Category: আইন আদালত

  • চিকিৎসকের-জবানবন্দি-১৬৭-জনের-বেশির-ভাগের-মাথার-খুলি-ছিল-না

    চিকিৎসকের-জবানবন্দি-১৬৭-জনের-বেশির-ভাগের-মাথার-খুলি-ছিল-না

    ডেস্করিপোর্টঃ চব্বিশের জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে আনা গুরুতর আহত ১৬৭ জনের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না।

    শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দেয়া সাক্ষীর জবানবন্দিতে একথা বলেন এই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান।

    সাক্ষীর জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলিবিদ্ধ ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    তাদের বেশির ভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইসিইউতে চিকিৎসা নেয়া সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
    জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, ৩৩টি অস্ত্রোপচার আমার নেতৃত্বে করেছি। ১৫ টির মত বুলেট ও পিলেট আহত আন্দোলনকারীদের শরীর থেকে বের করেছি। কিছু বুলেট বের করা যায়নি। অনেকগুলো গুলি ও পিলেট রোগীরা চেয়ে নিয়ে যায়।’

    জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) লোকেরা এসে নতুন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করার জন্য তাকে চাপ দেন। তারা (ডিবি) বলে, যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ করবেন না।

    এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ আছে। তাদের (এগুলি বিদ্ধদের) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমরা কৌশলে ভর্তি রেজিস্ট্রারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে রোড অ্যাক্সিডেন্ট বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করি। এ রকম অমানবিক ঘটনার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এবং যারা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে নিহত ও আহত করেছেন তাদের বিচার ও প্রকাশ্যে ফাঁসি চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালে সাক্ষ্য ও জেরা শেষ করেন এই চিকিৎসক।

    আজ ট্র্যাইব্যুনালে প্রসিকিউটসন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম। এ সময় অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

    আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

    মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

    এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

    গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

  • বরিশাল থেকে ডিবি হারুনের ভাতিজা Tawhid uddin Afridi গ্রেপ্তার

    বরিশাল থেকে ডিবি হারুনের ভাতিজা Tawhid uddin Afridi গ্রেপ্তার

    কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। রোববার বরিশাল মহানগরের বাংলাবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

    সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি হিসেবে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

    একই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর বাবা, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী। ১৭ আগস্ট তাঁকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলায় মোট ২৫ জনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে।

    এর মধ্যে প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৃতীয় আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল–মামুন। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় দেড় শ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    তৌহিদ আফ্রিদি ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভ্লগ ও ভ্রমণকেন্দ্রিক কনটেন্টের জন্য তাঁর বড় অনুসারী গড়ে ওঠে।

  • সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি-সহ ৫ জন কে গ্রেপ্তার করা হয়।

    সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি-সহ ৫ জন কে গ্রেপ্তার করা হয়।

    ফয়জুল আলী শাহ ডেস্ক রিপোর্টঃ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার রাতভর গাজীপুর মহানগর, ঢাকা ও তুরাগ থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—

    কিটু মিজান (প্রধান আসামি) ও তার স্ত্রী গোলাপী বেগম — ভবানীপুর এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি দক্ষিণ) পুলিশ আটক করে।

    সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা: প্রধান আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
    সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা: প্রধান আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

    আল-আমিন — বাসন থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

    স্বাধীন — হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া এ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুমনকে গ্রেপ্তার করেছেন
    জিএমপি ডিবি সাউথ

    সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা: প্রধান আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
    সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা: প্রধান আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

    গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের পরিচয় শনাক্ত ও অবস্থান নিশ্চিত করার পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    তিনি আরও বলেন, “তদন্তের স্বার্থে এখন সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, দ্রুতই সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।”

    সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা: প্রধান আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
    সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা: প্রধান আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

    এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের সামনে প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

    সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক বাদশা নামে এক ব্যক্তিকে চাপাতি দিয়ে আক্রমণ ও ধাওয়া করছিল। এ সময় তুহিন পাশ থেকে ভিডিও ধারণ শুরু করলে দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। শত শত মানুষের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

    আহত বাদশা জানান, চৌরাস্তা পার হওয়ার সময় এক নারী তার কাছে টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করে তাকে চড় মারেন। পরে নারীর সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা বাদশার ওপর হামলা চালায়। তুহিন ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন বলেই তারা তাকে টার্গেট করে হত্যা করে।

  • বাংলাদেশ রেল নিউজ’- মেহেদী হাসানের নামে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে থানায় অভিযোগ!

    বাংলাদেশ রেল নিউজ’- মেহেদী হাসানের নামে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে থানায় অভিযোগ!

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় কথিত এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আবদুর রাজ্জাক।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ০৪ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে মেহেদী হাসান,’বাংলাদেশ রেল নিউজ” এর সম্পাদক পরিচয় দিয়ে মোবাইল নং- ০১৭২৪৫৯০২৫৭ থেকে আমাকে কল দিয়ে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ আছে। যা তার সম্পাদিত অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে বলে আমার নিকট ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। এতে আমি অধিকৃত প্রদান করায় আমার বিরুদ্ধে ০৪ আগষ্ট ২০২৫ ইং রেল নিউজ ২৪ অনলাইনে প্রকাশিত ‘রেলে আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়’ নামে নিউজ প্রকাশ করে যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর।

    আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভানোয়াট। তিনি আরো জানান, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে আমার নামে সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেন “এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেস” ও “কালনী এক্সপ্রেস”-এর ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও স্টুয়ার্ডদের বেতন তসরুফের অভিযোগের কথা। সেটি সম্পূর্ন মিথ্যা। যেখানে আমি এগারো সিন্দু এক্সপ্রেস ও কালনী এক্সপ্রেস এর ক্যান্টিন পরিচালনা করি না।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাটারিং সার্ভিস সংক্রান্ত সভাপত্রে ০৭ নং ক্রমিক এ মোঃ মাসুদুর রহমান, প্রোপাইটার মেসার্স নিউ টপ ক্যাটারার্স এর এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেসের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন এবং ১৭ নং ক্রমিক এ মোঃ আনোয়ার পারভেজ, প্রোপাইটার, মেসার্স টিপটপ ভোজনালয় এর কালনী এক্সপ্রেসের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন। আমি এই দুই আন্তনগর ট্রেন এর ক্যান্টিংন পরিচালনার সাথে সম্পৃত নই।

    প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, স্টুয়ার্ডদের বেতন তসরুফ। স্টাফদের বেতন বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন্ডারের নির্ধারিত দর অনুযায়ী আমার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে পরিশোধ করলে। ঠিকাদারের চুক্তিপত্র অনুযায়ী তাদের ব্যাংকে একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করি। আমাকে জড়িয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে ভুটান বেভারেজ লিমিটেড পরিচালনা করার কথা করা হয়েছে। ভুটান বেভারেজ লিমিটেডের আমি পরিচালনা করি না।

    আবদুর রাজ্জাক জিডিতে উল্লেখ করেন, “ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। যা মানহানিকর, বিভ্রান্তিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

    পরিশেষে, তিনি এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর জিডি করেন এবং দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

  • সাজাপ্রাপ্ত ওয়াহিদা বেগম আবার রাকাবের এমডি! অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

    সাজাপ্রাপ্ত ওয়াহিদা বেগম আবার রাকাবের এমডি! অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদা বেগম। অথচ মাত্র কিছু মাস আগেই হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই ব্যাংকিং মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

    সাংবাদিক ও জুলাই আন্দোলনের একজন যোদ্ধা জাভেদ হোসেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি সেখানে ওয়াহিদা বেগমকে “ফ্যাসিবাদের দোসর” উল্লেখ করে অবিলম্বে তার অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

    ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে ওয়াহিদা বেগমসহ অগ্রণী ব্যাংকের আরও ৪ কর্মকর্তাকে আদেশ অমান্য করার দায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। রাজধানীর দিলকুশাস্থ মুন টাওয়ারকে কেন্দ্র করে একটি ঋণসংক্রান্ত মামলায় এ রায় হয়।

    হাইকোর্টের এই রায়ের পরও তার মতো একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা কীভাবে আবার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    অভিযোগ রয়েছে, ওয়াহিদা বেগম অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঘুষ দিয়ে পদোন্নতি এবং বদলি বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের এক প্রমোশনে তিনি প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় করেন।

    এছাড়া, তার বিরুদ্ধে কর্পোরেট গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ অনুমোদন, সিন্ডিকেট চালানো, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ ও প্রমোশন বাণিজ্য চালানোর অভিযোগও রয়েছে।‌এসব বিষয়ে দুদকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানা গেছে।

    চলতি বছরের ৯ মার্চ ওয়াহিদা বেগম রাকাবের এমডি হিসেবে যোগদান করেন। ব্যাংকিং মহলের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তিনি আগের সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির ধারা আবারো সক্রিয় করছেন।

    রাজশাহীর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলছেন,
    “একজন দণ্ডপ্রাপ্ত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার এভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরে আসা শুধু অর্থনৈতিক নয়, প্রশাসনিকভাবেও ঝুঁকিপূর্ণ।”

    সাংবাদিক জাভেদ হোসেন তার আবেদনে বলেন, “যে কর্মকর্তা হাইকোর্টে দণ্ডিত হয়েছেন, যিনি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, তাকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রাখা যায় না। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের আদেশ, প্রশাসনের নৈতিকতা এবং ব্যাংকিং খাতের জবাবদিহিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।”

    তিনি দ্রুত ওয়াহিদা বেগমকে এমডি পদ থেকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

  • আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

    আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: জোরপূর্বক জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জমির আলী খা (৬২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামে।

    ভুক্তভোগী শাহআলম খা জানান, তাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষ জমির আলী খা আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার সাথে একটি প্রভাবশালী চক্রও ষড়যন্ত্রে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ভুক্তভোগীরা জানান, জে.এল. নং ১২৪, তুলাতলী মৌজার এস.এ. খতিয়ান নং ১৩ অনুযায়ী রেকর্ডীয় মালিক এন্তাজ আলী খা। তার অংশ পটুয়াখালী ১ম মুনসেফ আদালতের ১৯৫৫ সালের ৩৪নং পেটি মোকদ্দমায় ডিগ্রিপ্রাপ্ত (ডিগ্রি নং ৬১/৫৬) জমি আদালতের আদেশে নিলামী হয়। যা আদালতের রায়ে ১৯৫৭ সালের ১১ মার্চ ক্রয় করেন আব্দুর রব হাওলাদার। এরপর ১৯৬৬ সালে তিনি মোছলেম আলী খা-কে জে এল নং ১২৪ তুলাতলী মৌজার এস এ খতিয়ান নং ১৩ এর ২৩২, ৫৪২, ৫৪৩, ৫৪৪, ৫৪৫,৫৪৬,৫৪৭, ৫৪৮ ও ৫৪৯ এই সকল দাগ থেকে ৭৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। বর্তমানে তার উত্তরাধিকারগণ উক্ত জমিতে ভোগদখল করছেন।

    ভুক্তভোগীদের দাবি, গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সকাল ১০টার দিকে জমির আলী খা জোরপূর্বক জমি দখলের অপচেষ্টা চালান। দখলে ব্যর্থ হয়ে একই দিনে তিনি পটুয়াখালী দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩৩/২০২৫)। মামলায় মোছলেম আলীর পুত্র মোয়াজ্জেম খা, শাহআলম খা, নুর আলম খা।এছাড়াও মামুন মৃধা, শামীম খা, তুহিন খা, নবীন খা এবং শিফন খা-কে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, আসামিরা জোরপূর্বক জমিতে মাটি কেটে ঘর নির্মাণ করেছেন। মামলায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন দ্রুত বিচার আইন ২০০২ এর (২) (ই) (উ) ৪/৫ ধারা উল্লেখ করা হয়।

    তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা জানান, মামলার দিনে ও সময় তারা নিজ বাড়িতে ও কর্মস্থলে স্বাভাবিক জীবনযাপন, কাজ করছিলেন এবং কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। বরং প্রতিপক্ষ জমির আলী খা তাদের জমিতে বারবার অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং তাদের ঘর নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন। এছাড়া যাদের আসামি করা হয়েছে তারা ঘটনাস্থলেই ছিলেননা। তাদের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করতেই এই মামলা সাজানো হয়েছে। আদালতের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভোগদখলীয় সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুহিন খা বাড়ি করে সেখানে গাছ রোপণ করে, পুকুর খনন করে ছোট্ট একটি টিন কাঠের ঘরে বসবাস করছে। ভিটিতে পড়ে আছে ঘর তোলার টিন,কাঠসহ নির্মাণসামগ্রী।

    প্রতিবেশী দীপক দত্ত ও মোস্তফা তালুকদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, শাহআলম খা ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে ভোগদখল করে আসছেন। গত বছর শাহআলম খা-এর ছেলে তুহিন সেখানে বাড়ির ভিটা তৈরি, পুকুর খনন ও গাছপালা রোপণ করেন। এবার ঘর নির্মাণ করতে গেলে জমির আলী খা বাঁধা দেন। তাদের দাবি, জমির আলী কখনো উক্ত জমির দখলে ছিলেন না।

    শাহআলম খা বলেন, আমার বাবা ১৯৬৬ সালে জমি ক্রয় করেছিলেন। তখন থেকেই আমরা ভোগদখলে আছি। এখন হঠাৎ এসে তারা বাধা দিচ্ছে, মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। স্থানীয়ভাবে সালিসিতে, আদালতে আমাদের কাগজপত্র, দলিল স্বত্ব সঠিক হয়েছে।

    তুহিন বলেন, আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্টে ছাপড়া টিন কাঠের ঘরে আছি। নতুন ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয়, এখন আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।

    মামলার বাদী জমির আলী খা বলেন, ওই জমি আমাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি। প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেছে। বাধা দিলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। মামলার সাক্ষী বশির খা বলেন, প্রায় শত বছর আগে ওই জমির দখল নিয়েছে শাহ আলম খা পরিবার।

    এদিকে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত গলাচিপা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন শীঘ্রই দাখিল করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, উক্ত জমিতে পূর্ব থেকে এবং বর্তমানে ভোগদখলে আছেন শাহআলম খা ও তার পরিবার।

  • পঞ্চগড়ে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ ও স্তন কেটে হত্যা, চুরি করতে গিয়ে আটক

    পঞ্চগড়ে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ ও স্তন কেটে হত্যা, চুরি করতে গিয়ে আটক

    অনলাইন ডেস্করিপোর্টঃ একতা ক্সপ্রেস ট্রেনে পরিচয়। তারপর তরুণী নিয়ে কিসমত এলাকায় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এক পর্যায়ে তাকে মাথায় ইট দিয়ে আহত করে তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। পরে মরদেহ ফেলে রাখা হয় রেললাইনে। এমন নৃশংস হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন হত্যাকারী রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। কিন্তু  ক্রাইম থ্রিলার সিনেমার মতো সব কিছু লুকালেও শেষ  রক্ষা হলো না আসামীর। এবার ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় সে। তারপর তার মুঠোফোনে পাওয়া ভিডিওর সূত্র ধরেই  বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকান্ডের সব কাহিনী। আসামী রিফাত বিন সাজ্জাদের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাঝগ্রামে। সে ওই এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।

    সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী। তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি জেলার আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় রেললাইনে একটি অজ্ঞাত নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যাকান্ড হলেও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারছিলো না পুলিশ। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।

    এদিকে হত্যাকান্ডের পরও আসামী সাজ্জাদ একের পর অপরাধ কর্ম চালিয়ে যেতে থাকে।  গত ৮ মার্চ দিবাগত রাতে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার তাহিরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাজ্জাদ। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি নারীকে বেধে রাখার ভিডিও দেখতে পায় তারা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অজ্ঞাত ওই নারীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। সে জানায়, তার মাকে নিয়ে গালি দেয়ায় তাকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ ফেলে দেয়া হয় রেললাইনে।
    পরে তাকে তুলে দেয়া পুলিশের হাতে। তার বিরুদ্ধে আটোয়ারী  থানায় ধর্ষণের পর হত্যা ও চুরির দুটি মামলা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

  • শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ পলকের স্বীকারোক্তি

    শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ পলকের স্বীকারোক্তি

    ডেস্ক রিপোর্টঃ সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্বীকার করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের সময় সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছিল। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে এই তথ্য দিয়েছেন।

    গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধের কারণ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) একদিনের জিজ্ঞাসাবাদে পলক জানান, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া গণহত্যার তথ্য বিশ্বের কাছে আড়াল করা। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং গণহত্যার ঘটনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল।”

    আইসিটি তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবার এই স্বীকারোক্তির পর, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “জিজ্ঞাসাবাদে পলক এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা তদন্তে সহায়ক হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, গণহত্যার তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    ইন্টারনেট বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থা ছিল যা নিরাপত্তা এবং সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছিল। তবে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শিক্ষা, ব্যবসা ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যবসায়ী মহলের প্রতিক্রিয়া অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, দীর্ঘদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ব্যবসায়ীদের কর্মকা- বিঘ্নিত হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল থাকায় তাদের অনেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হন।

    এ ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে নিরাপত্তা এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলমান রয়েছে।