Author: adminfas adminfasadminfas

  • নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েল এখন আর ভারতীয়দের জন্য নিরাপদ নয়

    নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েল এখন আর ভারতীয়দের জন্য নিরাপদ নয়

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি এক অদম্য বক্তব্যে বলেছেন, ইসরায়েল এখন আর ভারতীয় নাগরিকদের জন্য নিরাপদ নয়। আন্তর্জাতিক স্তরে এই মন্তব্যটি ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। মোদী ইসরায়েল ও পাশের দেশগুলোর মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ইরানি মিসাইলের হুমকি তুলে ধরে ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

    মোদী বলেন, “ইসরায়েল এখন আর ভারতীয়দের জন্য নিরাপদ নয়,” ইসরায়েল অঞ্চলে ইরানি মিসাইল হামলার ঝুঁকি এবং সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “ভারতীয়রা ইসরায়েলে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে পারছে না ইরানি মিসাইল থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য।”

    এছাড়া, মোদী আরও কিছু ইসরায়েলির আচরণের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, যেখানে তিনি বলেন, “কিছু ইসরায়েলি নিজেদের অন্যদের থেকে অনেক উন্নত মনে করেন এবং বিদেশি নাগরিকদের দাসত্বের মতো আচরণ করেন।” এই মন্তব্যগুলি ইসরায়েল সরকারের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সতর্কতা প্রকাশ করতে পারে।

    মোদীর এই মন্তব্যগুলো ইসরায়েল-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে সেখানে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য। রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মধ্যে মোদী সরকারের প্রতি চাপ বাড়ছে যাতে ভারতের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পটভূমিতে, ইসরায়েল এবং ইরান দু’দেশের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, মোদী সরকারের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রস্তাবও উঠতে শুরু করেছে, যা ইসরায়েলে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মানবিক অধিকার সুরক্ষিত করবে।

  • বাগেরহাট জেলায় ০৪টি বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এব্ং ০১টি মাইক্রোবাসসহ ১১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    বাগেরহাট জেলায় ০৪টি বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এব্ং ০১টি মাইক্রোবাসসহ ১১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    বাগেরহাট জেলা সুযোগ্য পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও আইসিটি শাখার যৌথ অভিযানে বাগেরহাট জেলায় ০৪টি বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এব্ং ০১টি মাইক্রোবাসসহ ১১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার:

    বাগেরহাট জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তৌহিদুল আরিফ মহোদয়ের নেতৃত্বে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা, সাইবার ক্রাইম টিম, মোল্লাহাট থানা পুলিশ ও জেলা বিশেষ শাখা মোল্লাহাট জোনের যৌথ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৬/০৬/২০২৫ খ্রি. তারিখ ১৮.২০ ঘটিকায় মোল্লাহাট থানাধীন ঢাকা টু খুলনা মহাসড়কের মোল্লাহাট টোল প্লাজার সামনের পাকা রাস্তার উপর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা হইতে আসা একটি হাইএস মাইক্রোবাস থামিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে মাইক্রোবাসে আগত ব্যক্তিদের তল্লাশী করে ০৪টি বিদেশী পিস্তল, ০৪টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ০১টি সেভেন গিয়ার চাকু, একটি ক্ষুর ও ০১টি দা উদ্ধারপূর্বক মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলো ১। কাউসার আলী (৪৩),পিতা-মৃত কদম আলী মোল্লা, সাং- কানাইডাঙ্গা, থানা- মহেশপুর, ২। মো: মেহেদী হাসান (২৩) , পিতা- মনিরুল ইসলাম, সাং- বাসুদেবপুর, থানা- হরিণাকুন্ডু, ৩। আতাউর রহমান (৩০), পিতা-আব্দুল মবিন, সাং- কানাইডাঙ্গা , থানা- মহেশপুর, ৪। মোঃ খোকন বিশ্বাস, (৪৫), পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, সাং-সাবেক বিন্দু, থানা- হরিণাকুন্ডু, ৫। খোকন মিয়া (৩৫), পিতা- আবুল বাসার মন্ডল, সাং- সড়াবাড়ি, থানা- হরিণাকুন্ডু, ৬। আবুল হোসেন (৪৩), পিতা- সিদ্দিকুর রহমান, সাং- ধান্য হরিয়া, থানা- মহেশপুর, ৭। মোঃ ইমদাদুল হক(৩১), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- ধান্যহরিয়া, থানা- মহেশপুর, ৮। জনি মিয়া(২৭), পিতা-গিয়াস উদ্দিন, সাং- গয়েশপুর, থানা- মহেশপুর, ৯। সেলিম শাহ(৩৪), পিতা- আনিসুর রহমান শাহ, সাং- সাবেক বিন্দু, থানা- হরিণাকুন্ড ১০। মাসুম পারভেজ (২২), পিতা- নুর আলম, সাং- ধান্যহাড়িয়া, থানা- মহেশপুর ও ১১। প্রসেনজিৎ চন্দ্র দাশ, পিতা- অধীর চন্দ্র দাস, সাং- হামদো মোড়, থানা- ঝিনাইদহ সদর, জেলা- ঝিনাইদহ।

    আসামীরা বড় কোনো অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা নিয়ে বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ মাইক্রোবাসযোগে ঝিনাইদহ থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে আসছিল মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
    রেজাউল কবির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার at Bagerhat, Bangladesh – বাগেরহাট, বাংলাদেশ.

  • পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন।

    পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন।

    মোঃ ছালা উদ্দিন, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ অদ্য ০১/০৭/২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ২০২৪-২৫ অর্থ বছর(২য় কিস্তি) এর বরাদ্দকৃত প্রকল্প দ্বারা ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবে খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উক্তা খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সনামধন্য চেয়ারম্যান জনাম এম মুজিবুর রহমান, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পূর্ব গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব নিজাম উদ্দিন , মৈশাষী অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক ও মুসলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মোঃ ছালা উদ্দিন, বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড় বৃন্দ, গ্রাম পুলিশ সদস্য বৃন্দ সহ প্রমূখ।

  • মুরাদনগরে হিন্দু নারীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতাকে বিএনপি বানিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার

    মুরাদনগরে হিন্দু নারীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতাকে বিএনপি বানিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার

    কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফজর আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে বিএনপি নেতা বলে প্রচার চালানো নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটে ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে। ২৫ বছর বয়সী ওই নারী বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

    ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তার বাড়ির দরজায় এসে ডাকাডাকি শুরু করে। তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ধর্ষণ করে।

    চিৎকার শুনে ভুক্তভোগীর চাচি এবং স্থানীয় কয়েকজন পূজার অনুষ্ঠান থেকে ছুটে এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তারা ঘরে ঢুকে ফজর আলীকে ধর্ষণের সময় হাতে-নাতে দেখতে পান।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ফজর আলী দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং তিনি ১১নং রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া খোকনের বডিগার্ড হিসেবেও পরিচিত।

    তবে ঘটনার পরপরই একটি ফেসবুক ভিত্তিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘মুরাদনগর লাইভ টিভি’—যা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের মিডিয়া উইংয়ের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই পেজ থেকে ফজর আলীকে বিএনপি নেতা হিসেবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর প্রচার শুরু হয়।

    মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অন্জন ও সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক এক যৌথ বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন— আওয়ামী লীগের মিডিয়া উইং বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বারবার এমন অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

    বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, সাবেক এমপি ইউসুফ হারুন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বিএনপিকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা করছে।

    মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

  • জুড়ীতে উপজেলা সদরের বাহিরে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    জুড়ীতে উপজেলা সদরের বাহিরে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং পাশে সরকারি মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পরও একটি অর্থ লোভী সিন্ডিকেট উপজেলা শহর থেকে অনেক বাহিরে উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে উপজেলা চত্বর চৌমুহনীতে এ‌ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে মোঃ হাবিবের সঞ্চালনায় ও রেজান আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাবিবুর রহমান হাবিব, মাওলানা ফখর উদ্দিন পাঠান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আপ্তাব আলী, এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষক শাহীন আহমেদ, ছাত্রনেতা সাজিদ মাহমুদ, সার্জেন্ট আমজাদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আছাদ উদ্দিন, অধ্যাপক বদরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, প্রবাসী মাশুক আহমেদ, সুমন আহমেদ, ছাত্র সমন্বয়ক মাহতাব ভূইয়া স্পন্দন, জাকির হোসেন বাবু সহ আরো অনেকেই।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং পাশে সরকারি মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি শতভাগ চূড়ান্ত হওয়ার পরও একটি অর্থ লোভী সিন্ডিকেট উপজেলা শহর থেকে অনেক বাহিরে উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা করছে। আমরা ওই সিন্ডিকেটকে বলতে চাই, আপনারা টেকনিক্যাল কলেজ খেয়েছেন, আপনারা ফায়ার সার্ভিস খেয়েছেন, আপনারা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম খেয়েছেন, দয়া করে আল্লাহর ঘর মসজিদ খাবেন না? তাহলে আল্লাহর গজব পড়বে আপনাদের উপর। জুড়ী উপজেলার সবকিছু খেয়েও আপনাদের পেট ভরছে না কেন? এমন কোন অপকর্ম নেই যা আপনারা করছেন না। টাকা নিয়ে কি কবরে যাবেন? টাকার বিনিময়ে কি আজীবন বেঁচে থাকবেন। এবার থামুন। আল্লাহকে ভয় করুন। সৃষ্টিকর্তা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে এবং পাশে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ না নিলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যখন সারাদেশের মতো জুড়ী উপজেলায়ও একটি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তখন থেকেই এই আসনের এমপি ও সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দন এবং জুড়ী সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজা সিন্ডিকেট অতীতের সকল প্রকল্পের মতই জুড়ী উপজেলা মডেল মসজিদটি গিলে খাওয়ার ফন্দি করেন। শাহাব-মাছুম সিন্ডিকেটের এই চক্রান্ত বুঝতে পেরে তৎকালীন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক জনগণের দাবির প্রতি একমত হয়ে জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স এর ভিতরে অথবা পাশেই জুড়ী উপজেলা মডেল মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জেলা প্রশাসক সহ এ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যখন দেখলো এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে জমি অধিগ্রহণে সরকারের তেমন কোন টাকাই খরচ হবে না। শহরের ভেতরে ও মেইন রাস্তার পাশে এবং দৃষ্টিনন্দন একটি জায়গায় মসজিদ নির্মাণ হবে। পুরো উপজেলার মানুষ এই মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ পাবে। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরের টিনশেডের মসজিদের জায়গায় জুড়ী মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। মসজিদের জায়গা চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি জেনে শাহাব-মাছুম সিন্ডিকেট তৎকালীন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে ক্ষমতার পাওয়ার দিয়ে এবং টাকার বিনিময়ে রাতারাতি জুড়ী সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজার বাড়ির পাশে পশ্চিম ভবানীপুর মৌজার আঞ্জুরী কুনা বিলে মডেল মসজিদটি নির্মাণের পায়তারা শুরু করেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন সময়েও জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স এর ভিতরে অথবা পাশেই মডেল মসজিদটি নির্মাণের জন্য জুড়ী উপজেলাবাসির ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স এর ভিতরে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা, সিন্ডিকেট নেতাদের প্রয়োজন টাকা এটা মসজিদ’ই হউক আর মন্দির’ই হউক। অবশেষে শাহাব-মাছুম সিন্ডিকেটের কাছে পরাজিত হলো জনগণের প্রাণের দাবি। জানা যায়, পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের নির্দেশেই জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজার বাড়ির পাশে পশ্চিম ভবানীপুর মৌজার আঞ্জুরী কুনা বিলেই জুড়ীর মডেল মসজিদের জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করা হয় এবং সম্প্রতি সময়েই মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানা যায়। এতে ক্ষুব্ধ জুড়ী উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মুসল্লিগণের দাবি, সমগ্র উপজেলার মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে কিছু অর্থলোভী সিন্ডিকেট নেতার কারণে মসজিদের মতো একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা ঠিক হয়নি। তারা জানান, সমগ্র উপজেলা বাসির মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে সুন্দর ও সঠিক জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হোক। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

    মানববন্ধন শেষে অনেকেই বলেন, জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে বা পাশে যদি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হতো তাহলে সমগ্র জুড়ী উপজেলা বাসির জন্য উপকার হতো। সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের আশীর্বাদ পুষ্ট, জুড়ী উপজেলা সিন্ডিকেটের প্রধান উপদেষ্টা, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগকারী ও আওয়ামীলীগ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বার বার জুড়ী সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বনে যাওয়া মাছুম রেজার লোভের কারণে জুড়ী বাসি একের পর এক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সবার মুখে মুখে একই কথা- এই ১৫ বছরে জুড়ীর সকল উন্নয়ন মাসুম রেজার বাড়িতে! স্বৈরাচার সরকারের একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এই মাছুম সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। মাছুম রেজা জুড়ীবাসীর কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক।

  • ইরানি হামলায় আশদোদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত, দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্ল্যাকআউট

    ইরানি হামলায় আশদোদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত, দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্ল্যাকআউট

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার মধ্যে আজ ইরানের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ আশদোদ পাওয়ার স্টেশনে আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং পুরো দক্ষিণাঞ্চলের বড় একটি অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

    ইসরায়েলি জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার কারণে পাওয়ার গ্রিডে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে অগ্নিকাণ্ড বা বড় দুর্ঘটনা না ঘটে। জরুরি ভিত্তিতে মেরামত ও পুনঃসংযোগের কাজ শুরু হয়েছে।

    • ইরানি বাহিনী আশদোদের পাওয়ার স্টেশন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে

    • বিস্ফোরণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ধ্বংস হয়

    • দক্ষিণ ইসরায়েলের বহু শহর ও জনপদ অন্ধকারে ডুবে যায়

    • চিকিৎসা ও নিরাপত্তা খাতও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

    ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বলেছে, তারা এই হামলার কড়া জবাব দেবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রস্তুত।
    ইরান এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে “সুশৃঙ্খল প্রতিশোধ” বলে অভিহিত করছেন।

  • প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যুগ্মসচিব আব্দুল লতিফ খানের পদায়নকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনের একটি অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

    একটি কল রেকর্ড প্রচার করে বলা হচ্ছে, এ পদায়নে ২০ কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন হয়েছে উক্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল লতিফ খান।

    এক প্রতিবাদ লিপিতে বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে যে কল রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার এসব করার ক্ষমতা নেই। আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ জাল ও ভুয়া।

    প্রচারিত ফোন আলাপই স্পষ্ট যে, আমি আমার পদায়নের বিষয়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করি নি।

    একটি পক্ষ নিজেরাই এমন ভুয়া রেকর্ড তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে। আমার এতে সামাজিক, মানষিক ও দাফতরিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন প্রোর্টাল গুলোকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমরা মনে করছি।

    আমার বিরুদ্ধে উক্ত প্রোর্টালের প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। সুপরিচিত ব্যাক্তিকে অসত্য মিথ্যা ঘটনা সমর্থন করতে পারেন না বিদায় উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    নিবেদন

    আবদুল লতিফ খান
    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন।

  • জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার

    জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার

    জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে বলে দাবি করছেন পরিবার। এবিষয়ে রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে জুড়ী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী রুহেলা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের মেয়ে হাবিবা আক্তার ও তাইবা আক্তার।

    সংবাদ সম্মেলনে রুহেলা বেগম বলেন, আমি জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা। আমার ছেলে জুড়ী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাত দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসছেন। একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন রাত ৯ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমার ছেলে ফাতিন হাসনাতকে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর আমি জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ। এঘটনার পর আমাদের পরিবার আরো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে এই ঘটনার দুইদিন পর থেকে আমার স্বামী জিল্লুর রহমান নিখোঁজ রয়েছে। আমার স্বামী জিল্লুর রহমানকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা ধারণা করছি আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই। এ বিষয়ে জুড়ী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলেও পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। আমরা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা। বর্তমানে আমরাও বাড়ি ছাড়া। আমার ছেলে ফাতিন হাসনাত দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যার কারনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা বিচার চাচ্ছি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, জিল্লুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে।

  • গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা এবং দোকান-বাড়ি ভাঙচুরসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৩ জুন শুক্রবার বিকেল ৪টায় গলাচিপা উপজেলা এলজিইডি অফিসের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর সংবাদ সম্মেলন করেন।

    নূরুল হক নূর তার বক্তব্যে বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে আমরা ও আমাদের হাজারো নেতা-কর্মী বিভিন্ন হামলা ও মামলা মোকাবেলা করেছি। শত শত তাজা প্রাণের বিনিময়ে ২৪’র গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। আজকের ফ্যাসিস্ট সরকারের (শেখ হাসিনার সরকার) বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বিএনপির নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অফিস ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং দোকান-বাড়ি ভাঙচুর করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

    তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বকুলবাড়িয়াতে পথসভা করতে গিয়ে হাসান মামুনের অনুসারীরা আমাদের রাতভর অবরুদ্ধ করেছে, রাস্তা অবরোধ করেছে গাছ ফেলে, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী সত্ত্বেও নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার বিপক্ষে; আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাই।

    নূর আরও বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়েছি, কিন্তু এর সুবিধা নিচ্ছে বিএনপির নেতাদের পরিবারের লোকজন। আমি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। গনঅধিকার পরিষদ কোন ভেসে আসা দল নয়, এটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফলাফল।

    সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    অন্যদিকে, গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় সংঘর্ষ ও উত্তেজনার কারণে উপজেলা প্রশাসন ১৩ জুন শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

  • জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে আওয়ামীলীগের হামলা

    জুড়ীতে সাবেক শিবির নেতা ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে আওয়ামীলীগের হামলা

    জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ফাতিন হাসনাতকে বাড়িতে না পেয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। সোমবার ( ৯ জুন ) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের ছেলে সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাত দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জুন রাত ৯ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ফাতিন হাসনাতকে না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ। বর্তমানে ফাতিন হাসনাতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    এ বিষয়ে ফাতিন হাসনাতের মা রুহেলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তাদের পরিবার জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার ছেলে ফাতিন হাসনাত ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, তার স্বামী জিল্লুর রহমান ও ছেলে ফাতিন হাসনাত সহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। তারা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছেনা। বর্তমানে এই পরিবারটি বাড়ি ছাড়া। তার ছেলে ফাতিন হাসনাত দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরশেদুল আলম ভূইয়া বলেন, এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে, আমরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারিনা।