Author: adminfas adminfasadminfas

  • ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন

    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন

    মো:রুবেল আহমদ তালুকদার: আজকের ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। জীবন কে সুন্দর করতে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সু শিক্ষা ও সুন্দর পরিবেশের পাশা পাশি ছাত্র/ছাত্রীদের একটি আর্থিক সঞ্চয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাদের অদূর ভবিষ্যৎ কে সুন্দর করতে ও তাদের কে আর্থিক সঞ্চয়ের আগ্রহী করে তুলতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক এর নির্দেশনায় স্কুল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি।

    ২৬মে রোজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়য়ের এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন ২০২৫-ইং এর কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা গুলো বলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিলেট এর মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন ও কুইজ প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়।

    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক,শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন 2025 অনুষ্ঠিত।
    ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় করা শিখুক,শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন 2025 অনুষ্ঠিত।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা এ এন এম সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চলনায় ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিলেট এর মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শরীফ মোঃ তাহাওয়ার হোসাইন, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এল বি গ্রীন ফ্লাওয়ার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাফিজুর রহমান তারেক উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলতাফুর রহমান টিপু এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র/ছাত্রী বৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমরান আহমদ। বক্তব্য রাখেন বিকেবি কর্মকর্তা আফসারুজ্জামান।
    কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন কারী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়। প্রধান অতিথি ছাত্র /ছাত্রী ছাড়াও প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধার কথা উল্ল্যেখ করেন।

    যে আগামী ১৯জুনের মধ্যে যদি প্রবাসীরা কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বোনাস ছাড়াও লটারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে চাইলে সকল প্রবাসীরা অংশ গ্রহন করতে পারেন।

  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ

    সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ

    আন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আইসিটি আইনেও সংশোধনী অনুমোদন

    ঢাকা, ১০ মে ২০২৫ — দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মোড়: অন্তর্বর্তী সরকার শনিবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’-তে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকার জানায়, পরবর্তী কার্যদিবসে এ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

    বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক বিবৃতি পাঠ করে জানান, একইসাথে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন থেকে কোনো রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী সংগঠন এবং সমর্থক গোষ্ঠীকে বিচারের আওতায় আনতে পারবে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও তার শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার চলমান থাকা অবস্থায় দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও “জুলাই আন্দোলনের” নেতাকর্মী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে দলটির সকল কার্যক্রম (অনলাইনসহ) নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    শেখ হাসিনা

    এছাড়া, “জুলাই ঘোষণাপত্র” আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও সভায় গৃহীত হয়েছে।

    ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঘিরে সংঘটিত শাহবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিবৃতিতে বলা হয়, তখনকার সরকার (আওয়ামী লীগ) সেই আন্দোলনকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে স্বৈরাচারী প্রবণতা প্রকাশ করেছিল। “শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি” শিরোনামে প্রকাশিত দৈনিক আমার দেশের প্রতিবেদন ছিল সেই সময়ের একটি ব্যতিক্রমী সাংবাদিকতা উদ্যোগ, যা তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়ে।

    পরিশেষে উপদেষ্টা পরিষদ জানায়, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বিচার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

  • ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি: দ্রুত কাজ শেষের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি: দ্রুত কাজ শেষের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া-গজালিয়া ইউনিয়নের সংযোগ খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও ব্রিজ নির্মাণে অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। এরই প্রতিবাদে ও দ্রুত কাজ সম্পন্নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

    রোববার (৪ মে) সকাল ১০টায় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন শতাধিক স্থানীয় মানুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা শামীম খা (৪০), শাহাবুদ্দিন প্যাদা (৬০) ও শাহীন ঢালী (৪০)।

    বক্তারা বলেন, এই ব্রিজটি শুধু গজালিয়ার জন্য নয়, আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রধান পথ। বছরের পর বছর পার হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পাটাতন দিয়ে এখনো চলাচল করতে হচ্ছে। উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে চিকনিকান্দি বাজার হয়ে, যা অত্যন্ত কষ্টকর।

    তারা আরও জানান, ব্রিজের দুই পাড়ে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও হাটবাজার। ফলে এর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হওয়া জরুরি। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত ব্রিজের কাজ সম্পন্নের আহ্বান জানান এবং কাজের তদারকি জোরদার করার দাবি জানান।

    জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন প্রকল্প (টিবিআরপি)-এর আওতায় ২০২৩ সালের ১ মে গলাচিপা উপজেলার আটখালী-চন্দ্রাইল সড়কে ২৪৩০ মিটার, চেইনেজে ৭২ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চুক্তিমূল্য ৫ কোটি ৯১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৫ টাকা। বরিশালের বাকেরগঞ্জের মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে ব্রিজের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।

    চর চন্দ্রাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুবর্ণা রাণী বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পার হয়ে যেতে হয়। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। দ্রুত কাজ সম্পন্ন না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

    এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ-এর ঠিকাদার কবির হোসেন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি সাংবাদিকদের উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তার দাবি, ব্রিজের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্রিজটির উচ্চতা পরিবর্তনের কারণে নতুন ডিজাইন পাস করতে সময় লেগেছে। বর্তমানে নতুন ডিজাইন অনুমোদিত হয়েছে। খুব দ্রুতই নির্মাণকাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, আপাতত পুরাতন ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

    আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: জোরপূর্বক জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জমির আলী খা (৬২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামে।

    ভুক্তভোগী শাহআলম খা জানান, তাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষ জমির আলী খা আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার সাথে একটি প্রভাবশালী চক্রও ষড়যন্ত্রে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ভুক্তভোগীরা জানান, জে.এল. নং ১২৪, তুলাতলী মৌজার এস.এ. খতিয়ান নং ১৩ অনুযায়ী রেকর্ডীয় মালিক এন্তাজ আলী খা। তার অংশ পটুয়াখালী ১ম মুনসেফ আদালতের ১৯৫৫ সালের ৩৪নং পেটি মোকদ্দমায় ডিগ্রিপ্রাপ্ত (ডিগ্রি নং ৬১/৫৬) জমি আদালতের আদেশে নিলামী হয়। যা আদালতের রায়ে ১৯৫৭ সালের ১১ মার্চ ক্রয় করেন আব্দুর রব হাওলাদার। এরপর ১৯৬৬ সালে তিনি মোছলেম আলী খা-কে জে এল নং ১২৪ তুলাতলী মৌজার এস এ খতিয়ান নং ১৩ এর ২৩২, ৫৪২, ৫৪৩, ৫৪৪, ৫৪৫,৫৪৬,৫৪৭, ৫৪৮ ও ৫৪৯ এই সকল দাগ থেকে ৭৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। বর্তমানে তার উত্তরাধিকারগণ উক্ত জমিতে ভোগদখল করছেন।

    ভুক্তভোগীদের দাবি, গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সকাল ১০টার দিকে জমির আলী খা জোরপূর্বক জমি দখলের অপচেষ্টা চালান। দখলে ব্যর্থ হয়ে একই দিনে তিনি পটুয়াখালী দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩৩/২০২৫)। মামলায় মোছলেম আলীর পুত্র মোয়াজ্জেম খা, শাহআলম খা, নুর আলম খা।এছাড়াও মামুন মৃধা, শামীম খা, তুহিন খা, নবীন খা এবং শিফন খা-কে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, আসামিরা জোরপূর্বক জমিতে মাটি কেটে ঘর নির্মাণ করেছেন। মামলায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন দ্রুত বিচার আইন ২০০২ এর (২) (ই) (উ) ৪/৫ ধারা উল্লেখ করা হয়।

    তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা জানান, মামলার দিনে ও সময় তারা নিজ বাড়িতে ও কর্মস্থলে স্বাভাবিক জীবনযাপন, কাজ করছিলেন এবং কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। বরং প্রতিপক্ষ জমির আলী খা তাদের জমিতে বারবার অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং তাদের ঘর নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন। এছাড়া যাদের আসামি করা হয়েছে তারা ঘটনাস্থলেই ছিলেননা। তাদের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করতেই এই মামলা সাজানো হয়েছে। আদালতের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভোগদখলীয় সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুহিন খা বাড়ি করে সেখানে গাছ রোপণ করে, পুকুর খনন করে ছোট্ট একটি টিন কাঠের ঘরে বসবাস করছে। ভিটিতে পড়ে আছে ঘর তোলার টিন,কাঠসহ নির্মাণসামগ্রী।

    প্রতিবেশী দীপক দত্ত ও মোস্তফা তালুকদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, শাহআলম খা ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে ভোগদখল করে আসছেন। গত বছর শাহআলম খা-এর ছেলে তুহিন সেখানে বাড়ির ভিটা তৈরি, পুকুর খনন ও গাছপালা রোপণ করেন। এবার ঘর নির্মাণ করতে গেলে জমির আলী খা বাঁধা দেন। তাদের দাবি, জমির আলী কখনো উক্ত জমির দখলে ছিলেন না।

    শাহআলম খা বলেন, আমার বাবা ১৯৬৬ সালে জমি ক্রয় করেছিলেন। তখন থেকেই আমরা ভোগদখলে আছি। এখন হঠাৎ এসে তারা বাধা দিচ্ছে, মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। স্থানীয়ভাবে সালিসিতে, আদালতে আমাদের কাগজপত্র, দলিল স্বত্ব সঠিক হয়েছে।

    তুহিন বলেন, আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্টে ছাপড়া টিন কাঠের ঘরে আছি। নতুন ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয়, এখন আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।

    মামলার বাদী জমির আলী খা বলেন, ওই জমি আমাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি। প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেছে। বাধা দিলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। মামলার সাক্ষী বশির খা বলেন, প্রায় শত বছর আগে ওই জমির দখল নিয়েছে শাহ আলম খা পরিবার।

    এদিকে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত গলাচিপা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন শীঘ্রই দাখিল করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, উক্ত জমিতে পূর্ব থেকে এবং বর্তমানে ভোগদখলে আছেন শাহআলম খা ও তার পরিবার।

  • আমি ছিলাম আওয়ামী লীগের, কিন্তু এখন দেশকে আর চিনি না

    আমি ছিলাম আওয়ামী লীগের, কিন্তু এখন দেশকে আর চিনি না

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আমি আওয়ামী লীগ করতাম। ছোটবেলা থেকেই ‘জয় বাংলা’, ‘তোমার নেতা, আমার নেতা — শেখ হাসিনা’ স্লোগান মুখস্ত করেছি। বিশ্বাস করতাম এই দল মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি, আর শেখ হাসিনা মৌলবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা।

    কিন্তু আজ আমি আতঙ্কিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর যে বাংলাদেশ আমরা দেখছি, তা ভিন্ন এক রাষ্ট্র — ধর্মীয় উগ্রতা, মৌলবাদ ও চরমপন্থার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এই ভূখণ্ড।

    রাজপথ এখন হেফাজত, জামায়াত ও সালাফি চক্রের দখলে। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে প্রকাশ্যে শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলোর পাঠ্যক্রমে ঢুকছে তালেবানি আদর্শ। নারী অধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাকস্বাধীনতা — সবই আজ প্রশ্নবিদ্ধ।

    সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, **বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে জামায়াতে ইসলামী কার্যত অংশীদার**। আর এই কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে ইসলামী উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কোনও শক্ত অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হচ্ছে না, পুলিশ নীরব, প্রশাসন অদৃশ্য।

    এই নীরবতা কি কাকতালীয়? নাকি পরিকল্পিত?

    যখন চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা হলো, প্রশাসন বলল “বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যখন ফেসবুকে একজন নাস্তিক লেখককে হত্যার হুমকি দেওয়া হলো, তখনও সরকার নিশ্চুপ। কারণ যারা হুমকি দিচ্ছে, তারা এখন ক্ষমতার সাথেই জড়িত।

    আমি নিজেই আগে আওয়ামী লীগের পক্ষে সোচ্চার ছিলাম — ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আজ যারা সেই চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গে আপস করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    আমরা কি সত্যিই সেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আছি? নাকি এক তালেবানি ধারার রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছি, যেখানে দাড়িওয়ালা নেতারা ঠিক করবেন আপনি কী পরবেন, কী বলবেন, কী বিশ্বাস করবেন?

    এখন প্রতিবাদের সময়। আওয়ামী লীগ যাদের একসময় রুখেছিল, তারা আজ সরকারি মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাততালি পাচ্ছে। আমরা যদি এখনই না জাগি, তবে বাংলাদেশ আর আমাদের থাকবে না।

  • ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ ময়মুননেচ্ছা চিকিৎসায় বঞ্চিত – চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রয়োজন।

    ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ ময়মুননেচ্ছা চিকিৎসায় বঞ্চিত – চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রয়োজন।

    নাজমুল ইসলাম চৌধুরী সিলেট থেকেঃ সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার পুর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের মৈশাসী গ্রামের অসহায়, হতদরিদ্র, ৭০ বছর বয়স্ক ময়বুননেছা বর্তমানে অসুস্থ। প্রয়োজন চিকিৎসার। আর্থিক সংকট কারনে হচ্ছে না সঠিক চিকিৎসা। ১৫ এপ্রিল ২০২৫ইং ২য় বার ময়মুননেচ্ছার খোজ খবর নিতে মৈশাসী গ্রামে গেলে পাড়া প্রতিবেশীরা জানান অর্থ অভাবে পেট ভরে ৩ বেলা খাবার জুটে না, তার আবার চিকিৎসা হবে কি করে।

    ময়বুননেছা’র জন্ম ১৪/২/১৯৫৫ইং। স্বামী, সন্তান সহ নিকট আত্মীয় কেউ নেই। পিতা মৃত ইউসুফ আলী। মাতা মৃত নবিজান বিবি।

    ময়বুননেছা’র বাড়ী বলতে নড়বড়ে কুড়ে ঘর, অন্ধকার, মেঝে সেত সেতে।নেই বিদ্যুৎ ও শৈৗচাগার।ছোট চকি, অল্প হাড়ি পাতিন।বয়সের কারনে রান্নাও করতে পারেন না, পাড়ার মেয়েরা সহযোগিতা করেন।৩/৪ ফুট উচ্চতার

    ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ ময়মুননেচ্ছা চিকিৎসায় বঞ্চিত

    ময়বুননেছা হাটেন লাঠি ভর দিয়ে।পা অনেকটা বাঁকা,তাই স্বাভাবিক ভাবে হাটতেও পারেন না। ৫/৬ বছর বয়সে কোল থেকে পরে গেলে পায়ে আঘাত পান, সেই থেকে পায় ২টি বাকা হয়ে যায়। বিয়ে হলেও, বেশী দিন ঠিকেনি।বাপের বাড়ী চলে আসেন।সেই থেকে একা জীবন।

    বালাগঞ্জ উপজেলা অষ্টিটিক প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্র ও নিরাপদ এনজিও সভাপতি, সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন শাহিন ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ইং ময়বুননেছা করুন কাহিনী পত্রিকায় তুলে ধরেন।বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যাক্তা ও বিধবা ভাতা পাওয়ার অধিকারী ময়বুননেছা কে কেন এতো দিন চেয়ারম্যান, মেম্বাররা ভাতার ব্যবস্থা করে দিলেন না ?প্রশ্ন রেখে তিনি জানান ময়বুননেছা’র ভাতার জন্য ভোটার কার্ড,নগদ নম্বার, ছবি,আবেদন,কেউই অফিসে দিতে না পারায়,তিনি নিজ উদ্যোগে সবই তৈরী করে বালাগঞ্জ সমাজসেবা অফিসে জমা দিয়েছেন।প্রবাসীদের সহযোগিতায় একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করে দিয়েছেন,এবং প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন।সাংবাদিক শাহিন ১৫ এপ্রিল ২০২৫ইং মৈশাসী গ্রামে দিয়ে বয়স্ক ভাতার আবেদনের একটি কপি ময়মুনেচ্ছার হাতে তুলে দিয়েছেন।

    এ সময় বালাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আহাম্মদ উল্লাহ,মৈশাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সনজিব দাশ,সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম,ময়মুনেচ্ছার বড় ভাই মনসুর আলী,স্থানীয় নিরাপদ কর্মী মমতা বেগম,সুমা বেগম,জেনি বেগম উপস্থিতি ছিলেন।

    সাংবাদিক শাহিন জানান, ময়বুননেছা’র প্রয়োজন ঘর, খাবার ও চিকিৎসা। এ ব্যাপারে আত্মীয় স্বজন, গ্রামবাসী, সমাজের ধনী এবং প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    বালাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুয়েল আহমদ বলেন সাংবাদিক শাহিনের আন্তরিকতায় বয়স্ক ভাতার অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। শ্রীঘই বয়স্ক ভাতার টাকা ময়বুননেছার মোবাইলে চলে যাবে। প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

    বালাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আহাম্মদ উল্লাহ বলেন যুব উন্নয়ন থেকে বিভাগীয় যুব পদক প্রাপ্ত যুব সংগঠক শাহিনের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার।

    বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিত কুমার চন্দ জানান, বিষয়টি আমার দৃষ্টিতে এসেছে, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সংলিষ্টদের নিদের্শ দিয়েছি।

  • ব্লগার শিমু হত্যাচেষ্টা, উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা

    ব্লগার শিমু হত্যাচেষ্টা, উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা

    বহুল আলোচিত লেখক, ব্লগার সুমিয়া শিমু হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনে পরিকল্পিত হামলা চালায় একদল উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। এসময় দুর্বৃত্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরিবারের সদস্যদের শারীরির এবং মানুষিকভাবেও লাঞ্চিত করে।

    গত ২৪মার্চ (সোমবার) মধ্যরাতে সুমিয়া শিমুর বরিশাল গৌরনদীর অবস্থিত নিজ বাসায় এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ব্লগার ও লেখক সুমিয়া শিমু ২০২৫ সালের বরিশাল মেট্রো এর ওয়েবে ধর্ম ভিত্তিক, ধর্মান্ধতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা, ধর্মীও উগ্রবাদীদের বিষয়ে লিখা প্রকাশ করেন ।

    সুমিয়া শিমুর পিতা এম ডি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “শিমু উদারপন্থী। সে একজন মানবাধিকার কর্মী। এরই জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান। এরা উগ্রপন্থী কোন গোষ্ঠীরই সদস্য বলেও জানান তিনি। ইতোপূর্বেও গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর একই কায়দায় হামলা চালায় এ গোষ্ঠীটি। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ।”

    তিনি আরও বলেন, “প্যান্ট আর হাফ শার্ট পড়া চারজন যুবক কিছু বুঝে উঠার আগেই দরজা ভেঙ্গে অতর্কিতে ভেতরে ঢুকে যায়। যুবকদের পুরো মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিলো এবং চোখে ছিলো কালো চশমা। সবার হাতেই দেশীয় ধারালো অস্ত্র (রামদা, চাপাতি) ছিলো। অস্ত্রের মুখে তারা শিমুর অবস্থান জানতে চায়। সে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছে। উগ্রপন্থী এ গোষ্ঠীটি লন্ডনে তার অবস্থান নিশ্চিত হতে চায়। সেখানে তার অবস্থান জানাতে না চাওয়ায় তারা পুরো বাড়িতে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। পরিবারের সকল সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে এক পর্যায়ে বাসার বাইরে তালা লাগিয়ে চলে যায়। আমিও এই হামলার ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হই।”

    সুমিয়া শিমু, কট্টর ইসলামের সমালোচনা ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদের জন্য বাংলাদেশের ইসলামিস্টদের নিকট আক্রমণের লক্ষ্যবস্ত। বাংলাদেশে বিগত সময়ে অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাস, আরেফিন দীপন সহ অসংখ্য মুক্তচিন্তক, ব্লগার, লেখক প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী ফতোয়া দিয়ে তাদের হত্যার জন্য নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল ও তাদের হত্যার জন্য ক্যাম্পেইন করেছিল জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলাম, হিজবুত তাহরির, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্যজোট এর কর্মীরা।

    উল্লেখ্য বিভিন্ন সমর্থিত ও অসমর্থিত সূত্রের দাবী, গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ পর থেকে প্রান্তিক বিবিধ গোষ্ঠীর সদস্যরা একাধিকবার দেশের বিভিন্ন স্থানে হেনস্থা, হয়রানি, হামলা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছে পুনরুত্থিত ইসলামিক দলগুলোর কাছে। ধর্মানুভূতিতে আঘাত সহ সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে প্রকাশিত লেখার জের ধরেই এসব পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত অনেক লেখক, ব্লগার, অধিকার কর্মীরা সম্প্রতি নিজ নিজ বাসস্থানে হামলা ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশের উগ্রবাদী ধর্মীও গোষ্ঠীর নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশের বিষয়গুলো সামনে আসছে। একই সাথে দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সহ লেখালেখির সাথে জড়িত লেখক, ব্লগার ও অধিকার কর্মীদেরও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ার সাথে হামলার মুখেও পড়ছে।

  • গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীর পক্ষে থেকে প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীর পক্ষে থেকে প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ১৭ মার্চ দুপুর ২ টায় মৎস্য ব্যাবসায়ী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে।

    পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন
    পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক ইমন

    এসময় সংবাদ সম্মেলন উল্লেখ করেন যে গত ১লা মার্চ তারিখে গলাচিপা থেকে ঢাকাগামী ডলফিন পরিবহনে ৩১ কার্টুন ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় বাবুগঞ্জ থানাধীন নতুনহাট বাজার বিটে পৌছালে প্রতারক ইমন এর ইন্দোনে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক পরিবহন থামিয়ে ১৮ কার্টুন ইলিশ মাছ নামিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নূরে আলম নামে একজন লোক ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ৪০ হাজার টাকা নূরে আলম এর দুইটি মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা মাছ না দিয়ে তালবাহনা শুরু করেন। এবিষয়টি নিয়ে বাবুগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কার্টুন মাছ উদ্ধার করে। বাকি ৫ কাটুন মাছ উদ্ধার করতে পারেনি।মাছ গুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা।

    গত ৪ মার্চ তারিখে উক্ত নূরে আলম তার NRBC ব্যাংক থেকে প্রতারক ইমনকে ১ লাখ টাকা গলাচিপা পূবালী ব্যাংকের শাখায় পাঠায়।এতথ্য পাওয়ার পরে উক্ত বিষয় নিয়ে প্রতারক ইমনকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে নানান রকমের তালবাহনা শুরু করেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে। এনিয়ে গলাচিপা মৎস্য ব্যাবসায়ীরা গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত থাকেন উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ চুন্নু মৃধা, মৎস্য ব্যাবসায়ী কুদ্দুস মুন্সি, হেলাল সিকদার,রহমান খলিফা,বশির হাওলাদার বাচ্চু হাওলাদার, মামুন সহ আরো অনেকে।

    এছাড়াও প্রতারক ইমন প্যাদা ক্যাসিনো ব্যাবসায় জড়িত আছে এমন অভিযোগপ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বহু টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় বলেও জানান সংবাদ সম্মেলনে। এবিষয়ে প্রতারক ইমন প্যাদাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শান্তির দাবি করেন মৎস্য ব্যাবসায়ীরা।

  • গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও অফিস ঘেরাও

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল, অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় গলাচিপা পৌর শহরের জৈনপুরী খানকা ময়দানের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

    বিক্ষোভকারীরা বলেন , ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা দাবি করেন, ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনসহ সরকারি তহবিলের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, ইউএনও মিজানুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

    বিক্ষোভকারীরা দ্রুত ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন ও ব্যানার প্রদর্শন করেন। তারা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শাহ জুবায়ের আবদুল্লাহ, তারিকুল ইসলাম মুন্না, মো. হানিফ ডাক্তার প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হন। এ নিয়ে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন পার হলো।

  • গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ “Uno Galachipa” থেকে দেওয়া একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই পোস্টে ইউএনও নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী বলে স্বীকার করেছেন এবং দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গও তুলেছেন।

    ইউএনও’র ফেসবুক পেইজের পোস্টেে লেখা হয়—”আমার (মিজানুর রহমান) বিরুদ্ধে বড় একটা অভিযোগ হলো আমি ছাত্রলীগ করতাম। হ্যাঁ, একসময় করতাম। সো, কি হয়েছে? নুরু ভাইও এক সময় ছাত্রলীগ করত। তিনি একসময় জননেত্রীর পা ছুঁয়ে সালামও করেছেন। সো, তাতে কি নুরু ভাইয়ের জনপ্রিয়তা এখন কম?”

    তিনি আরও লেখেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কারণে আমরা মোটেই লজ্জিত নই, কারণ এই দেশমাতৃকার জন্ম তা হাত ধরেই। আরেকটা অভিযোগ হলো দুর্নীতির। Who is free from it? যে দুর্নীতি করে না বুঝতে হবে সে সুযোগ পায় না।”

    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি
    গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি

    সবশেষে তিনি মন্তব্য করেন, “সোজাসাপটা কথা। একদিন আমাদেরও সময় আসবে। Every dog has its barking day.”

    এই পোস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুহূর্তে পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। ফেইসবুকে পোস্ট শেয়ার করে অনেকে লেখেন সরকারি একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এ ধরনের মন্তব্য কতটা নৈতিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

    এদিকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই ফেসবুক পেজটি ইউএনও নিজেই পরিচালনা করেন। রোববার রাত ৯:২০ মিনিটে পোস্টটি প্রথম দেখা যায়, যা এখনো দৃশ্যমান।

    ঘটনার পর রোববার রাত সাড়ে ১০টায় গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ইউএনও মিজানুর রহমান। তিনি দাবি করেন, তার আইডি হ্যাক করা হয়েছে এবং বিষয়টি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অফিশিয়ালি ফেইসবুক আইডি ‘Uno Galachipa’ কে বা কারা হ্যাক করে বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি এর এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি থানায় জিডি করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।