Category: মানববন্ধন

  • গলাচিপায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    গলাচিপায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা ও সাংবাদিক আনোয়ারকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতরভাবে আহত করার ঘটনায় এবং সারাদেশে চলমান সাংবাদিক নির্যাতন-নিপীড়ন ও হুমকির প্রতিবাদে গলাচিপায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সারাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

    সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ৯ টায় গলাচিপা থানা কমপ্লেক্সের সামনে গলাচিপায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীন দেশে একজন সাংবাদিককে এভাবে হত্যা ও আরেকজনকে হত্যাচেষ্টায় আহত করা চরম উদ্বেগজনক ও লজ্জাজনক। বাংলাদেশের সংবিধান সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহ, তথ্য প্রচার ও মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে। এই অধিকার কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাষ্ট্রীয় সংস্থা হুমকি দিয়ে কেড়ে নিতে পারে না। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। অবিলম্বে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নতুবা সাংবাদিক সমাজ আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে।

    এ সময় বক্তব্য দেন—দৈনিক তৃতীয় মাত্রার উপজেলা প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক মু. খালিদ হোসেন মিলটন, দৈনিক নয়া দিগন্তের উপজেলা প্রতিনিধি মো. হারুন অর রশিদ, দৈনিক আমাদের সময় উপজেলা প্রতিনিধি মো. নাসির উদ্দিন, দৈনিক কালের কণ্ঠ উপজেলা প্রতিনিধি সাইমুন রহমান এলিট, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ উপজেলা প্রতিনিধি ইশরাত হোসেন মাসুদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রহমান, এশিয়ান টিভির পটুয়াখালী দক্ষিণ প্রতিনিধি ও দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকা প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন, ৭১ টিভির উপজেলা প্রতিনিধি সাকিব হাসান, আনন্দ টিভির উপজেলা প্রতিনিধি মো. সোহেল আরমান, মোহনা টিভির উপজেলা প্রতিনিধি সোহাগ রহমান এবং দৈনিক স্বাধীনমত পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মো. হাফিজ উল্লাহ।

    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন— দৈনিক সমকাল উপজেলা প্রতিনিধি মো. কাওসার আহমেদ, দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি মো. মুনতাসীর মামুন, মাই টিভির উপজেলা প্রতিনিধি হাসান এলাহী, বিজয় টিভির উপজেলা প্রতিনিধি আহসান উদ্দিন জিকু, এশিয়ান টিভির উপজেলা প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ ইমন, চ্যানেল এস-এর মো. উজ্জ্বল মিয়া, দৈনিক গণকণ্ঠ উপজেলা প্রতিনিধি মিঠুন চন্দ্র পাল,দৈনিক মানবকণ্ঠের মো. আল মামুন, দৈনিক মানবজমিন উপজেলা প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম মলি, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ উপজেলা প্রতিনিধি আরেফিন লিমন, দৈনিক ভোরের পাতা উপজেলা প্রতিনিধি মো. হাফিজ, দৈনিক মুক্ত খবর উপজেলা প্রতিনিধি মো. নেছার উদ্দিন, দৈনিক জনবানী উপজেলা প্রতিনিধি শিশির রঞ্জন হাওলাদার, দৈনিক চিত্রের টিপু মৃধা, দৈনিক দেশ প্রতিদিন উপজেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা, দৈনিক মাতৃজগত উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল মান্নান, স্বদেশ বিচিত্রা উপজেলা প্রতিনিধি মো. হেলাল উদ্দিন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন, দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধি মো. মোস্তফা কামাল খান, দৈনিক কাগজের ডাক উপজেলা প্রতিনিধি মো. বাপ্পি, দৈনিক মাতৃজগত প্রতিনিধি খন্দকার জলিল, দৈনিক মুক্তির লড়াই প্রতিনিধি আবু তালেব মোতাহার এবং দৈনিক নববানী উপজেলা প্রতিনিধি মো. ইলিয়াস হোসেনসহ স্থানীয় অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা। মানববন্ধন শেষে বুধবার একদিনের কলম বিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

