বাংলাদেশ রেল নিউজ’- মেহেদী হাসানের নামে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে থানায় অভিযোগ!

বাংলাদেশ রেল নিউজ'- মেহেদী হাসানের নামে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে থানায় অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় কথিত এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আবদুর রাজ্জাক।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ০৪ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে মেহেদী হাসান,’বাংলাদেশ রেল নিউজ” এর সম্পাদক পরিচয় দিয়ে মোবাইল নং- ০১৭২৪৫৯০২৫৭ থেকে আমাকে কল দিয়ে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ আছে। যা তার সম্পাদিত অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে বলে আমার নিকট ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। এতে আমি অধিকৃত প্রদান করায় আমার বিরুদ্ধে ০৪ আগষ্ট ২০২৫ ইং রেল নিউজ ২৪ অনলাইনে প্রকাশিত ‘রেলে আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়’ নামে নিউজ প্রকাশ করে যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর।

আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভানোয়াট। তিনি আরো জানান, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে আমার নামে সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেন “এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেস” ও “কালনী এক্সপ্রেস”-এর ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও স্টুয়ার্ডদের বেতন তসরুফের অভিযোগের কথা। সেটি সম্পূর্ন মিথ্যা। যেখানে আমি এগারো সিন্দু এক্সপ্রেস ও কালনী এক্সপ্রেস এর ক্যান্টিন পরিচালনা করি না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাটারিং সার্ভিস সংক্রান্ত সভাপত্রে ০৭ নং ক্রমিক এ মোঃ মাসুদুর রহমান, প্রোপাইটার মেসার্স নিউ টপ ক্যাটারার্স এর এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেসের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন এবং ১৭ নং ক্রমিক এ মোঃ আনোয়ার পারভেজ, প্রোপাইটার, মেসার্স টিপটপ ভোজনালয় এর কালনী এক্সপ্রেসের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন। আমি এই দুই আন্তনগর ট্রেন এর ক্যান্টিংন পরিচালনার সাথে সম্পৃত নই।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, স্টুয়ার্ডদের বেতন তসরুফ। স্টাফদের বেতন বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন্ডারের নির্ধারিত দর অনুযায়ী আমার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে পরিশোধ করলে। ঠিকাদারের চুক্তিপত্র অনুযায়ী তাদের ব্যাংকে একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করি। আমাকে জড়িয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে ভুটান বেভারেজ লিমিটেড পরিচালনা করার কথা করা হয়েছে। ভুটান বেভারেজ লিমিটেডের আমি পরিচালনা করি না।

আবদুর রাজ্জাক জিডিতে উল্লেখ করেন, “ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। যা মানহানিকর, বিভ্রান্তিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

পরিশেষে, তিনি এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর জিডি করেন এবং দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *