ্চু এবার সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আশাবাদী।

    তিনি দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত উপজেলা বিএনপি’র সকল নেতাকর্মী, সমর্থক এবং ভোটারদের কাছে সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থী হয়েছেন। তিনি তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচিত করার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

    আসন্ন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে দুই সভাপতি পদপ্রার্থীই উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে তাদের মূল্যবান ভোট ও সমর্থন চেয়ে ব্যাপক জনসংযোগ করছেন। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আগামী দিনের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

  • গলাচিপায় বিএনপির নবনির্বাচিত জেলা নেতাদের ফুলেল সংবর্ধনা

    গলাচিপায় বিএনপির নবনির্বাচিত জেলা নেতাদের ফুলেল সংবর্ধনা

    মিঠুন পাল পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পটুয়াখালী জেলা শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটনের সম্মানে গলাচিপায় এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের হলরুমে গলাচিপা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে এই ফুলেল সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটন।

    সভাপতিত্ব করেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সিদ্দিকুর রহমান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সত্তার হাওলাদার।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা মো. মোস্তাক আহমেদ পিনু, মো. বশির মৃধা, সাবেক যুবদল সভাপতি মো. মনির ইসলাম লিটন, গলাচিপা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহিন খন্দকার, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম খান এবং মো. জিয়াউর রহমান জিয়া সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    নবনির্বাচিত নেতাদের সংবর্ধনা জানাতে গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত শত শত নেতাকর্মী ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্লোগানে মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

  • গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা এবং দোকান-বাড়ি ভাঙচুরসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৩ জুন শুক্রবার বিকেল ৪টায় গলাচিপা উপজেলা এলজিইডি অফিসের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর সংবাদ সম্মেলন করেন।

    নূরুল হক নূর তার বক্তব্যে বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে আমরা ও আমাদের হাজারো নেতা-কর্মী বিভিন্ন হামলা ও মামলা মোকাবেলা করেছি। শত শত তাজা প্রাণের বিনিময়ে ২৪’র গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। আজকের ফ্যাসিস্ট সরকারের (শেখ হাসিনার সরকার) বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বিএনপির নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অফিস ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং দোকান-বাড়ি ভাঙচুর করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

    তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বকুলবাড়িয়াতে পথসভা করতে গিয়ে হাসান মামুনের অনুসারীরা আমাদের রাতভর অবরুদ্ধ করেছে, রাস্তা অবরোধ করেছে গাছ ফেলে, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী সত্ত্বেও নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার বিপক্ষে; আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাই।

    নূর আরও বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়েছি, কিন্তু এর সুবিধা নিচ্ছে বিএনপির নেতাদের পরিবারের লোকজন। আমি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। গনঅধিকার পরিষদ কোন ভেসে আসা দল নয়, এটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফলাফল।

    সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    অন্যদিকে, গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় সংঘর্ষ ও উত্তেজনার কারণে উপজেলা প্রশাসন ১৩ জুন শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

  • জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে আওয়ামীলীগের হামলা

    জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে আওয়ামীলীগের হামলা

    জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ফাতিন হাসনাতকে বাড়িতে না পেয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। সোমবার ( ৯ জুন ) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের ছেলে সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাত দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জুন রাত ৯ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ফাতিন হাসনাতকে না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ। বর্তমানে ফাতিন হাসনাতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    এ বিষয়ে ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তাদের পরিবার জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার ছেলে ফাতিন হাসনাত ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, তার স্বামী জিল্লুর রহমান ও ছেলে ফাতিন হাসনাত সহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। তারা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছেনা। বর্তমানে এই পরিবারটি বাড়ি ছাড়া। তার ছেলে ফাতিন হাসনাত দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরশেদুল আলম ভূইয়া বলেন, এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে, আমরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারিনা।

  • আমি ছিলাম আওয়ামী লীগের, কিন্তু এখন দেশকে আর চিনি না

    আমি ছিলাম আওয়ামী লীগের, কিন্তু এখন দেশকে আর চিনি না

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আমি আওয়ামী লীগ করতাম। ছোটবেলা থেকেই ‘জয় বাংলা’, ‘তোমার নেতা, আমার নেতা — শেখ হাসিনা’ স্লোগান মুখস্ত করেছি। বিশ্বাস করতাম এই দল মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি, আর শেখ হাসিনা মৌলবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা।

    কিন্তু আজ আমি আতঙ্কিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর যে বাংলাদেশ আমরা দেখছি, তা ভিন্ন এক রাষ্ট্র — ধর্মীয় উগ্রতা, মৌলবাদ ও চরমপন্থার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এই ভূখণ্ড।

    রাজপথ এখন হেফাজত, জামায়াত ও সালাফি চক্রের দখলে। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে প্রকাশ্যে শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলোর পাঠ্যক্রমে ঢুকছে তালেবানি আদর্শ। নারী অধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাকস্বাধীনতা — সবই আজ প্রশ্নবিদ্ধ।

    সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, **বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে জামায়াতে ইসলামী কার্যত অংশীদার**। আর এই কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে ইসলামী উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কোনও শক্ত অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হচ্ছে না, পুলিশ নীরব, প্রশাসন অদৃশ্য।

    এই নীরবতা কি কাকতালীয়? নাকি পরিকল্পিত?

    যখন চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা হলো, প্রশাসন বলল “বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যখন ফেসবুকে একজন নাস্তিক লেখককে হত্যার হুমকি দেওয়া হলো, তখনও সরকার নিশ্চুপ। কারণ যারা হুমকি দিচ্ছে, তারা এখন ক্ষমতার সাথেই জড়িত।

    আমি নিজেই আগে আওয়ামী লীগের পক্ষে সোচ্চার ছিলাম — ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আজ যারা সেই চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গে আপস করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    আমরা কি সত্যিই সেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আছি? নাকি এক তালেবানি ধারার রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছি, যেখানে দাড়িওয়ালা নেতারা ঠিক করবেন আপনি কী পরবেন, কী বলবেন, কী বিশ্বাস করবেন?

    এখন প্রতিবাদের সময়। আওয়ামী লীগ যাদের একসময় রুখেছিল, তারা আজ সরকারি মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাততালি পাচ্ছে। আমরা যদি এখনই না জাগি, তবে বাংলাদেশ আর আমাদের থাকবে না।