  • জুড়ীতে উপজেলা সদরের বাহিরে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    জুড়ীতে উপজেলা সদরের বাহিরে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং পাশে সরকারি মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পরও একটি অর্থ লোভী সিন্ডিকেট উপজেলা শহর থেকে অনেক বাহিরে উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে উপজেলা চত্বর চৌমুহনীতে এ‌ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে মোঃ হাবিবের সঞ্চালনায় ও রেজান আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাবিবুর রহমান হাবিব, মাওলানা ফখর উদ্দিন পাঠান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আপ্তাব আলী, এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষক শাহীন আহমেদ, ছাত্রনেতা সাজিদ মাহমুদ, সার্জেন্ট আমজাদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আছাদ উদ্দিন, অধ্যাপক বদরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, প্রবাসী মাশুক আহমেদ, সুমন আহমেদ, ছাত্র সমন্বয়ক মাহতাব ভূইয়া স্পন্দন, জাকির হোসেন বাবু সহ আরো অনেকেই।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং পাশে সরকারি মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি শতভাগ চূড়ান্ত হওয়ার পরও একটি অর্থ লোভী সিন্ডিকেট উপজেলা শহর থেকে অনেক বাহিরে উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা করছে। আমরা ওই সিন্ডিকেটকে বলতে চাই, আপনারা টেকনিক্যাল কলেজ খেয়েছেন, আপনারা ফায়ার সার্ভিস খেয়েছেন, আপনারা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম খেয়েছেন, দয়া করে আল্লাহর ঘর মসজিদ খাবেন না? তাহলে আল্লাহর গজব পড়বে আপনাদের উপর। জুড়ী উপজেলার সবকিছু খেয়েও আপনাদের পেট ভরছে না কেন? এমন কোন অপকর্ম নেই যা আপনারা করছেন না। টাকা নিয়ে কি কবরে যাবেন? টাকার বিনিময়ে কি আজীবন বেঁচে থাকবেন। এবার থামুন। আল্লাহকে ভয় করুন। সৃষ্টিকর্তা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে এবং পাশে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ না নিলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যখন সারাদেশের মতো জুড়ী উপজেলায়ও একটি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তখন থেকেই এই আসনের এমপি ও সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দন এবং জুড়ী সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজা সিন্ডিকেট অতীতের সকল প্রকল্পের মতই জুড়ী উপজেলা মডেল মসজিদটি গিলে খাওয়ার ফন্দি করেন। শাহাব-মাছুম সিন্ডিকেটের এই চক্রান্ত বুঝতে পেরে তৎকালীন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক জনগণের দাবির প্রতি একমত হয়ে জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স এর ভিতরে অথবা পাশেই জুড়ী উপজেলা মডেল মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জেলা প্রশাসক সহ এ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যখন দেখলো এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে জমি অধিগ্রহণে সরকারের তেমন কোন টাকাই খরচ হবে না। শহরের ভেতরে ও মেইন রাস্তার পাশে এবং দৃষ্টিনন্দন একটি জায়গায় মসজিদ নির্মাণ হবে। পুরো উপজেলার মানুষ এই মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ পাবে। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরের টিনশেডের মসজিদের জায়গায় জুড়ী মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। মসজিদের জায়গা চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি জেনে শাহাব-মাছুম সিন্ডিকেট তৎকালীন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে ক্ষমতার পাওয়ার দিয়ে এবং টাকার বিনিময়ে রাতারাতি জুড়ী সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজার বাড়ির পাশে পশ্চিম ভবানীপুর মৌজার আঞ্জুরী কুনা বিলে মডেল মসজিদটি নির্মাণের পায়তারা শুরু করেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন সময়েও জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স এর ভিতরে অথবা পাশেই মডেল মসজিদটি নির্মাণের জন্য জুড়ী উপজেলাবাসির ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স এর ভিতরে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা, সিন্ডিকেট নেতাদের প্রয়োজন টাকা এটা মসজিদ’ই হউক আর মন্দির’ই হউক। অবশেষে শাহাব-মাছুম সিন্ডিকেটের কাছে পরাজিত হলো জনগণের প্রাণের দাবি। জানা যায়, পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের নির্দেশেই জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজার বাড়ির পাশে পশ্চিম ভবানীপুর মৌজার আঞ্জুরী কুনা বিলেই জুড়ীর মডেল মসজিদের জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করা হয় এবং সম্প্রতি সময়েই মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানা যায়। এতে ক্ষুব্ধ জুড়ী উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মুসল্লিগণের দাবি, সমগ্র উপজেলার মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে কিছু অর্থলোভী সিন্ডিকেট নেতার কারণে মসজিদের মতো একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা ঠিক হয়নি। তারা জানান, সমগ্র উপজেলা বাসির মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে সুন্দর ও সঠিক জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হোক। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

    মানববন্ধন শেষে অনেকেই বলেন, জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে বা পাশে যদি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হতো তাহলে সমগ্র জুড়ী উপজেলা বাসির জন্য উপকার হতো। সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের আশীর্বাদ পুষ্ট, জুড়ী উপজেলা সিন্ডিকেটের প্রধান উপদেষ্টা, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগকারী ও আওয়ামীলীগ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বার বার জুড়ী সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বনে যাওয়া মাছুম রেজার লোভের কারণে জুড়ী বাসি একের পর এক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সবার মুখে মুখে একই কথা- এই ১৫ বছরে জুড়ীর সকল উন্নয়ন মাসুম রেজার বাড়িতে! স্বৈরাচার সরকারের একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এই মাছুম সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। মাছুম রেজা জুড়ীবাসীর কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক।

  • ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি: দ্রুত কাজ শেষের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি: দ্রুত কাজ শেষের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া-গজালিয়া ইউনিয়নের সংযোগ খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও ব্রিজ নির্মাণে অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। এরই প্রতিবাদে ও দ্রুত কাজ সম্পন্নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

    রোববার (৪ মে) সকাল ১০টায় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন শতাধিক স্থানীয় মানুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা শামীম খা (৪০), শাহাবুদ্দিন প্যাদা (৬০) ও শাহীন ঢালী (৪০)।

    বক্তারা বলেন, এই ব্রিজটি শুধু গজালিয়ার জন্য নয়, আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রধান পথ। বছরের পর বছর পার হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পাটাতন দিয়ে এখনো চলাচল করতে হচ্ছে। উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে চিকনিকান্দি বাজার হয়ে, যা অত্যন্ত কষ্টকর।

    তারা আরও জানান, ব্রিজের দুই পাড়ে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও হাটবাজার। ফলে এর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হওয়া জরুরি। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত ব্রিজের কাজ সম্পন্নের আহ্বান জানান এবং কাজের তদারকি জোরদার করার দাবি জানান।

    জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন প্রকল্প (টিবিআরপি)-এর আওতায় ২০২৩ সালের ১ মে গলাচিপা উপজেলার আটখালী-চন্দ্রাইল সড়কে ২৪৩০ মিটার, চেইনেজে ৭২ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চুক্তিমূল্য ৫ কোটি ৯১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৫ টাকা। বরিশালের বাকেরগঞ্জের মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে ব্রিজের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।

    চর চন্দ্রাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুবর্ণা রাণী বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পার হয়ে যেতে হয়। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। দ্রুত কাজ সম্পন্ন না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

    এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ-এর ঠিকাদার কবির হোসেন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি সাংবাদিকদের উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তার দাবি, ব্রিজের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্রিজটির উচ্চতা পরিবর্তনের কারণে নতুন ডিজাইন পাস করতে সময় লেগেছে। বর্তমানে নতুন ডিজাইন অনুমোদিত হয়েছে। খুব দ্রুতই নির্মাণকাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, আপাতত পুরাতন ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।