Author: adminfas adminfasadminfas

  • আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের দাবি

    আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের দাবি

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের বড়চত্রা গ্রামে বসতবাড়ীর আঙিনায় গড়ে তোলা হয়েছে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা। লোকালয়ের ভেতর আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা করার নিয়ম না থাকলেও প্রকাশ্য চলছে এই কারখানা। এখান থেকে প্লাস্টিক রিসাইকল এর কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত পানি ফেলা হচ্ছে খালের পানিতে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে খালের পানি , নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমির উর্বরতা।

    অন্যদিকে কারখানার বর্জ্য পোড়ানোর কালো ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্লাস্টিক কুচি করার মেশিনের বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘুম ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় বিগ্ন ঘটছে। এছাড়া চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও কারখানার শ্রমিকরা।

    জানা যায়, ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করার সুবাদে ডাকুয়া ইউনিয়নের মালেক সরদারের ছেলে মো. আল আমিন প্লাস্টিক রিসাইকল করার কাজ শিখে। পরে নিজ এলাকায় বসতবাড়ির আঙিনায় মেসার্স লিমন প্লাস্টিক নামে কারখানা গড়ে তোলে। সেখানে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। মূলত হকারদের কাছ থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী কিনে প্রথমে তার রং অনুযায়ী আলাদা করা হয়। এরপর টুকরো করে ধুয়ে শুকানোর পর মেশিনে ভেঙে তৈরি করা হয় কুচি। এসব কুচি এখান থেকে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে বোতল ও বিভিন্ন ভাঙা প্লাস্টিক স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একপাশে পুরাতন প্লাস্টিক ভর্তি বস্তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে প্লাস্টিকের রঙ অনুযায়ী টুকরো করে আলাদা করার কাজ করছেন শ্রমিকরা। কারখানার আশেপাশে যত্রতত্র পড়ে আছে বিভিন্ন বর্জ্য ও প্লাস্টিকের টুকরা। এসবের মধ্যে রয়েছে পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, স্যালেইনের ব্যাগসহ অন্যান্য বর্জ্য রয়েছে। এসব বর্জ্যের মধ্যে কারখানাটিতে দেখা যায় শিশুরা হাঁটাহাঁটি ও খেলা করছে। আবার প্লাস্টিকের টুকরা আলাদা করে কেমিক্যাল যুক্ত পানিতে ধোয়ার পরে পানি ফেলা হচ্ছে খালের পানিতে। যে ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হয়, সেখানে জমে আছে ময়লা পানি, মশা মাছি সহ পোকামাকড় উড়ছে। এক পাশে পোড়ানো হয় প্লাস্টিকের বিভিন্ন বর্জ্য সেখানে পড়ে আছে প্লাস্টিকের বিভিন্ন টুকরা। জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এর আগে কারখানাটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল প্রশাসন।

    স্থানীয় শাকিল, সুলতান মৃধা, জব্বার, ইউসূফ, শেফালি, কোহিনুর ও আখিনুরসহ একাধিক বাসিন্দারা জানায় রান্নার পানি, গোসলের কাজে ব্যবহৃত খালে কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত পানি মিশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে। বিষাক্ত পানির কারণে ফসলের জমির উর্বরতা কমে গেছে। দিনে রাতে প্লাস্টিক কুচি করার মেশিনের বিকট শব্দে ঘুম ও পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ বা বিপদে পরে একজন অন্যজনকে ডাকলেও কোন কিছু শোনা যায় না। শব্দে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়ার অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধদের। প্লাস্টিকের বর্জ্য পোড়ানোর কালো ধোঁয়া পরিবেশ ও বায়ু দূষণ করছে। এলাকায় বেড়ে চলছে হাঁপানি শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগবালাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুজ্বর সহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধ করে নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ দিয়ে জনস্বাস্থ্য, প্রকৃতি, পরিবেশ ও ফসল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

    এব্যাপারে মেসার্স লিমন প্লাস্টিক কারখানার মালিক আলা আমিন বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স সবকিছু ওকে করে আমি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষের ভালো মন্দ মিলিয়ে কারখানা চালাতে হয়।” এসময় তার পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স দেখালে সেখানে দেখা যায় ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ট্রেড লাইসেন্স আনা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কারখানা খুলে বসেছে আল আমিন।

    স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও সরেজমিনে কারখানাটি পরিদর্শন করে দেখবো। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো”। তিনি দ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন বলেও জানান।

    পরিবেশ অধিদপ্তর পটুয়াখালীর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, “পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার পরে কোন কারখানা যদি পরিবেশ দূষণ করে, তাদের দ্বারা মানুষের ক্ষতি হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিবে”।

  • আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন

    আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন

    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    আর’ডি’এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি এবং বিউটিফিকেশন কোর্স শেষে স্টুডেন্টদের সার্টিফিকেট গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ডা. সোহানা আফরিন সুলতানা, চিফ কন্সালেন্ট, টিয়ারা লেজার এন্ড এস্থেটিক সেন্টার।

    অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন, উম্মে হাবীবা বর্ষা, ফাউন্ডার এন্ড সিইও, আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন লুৎফর রহমান এমজেএফ, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী, মেম্বার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। ইমিডিয়েট পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গর্ভনর, ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১, বাংলাদেশ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল, ভাইস চেয়ারম্যান OISCA ইন্টারন্যাশনাল জাপান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল চ্যাপ্টার।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, লায়ন শিরিন আক্তার রুবি, ডেপুটি ডাইরেক্টর এডমিনিস্ট্রেশন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইমিডিয়েট পাস্ট ফার্স্ট লেডি অব ডিস্ট্রিক্ট, ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি১, বাংলাদেশ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল; সুমা মন্ডল , ওনার শ্রেয়া ও রেড রোজ বিউটি পার্লার, ফাউন্ডার বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন সংস্থা, সভাপতি বাংলাদেশ নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি; শামীমা আক্তার কুসুম, ইন্টারন্যাশনাল মেকাপ, হেয়ার স্টাইল ট্রেইনার এন্ড বিউটি এক্সপার্ট; রোকসানা পারভিন দিপু, ডাইরেক্টর প্রতিবেশী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; কে.এম. শহীদুল্লাহ্, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, মিরপুর ব্রাঞ্চ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড; লায়ন হারুন অর রশিদ বাবুল, ডাইরেক্ট আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন; লায়ন নাসরিন বেগম, ডাইরেক্ট, আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন।

    আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

    প্রধান অতিথি ডা. সোহানা আফরিন সুলতানা বলেন, বিউটি একটি মেয়েকে তার কনফিডেন্স লেভেল বাড়িয়ে দেয়, একজন মেয়ে যে কোন সেক্টরে  কাজ করুক সেটা কর্পোরেট সেক্টরে হোক অথবা গৃহিণী হোক অথবা স্কুল কলেজ গোয়িং হোক, প্রতিটি সেক্টরেই রিকন্সেপটিভ সার্জারি এবং বিউটি পার্লারে বিভিন্ন সার্ভিসের মাধ্যমে তার কনফিডেন্স লেভেল বাড়াতে সাহায্য করছে। তিনি আরো বলেন উম্মে হাবিবা বর্ষা একজন কনফিডেন্ট লেডি এবং নারী উদ্যোক্তার একজন উদাহরণ।

    আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন
    আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন

    বিশেষ অতিথি লায়ন লুৎফর রহমান এমজেএফ বলেন, উম্মে হাবিবা বর্ষা একজন আত্মবিশ্বাসী এবং ভিশনারি লেডি, তার ভিশন আর ডি এইচ কে একটি ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। উপস্থিত নারী উদ্যোক্তাদের ঢাকা চেম্বার অব কমার্সে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

    ব্যাংকিং পার্টনার ইস্টার্ন ব্যাংক, মিরপুর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কে.এম. শহীদুল্লাহ্ বলেন হাটি হাটি পা পা করে চার বছর সবার আস্থার প্রতিক হিসেবে গড়ে উঠেছে আর ডি এইচ ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে এমন একজন উদ্যোক্তার পাশে থাকতে পেরে ধন্য মনে করছি, তিনি আরো বলেন “আমি বিশ্বাস করি এই, আর ডি এইচ একদিন বিশাল ব্রান্ড হিসাবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করবে।” কে,এম,শহীদুল্লাহ্ বলেন, বর্তমানে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যাংক মাত্র ৪%-৫% সুদে লোন দিয়ে থাকে। আগে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আনসিকিউর লোন দেওয়া হতো বর্তমানে সেটা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়, আর মরগেজ দেওয়া থাকলে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারে।

    উম্মে হাবীবা বর্ষা, (ফাউন্ডার এন্ড সিইও, আর ডি এইচ) তার বক্তব্য বলেন আর ডি এইচ এর যাত্রা শুরু ২০২০ সালে, এই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত  আর ডি এইচ মেকওভার নিজেকে মেকওভার করে এখন একটি বিশ্বাস এবং আস্থার স্থানে পৌঁছিয়েছে, এই পুরোটা সময় ধরে যারা যারা পাশে ছিলেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সার্টিফিকেট গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আর ডি এইচ থেকে আপনাদের বিউটিফিকেশন যাত্রা শুরু, আমি চাই আপনারা এই সেক্টরে প্রত্যেকে সফল হন এবং সব সময় আপনারা আমাকে আপনাদের পাশে পাবেন।

    মিরপুর ৬ নম্বরে অবস্থিত আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন, এবং আর ডি এইচ একাডেমি অফ বিউটিফিকেশন অত্যান্ত সুনামের সাথে শুধুমাত্র মেয়েদের বিভিন্ন সার্ভিস সমুহ যেমন ফেসিয়াল, মেকওভার, রিবন্ডিং, হেয়ার কালার, হেয়ার ট্রিটমেন্ট, হ্যান্ড কেয়ার, ফুট কেয়ার ইত্যাদি দিয়ে থাকে এবং পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিউটিফিকেশন কোর্সের  ব্যবস্থা করে থাকে যেমন বেসিক বিউটিফিকেশন কোর্স, বেসিক টু এডভান্স বিউটিফিকেশন কোর্স ইত্যাদি।

  • পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হতে পারে শাস্তি, আজ থেকে মাঠে মোবাইল কোট

    পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হতে পারে শাস্তি, আজ থেকে মাঠে মোবাইল কোট

    এডি পিনব (নিউজ ডেস্ক):- পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হতে পারে শাস্তি, আজ থেকে মাঠে মোবাইল কোট রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে পলিথিন উৎপাদনের বিরুদ্ধে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।পলিথিন উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস শনিবার ২ নভেম্বর গণমাধ্যমকে জানান.

    জানা যায় শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ ছিল। তবে অদ্য রোববার থেকে মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহতি থাকবে।

    তপন কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, সবাই শুধু বলছেন বিকল্প কিছু আনতে। অথচ তারা জানেন না যে, বাজারে ইতোমধ্যে বিকল্প অনেক কিছুই রয়েছে। তা ছাড়া সরকারও এ বিষয় নিয়ে খুবই তৎপর। বিকল্প উৎপাদনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। যাতে বাজারে সবাই হাতের নাগালে পেতে পারে।

  • দৈনিক ন্যায্য মূল্যের কাঁচা বাজার বিক্রয় করা হয়।

    দৈনিক ন্যায্য মূল্যের কাঁচা বাজার বিক্রয় করা হয়।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ রামগঞ্জ সিটি প্লাজার সামনে বাইপাসো রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ যুব সমাজ উদ্যোগে এবং সংশপ্তক অ্যামেসিয়েশন পরিচালনা করেন, রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরামর্শ অনুযায়ী এই বাজারটি অনুষ্ঠিত হয়। বাজারে যে সব সবজিগুলা পাওয়া যায় সবজির মূল্য তালিকা দিয়ে দেওয়া হয় ১. সিম ১০৫.টাকা ২. বরবটি ৭৫ টাকা ৩. মুলা ৫৫ টাকা ৪, করলা ৫৫ টাকা ৫. সসিন্দা ৪৫ টাকা ৬. টমেটো ১২৫ টাকা ৭. পেপে ৩৫ টাকা ৮. বেগুন ৫৫টাকা ৯. চড়া ৫৫ টাকা ১০. পটল ৫০টাকা ১১. মারফা ৪০ টাকা ১২. শষা ৪৫ টাকা ১৩. কাঁচা মরিচ ১২৫ টাকা ১৪. ফুলকপি ৮০ টাকা ১৫. কলা ৪৫ টাকা ১৬. কুমড়ো ৫০ টাকা ১৭. ধনিপাতা ২০০ টাকা ১৮. লালশাক ৩৫ টাকা ১৯. কুমডো সাক ৪৫ টাকা ২০. ডেরস ৫৫ টাকা ২১. লেবু ২৫ আলি ২২. ভাটাশাক ৫০ টাকা ২৩. লতি ৬৫ টাকা আরো সবজিগুলা উনারা আমদানি করবে বলে সাংবাদিকদের কে জানান উনারা বলেন যে আমরা কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কম নিচ্ছি এভাবে যদি বাংলাদেশে ন্যায্য মূল্যের তালিকা দিয়ে সবজি বিক্রি করা হয়, তাহলে বাজারে জনগণ আর হতাশ হবেনা।

  • গলাচিপায় জামায়াতে ইসলামীর গণসমাবেশ

    গলাচিপায় জামায়াতে ইসলামীর গণসমাবেশ

    মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ৪ টায় গলাচিপা পৌর মঞ্চে জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা  উপজেলা শাখার আয়োজনে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা শাখার আমীর ডা. মাওলানা জাকির হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সূরার সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা আমীর  অধ্যাপক মু. শাহ আলম।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো.সানাউল্লাহ শামিম এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এর সহ সম্পাদক এ্যাড.আব্দুর রাজ্জাক।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে  ইসলামী পটুয়াখালী জেলা শাখার নায়েবে আমীর এ্যাড.মু.নাজমুল আহসান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা পৌর আমীর মাওলানা বেলাল বিন সুলতান, জেলা সদস্য মো. হবিবুর রহমান ফোরকান, গলাচিপা উপজেলা সাবেক আমীর ও জেলা সদস্য অধ্যাপক মাওলানা মো. ইয়াহিয়া খাঁন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী মোঃ আবুল বাশার সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শুরা পরিষদের নায়েবে আমীর মাওলানা মো. আব্দুস সালাম খান প্রমুখ।

    প্রধান অতিথি  অধ্যাপক মু.শাহআলম তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতাকে শহিদ করেছে। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তাদের রক্তের মূল্য ইনশাআল্লাহ আমরা পরিশোধ করব এ দেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, নিপীড়ন বন্ধ হবে, অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ হবে। যার অধিকার সে পাবে, যিনি অন্যায়ের শিকার হবে আইনের আশ্রয় নিবে। আইন হাতে তুলে নিতে দেয়া হবে না। যেই স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রয়েছে কাউকে অন্যায় করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আল কোরআনের আইন, ইসলামি শাসন ব্যবস্থা ছাড়া রাষ্ট্রে পরিপূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। এসময় জেলা আমীর শাহ আলম বলেন, যদি আমাকে কখনো দ্বায়িত্ব দেন অঙ্গীকার করছি সকল প্রকার অসত্য, অন্যায় ও অবিচারকে দমন করে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। গলাচিপা শহরে বহমান খাল খননের বিষয় তিনি সরকারকে আহ্বান জানান খালের দুইপাশের বাসিন্দাদের বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে।

    গণ সমাবেশে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা জানাতে ও বরণ করতে বিশাল শহরে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন দেওয়া হয়। সমাবেশস্থলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সমর্থকরা উপস্থিত হয়। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুব বিভাগ ও ছাত্রশিবিরের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যায় পৌর মঞ্চ চত্বরে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্মরণে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

  • যারা রাজনীতি করবেন জনগণের সেবা করার জন্য করবেন : ভিপি নুর

    যারা রাজনীতি করবেন জনগণের সেবা করার জন্য করবেন : ভিপি নুর

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: যারা রাজনীতি করবেন তারা জনগণের সেবা করার জন্য রাজনীতি করবেন। জনগণের প্রতি দায় ও দরদের জায়গা থেকে রাজনীতি করবেন। এত অত্যাচার, নির্যাতন ও দাম্ভিকতার সাথে শেখ হাসিনা এত কথা বলেছে তারও কিন্তু নিষ্ঠুর পতন হয়েছে। হেলিকপ্টার করে পালিয়ে যেতে হয়েছে সাথে কিছু নিয়ে যেতে পারে নাই। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এমন বাড়াবাড়ি, পিড়াপিড়ির কাজ করবেন না যাতে আপনাদের ওইরকমই পালিয়ে যেতে হয়”। মঙ্গলবার নিজ উপজেলা গলাচিপায় এক জনসভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপায় হাইস্কুল মাঠে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে গণসংবর্ধনা ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভিপি নুরুল হক নুর।

    বক্তব্যে তিনি বলেন, ”আমি আপনাদের এই অঞ্চলের সন্তান। আমরা বাবা কোন জমিদার না, কোন লালবাহাদুর না। আপনাদের মত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সেই জায়গা থেকে আপনাদের সন্তান হিসেবে আজকে গণঅধিকার পরিষদ নামে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। সেই দল ট্রাক মার্কায় নিবন্ধন পেয়েছে।”

    এছাড়া তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের ভালোবাসা নিয়ে ডাকসুর ভিপি হয়েছিলাম। এটা আপনাদের গর্ব। ভিপি হওয়ার পর নিজ এলাকায় যখন আসি তখন ফ্যাসিষ্ট সরকারের ছাত্রলীগ কতৃক নিযার্তিত হই।  তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিনি কারন মনে করেছি কুকুরের কাজ কুকুরে করেছে , কামড় দিয়েছে পায়। তাই বলে কি কুকুরে কামড়ানো মানুষের শোভা পায় ? ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২৫বার  নিযার্তনের শিকার হয়েছি। গুম খুন ও টাকা পাচার করে শেখ হাসিনা দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। জনগনের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। জুলাই আগস্টের বিপ্লবে রাজপথে থেকে লড়াই করেছি। নিহত সকলকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করছি। বিগত ৫০ বছরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই বিরোধী দলকে দমন পিড়ন  করেছে। তারা টেন্ডারবাজী চর দখল করেছে আর এসব চলবে না। আমি এ এলকার সন্তান আমার বাবা একজন খেটে খাওয়া মানুষ।তাই এলাকার মানুষের প্রতি ভালোবাসা অপরিসীম। গন অধিকার পরিষদ সারা দেশে সম্প্রীতি ও সহনশীলতা এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

    এসময় তিনি, বিএনপি , জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ ও চরমোনাই সবাই একত্রে চলাফেরা করবেন। কোন সংঘাত চাইনা। আগামী নির্বাচনে পটুয়াখালী ৩ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা ও সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহবান জানান নুর।

    আয়োজিত গণসংবর্ধনা ও জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি মো. শহিদুল ইসলাম , সহসভাপতি আবু হানিফ হৃদয়, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম , আনিসুর রহমান মোল্লা , প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম , কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইউসূফ গাজী , ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক আ. রহিম ও সাদ্দাম হোসেন। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হক নূর এর বাবা মো. ইদ্রিস হাওলাদার , মো. হাতেম মাস্টার , মো. রেজাউল হাওলাদার ও ডা: অনুতোষ দাস প্রমূখ। মঞ্চ ও সভা সঞ্চালনা করেন মোঃ মোহেবুল্লাহ এনিম ও সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মো. জাকির মুন্সি। দুপুর থেকে জনসভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থক আসতে শুরু করে। হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে সমাবেশ স্থলে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

  • গলাচিপায় ছাত্রদলের উদ্যােগে ন্যায্য মূল্যের দোকান

    গলাচিপায় ছাত্রদলের উদ্যােগে ন্যায্য মূল্যের দোকান

    মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যের দোকান বসেছে। এসময় দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে পণ্য কিনে খুশি ক্রেতারা।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শহরের পৌর মঞ্চ চত্বরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। দোকানটি সকাল ১০টায় শুরু হয়। গলাচিপা উপজেলা ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও গলাচিপা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই দোকান পরিচালনা করেন।

    জানা যায়, ন্যায্য মূলের এ দোকানে ডিম প্রতি পিস ১১ টাকা, গাডা ৪০ টাকা কেজি, পটল ৪৫ টাকা কেজি, প্রতিপিস লাউ ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, ভেন্ডি (ঢেড়স) ৪০ টাকা, ধনিয়া প্রতি আঁটি ২৫ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, কুমার ৫৫ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ও প্রতি কেজি সিম ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। যা খুচরা বাজারের মূল্যের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।

    দোকানে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খুচরা বাজারের থেকে এখানে দাম কম শুনে তারা এসেছেন। যে বাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হতো এখানে ২০০ টাকায় পাওয়া গেছে। এই দোকান চলমান রাখতে পারলে জনসাধারণ উপকৃত হবেন। এসময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করতে উপজেলা প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতেও অনুরোধ করেন তারা।

    গলাচিপা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ প্রিতম বলেন, দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদের ন্যায্য মূল্যের দোকান। প্রতি সপ্তাহে একদিন এই দোকান পরিচালনা করা হবে। মানুষজন দোকান শুরুর সাথেই পণ্য ক্রয় করতে ভিড় করছে। অল্প সময়ের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাবে।

    উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় রুবেল বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা পাইকারি মূল্যে পণ্য কিনে ওই দরেই বিক্রি করছি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাঁচামাল ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এই উদ্যােগ। আমরা উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বাজার মনিটরিং করতে।

  • নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে রবি বিশ্বাসের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা

    নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে রবি বিশ্বাসের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা

    খন্দকার আছিফুর রহমান তোতা : নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে বিএনপি নেতা রবি বিশ্বাসের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে  নড়াইলের কলোড়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান প্রবাসী বিএনপি নেতা রবি বিশ্বাসের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।

    গত ২৭ অক্টোবর নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে কাউন্সিলরদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন এবং ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ও সাংগঠনিক সম্পাদক।

    এ উপলক্ষে কলোড়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সৌদি প্রবাসী  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাসের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন  ৮ নং কলোড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।

    ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বক্কার বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান আলেক ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান পলাশ -এর বাসভবনে গিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে সংবর্ধনা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আগদিয়া ওয়ার্ড বিএনপির  সভাপতি হানিফ বিশ্বাস, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সেলিম মিনা, ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনিস বিশ্বাস, শিমুলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাকির মোল্যা সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

  • কৃষি শিক্ষক থেকে বনে গেছেন গণিত শিক্ষক, খুলে বসেছেন কোচিং বাণিজ্য

    কৃষি শিক্ষক থেকে বনে গেছেন গণিত শিক্ষক, খুলে বসেছেন কোচিং বাণিজ্য

    মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন কৃষি শিক্ষক থেকে বনে গেছেন গণিতের শিক্ষক। অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধাভোগের জন্য খুলে বসেছেন কোচিং বাণিজ্য। গণিত বিষয়ের শিক্ষক না হয়েও শিক্ষার্থীদের গাইডবই দেখে অঙ্ক শেখাচ্ছেন ওই শিক্ষক। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণে ‘এসো পড়াশোনা করি’ নামে ফেইসবুক পেইজ খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং এর প্রচারণা। কোচিং মালিক শাখাওয়াত হোসেন নিজে ও ২জন শিক্ষক বেতন দিয়ে রেখে নিয়মিত ব্যাচ করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ২০১২ সালে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা’ জারি করে সরকার। এই প্রতিবেদন তৈরির এক অনুসন্ধানে রেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ বেশ তথ্য। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাখাওয়াত হোসেন গলাচিপা পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডে গলাচিপা সরকারি কলেজের পাশে ২০২৩ সালে কোচিং চালু করে। সেখানে দুইটি রুম ভাড়া নিয়ে দুই বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজে ও আরও দুইজন শিক্ষক বেতন দিয়ে রেখে সব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং এ পড়ান। তিনটি ব্যাচ করে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জন প্রতি ২০০০ টাকা বেতন আদায় করেন তিনি। সূত্র আরও জানায়, প্রতিদিন বিকাল ৪ টা থেকে কোচিং শুরু হয়ে চলে রাত ৮ টা পর্যন্ত। শাখাওয়াত হোসেন আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষকদের উপস্থিত থাকতে হয়। সেখানে স্কুল ফাঁকি দিয়ে এসে প্রতিদিন বিকাল ৪টায় কোচিং এ ক্লাস নেন তিনি।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ইতোমধ্যেই কোচিং ছেড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। সেখানে প্রায়ই ঘটছে বিভিন্ন ঘটনা। হাতেগোনা কিছু প্রকাশ পেলেও অধিকাংশই থাকছে আড়ালে। এদিকে শিক্ষকতা পেশার বাইরেও নামে বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ এনে ব্ল্যাকে বিক্রি করেন ওই শিক্ষক। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ড জন্ম দিয়েছে আলোচনা সমালোচনা। এদিকে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক অর্থাৎ যে সব শিক্ষক এ বিষয়গুলোতে অনার্স কিংবা মাস্টার্স করেছেন তাদেরই পড়ানোর কথা। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না হওয়ার কারণে এ ঘাটতির প্রভাব স্বভাবতই শিক্ষার্থীদের শিখনফলে পড়ে।

    কোচিং এর বিষয় জানতে চাইলে অস্বীকার করেন শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রাইভেট পড়াই। কিন্তু দু’জন শিক্ষক বেতন দিয়ে রাখার বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

    দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কোচিং সেন্টার চালাতে পারে না। সে কোচিং খুলেছে কিনা এ বিষয় জানা নাই। 

    উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আবুল কালাম সাঈদ বলেন, আইনগতভাবে কোচিং সেন্টার খোলার অনুমতি নাই। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি এ কোচিং সেন্টারে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে, কোনো শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত হতে পারেন না। নিজে কোচিং সেন্টারের মালিক হতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে পড়তে উৎসাহিত, উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করতেও পারেন না।

  • ভোলায় মাছের জালে ধরা পড়লো তিন শিশুর মরদেহ

    ভোলায় মাছের জালে ধরা পড়লো তিন শিশুর মরদেহ

    এডি পিনব(নিউজ ডেস্ক):-
    সোমাবারে ভোলায় তিন শিশু গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া পার বিভিন্ন বাড়ি সহ খোঁজে না পাওয়ার পর পুকুরে জাল ফেলে তাদের খোঁজা শুরু হয়। এক পর্যায়ে জালে ধরা পড়ে ৩ জন শিশুর লাশ।দুপুর আড়াইটায় ভোলার তজুমদ্দিন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা পরিচয় মারজিয়া বেগম (৯), মিম আক্তার (১১) ও রাফিয়া আক্তার (১০)। মৃত তিন শিশুর মধ্যে মিম ও মারজিয়া বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী মো. হোসেনের মেয়ে। মিম ও মারজিয়া তারা আপন দুই বোন। অপর আরেক শিশু রাফিয়া তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধনু হাওলাদার বাড়ির প্রবাসী মো. মোর্শেদ মিয়ার মেয়ে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) শংকর তালুকদার বলেন, পানি ডুবে তিনজন নিহতের ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় তিনটি অপমুত্যুর মামলা দায়েরের হয়েছে।