Author: adminfas adminfasadminfas

  • বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদের রুশ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন

    বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদের রুশ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন

    ডেস্ক রিপোর্টঃ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ রাশিয়ার একটি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। মস্কোতে জীবনযাপনে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন।

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আসমা আল-আসাদ রাশিয়ার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মস্কোতে বসবাসের কঠিন বাস্তবতার কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আসমা আল-আসাদ আদালতে অভিযোগ করেছেন যে, মস্কোতে তার বর্তমান জীবন তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করছে। তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যেখানে তার পরিবার এবং বন্ধুরা আছেন।

    আসমা আল-আসাদ সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি এবং একজন প্রাক্তন বিনিয়োগ ব্যাংকার। তিনি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ব্রিটিশ নাগরিক। বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তিনি সিরিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন

    এই ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন এটি সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংকটের প্রতিফলন, আবার কেউ এটিকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন।

    আসমা আল-আসাদের বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন সিরিয়া এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাব এখন দেখার বিষয়।

    সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ রুশ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন তিনি। বিস্তারিত পড়ুন।

  • বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার জেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে

    বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার জেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে

    ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার জেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি রুমান আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম ও সম্পাদক মুফাদ।

    বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার জেলা শাখার ত্রি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সাংবাদিক রুমান আহমেদের সভাপতিত্বে, সাংবাদিক মোফাদ আহমেদ মুরাদ ও সালমানের সঞ্চালনায়, (২২ ডিসেম্বর) রবিবার মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে দুপুর ১২: টা থেকে সম্মেলন শুরু হয়ে বিকাল ০৩: টায় শেষ হয়।

    সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মোঃ রুমান আহমদ,সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম ও সম্পাদক মুফাদ আহমদ মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান আহমদ সহ ৪১ সদস্য বিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    উদ্বোধক উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফরিদ খান প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ( গভ: রেজি: নং-৯৮৭৩৬/১২) কেন্দ্রীয় কমিটি, প্রধান অতিথির পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুদর্শন কুমার রায় এডিশনাল এসপি, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ড. এড. আবু তাহের বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি মো: ইয়ামীর আলী, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিএমএ মুক্তাদীর রাজু, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক বকসী ইকবাল আহমদ, খালেদ চৌধুরী সভাপতি সম্মেলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ মৌলভীবাজার, এমদাদুল হক এমাদ চেয়ারম্যান বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপ জেলা কমিটি, তাজুদুর রহমান সিনিয়র সাংবাদিক, আব্দুল কাদির কাজল সভাপতি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব হবিগঞ্জ জেলা, আব্দুল হান্নান সাধারণ সম্পাদক হবিগঞ্জ জেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম।

    বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার জেলা শাখার পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দ সহ মৌলভীবাজার জেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৬০ জন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দুইজন ছাত্র বক্তব্য রাখেন।

  • সব ধরনের চরিত্রেই কাজ করতে ভালোবাসি অভিনেতা; মোঃ শামীম

    সব ধরনের চরিত্রেই কাজ করতে ভালোবাসি অভিনেতা; মোঃ শামীম

    এডি পিনব (নিউজ ডেস্ক):- বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল পরিচিত বাংলা নাটক খোট, বেয়াদব, এখনো ভালবাসি, এই দিনটারই সহ জনপ্রিয় ওয়েব ফিল্ম, দুই দিনের দুনিয়া, টাকশাল এর একজন পরিচিত মুখ অভিনেতা মোঃ শামীম। ইমোশনাল চরিত্রের পাশাপাশি বেশিরভাগ সময় কমেডি চরিত্রে দেখা যাচ্ছে গুণী এ অভিনেতাকে। উল্লেখ্য জুতা নিজ দায়িত্বে রাখিবেন ও কঞ্জুশ -২ এর কমেডি পার্ট গুলো টিকটক ও ফেসবুক রিলসে দর্শকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে। মোঃ শামীম ২০১২ সাল থেকে এখনো রঙ্গনা নাট্য গুষ্টি থিয়েটারের সাথে যুক্ত জনাব সিরাজ হায়দারের হাত ধরে যার পথচলা। এছাড়াও লাইভ স্টেজের পাশাপাশি ২০০৬ সালে বিটিভিতে অন্যরকম ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে কাজ সহ ২০০৯ সালে এন টিভি শো হাসু সিজন-১ এর অংশগ্রহণকারী পর ২০১২ সালে সাঈদ তারেখ পরিচালিত এটি এন বাংলার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান কমেডি আর ব্যপক পরিচিতিতে নিয়ে যায় অভিনেতাকে
    ২০১৩ সালে প্রযোজক, ফাইট ডিরেক্টর দেলোয়ার হোসেন দিলুর হাত ধরে প্রথম বার বাংলা সিনেমা এক পলকের দেখা’ তে কাজের সুযোগ পান গুণী এ অভিনেতা। তারপর থেকে মিডিয়া পাড়ায় ব্যপক নাম জশ শুরু হয় এ শিল্পীর।
    মোঃ শামীমের উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে খোট, বেয়াদব, এখনো ভালবাসি, এই দিনটারই, এই গল্পের নাম কি, আমি এখানেই থাকবো,প্রিয় বন্ধু নাটক সহ ওয়েব ফিল্ম, দুই দিনের দুনিয়া, টাকশাল কাজগুলো বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এখনো পর্যন্ত পাঁচশত এর বেশি নাটকে কাজ করেছেন এ শিল্পী, কাজের ব্যস্ততার মধ্যে ও আমাদের নিজেস্ব সাংবাদিকের বয়ানে মোঃ শামীম জানান যে আমি প্রথমেই স্মরণ করছি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান যার ছায়াতলে আমি ঠাঁই পেয়েছিলাম, আমি দর্শকদের জন্য আজ মোঃ শামীম যাদের ভালোবাসা আমার কাজের অনুপ্রেরণার উৎস আমি সকলের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। কাজের পাশাপাশি আরো ভালো নাটক, বিঙ্গাপন, ওয়েভ সিরিজে কাজ করে দর্শক হৃদয়ে আরও পেতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ধন্যবাদ।

  • মন্দিরের দানবাক্সে পড়ে গেল আইফোন, ভগবানের সম্পত্তি বলে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি

    মন্দিরের দানবাক্সে পড়ে গেল আইফোন, ভগবানের সম্পত্তি বলে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি

    ডেস্ক রিপোর্টঃ মন্দিরের দানবাক্সে পড়ে গেল আইফোন, ভগবানের সম্পত্তি বলে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি ভারতের তামিলনাডুর থিরুপরুরের আরুলমিগু কান্দাস্বামী মন্দিরে এক ভক্তের আইফোন অসাবধানতায় দানবাক্সে পড়ে যায়। ফোনটি ফেরত চাইতে গেলে মন্দির কর্তৃপক্ষ এটিকে ভগবানের সম্পত্তি বলে ঘোষণা দেয় এবং ফোনটি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।র

    তামিলনাডুর থিরুপরুরে অবস্থিত আরুলমিগু কান্দাস্বামী মন্দিরে এক ভক্ত দীনেশ প্রণামি দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তার আইফোন দানবাক্সে ফেলে দেন। আইফোনটি ফিরে পেতে তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, “যা কিছু দানবাক্সে পড়ে, তা দেবোত্তর সম্পত্তি হয়ে যায়। তাই ফোনটি আর ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।”

    দীনেশ হতাশ হয়ে বলেন, “আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ফোন দান করিনি। এটি দুর্ঘটনা। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ আমার কথা শোনেনি।”

    মন্দিরের একজন কর্মকর্তা জানান, “দানবাক্সে যা কিছু যায়, তা দেবতার সম্পত্তি। এটি মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা করা হয়।”

    দীনেশ এখন ফোনটি ফিরে পেতে স্থানীয় প্রশাসন বা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।

    এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ কেউ মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন, আবার অনেকে এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেছেন।

    মন্দিরের দানবাক্সে পড়ে যাওয়া কোনো জিনিস ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে কিনা, তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দীনেশের এই অভিজ্ঞতা আরও অনেককে সচেতন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • সাভারে চলন্ত বাসে ডাকাতি, ৫ যাত্রী ছুরিকাহত

    সাভারে চলন্ত বাসে ডাকাতি, ৫ যাত্রী ছুরিকাহত

    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের রেডিও কলোনি থেকে সিঅ্যান্ডবি এলাকা পর্যন্ত ওয়েলকাম পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। ডাকাতদের আক্রমণে অন্তত ৫ জন যাত্রী ছুরিকাঘাতে আহত হন।

    সোমবার (তারিখ উল্লেখ করুন) রাত ১০টার দিকে ওয়েলকাম পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের ভাষ্যমতে, বাসে ওঠার কিছুক্ষণ পর একদল ডাকাত অস্ত্র দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও সোনার গয়না ছিনিয়ে নেয়। যারা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেন, তাদের ওপর চালানো হয় নৃশংস হামলা।

    আহত যাত্রীদের অবস্থা:

    ছুরিকাঘাতে আহত ৫ জন যাত্রীকে দ্রুত সাভারের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা:
    এক যাত্রী জানান, “ডাকাত দল বাসের দরজা বন্ধ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে ভয় দেখায়। কেউ প্রতিবাদ করলে সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ করছিল।”

    পুলিশের বক্তব্য:
    সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “আমরা ডাকাতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। বাসের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    পরিবহন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ:
    এ ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    সাভারের এই ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ব্যবস্থা এবং বাস চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

  • অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন

    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন

    ডেস্ক রিপোর্টঃ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন

    অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক বিমান, পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ আর নেই। শুক্রবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী একান্ত সচিব মো. আবেদ চৌধুরী।

    এ এফ এম হাসান আরিফ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। বিমান, পর্যটন এবং ভূমি খাতে তার দায়িত্ব পালনকালে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শুক্রবার (তারিখ উল্লেখ করুন), বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষা করতে ব্যর্থ হন।

    এ এফ এম হাসান আরিফ বাংলাদেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন সুপরিচিত মুখ ছিলেন।

    পদ: বিমান, পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা।

    অবদান:
    ১. পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন।
    ২. ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ।
    ৩. বিমান পরিবহন খাতকে আধুনিকায়নের প্রচেষ্টা।

    পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতিক্রিয়া:
    তার মৃত্যুতে পরিবার, সহকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার একান্ত সচিব মো. আবেদ চৌধুরী বলেন, “দেশের প্রতি তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা একজন প্রজ্ঞাবান এবং নিষ্ঠাবান মানুষকে হারালাম।”

    দাফন ও জানাজা:
    তার জানাজার নামাজ শুক্রবার রাতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নিজ গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

    বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

    এ এফ এম হাসান আরিফের মৃত্যুতে দেশ একজন দক্ষ প্রশাসককে হারালো। তার অবদান ভবিষ্যতেও দেশের উন্নয়নে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

  • শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ পলকের স্বীকারোক্তি

    শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ পলকের স্বীকারোক্তি

    ডেস্ক রিপোর্টঃ সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্বীকার করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের সময় সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছিল। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে এই তথ্য দিয়েছেন।

    গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধের কারণ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) একদিনের জিজ্ঞাসাবাদে পলক জানান, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া গণহত্যার তথ্য বিশ্বের কাছে আড়াল করা। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং গণহত্যার ঘটনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল।”

    আইসিটি তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবার এই স্বীকারোক্তির পর, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “জিজ্ঞাসাবাদে পলক এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা তদন্তে সহায়ক হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, গণহত্যার তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    ইন্টারনেট বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থা ছিল যা নিরাপত্তা এবং সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছিল। তবে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শিক্ষা, ব্যবসা ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যবসায়ী মহলের প্রতিক্রিয়া অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, দীর্ঘদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ব্যবসায়ীদের কর্মকা- বিঘ্নিত হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল থাকায় তাদের অনেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হন।

    এ ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে নিরাপত্তা এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলমান রয়েছে।

  • আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই, নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করলো

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই, নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করলো

    ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিশ্চিত করেছে যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। কমিশন জানিয়েছে, দলের সদস্যরা যদি প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের শর্ত পূরণ করে, তবে তারা নির্ধারিত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।

    নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আওয়ামী লীগসহ কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা তার সদস্যদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তারা চাইলে নির্বাচনী মাঠে নামতে পারবেন এবং তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।”

    এছাড়া, নির্বাচন কমিশন জানায় যে, সকল রাজনৈতিক দলকে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা এবং সকল দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে কমিশন কঠোরভাবে নজর রাখছে।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বাধা না থাকায় দলটির জন্য নির্বাচনী প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আরও স্বস্তি তৈরি হবে। ইসি নির্বাচনের পূর্বে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে নির্বাচনী আইন এবং নিয়মাবলী সম্পর্কে অবহিত করবে।

    এদিকে, আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছে যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় অবিচল থাকবে।

  • সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন এরদোয়ান

    সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন এরদোয়ান

    ডেস্ক রিপোর্টঃ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের সক্রিয় উপস্থিতি এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা জিজ্ঞেস করে, তুরস্ক এখানে কী করছে, তারা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝে না।”

    সম্প্রতি এক সরকারি অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার দেশের পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে সাফাই দেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান যে, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের কর্মকাণ্ড কেবল সামরিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর ভিশনের অংশ।

    এরদোয়ান বলেন, “তুরস্ক শুধুমাত্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে না, বরং সারা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভূমিকা রাখছে। আমাদের নীতির সমালোচকরা হয়তো আমাদের ভিশন বুঝতে পারেন না।”

    সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা:
    ১. সিরিয়া: সিরিয়ার উত্তরে তুরস্ক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এর লক্ষ্য হলো সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শরণার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করা।
    ২. লিবিয়া: লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারকে সমর্থন দিয়ে তুরস্ক সেখানে সামরিক ও কৌশলগত সহায়তা প্রদান করেছে।
    ৩. সোমালিয়া: সোমালিয়ায় তুরস্ক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরদোয়ানের এই বক্তব্য তুরস্কের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূমিকাকে পুনরায় তুলে ধরার চেষ্টা। তুরস্কের এই সক্রিয় অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে।

    এরদোয়ানের বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। সমর্থকরা এটি তুরস্কের নেতৃত্বের সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে সমালোচকরা একে আঞ্চলিক হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

    তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতি ও এরদোয়ানের ভিশন বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাব এখন দেখার বিষয়।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের উপস্থিতি তাদের বৃহত্তর ভিশনের অংশ। এরদোয়ানের বক্তব্য ও তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন।

  • শিরোনাম: বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

    শিরোনাম: বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

    ডেস্ক রিপোর্টঃ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) বগুড়া-৬ আসনের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা এবং সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপুকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

    বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপুকে বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করুন) রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

    র‍্যাবের মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রিপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো, তিনি সংসদ সদস্য থাকার সময় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আর্থিক লেনদেনে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

    গ্রেফতারের সময় যা ঘটেছে:
    রিপুকে গ্রেফতারের সময় তার বাসা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। র‍্যাব জানিয়েছে, এসব প্রমাণ তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    অভিযোগ ও তদন্তের অগ্রগতি:
    ১. অবৈধ সম্পদ: সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
    ২. দুর্নীতি: সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার।
    ৩. অবৈধ কার্যক্রম: বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    র‌্যাবের বক্তব্য:
    র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা আইনের আওতায় থেকে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। আদালতে উপস্থাপনের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।”

    রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
    রিপুর গ্রেফতার নিয়ে বগুড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিরোধী দলগুলো এই গ্রেফতারকে “নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ” বলে আখ্যা দিয়েছে।

    রাগিবুল হাসান রিপুর গ্রেফতার বগুড়ার রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে জনগণও আগ্রহী। এ নিয়ে র‌্যাবের তদন্তের ফলাফল সামনে এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।