Author: adminfas adminfasadminfas

  • প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    ০৪ আগষ্ট ২০২৫ ইং রেল নিউজ ২৪ অনলাইনে প্রকাশিত ‘রেলে আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়’ প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। এক প্রতিবাদপত্রে তিনি প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলে উল্লেখ করেছেন।

    প্রতিবাদপত্রে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভানোয়াট। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেন “এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেস” ও “কালনী এক্সপ্রেস”-এর ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও স্টুয়ার্ডদের বেতন তসরুফের অভিযোগ। সেটি সম্পুর্ন মিথ্যা আমি এগারো সিন্দু এক্সপ্রেস ও কালনী এক্সপ্রেস এর ক্যান্টিন পরিচালনা করি না।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাটারিং সার্ভিস সংক্রান্ত সভাপত্রে ০৭নং ক্রমিক এ মোঃ মাসুদুর রহমান, প্রোপাইটার মেসার্স নিউ টপ ক্যাটারার্স এর এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেসের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন। এবং ১৭নং ক্রমিক এ মোঃ আনোয়ার পারভেজ, প্রোপাইটার, মেসার্স টিপটপ ভোজনালয় এর কালনী এক্সপ্রেসের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন। আমি এই দুই আন্তনগর ট্রেন এর ক্যান্টিং পরিচালনার সাথে সম্পৃত নই।

    প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, স্টুয়ার্ডদের বেতন তসরুফ। স্টাফদের বেতন বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন্ডারের নির্ধারিত দর অনুযায়ী আমার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে পরিশোধ করলে। ঠিকাদারের চুক্তিপত্র অনুযায়ী তাদের ব্যাংকে একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করি। আমাকে জড়িয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে ভুটান বেভারেজ লিমিটেড পরিচালনা করার কথা করা হয়েছে। ভুটান বেভারেজ লিমিটেডের পরিচালনা আমি করি না ।

    ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্নের উদ্দেশ্যে এ ধরনের অপপ্রচার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। যে প্রকাশিত হয়েছে সেটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।

    নিবেদক
    আব্দুর রাজ্জাক

  • সাজাপ্রাপ্ত ওয়াহিদা বেগম আবার রাকাবের এমডি! অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

    সাজাপ্রাপ্ত ওয়াহিদা বেগম আবার রাকাবের এমডি! অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদা বেগম। অথচ মাত্র কিছু মাস আগেই হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই ব্যাংকিং মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

    সাংবাদিক ও জুলাই আন্দোলনের একজন যোদ্ধা জাভেদ হোসেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি সেখানে ওয়াহিদা বেগমকে “ফ্যাসিবাদের দোসর” উল্লেখ করে অবিলম্বে তার অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

    ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে ওয়াহিদা বেগমসহ অগ্রণী ব্যাংকের আরও ৪ কর্মকর্তাকে আদেশ অমান্য করার দায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। রাজধানীর দিলকুশাস্থ মুন টাওয়ারকে কেন্দ্র করে একটি ঋণসংক্রান্ত মামলায় এ রায় হয়।

    হাইকোর্টের এই রায়ের পরও তার মতো একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা কীভাবে আবার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    অভিযোগ রয়েছে, ওয়াহিদা বেগম অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঘুষ দিয়ে পদোন্নতি এবং বদলি বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের এক প্রমোশনে তিনি প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় করেন।

    এছাড়া, তার বিরুদ্ধে কর্পোরেট গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ অনুমোদন, সিন্ডিকেট চালানো, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ ও প্রমোশন বাণিজ্য চালানোর অভিযোগও রয়েছে।‌এসব বিষয়ে দুদকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানা গেছে।

    চলতি বছরের ৯ মার্চ ওয়াহিদা বেগম রাকাবের এমডি হিসেবে যোগদান করেন। ব্যাংকিং মহলের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তিনি আগের সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির ধারা আবারো সক্রিয় করছেন।

    রাজশাহীর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলছেন,
    “একজন দণ্ডপ্রাপ্ত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার এভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরে আসা শুধু অর্থনৈতিক নয়, প্রশাসনিকভাবেও ঝুঁকিপূর্ণ।”

    সাংবাদিক জাভেদ হোসেন তার আবেদনে বলেন, “যে কর্মকর্তা হাইকোর্টে দণ্ডিত হয়েছেন, যিনি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, তাকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রাখা যায় না। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের আদেশ, প্রশাসনের নৈতিকতা এবং ব্যাংকিং খাতের জবাবদিহিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।”

    তিনি দ্রুত ওয়াহিদা বেগমকে এমডি পদ থেকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

  • নারী সংগীতশিল্পীর ওপর হামলা ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ

    নারী সংগীতশিল্পীর ওপর হামলা ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রমনা থানাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসের সামনে এক নারী সংগীতশিল্পীর ওপর শারীরিক হামলা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রায়হান সুলতানা নিহা (৪০) রমনা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    রায়হান সুলতানা নিহা চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী। ইতোমধ্যে তিনি দেশের বাইরে বিভিন্ন সংগীত অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন।

    নিহা বলেন, গত ২৫ জুলাই রাত ১০টার দিকে শিল্পকলা একাডেমি ও দুদক কার্যালয়ের সামনে একটি দম্পতির ঝগড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। পূর্বপরিচিত পারভীন আক্তার নাদিয়া ও তার স্বামীকে তর্কে লিপ্ত দেখে আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে যাই। সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আমার প্রতিবেশী নাহার তমা (৩৬), মিনি খান (৫৫) এবং আরও তিন-চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি।

    নিহা বলেন, “আমি এগিয়ে যেতেই তমা কোনো কারণ ছাড়াই আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে গলা চেপে ধরেন, চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেন এবং তার সঙ্গে থাকা অন্যরা মিলে আমাকে মারধর করেন।”

    “মাটিতে পড়ে গেলে তমা আমার গলার ৮ আনার স্বর্ণের চেইন, ব্যাগে থাকা ১১ হাজার ৫০০ টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন,” বলেন নিহা।

    তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর থেকেই অজ্ঞাত বিভিন্ন নম্বর থেকে তার মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকি আসছে। হুমকির ভাষ্য ছিল, “তোর সিনিয়রদের আমরা আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে জেলে পাঠাব। বাঁচতে চাইলে টাকা রেডি রাখ।”

    শারীরিক হামলার পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগও এনেছেন নিহা। তাঁর ভাষায়, “তারা আমার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য, বিকৃত ছবি এবং মানহানিকর বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনকে চরমভাবে প্রভাবিত করছে।”

    ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিযুক্ত নাহার তমার একটি আপত্তিকর ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা তার (তমার) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তমার নামে একটি সংগীত একাডেমি থাকলেও তিনি পেশাগত সংগীতশিল্পী নন। সেই একাডেমির আড়ালে তিনি অনৈতিক কাজ ও মাদকে সেবন কারি এবং মাদক ব্যবসায়ী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।তমা বিভিন্ন জনের কাছে ভিন্ন ভিন্ন নাম প্রকাশ করে থাকেন যেমন সামাজিক ফেসবুকে নাম রয়েছে রুবিনা নাউব তমা।

    শিল্পীর নামে অপসংস্কৃতিতে জড়িত রয়েছে যে সকল শিল্পীগন তাদের কে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক কাশি দাবি করেন একাডেমির আশে পাশের সাধারণ মানুষ ।

  • আজীবন সম্মানিত হচ্ছেন বিচারপতি জয়নুল আবেদীন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাকা আলম

    আজীবন সম্মানিত হচ্ছেন বিচারপতি জয়নুল আবেদীন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাকা আলম

    স্টাফ রিপোর্টার : ভিন্ন আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “মিডিয়া অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়ার-আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫”। উক্ত অনুষ্ঠানে আইন পেশা ও সামাজিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বিচারপতি মো: জয়নুল
    আবেদীন, সাবেক বিচারপতি, আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। এবং চলচ্চিত্র ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও ব্যবসায় বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন ওস্তাদ খ্যাত জীবন্ত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা জাহাঙ্গীর আলমের সহধর্মিণী, বিশিষ্ট অভিনেত্রী মাসুকা নাসরীন রাকা (মিস বাংলাদেশ ১৯৯৫ ও পরিচালক, ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স, কক্সবাজার),

    আগামী ২৬ জুলাই শনিবার বিকাল ৫ টায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে স্টার বাংলাদেশ মিডিয়া ও জাতীয় দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার এর উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে “উদ্যোক্তাদের সফলতার পেছনের
    কথা এবং মিডিয়ার ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ই-ক্রয় প্রেজেন্ট’স “মিডিয়া অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়ার আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” প্রদান অনুষ্ঠিত হবে।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিচারপতি মো: জয়নুল আবেদীন, সাবেক বিচারপতি, আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

    বিশেষ অতিথি থাকবেন- মাসুকা নাসরীন রাকা (পরিচালক, ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স, কক্সবাজার), তাশিক আহমেদ (উপদেষ্টা অনুষ্ঠান ও সম্প্রচার) এটিএন বাংলা, ইভান শাহরিয়ার সোহাগ (জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্য পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার), এ.কে.এম. মুশফিকুল আলম (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ই-ক্রয়), সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার এটিএন বাংলা।

    সভাপতিত্ব করবেন- খন্দকার আছিফুর রহমান (প্রতিষ্ঠাতা- চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি ও স্টার বাংলাদেশ মিডিয়া, যুগ্ম সম্পাদক- জাতীয় দৈনিক অভয়নগর)।

    স্বাগত বক্তব্য রাখবেন-মো: শাহিন হোসেন (সম্পাদক ও প্রকাশক- জাতীয় দৈনিক অভয়নগর। সঞ্চালনা করবেন- স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত উপস্থাপক ও আবৃতিকারক সবুজ রায়।

    এছাড়া অনুষ্ঠানে শোবিজ, সাংস্কৃতিক, মিডিয়া ও সাংবাদিকতা, আইসিটি ও আইটি, রিয়েল এস্টেট, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং নারী উদ্যোক্তা সহ মানবিক কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন তাদের মধ্যে বিভিন্ন কাজের
    স্বীকৃতি স্বরুপ দেশের বরেণ্য ৩০ জন কে মিডিয়া অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়ার আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ এ ভূষিত করে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।

    অনুষ্ঠানের আয়োজক খন্দকার আছিফুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ভিন্ন এই আয়োজনে উদ্যোক্তা, সাংবাদিক সহ গুণীজনদের উৎসাহিত করে স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানিত করা হবে, যা স্টার বাংলাদেশ মিডিয়া ও জাতীয় দৈনিক অভয়নগর পত্রিকা পরিবারের জন্য গর্বের।

  • ওয়াজ উদ্দিনকে ঘিরে ভিত্তিহীন অভিযোগ

    ওয়াজ উদ্দিনকে ঘিরে ভিত্তিহীন অভিযোগ

    স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালক ওয়াজ উদ্দিনকে ঘিরে কিছু বিতর্কিত অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব— এমন কিছু গুরুতর অভিযোগ তাকে ঘিরে উঠেছে,১৫০ বিঘা জমি, বেশি দামে PLC ক্রয়, প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোসহ অন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি।

    অথচ বাস্তবতা ভিন্ন, ওয়াজউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে দক্ষতা, সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও সিষ্টেম লস কমাতে DMA বাস্তবায়নে শতবাঁধা পেরিয়ে প্রকল্পে তিনি এবং তার টিম নেতৃত্ব দিয়েছেন সফলভাবে।

    তাঁর নিয়োগ কোনো ব্যক্তিগত অনুগ্রহ নয়— বরং কারিগরি, প্রশাসনিক যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রকল্প পরিচালনার দক্ষতার ভিত্তিতে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    ADB’র গাইড লাইন মেনে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ এই কাজগুলো মাঠ পর্যায়ে দেশি বিদেশি (জাপানি) কনসালটেন্টদের সুপারভিনে SCADA, Automation বাস্তবায়ন প্রায় শেষ।

    ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াজ উদ্দিনকে স ৎ ও দক্ষ অফিসার হিসাবে জেনে আসছি, তার বিরুদ্ধে ছড়ানো এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং উন্নয়নকাজ ব্যাহত করার হীন অপচেষ্টা।

    বরং তার প্রকল্প টিমের নেতৃত্বেই ওয়াসা এখন সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে — যার সুফল পাচ্ছে লাখো কোটি ঢাকাবাসী।

    গত ২৯ এপ্রিল এবং গত কয়েক তারিখে কিছু প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ওয়াজ উদ্দিনকে ঘিরে কিছু সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে প্রতিয়মান হয়েছে।

    তাই সত্য জানতে হলে প্রয়োজন নিরপেক্ষ তদন্ত, কুৎসা নয়। একজন দক্ষ প্রকৌশলী ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা ওয়াজ উদ্দিনকে ঘিরে মিথ্যা প্রচার বন্ধ হওয়া উচিত — এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট মহলের।

  • ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান

    ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান

    সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ১৮ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টায় ‘ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান সোসাইটি’র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান সাংগঠনিক জাহেদ হাসান ইমন কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেডক্রিসেন্ট এডহোক কমিটির সদস্য, ফয়সল আহমদ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিব্বির আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শ্রমিক উইং-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিলেট মহানগরের সদস্য,সজল আহমেদ, , ফ্রেন্ডস ব্লাড ডোনেশন, সিলেট-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,মাহমুদুল হাসান নাঈম,সিলেট ওসমানী মেডিকেল ইন্চাজ ,শাহাব্বুদ্দিন শিহাব।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়সল আহমদ বলেন, রক্তদান একটি মহৎ কাজ এবং এর মাধ্যমে আমরা অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারি। ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর সোসাইটির মত উদ্যোগগুলো সমাজের জন্য অপরিহার্য।”

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিব্বির আহমদ বলেন এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান সোসাইটির চেয়ারম্যান এস কে রিয়া রায়হান সোসাইটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো রক্তের অভাবে কেউ যেন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চাই যেখানে সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে উৎসাহিত হবে।”

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি :এস কে রায়হান উদ্দিন মিনাজ।সহ-সভাপতি:আ:কুদ্দুস, সাধারণত সম্পাদক জয়নুল সাংগঠনিক,জাহেদ হাছান ইমন, প্রধান সাংগঠনিক,রাশেদ সহ-সাংগঠনিক, ইমরান সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান, কার্যকারী চেয়ারম্যান শাহিন আহমদ, প্রধান প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম, সহকারী প্রচার সাম্পাদক মামুন, সহ-কারী পরিচালক তানজিল

    অনুষ্ঠানে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

    ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদানের লক্ষ্য হলো সমাজে রক্তদানের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং রক্তদানের মাধ্যমে অসহায় রোগীদের সাহায্য করা।

    ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদানের এই উদ্যোগ সিলেটবাসীর কাছে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যুক্ত হয়ে রক্তদানের মাধ্যমে মানবতার সেবা করতে পারবে। সোসাইটির চেয়ারম্যান এস কে রিয়া রায়হান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা আশা করি এই উদ্যোগ সিলেট তথা দেশের অন্যান্য স্থানে রক্তদানের চেতনা জাগ্রত করবে।’

  • প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ গত ০৭ এবং ০৮ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক পত্রিকায় ‘ভূমিদস্যু হাসনা বেগমের প্রতারণা ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী সরকারি কমিশনার (ভূমি) এর কাছে অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন হাসনা বেগম।

    এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার এমন করার কোন ক্ষমতাও নাই আমি এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে বসবাস করছি। আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ জাল ও ভুয়া।

    একটি পক্ষ নিজেরাই এমন ভুয়া নিউজ তৈরি করে আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে। আমরা এতে সামাজিক, মানষিক ও দাফতরিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন ও পত্রিকাগুলোকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমরা মনে করছি।

    বিগত কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে ভূমিদস্যু হাসনা বেগমের প্রতারণা ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে উক্ত প্রোর্টালগুলির প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

    কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। সুপরিচিত ব্যাক্তিকে অসত্য মিথ্যা ঘটনা সমর্থন করতে পারেন না বিদায় উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    নিবেদক
    হাসনা বেগম
    কালীগঞ্জ, গাজীপুর।

  • গলাচিপায় ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র উদ্বোধন

    গলাচিপায় ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র উদ্বোধন

    গলাচিপা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় জনগণের দোরগোড়ায় ভূমি সংক্রান্ত ১৩টি সেবা পৌঁছে দিতে এবং হয়রানি কমাতে ‘ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় গলাচিপা পৌরসভার গার্লস স্কুল রোডে এই কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান। তিনি বলেন, “ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র এখন সরকার নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট। এখান থেকে উপজেলার মানুষ সহজেই ভূমি সংক্রান্ত সরকারি সেবা নিতে পারবেন এবং নির্ধারিত ফিতে হয়রানিমুক্তভাবে সেবা পাবেন।”

    ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সিকদার কম্পিউটারের সেবা প্রদানকারী সুজন সিকদার জানান, “অনলাইনভিত্তিক ভূমি সেবাই এখন মূল কাজ। এখানে ভূমি উন্নয়ন কর, নামজারি আবেদন, খতিয়ান আবেদন, মৌজা ম্যাপ আবেদন সহ ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা দেয়া হবে। আমি সততার সঙ্গে ভূমি সেবা প্রদান করবো, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই তাদের সমস্যার সমাধান পায়।”

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শাহজাদ হোসেন ও উপ ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম। উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. হুমায়ুন কবির, মো. আনিছুর রহমান, প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক মো. রিয়াজুল ইসলাম৷ এছাড়াও সেবাগ্রহীতা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • গলাচিপায় হিন্দু নারীর পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল, থানায় লিখিত অভিযোগ

    গলাচিপায় হিন্দু নারীর পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল, থানায় লিখিত অভিযোগ

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক হিন্দু নারীর পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মোশারেফ হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ধর্ণা রানী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৬ জুলাই) উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর এলাকায়।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হরিদেবপুর এলাকার ওমেশ চন্দ্র হাওলাদার ছিলেন পাঁচ ভাইয়ের একজন। তাদের কিসমত হরিদেবপুর মৌজায় ১৫৪ নম্বর এসএ খতিয়ানে পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। ওমেশ চন্দ্র তার নিজ অংশের পাশাপাশি এক ভাইয়ের অংশ ক্রয় করে নিজ নামে ভোগদখলে নেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার মেয়ে ঝর্ণা রানী ও স্ত্রীর নামে দলিল করে দিয়ে যান। অন্যদিকে, ওমেশ চন্দ্রের অপর তিন ভাই তাদের অংশ মোশারেফ হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। এই সূত্রে ৫২২ নম্বর দাগের ২০ শতাংশ জমির ভোগদখল নিয়ে ঝর্ণা রানী ও মোশারেফ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

    বিরোধ মীমাংসায় গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ ও সালিসি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, গত ৫ জুলাই মোশারেফ হোসেন সালিসিতে না বসে বিরোধীয় জমি দখলের চেষ্টা করেন এবং ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে ঝর্ণা রানী পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ৬ জুলাই গভীর রাতে ঝর্ণা রানীর অনুপস্থিতিতে মোশারেফ লোকজন নিয়ে জমি দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করেন।

    ঝর্ণা রানী তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত মোশারেফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে লোকজন নিয়ে এসে কাঠ ও নির্মাণসামগ্রী এনে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ শুরু করেন। বাধা দিলে তাকে এবং তার স্বজনদের হুমকি দেওয়া হয়। পরে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ করে জমি দখল করা হয়। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ঝর্ণা রানী। এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়ায় জমি ফিরে পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।

    ঝর্ণা রানী বলেন, এটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। আমরা বৈধ মালিক। মোশারেফ ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে বারবার হুমকি দিয়ে এখন জোরপূর্বক ঘর তুলে নিয়েছে। আমি ন্যায়বিচারের আশায় আইনের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি গরিব মানুষ তারা প্রভাবশালী তাই ক্ষমতাবলে আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে জোরজবরদস্তি করছে। নিজের সম্পত্তি থাকতেও আজ অন্যের জমিতে থাকতে হচ্ছে আমাদের। আমি বিচার চাই।

    অভিযুক্ত মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

    গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশাদুর রহমান জানান, অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • গলাচিপায় বিএনপির নবনির্বাচিত জেলা নেতাদের ফুলেল সংবর্ধনা

    গলাচিপায় বিএনপির নবনির্বাচিত জেলা নেতাদের ফুলেল সংবর্ধনা

    মিঠুন পাল পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পটুয়াখালী জেলা শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটনের সম্মানে গলাচিপায় এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের হলরুমে গলাচিপা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে এই ফুলেল সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটন।

    সভাপতিত্ব করেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সিদ্দিকুর রহমান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সত্তার হাওলাদার।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা মো. মোস্তাক আহমেদ পিনু, মো. বশির মৃধা, সাবেক যুবদল সভাপতি মো. মনির ইসলাম লিটন, গলাচিপা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহিন খন্দকার, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম খান এবং মো. জিয়াউর রহমান জিয়া সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    নবনির্বাচিত নেতাদের সংবর্ধনা জানাতে গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত শত শত নেতাকর্মী ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্লোগানে মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেন।