Author: adminfas adminfasadminfas

  • ভোলায় পবিত্র রমাদ্বান এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

    ভোলায় পবিত্র রমাদ্বান এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

    অনলাইন ডেক্সঃ তাক্ব‌ওয়া ফাউন্ডেশন ভোলা এর উদ্যোগে পবিত্র রমাদ্বান মাস এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় ভোলা জেলা পরিষদ হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

    আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তাক্ব‌ওয়া ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ও বাংলা বাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিন কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী উল্যাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-উর-রশিদ।

    পরানগঞ্জ হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভোলা সরকারি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল গফুর, ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইসরাফিল, ভোলা সরকারি কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক মো মিজানুর রহমান, নাজিউর রহমান কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর সংগীত শিল্পী মোঃ মনিরুল ইসলাম, উত্তরা ব্যাংক ভোলা জেলা জোন এর প্রধান (ডিজিএম) মোঃ আব্দুর রব, ন্যাশনাল ব্যাংক ভোলা শাখার ম্যানেজার মোঃ জামাল উদ্দিন।

    অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। তাক্বওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্যে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও ধর্ষণমুক্ত সমাজ গঠনে তাক্বওয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রয়োজন। আলোচনা সভা ও ইফতারে মাহফিলে জেলার কয়েক শতাধিক ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম-উলামা অংশ নেন।

  • পঞ্চগড়ে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ ও স্তন কেটে হত্যা, চুরি করতে গিয়ে আটক

    পঞ্চগড়ে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ ও স্তন কেটে হত্যা, চুরি করতে গিয়ে আটক

    অনলাইন ডেস্করিপোর্টঃ একতা ক্সপ্রেস ট্রেনে পরিচয়। তারপর তরুণী নিয়ে কিসমত এলাকায় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এক পর্যায়ে তাকে মাথায় ইট দিয়ে আহত করে তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। পরে মরদেহ ফেলে রাখা হয় রেললাইনে। এমন নৃশংস হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন হত্যাকারী রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। কিন্তু  ক্রাইম থ্রিলার সিনেমার মতো সব কিছু লুকালেও শেষ  রক্ষা হলো না আসামীর। এবার ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় সে। তারপর তার মুঠোফোনে পাওয়া ভিডিওর সূত্র ধরেই  বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকান্ডের সব কাহিনী। আসামী রিফাত বিন সাজ্জাদের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাঝগ্রামে। সে ওই এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।

    সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী। তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি জেলার আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় রেললাইনে একটি অজ্ঞাত নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যাকান্ড হলেও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারছিলো না পুলিশ। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।

    এদিকে হত্যাকান্ডের পরও আসামী সাজ্জাদ একের পর অপরাধ কর্ম চালিয়ে যেতে থাকে।  গত ৮ মার্চ দিবাগত রাতে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার তাহিরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাজ্জাদ। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি নারীকে বেধে রাখার ভিডিও দেখতে পায় তারা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অজ্ঞাত ওই নারীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। সে জানায়, তার মাকে নিয়ে গালি দেয়ায় তাকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ ফেলে দেয়া হয় রেললাইনে।
    পরে তাকে তুলে দেয়া পুলিশের হাতে। তার বিরুদ্ধে আটোয়ারী  থানায় ধর্ষণের পর হত্যা ও চুরির দুটি মামলা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

  • হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস প্রতি বছর ১০ই মার্চ পালিত হয়, যা দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রাম, মানবাধিকারের জন্য লড়াই এবং নারী ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তিনি ছিলেন এক অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, যিনি শত শত দাসকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন এবং আমেরিকার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

    হারিয়েট টাবম্যানের জীবন কাহিনি

    শৈশব ও জন্ম

    ১৮২২ সালের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন হারিয়েট টাবম্যান। তাঁর আসল নাম ছিল অ্যারামিন্তা “মিন্টি” রস। তাঁর বাবা-মা দুজনেই দাস ছিলেন, ফলে ছোটবেলা থেকেই তাঁকে দাসত্বের নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

    শিক্ষা জীবন

    সেসময় দাসদের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ ছিল না, তাই হারিয়েট কখনোই বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। তবে তিনি জীবন থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করেন, কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নিজের জ্ঞান অর্জন করেন।

    বিবাহ ও পরিবার

    ১৮৪৪ সালে তিনি জন টাবম্যান নামের এক মুক্ত কৃষ্ণাঙ্গকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে হারিয়েট টাবম্যান রাখেন। পরবর্তীতে তিনি নেলসন ডেভিস নামের আরেকজনকে বিয়ে করেন এবং গার্টি নামে এক কন্যা সন্তান দত্তক নেন।

    হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা | দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক
    হারিয়েট টাবম্যান ছিলেন দাসপ্রথা বিরোধী আন্দোলনের এক মহীয়সী নারী, যিনি শত শত দাসকে মুক্ত করেছেন। জানুন তাঁর জীবন, সংগ্রাম ও অবদান সম্পর্কে।

    কর্মজীবন ও অবদান

    দাসত্ব থেকে মুক্তি ও ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড’

    ১৮৪৯ সালে নিজের জীবন বাজি রেখে দাসত্ব থেকে পালান হারিয়েট টাবম্যান। এরপর তিনি শত শত দাসকে মুক্ত করতে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড’ নামক গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাঁদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পরিচিত হন ‘মোসেস’ নামে।

    আমেরিকার গৃহযুদ্ধগুপ্তচর জীবন

    গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ইউনিয়ন আর্মির জন্য গুপ্তচর, নার্স ও রান্নার কাজ করতেন। তিনি দক্ষিণ অঞ্চলে গোপন মিশন পরিচালনা করেন এবং বহু দাসকে মুক্ত করতে সাহায্য করেন।

    নারী ও মানবাধিকার আন্দোলন

    গৃহযুদ্ধের পর তিনি নারীর ভোটাধিকার এবং আফ্রিকান-আমেরিকানদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেন। তাঁর সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ মানবাধিকারের লড়াইয়ে তাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পরিণত করেছে।

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    ১. দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক

    তিনি শুধু নিজের মুক্তির জন্য লড়েননি, বরং শত শত নির্যাতিত মানুষকে মুক্ত করেছেন।

    ২. স্বাধীনতার প্রতীক

    তিনি মুক্তি, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য আজও এক অনুপ্রেরণার নাম।

    ৩. নারী ও মানবাধিকারের অগ্রদূত

    তিনি নারীদের অধিকার ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, যা আজও আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা। দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক

    উপসংহার

    হারিয়েট টাবম্যান দিবস শুধুমাত্র একটি স্মরণীয় দিন নয়, এটি এক মহীয়সী নারীর সাহস, সংগ্রাম ও মানবাধিকারের প্রতি অবিচল বিশ্বাসের উদযাপন। তাঁর জীবন আমাদের শেখায়, প্রতিকূলতাকে জয় করে কীভাবে সত্যিকার অর্থে মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে হয়। তাই ১০ই মার্চ, আমরা কেবল তাঁকে স্মরণ করি না, বরং তাঁর আদর্শকে লালন করি। হারিয়েট টাবম্যান: স্বাধীনতার অগ্নিশিখা | দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামের প্রতীক

  • গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    পটুয়াখালী জেল প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গলাচিপা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

    মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন। তারা দাবি করেন, ইউএনও আওয়ামী লীগপন্থী চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের উপস্থিতি বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিশ্চিত করছেন। এছাড়া, তার নেতৃত্বে সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগও উত্থাপন করেন তারা।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ওয়াফা, গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান অহনা, গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সিয়াম এবং বরিশাল মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম মুন্না।

    শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তারুণ্যের উৎসবে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও। এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনসহ তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন তিনি। প্রাক্তন ইউএনও যে ফান্ড রেখে গেছেন, তা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

    গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান অহনা বলেন, “বর্তমান ইউএনও ফ্যাসিবাদীদের দোসর। রাঙ্গাবালী উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সরাসরি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এছাড়া, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”

    গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সিয়াম বলেন, “তিনি স্বৈরাচারী শক্তির সহযোগী। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নিয়ে এখনো মিটিং করেন।”

    বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “তাদের কোনো দাবি-দাওয়া আছে, তা আগে কখনো আমাকে জানানো হয়নি। তবে আমি সবসময় সবার দাবি অনুযায়ী স্বাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।” তিনি, “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের অভিযোগের বিষয় বলেন, “এরকম কোন বিষয় নাই।”

  • পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছাতা বিতরণ সম্পন্ন।

    পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছাতা বিতরণ সম্পন্ন।

    অদ্য ২৫-০২-২০২৫ ইং বিকাল ৩ ঘটিকায় পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দ কৃত প্রকল্প দ্বারা ইউনিয়নের প্রায় ২০ টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসহায়, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মুজিবুর রহমান সাহেবের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল করিম ও উদ্যোক্তা ছালা উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সুজিত কুমার চন্দ স্যার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাগত প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব রেজুওয়ান আহমদ রাসেল, ইউপি সদস্য জনাব খলিলুর রহমান খলকু, মির্জা আবু নাসের মোহাম্মদ রাহেল, সোহেল আহমদ, হাবিবুর রহমান, সাবুল আহমদ, ইউপি মহিলা সদস্যা ছালেমা বেগম, অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গ্রাম পুলিশ সদস্য বৃন্দ ও উপকারভোগী ছাত্র-ছাত্রী প্রমূখ।

  • পাটখড়ির গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ব্যবসায়ীর অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

    পাটখড়ির গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ব্যবসায়ীর অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় একটি পাটখড়ির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদারের অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আটখালী বাজার সংলগ্ন ওই গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গলাচিপা ও দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ চলছিল।

    এ ঘটনায় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে গলাচিপা থানা পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দারা এবং গ্রাম পুলিশ।

    জানা গেছে, আটখালী গ্রামের পাটখড়ি ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। গুদামের সঙ্গে তার বসবাসের ঘরও রয়েছে। পুরো বিল্ডিং ছিল পাটখড়িতে ভর্তি। শনিবার সকালে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫) ও ছেলে নাহিদ ইসলাম (৭) ঘরে অবস্থান করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশী সুরাইয়া বেগম (২৫) গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক শুনে বাবা সেলিম হাওলাদার (৫০) ছুটে এসে গুদামে আগুন দেখতে পান। পরে গুদামঘরে কুদ্দুস হাওলাদারের চিৎকার শুনে তিনি দ্রুত গেইটের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন। ততক্ষণে আগুন পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

    দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম জাকির জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেছে।

    ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, “সকালবেলা পাটখড়ি বিক্রি করে গেইট তালা মেরে ভেতরে বসে ভাত খাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাটখড়ি পোড়ার শব্দ শুনে চিৎকার করি। এরপর প্রতিবেশী সেলিম হাওলাদার শাবল দিয়ে তালা ভেঙে আমাকে, আমার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতায় পুরো গুদামঘরে ছড়িয়ে পড়ে।” তিনি আরও বলেন, “আগুনে ৪৮ লক্ষ টাকার ৮ বোর্ড পাটখড়ি ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। আমার ধারণা, বিদ্যুৎ লাইন থেকে এই আগুন লেগেছে।”

    গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

  • পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রভাতফেরীতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ব্যানার, বিএনপির বিক্ষোভ

    পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রভাতফেরীতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ব্যানার, বিএনপির বিক্ষোভ

    পটুয়াখালী জেল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরিতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও জনসাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রয় এর অপসারণ ও বিচার দাবি করেন। এর আগে, সকাল ৮টায় আয়োজিত প্রভাতফেরিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেন। র‍্যালির সামনের সারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে ওই ব্যানার দেখা যায়। যেখানে প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জনের উপস্থিতিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নেন। পরে ব্যনারটি শহীদ মিনারের পাশে টানিয়ে রাখা হয়।

    বিক্ষোভ মিছিলে স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মৃধা, আবুল কালাম ও মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রয় ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যানারে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান ও ছবি ব্যবহার করেছেন। তারা বলেন, “এটি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিচার ও অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রয় বলেন, এ বছর স্কুলের পক্ষ থেকে ব্যানার তৈরি করা হয়নি। ওই ব্যানারটি গতবছরের, স্কুল শিক্ষার্থীরা কোথায় পেয়েছে আমি জানি না।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, “এ ধরনের রাজনৈতিক বার্তা থাকা উচিত নয়। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

    চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রিয়া মনি (২০) গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রিয়া মনি এক শিশু সন্তানের জননী। এ ঘটনা জানাজানি হলে তার স্বামী এখন স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
    চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
    অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিকেল ৫টার দিকে গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের গাববুনিয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে চাচা মো. নাসির মোল্লা (৪৫) ও প্রতিবেশী যতীন্দ্র শীল (৫০) ভুক্তভোগী রিয়া মনিকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় রিয়া মনি বাধা দিলে অভিযুক্তরা তার হাত, পা, মুখ চেপে ধরে এবং পরিধেয় জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। তার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন এবং শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে। এসময় শিশু সন্তানের চিৎকার শুনে স্বজনরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা ঘরের দরজা ভেঙে পালিয়ে যান।

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিযুক্ত নাসির মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার দিন ঘরের খাটে শিশু সন্তানকে দুগ্ধ পান করছিল রিয়া। এসময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে নাসির মোল্লা ও যতীন্দ্র শীল দড়জা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। ঘটনার পরে অভিযুক্ত নাসির মোল্লা ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সালিস মিমাংসা করার কথা বলে বিষয়টি এতদিন ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সালিস মিমাংসা না করে কালক্ষেপণ করছে ও বিভিন্ন হয়রানি করার অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ভুক্তভোগী দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    দাদি পিয়ারা বেগম বলেন, আমরা নাসির ও যতীন্দ্র শীলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই ঘটনার পর নাতনির সংসারে অশান্তির ঝড় উঠেছে। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।

    অভিযুক্ত নাসির মোল্লা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিস বসার কথা স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি সমাধান হয়নি। অপর অভিযুক্ত যতীন্দ্র শীলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তিনি অন্যত্র চলে গেছেন।

    ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে সালিস হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নাসির মোল্লা প্রথমে মানলেও পরে সালিসে উপস্থিত হয়নি।

    অভিযোগের পর সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলতাফ হোসেন জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। বিষয়টি আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সত্যতা পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • জমিজমা বিরোধে একজন নিহত

    জমিজমা বিরোধে একজন নিহত

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে খুন হয়েছেন ভাতিজা শামিম মিয়া (৩০)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বাবা অজেদ সিকদার (৫৫) ও বড় ভাই রেজাউল ইসলাম (৩২)। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

    গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড গ্রামারোদন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত শামিম পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার দুই নাবালক সন্তান—জুনায়েদ (৪) ও জুম্মান (দেড় বছর)—এতিম হয়ে গেল।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুদ্দুস সিকদার ও অজেদ সিকদারের মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। অজেদ সিকদার সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে ঘর তুলতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন। তবে কুদ্দুস সিকদার আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর তোলা শুরু করলে অজেদ সিকদার থানায় অভিযোগ করেন।

    পুলিশ এসে ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দিলেও কুদ্দুস সিকদার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন অজেদ সিকদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস সিকদার (৫৫), তার ছেলে এনামুল সিকদার (২৬) ও স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০) মাটি কাটার কোদাল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অজেদ সিকদারের ওপর হামলা চালায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তারা অজেদ সিকদারকে মারধর করলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার দুই ছেলে শামিম ও রেজাউল। তখন তাদেরও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হামলায় তিনজনই শরীরের বিভিন্ন অংশে ও মাথায় মারাত্মকভাবে আহত হন।

    স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। এদিকে রেজাউল ও অজেদ সিকদারও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।

    এ ঘটনার পর অভিযুক্ত কুদ্দুস সিকদার, এনামুল সিকদার ও রেহেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দুজ্জামান ও থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান।

    নিহত শামিমের স্ত্রী আয়শা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার দুই ছোট বাচ্চা এখন এতিম হয়ে গেল! আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই!”

    রেজাউলের স্ত্রী খাদিজা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছিলাম, পুলিশ কাজ বন্ধও করিয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হলো না। কুদ্দুস সিকদার ও তার ছেলে পরিকল্পিতভাবে আমার দেবরকে মেরে ফেলল। আমার স্বামী ও শ্বশুরের অবস্থাও ভালো না।”

    গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী আনা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুতই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।