নারী সংগীতশিল্পীর ওপর হামলা ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রমনা থানাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসের সামনে এক নারী সংগীতশিল্পীর ওপর শারীরিক হামলা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রায়হান সুলতানা নিহা (৪০) রমনা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

রায়হান সুলতানা নিহা চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী। ইতোমধ্যে তিনি দেশের বাইরে বিভিন্ন সংগীত অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন।

নিহা বলেন, গত ২৫ জুলাই রাত ১০টার দিকে শিল্পকলা একাডেমি ও দুদক কার্যালয়ের সামনে একটি দম্পতির ঝগড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। পূর্বপরিচিত পারভীন আক্তার নাদিয়া ও তার স্বামীকে তর্কে লিপ্ত দেখে আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে যাই। সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আমার প্রতিবেশী নাহার তমা (৩৬), মিনি খান (৫৫) এবং আরও তিন-চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি।

নিহা বলেন, “আমি এগিয়ে যেতেই তমা কোনো কারণ ছাড়াই আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে গলা চেপে ধরেন, চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেন এবং তার সঙ্গে থাকা অন্যরা মিলে আমাকে মারধর করেন।”

“মাটিতে পড়ে গেলে তমা আমার গলার ৮ আনার স্বর্ণের চেইন, ব্যাগে থাকা ১১ হাজার ৫০০ টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন,” বলেন নিহা।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর থেকেই অজ্ঞাত বিভিন্ন নম্বর থেকে তার মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকি আসছে। হুমকির ভাষ্য ছিল, “তোর সিনিয়রদের আমরা আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে জেলে পাঠাব। বাঁচতে চাইলে টাকা রেডি রাখ।”

শারীরিক হামলার পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগও এনেছেন নিহা। তাঁর ভাষায়, “তারা আমার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য, বিকৃত ছবি এবং মানহানিকর বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনকে চরমভাবে প্রভাবিত করছে।”

ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিযুক্ত নাহার তমার একটি আপত্তিকর ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা তার (তমার) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তমার নামে একটি সংগীত একাডেমি থাকলেও তিনি পেশাগত সংগীতশিল্পী নন। সেই একাডেমির আড়ালে তিনি অনৈতিক কাজ ও মাদকে সেবন কারি এবং মাদক ব্যবসায়ী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।তমা বিভিন্ন জনের কাছে ভিন্ন ভিন্ন নাম প্রকাশ করে থাকেন যেমন সামাজিক ফেসবুকে নাম রয়েছে রুবিনা নাউব তমা।

শিল্পীর নামে অপসংস্কৃতিতে জড়িত রয়েছে যে সকল শিল্পীগন তাদের কে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক কাশি দাবি করেন একাডেমির আশে পাশের সাধারণ মানুষ ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *