Category: আর্ন্তজাতিক

আর্ন্তজাতিক খবর হলো বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঘটনাবলীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এই খবরগুলি বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু তুলে ধরে, যেমন যুদ্ধ, শান্তি আলোচনা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মিথস্ক্রিয়া এই খবরের মাধ্যমে আমাদের সমকালীন বিশ্বের একটি পরিষ্কার চিত্র দেয়। এটি সাধারণ জনগণের কাছে বিশ্ব সংবাদ জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

  • বাংলাদেশ সংকটে রুশ নিউক্লিয়ার ডিলের ছায়া: শেখ হাসিনার পতনের পিছনে কি ছিল ভূ-রাজনৈতিক খেলা?

    বাংলাদেশ সংকটে রুশ নিউক্লিয়ার ডিলের ছায়া: শেখ হাসিনার পতনের পিছনে কি ছিল ভূ-রাজনৈতিক খেলা?

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সাম্প্রতিক অশান্তির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোয় এসেছে—গত বছর রাশিয়া বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নিউক্লিয়ার জ্বালানি সরবরাহ করেছিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। এই ঘটনা অনেকের কাছে এখন প্রশ্ন তুলেছে: যুক্তরাষ্ট্র কেন এই সহিংস অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানিয়েছে? বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে জড়িত হতে পারে, যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে গভীর যোগাযোগ যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করেছে।

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় পারমাণবিক প্রকল্প, যা দেশের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় একটি মাইলফলক। ২০১৫ সালে রাশিয়ার স্টেট অ্যাটমিক কর্পোরেশন রোস্যাটমের সঙ্গে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার ৯০ শতাংশ রাশিয়ার ঋণে অর্থায়িত। প্রকল্পটি দুটি ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর নির্মাণের মাধ্যমে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যা প্রায় ১৫ মিলিয়ন পরিবারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে। গত অক্টোবরে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে, রাশিয়া প্রথম ব্যাচ নিউক্লিয়ার জ্বালানি ঢাকায় পৌঁছে দিয়েছে, যা প্রকল্পটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিউক্লিয়ার সুবিধা’ হিসেবে পরিণত করেছে।

    এই ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং পুতিনের ভিডিও কনফারেন্সিং ছিল একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। সোচিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ঢাকায় হাসিনা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যেখানে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর পরিচালক জেনারেল রাফায়েল গ্রোসি উপস্থিত ছিলেন। হাসিনা রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান, বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তী পুনর্নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা আমরা কখনো ভুলব না।” পুতিনও আশ্বাস দেন যে রাশিয়া প্রকল্পটির পুরো জীবনচক্রে সহায়তা করবে, যার মধ্যে জ্বালানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত। এই চুক্তি বাংলাদেশকে বিশ্বের ৩৩তম নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদক দেশে পরিণত করেছে, যা দেশের শক্তি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কিন্তু এই রুশ-বাংলাদেশ যোগাযোগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী? বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসিনা সরকারের রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২৪ সালের জানুয়ারি নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র হাসিনা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল, যার মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে সমালোচনা ছিল। হাসিনা মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “একটি ‘সাদা দেশ’ (সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র) আমাকে নির্বাচনে অবাধ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে, বিনিময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তাদের সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি চেয়েছে।” এই দ্বীপটি বঙ্গোপসাগরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা চীন এবং রাশিয়ার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত।

    আগস্ট ২০২৪-এ শেখ হাসিনার পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ছিল দ্রুত এবং ইতিবাচক। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই।” সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমারও দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানান। এই স্বাগত জানানোর পিছনে কি ছিল রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার ডিল? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হাসিনার রাশিয়া-পন্থী নীতি যুক্তরাষ্ট্রের চোখে পড়ছিল চীনের প্রভাব বাড়ানোর একটি অংশ হিসেবে। রূপপুর প্রকল্পটি শুধু শক্তির জন্য নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের প্রতীক। ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন জটিল হয়েছে, যা বাংলাদেশকে চীনের ইউয়ানে পেমেন্ট করতে বাধ্য করেছে।

    বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে মুহাম্মদ ইউনুসের অধীনে রূপপুর প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অ্যান্টি-করাপশন কমিশন দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে, যাতে শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের অভিযোগ রয়েছে। রাশিয়া সম্প্রতি ৬৩০ মিলিয়ন ডলারের সুদ পরিশোধের দাবি জানিয়েছে, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে জটিলতর হয়েছে। বিশ্লেষক আলী রিয়াজ বলেন, “এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের শক্তি স্বাধীনতার চাবিকাঠি, কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা এটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাগত জানানো এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।”

    বাংলাদেশের সংকট এখনো শেষ হয়নি। ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে যে অভ্যুত্থান হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছে, তা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। রূপপুরের মতো প্রকল্পগুলো যদি রাজনৈতিক খেলার শিকার হয়, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন স্বপ্ন আরও দূরের পথে চলে যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ—কোনো দেশের স্বার্থ যেন সাধারণ মানুষের ক্ষতি না করে।

  • নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েল এখন আর ভারতীয়দের জন্য নিরাপদ নয়

    নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েল এখন আর ভারতীয়দের জন্য নিরাপদ নয়

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি এক অদম্য বক্তব্যে বলেছেন, ইসরায়েল এখন আর ভারতীয় নাগরিকদের জন্য নিরাপদ নয়। আন্তর্জাতিক স্তরে এই মন্তব্যটি ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। মোদী ইসরায়েল ও পাশের দেশগুলোর মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ইরানি মিসাইলের হুমকি তুলে ধরে ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

    মোদী বলেন, “ইসরায়েল এখন আর ভারতীয়দের জন্য নিরাপদ নয়,” ইসরায়েল অঞ্চলে ইরানি মিসাইল হামলার ঝুঁকি এবং সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “ভারতীয়রা ইসরায়েলে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে পারছে না ইরানি মিসাইল থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য।”

    এছাড়া, মোদী আরও কিছু ইসরায়েলির আচরণের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, যেখানে তিনি বলেন, “কিছু ইসরায়েলি নিজেদের অন্যদের থেকে অনেক উন্নত মনে করেন এবং বিদেশি নাগরিকদের দাসত্বের মতো আচরণ করেন।” এই মন্তব্যগুলি ইসরায়েল সরকারের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সতর্কতা প্রকাশ করতে পারে।

    মোদীর এই মন্তব্যগুলো ইসরায়েল-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে সেখানে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য। রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মধ্যে মোদী সরকারের প্রতি চাপ বাড়ছে যাতে ভারতের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পটভূমিতে, ইসরায়েল এবং ইরান দু’দেশের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, মোদী সরকারের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রস্তাবও উঠতে শুরু করেছে, যা ইসরায়েলে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মানবিক অধিকার সুরক্ষিত করবে।

  • ইরানি হামলায় আশদোদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত, দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্ল্যাকআউট

    ইরানি হামলায় আশদোদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত, দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্ল্যাকআউট

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার মধ্যে আজ ইরানের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ আশদোদ পাওয়ার স্টেশনে আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং পুরো দক্ষিণাঞ্চলের বড় একটি অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

    ইসরায়েলি জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার কারণে পাওয়ার গ্রিডে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে অগ্নিকাণ্ড বা বড় দুর্ঘটনা না ঘটে। জরুরি ভিত্তিতে মেরামত ও পুনঃসংযোগের কাজ শুরু হয়েছে।

    • ইরানি বাহিনী আশদোদের পাওয়ার স্টেশন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে

    • বিস্ফোরণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ধ্বংস হয়

    • দক্ষিণ ইসরায়েলের বহু শহর ও জনপদ অন্ধকারে ডুবে যায়

    • চিকিৎসা ও নিরাপত্তা খাতও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

    ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বলেছে, তারা এই হামলার কড়া জবাব দেবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রস্তুত।
    ইরান এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে “সুশৃঙ্খল প্রতিশোধ” বলে অভিহিত করছেন।

  • বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদের রুশ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন

    বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদের রুশ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন

    ডেস্ক রিপোর্টঃ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ রাশিয়ার একটি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। মস্কোতে জীবনযাপনে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন।

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আসমা আল-আসাদ রাশিয়ার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মস্কোতে বসবাসের কঠিন বাস্তবতার কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আসমা আল-আসাদ আদালতে অভিযোগ করেছেন যে, মস্কোতে তার বর্তমান জীবন তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করছে। তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যেখানে তার পরিবার এবং বন্ধুরা আছেন।

    আসমা আল-আসাদ সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি এবং একজন প্রাক্তন বিনিয়োগ ব্যাংকার। তিনি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ব্রিটিশ নাগরিক। বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তিনি সিরিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন

    এই ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন এটি সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংকটের প্রতিফলন, আবার কেউ এটিকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন।

    আসমা আল-আসাদের বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন সিরিয়া এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাব এখন দেখার বিষয়।

    সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ রুশ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন তিনি। বিস্তারিত পড়ুন।

  • সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন এরদোয়ান

    সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন এরদোয়ান

    ডেস্ক রিপোর্টঃ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের সক্রিয় উপস্থিতি এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা জিজ্ঞেস করে, তুরস্ক এখানে কী করছে, তারা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝে না।”

    সম্প্রতি এক সরকারি অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার দেশের পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে সাফাই দেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান যে, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের কর্মকাণ্ড কেবল সামরিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর ভিশনের অংশ।

    এরদোয়ান বলেন, “তুরস্ক শুধুমাত্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে না, বরং সারা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভূমিকা রাখছে। আমাদের নীতির সমালোচকরা হয়তো আমাদের ভিশন বুঝতে পারেন না।”

    সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা:
    ১. সিরিয়া: সিরিয়ার উত্তরে তুরস্ক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এর লক্ষ্য হলো সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শরণার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করা।
    ২. লিবিয়া: লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারকে সমর্থন দিয়ে তুরস্ক সেখানে সামরিক ও কৌশলগত সহায়তা প্রদান করেছে।
    ৩. সোমালিয়া: সোমালিয়ায় তুরস্ক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরদোয়ানের এই বক্তব্য তুরস্কের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূমিকাকে পুনরায় তুলে ধরার চেষ্টা। তুরস্কের এই সক্রিয় অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে।

    এরদোয়ানের বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। সমর্থকরা এটি তুরস্কের নেতৃত্বের সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে সমালোচকরা একে আঞ্চলিক হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

    তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতি ও এরদোয়ানের ভিশন বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাব এখন দেখার বিষয়।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের উপস্থিতি তাদের বৃহত্তর ভিশনের অংশ। এরদোয়ানের বক্তব্য ও তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন।

  • মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস

    মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস

    ডেস্ক রিপোর্টঃ বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস মিশরের ঐতিহ্যবাহী আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে এই ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে।

    ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি মাইক্রোক্রেডিট ও ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক, বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার প্রচারক হিসেবে সুপরিচিত। তাকে মিশরের অন্যতম প্রধান ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    ভাষণটি অনুষ্ঠিত হবে আল আজহারের কেন্দ্রীয় কনফারেন্স হলে। এতে ড. ইউনুস তার বিখ্যাত ধারণা “সোশ্যাল বিজনেস” এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলামের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন। ভাষণে ছাত্র-শিক্ষক এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

    ইভেন্টের বিবরণ:
    তারিখ: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
    সময়: স্থানীয় সময় দুপুর ৩:০০ টা
    স্থান: আল আজহার সেন্ট্রাল কনফারেন্স হল, কায়রো, মিশর

    ড. ইউনুসের বক্তব্যের গুরুত্ব:
    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ভাষণ মিশরের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষত, ইসলামী অর্থনীতি ও সামাজিক ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে আল আজহার শিক্ষার্থীদের কাছে এটি একটি অনুপ্রেরণাদায়ক বার্তা হবে।

    আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে:
    আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং প্রভাবশালী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি কেবল ধর্মীয় শিক্ষার জন্য নয়, আধুনিক বিজ্ঞান ও অর্থনীতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

    ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ভাষণ শুধুমাত্র মিশরের নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হতে চলেছে। এটি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ড. ইউনুসের নতুন এক সংযোগ স্থাপনের দৃষ্টান্ত হবে।

    ড. মুহাম্মদ ইউনুস ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন। তিনি দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবেন।

  • আল-জুলানির গ্রেপ্তারে তথ্যের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

    আল-জুলানির গ্রেপ্তারে তথ্যের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

    ডেস্ক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করেছে যে, সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির গ্রেপ্তারে সহায়ক তথ্য প্রদানকারীর জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার এখনও বহাল রয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের “Rewards for Justice” প্রোগ্রামের আওতায় সিরিয়ার জঙ্গি নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি, এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে, আল-জুলানির অবস্থান বা কার্যকলাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানকারী যে কেউ এই পুরস্কার পেতে পারেন।

    আল-জুলানির পরিচিতি:
    আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি হায়াত তাহরির আল-শামের (HTS) নেতা। HTS সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সক্রিয় একটি কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন, যা আগে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আল-জুলানিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি:
    স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, “আল-জুলানির নেতৃত্বে HTS সিরিয়ায় বহু নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়েছে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে।”

    পুরস্কারের শর্ত:
    ১. তথ্য অবশ্যই আল-জুলানির অবস্থান, চলাফেরা বা কার্যকলাপের সুনির্দিষ্ট বিবরণ হতে হবে।
    ২. তথ্য প্রদানকারীর গোপনীয়তা নিশ্চিত করা হবে।
    ৩. পুরস্কারের অর্থ বিশ্বব্যাপী যেকোনো যোগ্য ব্যক্তি পেতে পারেন।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত:
    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পুরস্কার ঘোষণার পুনরাবৃত্তি যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের অংশ। এটি শুধু আল-জুলানিকে ধরার প্রচেষ্টা নয়, বরং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যকলাপ দুর্বল করার একটি কৌশল।

    আল-জুলানির মতো কুখ্যাত নেতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তথ্য প্রদানকারীদের জন্য এ সুযোগ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে এবং সন্ত্রাস দমন উদ্যোগকে আরও জোরদার করবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আল-জুলানির গ্রেপ্তারে তথ্য প্রদানে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের বিস্তারিত জানুন।

  • ইলন মাস্ক ভারতের স্টারলিংক সন্ত্রাসী দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিলেন

    ইলন মাস্ক ভারতের স্টারলিংক সন্ত্রাসী দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিলেন

    ডেস্ক রিপোর্টঃ ইলন মাস্ক সম্প্রতি ভারতের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ব্যবহারের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে স্টারলিংকের সিগন্যাল ভারত জুড়ে বন্ধ রয়েছে এবং কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বারা এর অপব্যবহারের সুযোগ নেই।

    ভারতের মণিপুরে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা স্টারলিংক স্যাটেলাইটের অপব্যবহার করছে বলে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। তবে স্টারলিংকের মালিক ইলন মাস্ক এই দাবিকে সম্পূর্ণ “মিথ্যা” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

    মাস্ক একটি টুইট বার্তায় বলেন, “স্টারলিংক স্যাটেলাইটের সিগন্যাল ভারত জুড়ে বন্ধ রয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুল।”

    অভিযোগের সূত্র:
    সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল মণিপুরে সন্ত্রাসবাদ দমনে সেনাবাহিনীর চলমান অভিযানের সময় একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ব্যবহার করে যোগাযোগ চালানোর অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে সন্ত্রাসীরা স্টারলিংকের মাধ্যমে গোপন বার্তা আদান-প্রদান করছে।

    মাস্কের প্রতিক্রিয়া:
    ইলন মাস্ক সরাসরি এই অভিযোগের জবাব দিয়ে বলেন, স্টারলিংক বর্তমানে ভারতের আকাশসীমার উপর কোনও সেবা সরবরাহ করছে না। তিনি আরও বলেন, “যে কোনও ধরনের অপব্যবহার ঠেকাতে স্টারলিংকের সিস্টেম অত্যন্ত নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত।”

    স্টারলিংকের কার্যক্রম ভারতে বন্ধ কেন?
    স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতে এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি। ফলে, স্টারলিংকের সিগন্যাল ভারত জুড়ে অকার্যকর রয়েছে। তবে এটি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে স্টারলিংকের আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।

    বিশ্লেষকদের মতামত:
    প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংকের মতো উন্নত প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা বেশ সহজ। কারণ প্রতিটি স্যাটেলাইট সিগন্যালের উপর নজরদারি রাখা হয়। তাছাড়া, অনুমোদন ছাড়া কোনও দেশের আকাশসীমায় স্টারলিংকের মতো পরিষেবা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।

    উপসংহার:
    ইলন মাস্কের এই বিবৃতি ভারতের স্টারলিংক সংক্রান্ত বিতর্কে নতুন স্পষ্টতা এনেছে। স্টারলিংক স্যাটেলাইটের অপব্যবহার নিয়ে ছড়ানো গুজব এবং বিভ্রান্তি বন্ধ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

    ইলন মাস্ক ভারতের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ব্যবহারের অভিযোগকে মিথ্যা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্টারলিংকের সিগন্যাল ভারত জুড়ে বন্ধ রয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।

  • রাশিয়া তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত

    রাশিয়া তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত

    ডেস্ক রিপোর্টঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপে রাশিয়া আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

    রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মস্কো কাবুলের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি করছে এবং শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

    রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তালেবানের সঙ্গে কার্যকর সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে। ল্যাভরভের মতে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার ফলে কাবুলের বর্তমান পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

    এদিকে, তালেবান সরকারের মুখপাত্র রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এবং আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

    ১. আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: তালেবান সরকার এখনও বেশিরভাগ দেশের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। রাশিয়ার স্বীকৃতি এই শূন্যতা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
    ২. ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব: রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
    ৩. অর্থনৈতিক সহযোগিতা: রাশিয়ার স্বীকৃতি পেলে আফগানিস্তানের অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করতে পারে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ চীনের মতো দেশগুলিকেও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে পারে। পাশাপাশি এটি পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে যারা এখনও তালেবানের বৈধতা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।

    রাশিয়ার তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। এটি কেবল আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎই নয়, দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।

    রাশিয়া আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন পরিবর্তন আনতে পারে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।

  • রাশিয়া ক্যান্সার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার সফল হয়েছে

    রাশিয়া ক্যান্সার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার সফল হয়েছে

    ডেক্স রিপোর্টঃ রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রেডিওলজি মেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের জেনারেল ডিরেক্টর আন্দ্রে ক্যাপ্রিন ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ঘোষণা করেন যে, বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতায় ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে এটি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান যে, রাশিয়া ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং শিগগিরই রোগীরা এ টিকা পেতে পারেন।

    তবে, ভ্যাকসিনটি সম্পূর্ণরূপে আবিষ্কৃত হয়েছে এবং কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে—এমন নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

    এই ভ্যাকসিনটি ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে রাশিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে।

    বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই ঘোষণা সম্পর্কে আরও জানতে, নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:

    রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রেডিওলজি মেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের জেনারেল ডিরেক্টর আন্দ্রে ক্যাপ্রিন জানান, বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে এটি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    গামলেয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির ডিরেক্টর আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানান, প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন টিউমার বৃদ্ধি এবং শরীরে তার বিস্তার রোধে কার্যকর।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই সাফল্যের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

    এই ভ্যাকসিনটি ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে রাশিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে।

    বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই ঘোষণা সম্পর্কে আরও জানতে, নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন: